স্বপ্নাহতের কথন

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে (আই ইউ টি) অনেক পাকিস্তানী ছাত্র আছে। আমি প্রায়ই হতবাক হয়ে যাই যখন দেখি আমারই পরিচিত কিছু মুখ যখন বিনা সংকোচে তাদের সাথে উর্দুতে কথা বলে। আমার তখন কিছুই বলতে ইচ্ছা করে না। মেরুদণ্ডহীন এক বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়ে যাই আমি।

আমি বুদ্ধিজীবী নই; নই কোন ক্ষুরধার কলাম লেখক। কোন বিষয় নিয়ে যখনই কিছু বলতে যাই কিছুক্ষণ পরই আমার জ্ঞানের জাহাজ যে শূন্য সেটা প্রকাশ হয়ে পড়ে। তাই কখনোই জ্ঞানী-গুণীদের মত অমুক বইয়ের প্রাসঙ্গিকতা টেনে কোন বিষয়ের উপর পাণ্ডিত্য জাহির করতে যাই না। কিন্তু কিছু কিছু কথা আজ না বললেই নয়। কারণ এর সাথে জড়িয়ে আছে আমার অস্তিত্ব। শুধু আমার বললে বোধ হয় ভুল হবে। এখানে আমাদের বাঙালিদের অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে।

এখন ফেব্রুয়ারি মাস চলছে। মাতৃভাষা আন্দোলনের এই মাসটিতে বাংলা ভাষা নিয়ে চারপাশে কত কথা! টিভি খুললেই টক শো। সেখানে আবার চলে জ্ঞানী-গুণীদের রাশভারি আলোচনা। তারা অত্যন্ত সুন্দর ও পরিশীলিত ভাবে বাংলা ভাষার নানা সমৃদ্ধি তুলে ধরেন। এই তারাই আবার পর্দার অন্তরালে এই দেশের সংস্কৃতি আর অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারগোড়ায় নিয়ে যাচ্ছেন।

এতক্ষণ আমার লেখা পড়ে হয়তোবা আপনারা আমায় দেশের বুদ্ধিজীবীদের বিপক্ষে বলতে পারেন। অনেকেই হয়তো ভাববেন যে, “পুরান পাগলেই ভাত পায় না আবার নতুন পাগলের আমদানী।” আমি পুরান বা নতুন কোন পাগলই নই। আবার বুদ্ধিজীবীদের বিপক্ষেও নই, কিন্তু আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথা ও কাজে যখন মিল খুঁজে পাই না তখন খুব খারাপ লাগে; মনটা তাদের উপর বিষিয়ে যায়। আর মনে পড়ে যায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কথাটা-

“তোমাদের বাংলাদেশে আসলে কোন জ্ঞানী লোক নেই; তবে কিছু জ্ঞানপাপী আছে।”

তো যাই হোক ফেব্রুয়ারি আর মাতৃভাষা নিয়ে কথা বলছিলাম। ভাষা আন্দোলনের এতদিন পার হয় গেলো অথচ আজও আমাদের মাতৃভাষা তার প্রাপ্য মর্যাদা পায়নি। আর এখন তো ডিজুস যুগে কথা বলার মাঝে মাঝে দু একটা ইংরেজি না বলতে পারলে সে কোন মানুষই না। ব্যক্তিত্বশীল এবং প্রভাবশালী হবার এখন প্রথম শর্তই হলো বাংলার মাঝে মাঝে দু একটা ইংরেজি প্রবেশ করিয়ে দেয়া। তবেই না তুমি আধুনিক!

এখন তো চারপাশে FM এর যুগ। FM এর বদৌলতে অনেক বাংলা গান আমরা শুনতে পারছি। শুনতে পারছি হারিয়ে যাওয়া নানা কথন। কিন্তু যখনই রেডিও জকি নামক আধুনিক মনস্কদের কথাবার্তা শুনি তখনই মেজাজটা আবার বিগড়ে যায়। নিজেকে আবারও অযোগ্য এবং মফস্বল থেকে আসা কোন ক্ষ্যাঁত বলে মনে হয়। আমি তাদের মত সুন্দর করে বাংলিশ বলতে পারি না যে!

