“আবুল” ও WELL COME TO BANGLADESH

“আবুল” ও WELL COME TO BANGLADESH
[ আমার কলেজের বড় ভাই শওকত হোসেন মাসুম; যার প্রতিটি লেখার আমি মুগ্ধ পাঠক।আমার হাউজের স্নেহসিক্ত আহসান, রাজীব এদেরও নিয়মিত পদচারণা এই ব্লগে। ওদের বিভিন্ন লেখা পড়ে নিজেরও একটু লিখতে ইচ্ছা হল, বলতে পারেন সাহস করলাম।
তারই ধারাবাহিকতাই এই রম্য ভ্রমণ কাহিনী লিখেছিলাম বেশ কিছু দিন পূর্বে। জীবনের প্রথম লেখা “কে কেমন বলবে” এমন এক ভয় আর জড়তা নিয়ে ছিলাম… এখনও আছি।
রাজীবের পাঠানো লিঙ্কে শওকত ভাইয়ের দ্য ব্রিজ অন্য দ্য রিভার পদ্মা লেখাটা পড়ে সেই পুরানো ইচ্ছাটা আমার মাঝে কাঠবিড়ালি হয়ে ফিরে এলো।
পাঠকের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ …ভালো বা খারাপ কমেন্টের সাথে ভাষার শব্দ চয়ন বা ব্যাকরণ গত ভুলগুলো জানালে আমি বেশি আনন্দিত হব। যা আমার ভবিষ্যৎ লেখাকে আরও সুন্দর,সাবলীল করবে।]
সকাল ০৯৩০ ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ। বাস ছাড়বে ১০০০ টার সময়।বাসা হতে বাস স্ট্যান্ড এর উদ্দেশে বৌ, বাচ্চা সহ রওনা হলাম।বাস স্ট্যান্ড এর দূরত্ব খুব বেশি হলে ১০ মিনিট। যথাসময়ে গাড়িতে উঠলাম এবং গাড়ি ১০১০ ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা হতে রওনা দিল।
আনুমানিক ১০১৫ তে মুঠোফোনটা বেজে উঠলো। অপর প্রান্ত হতে আমার মেজো দুলাভাইয়ের কণ্ঠ, (মিঃ মাসুদুর রহমান) বর্তমানে কানাডা নিবাসী। বাংলাদেশে কিছু দিন এর জন্য বেড়াতে আসছেন। ফোন করেছেন, কারণ, বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে এখন তিনি কানাডার অটোয়া এয়ারপোর্টে অবস্থান করছেন এবং কিছুক্ষণ পর ফ্লাইটে উঠবেন। আমি বললাম, এয়ারপোর্টে আসবো কি আপনাকে রিসিভ করতে? উনি জানালো, দরকার নাই। প্রয়োজন হলে জানাবো। “ Have a safe journey” বলে ফোনটা রেখে দিলাম।
আনুমানিক দুপুর ১২৩০ যশোর খাজুরা বাস-স্ট্যান্ডে এসে বাস থামল। খুলনা হতে আগে যেরাস্তা এক হতে দেড় ঘণ্টা লাগতো এখন তা দুই হতে আড়াই ঘণ্টায় উন্নিত হয়েছে। নোয়াপাড়ার পর হতে “আবুল” এর জন্য নাকি এই দশা। আসলে এই “আবুল” উপাধিটা আমার কাছে একদম নতুন। প্রিয় পাঠক লেখা শেষে “আবুল” ব্যাপারে বিশ্লেষণ করব।
যাই হোক, আনুমানিক দুপুর ১৩০০ তে যশোর হতে গাড়ি ছাড়ল। মাগুরা-ফরিদপুর মোড় আসার আগে মনে হলো গাড়ির মধ্যে আমাকে মুড়ি (চানাচুরওয়ালা যেভাবে মুড়ি-চানাচুর টিনের কৌটায় নিয়ে ঝাঁকায় ঠিক তদ্রুপ) মাখানো হয়েছে। অনেক কারণে ভলভো গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করে একটু আরামের জন্য, তার মধ্যে একটি এই যে ভলভো গাড়িতে সাধারণত ঝাঁকি কম লাগে। আমরা মানে বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতিবিদদের কাছে এক ধরনের জিম্মি বা গিনিপিগ। যেহেতু আমাদের মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী(জনাব