বড়দের গল্প

কয়ডা ঘটনা লখতে মন চাইল হঠাৎ। এগুলা বড় ভাইয়াদের মুখে শোনা গল্প।

 

১) ডাক্তার আতিক ভাই, একবার ওনাদের ক্লাস হচ্ছে মেডিকেলের। সেদিন পড়ানো হচ্ছিল পুরুষের স্থায়ী জন্ম বিরতিকরন পদ্ধতির ওপর। এই পদ্ধতিতে নাকি ছোট একটা অপারেশন করে একবার প্রডাকশন অফ করে আবার ইচ্ছাকরলে পরে আরেকটা অপারেশন করে চালু করা যায়। তো পড়ানোর সময় এ বিষয়ে বলতে বলতে, টিচার এটাও বলছিল যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে,সরকারী সাস্থ্যকেন্দ্র কেও এই পদ্ধতি গ্রহন করলেতাকে একটা ছাতা আর ২০০টাকা দেয়। এবং অপারেশন হয় সম্পুর্ন বিনা খরচে। পড়ানো শেষ হলে স্যার জিজ্ঞেস করছে কারো কোনো প্রশ্ন আছে। একজন হাত তুলছে, “স্যার, যদি কেউ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এই পদ্ধতি নিয়ে পরে আবার অফ করে তাইলে ঐ ছাতা আর টাকাটা কি ফেরত দিতে হয়?”

 

২) ইমরান কাদের চৌধুরি ভাই। উনি যাবেন চট্টগ্রাম। বাসে উনার প্রিয় সিট সি-১, সেই সিট টা উনি পান নাই জন্য দুইটা বাস ছেড়ে দিয়ে ৩য় বাসে যাচ্ছেন। তো বাস ছাড়ার আগে আগে সি-২ তে একটা মেয়ে উঠছে। ঊঠেই বলে, আপনি এদিকে আসেন আমি ঐ সিটটায় বসব। ইমরান ভাই জিজ্ঞেস করছে কেন? আপনার সিট কোনটা। মেয়ে বলে সি-২, ইমরান ভাইয়ের প্রশ্ন “তাইলে? এটায় কেন বসবেন?” মেয়েটা একটা শক্ত লুক দিয়া পাশে বসে গেল। তো কাঁচপুর ব্রিজ পার হওয়ার পর সে মেয়ে বলতেছে, শোনেন আমার কিন্তু বমি হয়। আপনি তো জানালার পাশে বসতে দিলেন না, গায়ে বমিটমি লাগলে কিছু বলতে পারবেন না। ভাই তো হতভম্ব। বেশ কিছুক্ষন ভাবনা চিন্তার পর ভাইয়া মেয়েটাকে জানালার পাশের সিটটা ছেড়ে দিছে। তো কুমিল্লা পার হয়ে যাচ্ছে। সে সময় ভাইয়া জিজ্ঞেস করছে “কই বমি কই?” মেয়েটা বলছে, জানালার পাশে বসছি তো তাই বমি হয় নেই। ওপাশে বসলে ঠিক বমি হইত। ভাইয়া আর কি করবে।

 

৩) আবার ইমরান ভাই। পাত্রী খুজতেছে। একটা মেয়ে পাওয়া গেছে। সেই মেয়ে সরাসরি ফোন দিছে ভাইয়া কে। কথা হচ্ছে,

বিবাহ ইচ্ছুক পাত্রী- আপনি এইচএসসি পাশ করছেন কবে?

ইমরান ভাই- ৯৭ তে।

পাত্রী- তাইলে তো সমস্যা হয়ে গেল, আমি তো ৯৫এর ব্যাচ।

ভাই- এটা কি খুব বড় সমস্যা, মাচিউরড মেয়েই তো ভাল?

পাত্রী- তা ঠিক, এটা তেমন সমস্যা না।

পাত্রী- আপনার হাইট কত?

ভাই- ৫ফিট ৫এর মত।

পাত্রী-আবার সমস্যা হয়ে গেল, আমি তো ৫ফিট ৭।

ভাই-এটাও কী খুব বড় কোনো সমস্যা? দুইজনের হাইট কম না হয়ে একজনের একটু বেশী হলেই তো ভবিষ্যতের জন্য ভাল।

পাত্রী- তা ঠিক, এটাও তেমন কোনো সমস্যা না।

 

পাত্রী- আপনি কি করেন?

ভাই- ফুল টাইম বেকার।

পাত্রী- আবারো সমস্যা হয়ে গেল, আমি তো স্কুলের টিচার।

ইমরান ভাই- এটা কি বড় কনো সমস্যা। একজন ইনকাম করলেই তো সংসার চলে যাবে।

পাত্রী- তা ঠিক এটাও কোনো বড় সমস্যা না।

এবার ইমরান ভাই, বলছে- “শোনেন, আমি আপনাকে বিয়ে করব না। আপনার বড় কোনো ভেজাল আছে। আপনার কাছে কোনো সমস্যাই বড় মনে হচ্ছে না। এত গুলা সমস্যাকে আপনি সমস্যাই মনে করতেছেন না। তারমানে এখানে বড় ঘাপলা আছে।”

২,৮৩৭ বার দেখা হয়েছে

৬ টি মন্তব্য : “বড়দের গল্প”

মওন্তব্য করুন : আহমদ (৮৮-৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।