পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ অন্যের আয়নায় দেখা

অন্যের আয়না

অন্যের আয়নায় বন্ধু
যদি নিজেকে দেখতে,
তাহলেই  বুঝতে ।

রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে আসার বেশ কয়েক বছর পর  ইআরসিসি গ্রুপ মেইল অনলাইনে  বাড়ি হয়ে গিয়েছিলো। তার আগে ছিল সামহোয়্যার ইন ব্লগ।হঠাৎ করে লক্ষ্য  করলাম ওখানেও সমস্যা। যে কারণে সামহোয়্যার ছেড়ে আসলাম সে কারণেই নতুন ঠিকানা খোঁজ করতে শুরু করি। ডান বাম সমস্যা আর কি ! হঠাৎ করে পেয়ে গেলাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। এখন বাড়ির চেয়েও বেশি। দিনে কয়েকবার ঢুকি সিসিবিতে। ছাইপাশ যা লিখি প্রকাশ করে দেই আর চাতকের মত মন্তব্য বা লাইক আশা করি। অন্যদের প্রায় সব লেখাতে ঢু মারি।মন্তব্য করি।মন্তব্যের জবাবও আশা করি বেহায়ার মত। বাংলা ব্লগের মধ্যে সিসিবির আলাদা মহিমা আছে । ক্যাডেট হিসেবে আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সহযোগিতা । এখন থেকে একবছর আগে একটু রাগই করেছিলাম। রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬) –কে জানালাম আগের দুই ঠিকানার মত সিসিবিও দুষিত হতে যাচ্ছে। নতুন ডেরা খুঁজতে হবে। উল্টে আমাকেই দোষ দিলো। বল্লো আপনারা লেখছেন না বলেই সিসিবির মান পড়ে যাচ্ছে। আমি তো অবাক। লিখতেই পারি না আর এই ছেলেটা বলে কি ? তার পর ও উৎসাহে নিয়মিত লিখতে থাকি। ছোট ভাইটি সব সময় সমর্থন দিয়ে গেছে বড় ভাইয়ের মত। সিসিবির জন্যই আরও অনেক বন্ধু পেয়েছি। তাই পুরোনো বন্ধুদের হারিয়ে তেমন খারাপ লাগে না। মাঝে মাঝে অবশ্য বেশ কষ্ট পাই। যার ফলাফল- ‘ক্যাডেট বন্ধু’।

এবার আসল কথায় আসি।

আয়না নম্বর এক

আমিন দার্শনিক

যাপিত জীবন থেকে
অর্জিত জ্ঞান ভাবনা সঠিক ।
আমিন দার্শনিক ।
আমিন (১৯৯৬-২০০২) এর একটি লেখার সূচনায় বেশ ভালই একটা ধাক্কা খেলাম ।

“এই যে সবসময় নতুন নতুন লেখা প্রকাশ করা, এর ভিত্রে একধরণের ইগো স্যাটিসফেকশনের ব্যাপার আছে, ঔদ্ধত্য আছে। এইটা ইন এ ওয়ে ভালগারও। একসময় মানুষের কিন্তু এত মৌলিক হওয়ার বাতিক ছিলো না। বরং পুরানা মূল্যবান লেখা ভালো কইরা পড়া, আত্মস্থ করা, গ্রহণ করার দিকে ঝোঁক ছিলো তাদের।”

“লেখাটা কোটেশন দিয়েই শুরু করতে হলো। কারণ প্রথম পাতায় এই লাইন গুলোর উপলব্ধি এবং সমসাময়িক বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে আসলেই ধরা পড়ে অন্য এক ছবি। নার্সিসিজমে ভুগে আমরা মৌলিকত্বের দিকে যেভাবে ঝুকছি, অন্যের লেখা জানা বুঝা আর সেটা নিয়ে আলোচনার জন্য কতটুকু সময় বরাদ্দ রাখছি? উঠতি তরুণ লেখক এবং পাঠকদের জন্যও এটা খুব বড় ধরণের একটা টিপস বলেই মনে হয়। একই সাথে নিজের দেউলিয়ত্ব প্রকাশ হয়ে যায় নিজের কাছে খুব ভালোভাবেই ।”

