পলাশী থেকে রেসকোর্স

ভূমিকা

পলাশী থেকে রেসকোর্স বিশাল ইতিহাস
বনসাই রুপে প্রকাশিতে
ক্ষুদ্র এ প্রয়াস।

পলাশীর যুদ্ধ

ঘরের শত্রু মীরজাফর
স্বাধীনতার কবর
পলাশীর প্রান্তর।

সিপাহী বিদ্রোহ

অ্যানফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ
ব্যারাকপুর থেকে শুরু
রুটির খামে দ্রোহের বার্তা।

দেশ বিভাগ

হাত মে বিড়ি মুখ মে পান
ছাপার ভুলে
পাকিস্তান।

গোলামের লড়াই

রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই
খাঁটি গোলাম হবার আগে
আযমের স্মারক লিপি।

একুশে ফেব্রুয়ারী

তাজা রক্তে কিনে নিলাম মায়ের মুখের বুলি,
বলতে বাধা দিলে পরে
ভাঙ্গবো মাথার খুলি।

১৯৭০ এর নির্বাচন

ছয় দফা এগার দফা
গণআন্দোলন।
ব্যালটে স্বাধিকার প্রতিফলন।

৭ই মার্চ

মহাকাব্যিক  ভাষন।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।

কালরাত্রি

সংলাপের ছলনায়
নিধন প্রস্তুতি।
অপারেশন সার্চ লাইট।

স্বাধীনতার ঘোষনা

বন্দী হবার আগে টেপে বার্তা প্রেরণ।
ওয়্যারলেসে ঘোষনা,
বাংলাদেশ স্বাধীন।

বিপ্লবী বেতার

মহানায়কের পক্ষে বীর উত্তম,
বিপ্লবী বেতারে।
উদ্দীপ্ত মুক্তিসেনা জনতা।

মুজিব নগর

মুক্ত আমবাগানে মুক্তির শপথ
লাল সবুজ ( হলুদ) পতাকা
গর্বে পতপত।

মুক্তিযোদ্ধা

লুঙ্গি ধুতি গামছা, প্যান্ট পায়জামা শাড়ী
বুলেট বোমার সাথে মোরা
কলম ও কণ্ঠেও লড়ি।

রাজাকার

শান্তি ধর্মের মুখোসে
লুট খুন বলাৎকার
মীরজাফরের বরাহ অবতার।

বিজয়

মা বোনের ইজ্জত, লাখো শহীদের প্রাণ
অতি চড়া দামে ওড়ে
বিজয় নিশান !

পরিশিষ্ট

রচিতে ইতিহাস হাইকুর আকারে
ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে
ক্ষমা কর মোরে।

১,৪৪৮ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “পলাশী থেকে রেসকোর্স”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)
    তাজা রক্তে কিনে নিলাম
    মায়ের মুখের বুলি,
    বলতে বাধা দিলে ভাঙ্গবো মাথার খুলি

    বেশি ভাল হইসে এইটা। :boss:
    ::salute:: ভাই।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    "হাত মে বিড়ি/ মু(হ্‌) মে পান" হবে, কারণ উর্দুতে 'মুখ' বলার কথা না।
    ঐতিহাসিক এই শ্লোগান যে কত্তকিছু মনে করিয়ে দ্যায়!
    এই টুকরোটা আমারো খুব ভালো লেগেছে।

    ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, আপনি যদি অন্ত্যমিল না রেখে লেখেন তাহলে হাইকুর মেজাজটা আরো ভালোভাবে ফুটবে। আমার মনে হচ্ছে ছন্দে বলবার প্রচেষ্টা রসাস্বাদনে বাধার সৃষ্টি করছে।

    কোথাও কোথাও কয়েকটি শব্দ যদি কম হতো, আমার মতে, -- ইশারা একটু বেশি থাকতো আর সেটা আরেকটু বেশি কাব্যিক হতো। যেমনঃ

    মহানায়কের পক্ষে বীর উত্তম,
    বিপ্লবী বেতারে।
    উদ্দীপ্ত মুক্তিসেনা জনতা।

    শেষলাইনে 'উদ্দীপ্ত' না লিখলেও পাবলিকের অনুভূতিটা যেন ধরা যাচ্ছে।

    আর আরেকটা কথাও মনে হলো। শেষ লাইনটা যদি একটা স্বাধীন মতামত বা পর্যবেক্ষণ হয় (একটা পূর্ণ বাক্যে) তাহলে কোলাজমত একটা ব্যাপার অনুভব করা যায়।
    হাইকু আমি পড়িইনি বলতে গেলে- তবু মনে হলো অত্যন্ত কম শব্দে বলা কথাগুলো কিছুটা দূরত্বে দাঁড়িয়ে থেকে একটা অলক্ষ্য সেতু রচনা করে আর পাঠের প্রথমদিককার ধাঁধাময় অবস্থার থেকে যখন হাইকুর অর্থ/ছবি/গল্প চট করেই হৃদয়ের গোচরে আসে তখনকার অনুভূতি তুলনারহিত।

    এই সমস্ত কথা মনে হলো মোস্তাফিজ ভাই। আশা করি আপনি পূর্ণোদ্যমে লেখা চালিয়ে যাবেন। আলীম ভাই আর কামরুল হাসান (এফসিসি) আছেন আমাদের দুর্দান্ত হাইকু লিখিয়ে, ওঁরা আরো অর্থবান আলোচনা করতে পারবেন এ নিয়ে।

    আপনার প্রশ্রয় পেয়ে একজন মূর্খ পাঠক হিসেবে মনে যা এলো তাই বলে গেলাম।
    ক্ষমা করে দেবেন।

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    মোকাব্বিরের বরফ পোষ্টেও বলেছি

    হাজার বছরে বাঙালির জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন ৭১।
    আর সবচেয়ে ডাউন পয়েন্ট ৪৭।

    আর পলাশী বা সিরাজ নিয়া অনেক বলছি। বলতে বলতে বৃটিশ রাজাকার হয়ে গেছি।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।