একুশের বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। আমাদের বাংলা ভাষাভাষীদের মিলনমেলা। এই তো গত ১লা ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মেলার উদ্বোধন করে গেলেন। বই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশরা অণেক বই প্রকাশ করেন। কিন্তু যেই জাতি মাতৃভাষার মর্যাদার জন্য প্রাণ দিতে পারে সেই জাতির জন্য শুধু একটি মাসকে কেন্দ্র করে এই প্রাণোৎসব আমার মনে হয় যথেষ্ট নয়। আমরা যদি পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকাই তাহলে দেখব তারা প্রায় সারা বছর জুড়েই বই প্রকাশ করে, বই কিনে। তবে আমরা কেন শুধু একটি মাসের জন্য সবকিছু জমিয়ে রাখব? এতে তো আমরা বাঙালিরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

প্রযুক্তির দিকে যদি আমরা তাকাই তবে দেখব বাংলা ভাষার ব্যবহার এখনো উৎকর্ষতায় পৌঁছেনি। যা কিছু রয়েছে তা অতি সামান্য। আমরা বাঙালিরা স্বপ্ন দেখি এই দিকটিতে যেন আমরা উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারি।

চারিদিকেই এখন দিন বদলের প্রত্যয়। আমাদের চোখেও তাই আজ শত দুঃখ-কষ্টের মাঝেও রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক দিনের যেখানে সবাই গর্বভরে সর্বদা তার মাতৃভাষায় কথা বলবে। আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক বাংলাদেশের যেখানে সর্বদা আমাদের বাংলা ভাষাকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, ভারতীয় সংস্কৃতির ভয়ে ভীত থাকতে হবে না। আমি স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর বাংলাদেশের। পরিশেষে আমার মায়ের ভাষাকে নিয়েই বলতে চাই,

“মোদের গরব মোদের আশা
আ- মরি বাংলা ভাষা।”

সত্যিই মধুর আমার এই মায়ের ভাষা।

২,০৪৩ বার দেখা হয়েছে

৩৮ টি মন্তব্য : “স্বপ্নাহতের কথন”

  1. নই কোন ক্ষুরধার কলাম লেখক

    ভাষা আন্দোলনের এই পবিত্র মাসে নিজের ভাষার দখল নিয়ে একটা ডাহা মিথ্যা কথা লেখার জন্য আগামি ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত তোমার ব্যান চাই।

    লেখাটা দারুন।

    জবাব দিন
  2. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
    আমি প্রায়ই হতবাক হয়ে যাই যখন দেখি আমারই পরিচিত কিছু মুখ যখন বিনা সংকোচে তাদের সাথে উর্দুতে কথা বলে।

    সহমত!
    পাকিস্তানীদেরও গায়ে পইড়া উর্দু বলার এই গা-জ্বলা অভ্যাসটা আছে...মনে হয় দেই পা*র মধ্যে একটা কষায়া x-(


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  3. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    প্রসংগক্রমে,
    আরেকটা ব্যাপারে একটা ডাউট দেই...

    পাকিস্তানীদের সাথে কথা বলার সময় উর্দু এড়ায়ে চলাটা আমাদের আত্মমর্যাদার জন্যই আবশ্যক...
    ভারতীয়দের সাথে হিন্দিতে কথা বলার সময়ও কি একই ফ্যাক্টরটা কাজ করা উচিত?


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
      • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

        কিন্তু যখন আমি কোন জাপানীর সাথে কথা বলি, যদি সেই লোক ইংরেজী-জানা হয়ে থাকে, তবুও কিন্তু জাপানী ভাষায় কথা বলি...হয়তো তাকে তার মাতৃভাষায় কথা বলতে দেওয়ার আনন্দ এবং কমফোর্ট দেওয়ার জন্য...

        কিন্তু উর্দু-হিন্দীর ক্ষেত্রেই কমপ্লেক্স কাজ করে কেন? আমি কিন্তু কোনভাবেই বলতেসিনা যে, এই কমপ্লেক্সটা নেতিবাচক...জাস্ট সবার চিন্তাটা জানতে চাচ্ছিলাম...

        আরেকটা ডাউটও মাঝেমাঝে আসে...
        আদিবাসীদের সাথে কথা বলার সময় যে 'বাই ডিফল্ট' বাংলায় কথা বলি, সেইটাও কি একধরণের গায়ের জোরে চাপায় দেওয়া? :-/


        "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
        আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