মনে হলো নিয়মিত নিম্নমানের লেখা প্রকাশ করে অন্যদের বিরক্তি উৎপাদন করছি। মাঝে মাঝে ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সাড়া শব্দ পাইনা। অরকা সদস্য দূরে থাক ব্যাচমেটরা পর্যন্ত চুপ। মনে হল আমি নিশ্চয় অ্যালার্জিক। জনমত জরিপে তাই পাওয়া গেল। আমার ফেসবুক বন্ধুরা নিশ্চয় একমত হবেন। এক্ষেত্রে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। যাপিত জীবনের দার্শনিক আমিন ঠিকই বলেছে। আপাতত কি বোর্ড থেকে হাত তোলা উচিত।

আয়না নম্বর দুই

আলোকিত শান্তা ।

ওয়াহিদা নূর আফজা
পূবের মানুষ পশ্চিমে এখন
আলোকিত শান্তা ।

ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)-র আয়নায় কিছুটা নিজের মত ছবি দেখলাম।

“লেখা ব্যাপারটা অনেকটা প্রসববেদনার মতো। পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া যায় না। সময় যখন হয় তখন তেড়ে-মেড়ে বেড়িয়ে আসে। হোক তা সুস্থ কিম্বা বিকলাঙ্গ; স্পষ্ট কিম্বা অস্পষ্ট; ভাল বা মন্দ – আমরা মনের আনন্দে অক্ষর দিয়ে সন্তান বানাই। অবশ্য মানব সন্তানদের মতো তাদের তেমন লালন-পালন করার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ লেখাদের সুবিধা আছে। খুব অগোচরেই তারা পানির দাগের মতো মিলিয়ে যেতে পারে। মানুষরা পারে না ।”

তবু দ্বিধা দ্বন্দ্ব । লিখব না থামবো । না কি অন্য ব্লগের সদস্য হব। পথ দেখাল ৩য় আয়না।

আয়না নম্বর তিন

চারাগাছ রিফাত

ফেরদৌস জামান রিফাত
স্বঘোষিত চারাগাছ ।
এক দিন হবেই হবে মহীরুহ !

ফেরদৌস জামান রিফাত (ঝকক/২০০৪-২০১০) এর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখি দারুন কথা বলে।

“অনলাইন জগতে যার গায়ের উপর অভিশাপ যত বেশি, তার লেখা তত বেশি ধারালো। বুক-পেট-মাথা ভরা অভিশাপ জিনিসটা অনেকটাই দেয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠের মত। কেউ কেউ সব শর্ত মেনে নিয়ে আত্মসমর্পণ করে, আবার কেউ শক্ত পায়ে পেছনের মাটি ঠেলে সামনে এগিয়ে আসতে শেখে। হৃদয়ে দগদগে ক্ষত আর ঠোঁটে কৃত্রিম হাসি নিয়ে একা পথ চলতে শেখে।

আমার চারপাশে অসংখ্য যাবজ্জীবন কয়েদি। কিন্তু মাত্র হাতে গোনা কিছু একলা পথিক ।”

 

প্রতিবিম্ব নাকি  ইকো ?

তিনটে আয়না দেখার মাঝে জুয়েল ভাইকে ( আরসিসি) অভিমান করে বলেছিলাম হাইবারনেশনে যাব। তিনি বল্লেন , না ছোট চালিয়ে যাও। আমি বল্লাম ভাই এখনও রক্ত গরম আছে। ভাই বল্লেন , কুপা শামসু। বড় ভাইদের মান্য করেছি সবসময়। তাই কুপিয়ে যাচ্ছি।দুই একটা কোপ বেজায়গায় পড়লে নিজ গুণে ক্ষমা করে দিবেন সবাই।

আয়না দেখা

যে দিন বন্ধু অন্যের আয়নায়
নিজেকে দেখা শিখবে;
বুঝবে, সেই দিনই বুঝবে।

১,৭৬৫ বার দেখা হয়েছে

২৬ টি মন্তব্য : “পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ অন্যের আয়নায় দেখা”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    ভাই, এই বিষয়ে তো আপনার সাথে কথা বললাম সেদিন। আপনে হুদাই মন খারাপ করেন খালি।

    আপনার লেখার যে কত ভক্ত আছে, তা আপনি জানেন না। জানলে প্রতিদিন দুইটা করে ব্লগ লিখতেন। 😀 (সম্পাদিত)


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    মাঝে মাঝে প্রয়োজনে বা আবদারে লিখতে হয় বৈকি।
    কিন্তু লেখাটি নিজেকে ভালো লাগাতে পারছে কিনা সেটাই বড় কথা।
    আবার এক ধরণের অতৃপ্তি তো থাকবেই।
    আরো ভালো, মহৎ কিছু সৃষ্টির প্রেরণা।

    কাল হঠাৎ করেই শাহ আব্বাস ১ম সম্পর্কে পড়া শুরু করলাম।
    নিজের ২ ছেলেকে অন্ধ করেছেন। একজনকে হত্যা করেছেন।
    কিন্তু ইস্পাহান এর মতো নগর যিনি সৃষ্টি করেছেন তাকে তো গ্রেট বলতে হবেই।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. ফেরদৌস জামান রিফাত (ঝকক/২০০৪-২০১০)

    প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। একটানা পরীক্ষার উপর আছি। সিসিবিতে আসার সময় কম। আপনার আয়না পড়ে লজ্জা পেয়ে গেছি ভাই। অনেক কষ্ট পেয়ে এই স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এখন মনটা ভালো হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ, মোস্তাফিজ ভাই 🙂


    যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

    জবাব দিন
  4. তাহমিনা শবনম (৮৪-৯০)

    অনলাইন না হয়েও আমি সিসিবির নিয়মিত পাঠিকা। আপনার লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ি।
    ভাল ডাউট দিসেন ভাই! লেখা কি থামায় দিব?


    আমি চোখ মেললুম আকাশে
    জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে

    জবাব দিন
  5. টিটো মোস্তাফিজ

    বেনিফিট অফ ডাউট লেখার পক্ষে :gulli2:
    গেজেটেড আইলসা :chup: :duel:

    সময় থাকলে অন্যের লেখাও পড়া, মন্তব্য করা এবং মন্তব্যের জবাব দেয়া উচিত B-) অনেকেই বেশ ভালো লেখে কিন্তু অন্যের লেখা পড়ে না বা মন্তব্য করেনা :-B
    আবার নিজের লেখায় মন্তব্যের জবাব দেয়না 🙁
    এজন্যই বলেছিলাম- মাউস ক্লিকও জমিয়ে রাখে অপচয় করেনা 😛


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  6. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    আপনি যেভাবে আমাদের লেখা বিশ্লেষণ করলেন তাতে বাধিত না হয়ে পারলাম না। এক নম্বর কথা লেখা থামাবেন না। অধিকাংশ মানুষই লেখে না। খুব অল্প মানুষই লেখে। যদিও আমাদের কাছে তা অনেক মনে হয়। তবে কথা ঠিক যে পাঠক প্রতিক্রিয়া বিষয়টি অমূল্য রতন। বুবুক্ষের মতো আমরা তার প্রতীক্ষায় থাকি। আমি যখন সিসিবিতে আসি তখন সিসিবির প্রাইম টাইম ছিল। তখন আমিও প্রায় প্রতিটি লেখা পড়তাম এবং মন্তব্য করতাম। মানুষের জীবনে নতুন গতি আসে, অগ্রাধিকার বদলে যায়। যেমন সিসিবির আগের তারুণ্যদের বিবাহের বয়স হয়েছে - তারা বিয়ে-থাওয়া করে এখন সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আমারও অন্যদিকে ব্যস্ততা বেড়েছে। ভালো লাগলো দেখে যে নতুনরা এসে এই শূণ্যস্থান পূরণ করছে। সিসিবিতে আবার প্রাণ নিয়ে আসছে। আগে আমাদের লাভলু ভাই ছিল। উনি এখন আর এদিকে তেমন একটা আসেননা। আপনি এখন সিসিবিতে গতি সঞ্ছারের ক্ষেত্রে নতুন ভূমিকা নিতে পারেন।

    রিফাতের এই কোটেশনটা খুব ভালো লাগলোঃ "আমার চারপাশে অসংখ্য যাবজ্জীবন কয়েদি। কিন্তু মাত্র হাতে গোনা কিছু একলা পথিক।"
    আরও ভালো লাগলো সিসিবিতে প্রাণসঞ্ছারের ক্ষেত্রে আপনার এই অগ্রবর্তী ভূমিকা।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • টিটো মোস্তাফিজ