        জবাব দিন
        • শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

          সাকেব ভাই যত কথাই বলি না কেন কমপ্লেক্সের ব্যাপারটা মনে হয় সারা জীবন থেকেই যাবে। কারন হিন্দি আর উর্দু দুটা ভাষা খুবই কাছাকাছি, তাই যখন হিন্দিতে আমরা কথা বলি তা উর্দুর মতই শোনায়। আর উর্দু সেই ভাষা যাতে কথা বলে পাকিস্তানি **** বাচ্চারা। তাই এই দুই ভাষা নিয়ে মনের মধ্যে খচখচ করাটা স্বাভাবিক বলেই মনে করি আমি। জাপানি ভাষাটা ঠিক সেইকারনেই আমাদের কাছে অতটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় নি। আদিবাসিদের সাথে আমরা যেমন বাই ডিফল্ট বাংলায় কথা বলি আদিবাসিরাও ঠিক তেমনি জন্ম থেকেই বাই ডিফল্ট বাংলা শেখে। আমার কেন যেন আদিবাসিদের ভাষাটাকে একটি আঞ্চলিক ভাষা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না(যেমনঃ নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, সিলেট, চাপাইনবাবগঞ্জ ইত্যাদি অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা)। তাই সবাই যেমন বাংলা জানে এটা তাদের মাতৃভাষা বা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে, আদিবাসিরাও সেই হিসেবেই বাংলা বলে বা শিখে বলে আমার মনে হয়। তাই আমার চাপিয়ে দেয়া বিষয়টা ঠিক মনে হল না ভাই।

          জবাব দিন
            • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
              আদিবাসিরাও ঠিক তেমনি জন্ম থেকেই বাই ডিফল্ট বাংলা শেখে

              আমার কাছেও এইটা অন্যরকম মনে হয়...বাংলা তো তাদের মাতৃভাষা না...পরিস্থিতির চাপে এবং সুযোগের অভাবে বাংলা শিখতে বাধ্য হয় মাত্র...

              মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা মানুষের অধিকারের পর্যায়ে পড়ে...আর আমরা, একুশের চেতনা বুকে ধারণ করেও চাকমা,মারমা,গারো শিশুদের অ-মাতৃভাষায় ক-খ-গ-ঘ শিখায়ে যাই...


              "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
              আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

              জবাব দিন
          • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
            আমার কেন যেন আদিবাসিদের ভাষাটাকে একটি আঞ্চলিক ভাষা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না

            এই কথাটার সাথে একেবারেই একমত হইতে পারলাম না... :no:


            "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
            আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

            জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      সাকেব ভাইয়ের সাথে একমত হতে পেরে ভালো লাগলো। উর্দু নিয়েতো বলার কিছুই না ভারতীয়দের সাথে হিন্দি বলে তাদের কাছে স্মার্ট সাজার চেষ্টাটাও আমার কাছে খুব হীনমন্নতা মনে হয়।
      কনফিউসনের ব্যাপারটা নিয়ে আমিও কনফিউসড।

      জবাব দিন
  4. ছোট্ট একটা কবিতা ।
    অনেক আগে পড়েছিলাম। কার লেখা মনে নাই। লাইনগুলিও স্মৃতি থেকে লিখছি। ভুল হতে পারে ক্ষমা করে দেবেন সবাই।
    ...........................................................................
    বায়ান্নর এক অবাক দিনে
    পিচঢালা ওই কালো
    পথটা যেনো কেমন করে
    আগুনে ঝলসালো

    আগুন থেকে ফুটলো যখন
    কৃষ্ণচূড়া ফুল
    রক্ত নাকি ফুল ওটা যে
    বুঝতে করি ভুল

    ফুলের সাথে রক্ত মিশে
    ঘেষে পথের কিনার
    উচিঁয়ে মাথা দাঁড়ালো এক
    আকাশছোঁয়া মিনার

    মিনারটাকে মনে হলো
    আমার চেনা চেনা
    এ যে আমার মায়ের ভাষা
    ভাইয়ের দামে কেনা ।।

    জবাব দিন
  5. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)
    কোন বিষয় নিয়ে যখনই কিছু বলতে যাই কিছুক্ষণ পরই আমার জ্ঞানের জাহাজ যে শূন্য সেটা প্রকাশ হয়ে পড়ে।

    😮

    তাইফুর ভাই কই? ভাই কি যেন বলেন আপনি? অচো না কি যেন? মঞ্জুরকে একটু বইলা দিয়ে যাননা ভাই।

    জবাব দিন
  6. আলম (৯৭--০৩)

    ঐতিহাসিক কারণে হিন্দী-উর্দুর প্রতি আমাদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। যারা বিদেশীদের সাথে সে-ভাষায় কথা বলতে লেগে যায়, তারা মূলতঃ নিজের পান্ডিত্য (=ভাষাজ্ঞান) জাহির করতে চায়।
    অপরদিকে বিদেশীদের উচিত হয় ইংরেজীতে কথা বলা নতুবা সে-দেশের লোকাল ভাষায় কথা বলা।

    জবাব দিন
  7. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    "আমরা যদি পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকাই তাহলে দেখব তারা প্রায় সারা বছর জুড়েই বই প্রকাশ করে, বই কিনে। তবে আমরা কেন শুধু একটি মাসের জন্য সবকিছু জমিয়ে রাখব? এতে তো আমরা বাঙালিরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।"-

    এটা খুবই সরলিকরন হইছে। ওরা কিনতু এমন দাবি করেনা। আমার সাথে এক বান্গালি পড়ে, বারাসাত থেকে এসেছে। সে তো বলে আমরা লাকি কারন আমরা বাংলা পড়ি ও বলতে পারি। হিন্দি আর ইংরেজির চাপে ওরা নাকি বাংলা হারাতে বসেছে।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  8. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কথাটা-

    “তোমাদের বাংলাদেশে আসলে কোন জ্ঞানী লোক নেই; তবে কিছু জ্ঞানপাপী আছে।”-

    সুনীল কি আসলেই এই কথা কইসে ?! বিশ্বাস করা কঠিন।কারণ, খুবই পোলাপাইন এর মতো কথা.....


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  9. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ভাষা নিয়ে আমার চিন্তা একটু অন্যরকম। বাংলা আমার ভাষা, একান্তই আমার নিজের ভাষা, আমার বুকের ধন, যাকে রক্ত দিয়ে কিনে দিয়েছেন আমাকে আমার ভাষা শহীদরা।

    বিদেশীদের সংগে কথা বলার সময় আমি ইংরেজী ব্যবহার করি। দেশের বাইরে যেসব ভেন্ডারের সংগে আমার প্রায়ই কথা বলতে হয় তাদের একটা বড় অংশ হিন্দী ভাষাভাষি। আমি তাদের সংগে ইংরেজীতেই কথা বলি, যদিও কথা বলার মত টুকটাক হিন্দী আমি জানি। ভেন্ডাররাই বরং আমাকে খুশি করার জন্য একটা দুটো বাংলা শিখে আমাকে বলে। বাংলায় শুভেচ্ছা জানায়। এটা তারা করে তাদের বানিজ্যিক কারনে, এটা বুঝার পরও তাদের মুখে বাংলা শুনতে আমার ভাল লাগে। এখন আমি যদি তার জায়গায় থাকতাম, তাহলে আমিও হয়ত তার মত করেই ভাবতাম।

    ইউনিতে কিছু বিদেশী ছাত্র ছিল, তাদের সংগে টুকটাক কথা যা বলেছি তাও মনে হয় ইংরেজীতেই। ইন্ডিয়ান একজনকে অনেক চেষ্টা করে কিছু জটিল বাংলা শিখিয়েছিলাম, কিন্তু হিন্দীতে কথা বলিনি, একমাত্র মজা করার সময় টুকু ছাড়া।

    তবে আমি যদি অন্য কোন দেশে অনেক দিন থাকতাম তাহলে হয়ত সে দেশের ভাষা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতাম, এই যেমন কাচা বাজার বা অন্য কিছু, তবে অফিসিয়াল ভাষা হয়ত ইংরেজী থাকত।

    তেমনি আমি যেহেতু আদীবাসিদের ভাষা জানি না, হয়ত ইংরেজীতে কথা বলব। কিন্তু উনি যদি ইংরেজী না জানেন, তবে, কথা বলব কিভাবে? যদি উনি বাংলা জানলে তাহলে আমার বড় উপকার হয়। এটাকে চাপিয়ে দেয়া বলাটা মনে হয় ঠিক হবে না।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  10. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    লেখকের লেখার সাথেও আমি অনেকাংশে একমত।
    আজকাল যাদের কথা বলার সময় বাংলা বলতে যাদের কষ্ট হয় তাদের দেখে রাগ করি না।
    হতাশ ও হইনা। তাদের প্রতি করুণা বোধ করি। যারা দেশকে দেশের মানুষকে দেশের ভাসাকে ভালোবাসতে শিখেনি। আর মনে মনে তাদের আধুনিক মনা(!) মাতাপিতার প্রতি ঘৃণা বোধ করি।
    আর কিছু বলতে পারছি না।

    জবাব দিন
  11. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ও হ্যা আরেকটা কথা, আমাদের ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক জায়গায় বাংলা ব্যবহার করে না কেন এটা আমার কাছে পরিষ্কার না। ইংরেজি বলার মধ্যে কোন গৌরব নাই। যেখানে নামকরা ফুটবলার যারা ইংরেজি জানে না অবলীলায় মাতৃভাষায় সাক্ষাৎকার দেয়।

    জবাব দিন
  12. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    মঞ্জুর, লেখাটার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ... :clap:
    আর 'ঐ' সব বাংগালী/বাংলাদেশীদের জন্য রইল করুনা... :thumbdown:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আমিন (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।