      তোমার পাঠ প্রতিক্রিয়ায় মনটা বেশ ভালো হয়ে গেলো। অন্যের লেখায় যখন একটু চিন্তা ভাবনা করে মন্তব্য করি তখন কিন্তু আশা করি তার জবাব পাবো। একজনের পোষ্ট পড়তে গিয়ে তিন/চার বার আমার মোবাইল রিষ্টার্ট হয়েছিলো। এ বিষয়টা উল্লেখ করার পরও জবাব না পেয়ে খারাপ লেগেছিলো। এরকম হলে মন্তব্য করার ইচ্ছাটা চলে যায়। ফেসবুকে যেমনটা বলছিলে একটা অবকাশ নিতে চাচ্ছিলে, সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনকে স্বাগত জানাই। আমি নিজে ছাপোষা মানুষ । সিসিবিকে এগিয়ে নিতে কেমন ভূমিকা নিতে পারবো জানি না, তবে লেখালেখি চলবে। সময় করে মন্তব্য করার জন্য ::salute:: ::salute:: ::salute::


      পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

      জবাব দিন
  7. জুনাইদ ( ৮৩-৮৯)

    আমি আর কি বলব বন্ধুঃ

    কবিগুরু জানতেন!

    আপনি অবশ হলি, তবে বল দিবি তুই কারে?
    উঠে দাঁড়া, উঠে দাঁড়া, ভেঙে পড়িস না রে॥
    করিস নে লাজ, করিস নে ভয়, আপনাকে তুই করে নে জয়—
    সবাই তখন সাড়া দেবে ডাক দিবি তুই যারে॥
    বাহির যদি হলি পথে ফিরিস নে আর কোনোমতে,
    থেকে থেকে পিছন-পানে চাস নে বারে বারে।
    নেই যে রে ভয় ত্রিভুবনে, ভয় শুধু তোর নিজের মনে—
    অভয়চরণ শরণ ক’রে বাহির হয়ে যা রে॥


    লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়!

    জবাব দিন
  8. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ব্যাপকভাবে লজ্জিত আর শরমিত, আমার নাম ধরে পোস্ট দেয়ার পরেও সেটা আমার চোখে পড়ে নি বলে। একটু আত্মপক্ষ সমর্থন করি, আসলে গত এক বছরের কিছু বাস্তবতার কারণে সময় হাতে থাকলেও ব্লগে ঢুকা হয় না তেমন। মাঝে মাঝে টুকিটাকি লিখি। সেই সময়ের প্রথম পাতার পোস্ট চোখে পড়ে। আবার হারিয়ে যাই। আগে শত ব্যস্ততার মাঝেও যেই সময় দিতাম সে ভেবে টের পাই আসলে ব্লগিং থেকে দূরে সরে থাকার প্রক্রিয়ার মাঝেই আছি। তবে স যতনে চেষ্টা করি আমার লেখায় কেউ মন্তব্য করলে তার রিপ্লাই দেবার এবং অন্যের লেখায় পড়ে আলোচনায় অংশ নেয়ার। ইদানিং ব্লগে ঢুকা হয় কম। পড়া হয় তার চেয়ে কম তার চেয়ে কম লেখা।

    তবে আসলে ভাইয়া, আমার কথাটা ছিলো আসলে পারফর্ম করবার অতি ঝোঁক নিয়ে। তবে ব্লগ লেখাটাকে আমি মোটা দাগে পারফর্মের মাঝে ধরি না। বরং ব্লগিংটা হলো অনেকটা বাথরুম সিঙ্গিং এর মত। নিজের মাঝেকার আনন্দ বেদনা গুলোকে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে বলবার চেষ্টা করা। সেই সথসেই আবজাব কিছু আগে লিখতাম এখনও লিখি। তবে আপনি যেমন ধৈর্য্য ধরে মানুষের লেখা পড়েন এবং স্বতঃষ্ফুর্ততার সাথে লেখালেখি করেন তার সাথে কি আমার বলা কথার সম্পর্ক নেই।

    আরেকবার বিনীত সালাম জানুন। আমি সময় নিয়ে একদিন আপনার আগের লেখা গুলো পড়বো। আসলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় এবং ইন্টারএকশন কম করায় অনেকের ভালো ভালো লেখাই চোখ এড়িয়ে গেছে।
    ভালো থাকুন ভাইয়া।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তাহমিনা শবনম (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।