সৈয়দ আবুল হোসেন) বলেছেন যে “বাংলাদেশের ৯০% রাস্তা ঠিক হয়ে গিয়েছে”। তাই আমরা ছোট্ট বেলায় পড়া কাকের গল্পের মতো বিশ্বাস করি যে সব রাস্তা ঠিক হয়ে গিয়েছে। এই জন্য এত ঝাঁকি আর এত কষ্টের জন্য রাস্তা না কি গাড়িকে দোষ দিব ভাবছিলাম। যেহেতু ঈদ এর পরে তাই অধিকাংশ যাত্রীরাই বউ,বাচ্চা,বাবা,মা এমনকি কাজের মানুষ নিয়ে জার্নি করছে। ইতোমধ্যে অনেক বাচ্চা ও মহিলা বমি করা শুরু করে দিয়েছে। তা হলে দোষ কাকে দিব? বাস মালিকদের না কি মাননীয় মন্ত্রীকে?? আমাদের সুচিন্তিত(?) ভোট(?) দিয়েই ঐ চেয়ারে আবুল হোসেনকে বসিয়েছি তাই মন্ত্রী মহোদয়কে দোষ দেয়ার সাহস বা অধিকার কোনটাই আমার নেই। তাই সব দোষ বাস মালিকদের“যত রদ্দি আর ভাঙ্গা গাড়ি এই লাইনে দিয়েছে” মনে মনে চিন্তা আর গালি দিয়ে বৃথাই শান্তি খুঁজি।
মাঝে যাত্রা বিরতি দিয়ে আনুমানিক ১৫০০ তে আমাদের বাসটি দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছালো। দুঃখিত, ঘাট নয় ঘাট হতে প্রায় ৫ কিঃমিঃ দূরে। শুরু হল নতুন এক ভ্রমণ। ঈদের পরে মানুষজনের ঢল নামছে। হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে দীর্ঘ এই পথ দিয়ে লঞ্চ যোগে নদী পার হয়ে ঢাকা যাবে। কিন্তু আমাদের-তো যাওয়ার উপায় নাই। গাড়ি, ট্রাক সব এক কাতারে দাঁড়িয়ে আছে, স্থির। মাঝে মাঝে খোদাতায়ালা মুখ নামিয়ে তাকালে কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। কচ্ছপ গতিতে বললে ইংলিশে পড়া ও শিক্ষা নেয়া “Slow and steady wins the race” কথাটার অপমান হবে। তাই শম্বুক গতিতে বললে বেশি ভাল শুনাবে। কেননা শম্বুক মানে শামুক, চলার পথে একটু বাঁধা পেলে সঙ্গে-সঙ্গে নিজের মধ্যে গুটিয়ে নেয়। ঠিক তেমনি আমাদের গাড়ি ৫ হতে ১০ গজ যেয়ে কখনও ৩০,কখনও ৪৫ আবার কখনও ৬০ মিনিট নিশ্চুপ দাড়িয়ে থাকছে বা বলা যেতে পারে শামুকের মতো আচরণ করছে। আমরা মানে পুরুষ মানুষেরা গাড়ি হতে নেমে হাঁটা চলা করছি, চা-সিগারেট এমনকি প্রাকৃতিক কাজও সেরে ফেলছি। কিন্তু একবার চিন্তা করেন, গাড়িতে কতো বিভিন্ন বয়সের মহিলা,বাচ্চা আছে। এ দেশের হাইওয়ের পাশে কোথাও কোন ভাল প্রসাধনীর ব্যবস্থা নাই। অনেক বাসের যাত্রী কলকাতা হতে এসেছে। দৈনিক খবরের কাগজে পড়লাম ১০ টা ফেরী আছে তার মধ্যে একটা অচল।নয়টা ফেরি দিয়ে সব বাস, ট্রাক আর ছোট গাড়ি পারাপারের ব্যবস্থা। একে তো নদীর নাব্যতা সমস্যা আর অন্যদিকে ফেরি ভরতি গাড়ি না হোলে ঐ দিক হতে ফেরি আসবে না। পত্রিকাতে আরও লেখা, রাস্তার মাঝে বাঁশ দিয়ে ডিভাইডার করে দেয়া হয়েছে, গাড়ি চলাচলের কোন সমস্যা হচ্ছে না?? হায়রে সাংবাদিক… একবার এসে দেখে যা।
শীতের সময় বিকাল ১৭৩০ এর কিছু পরে সন্ধ্যা । খুব বেশি হলে এই দুই ঘণ্টাতে এক কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করেছি। একটু ভাবুন,কত সকাল হতে মানুষজন বিশেষ করে মহিলা আর বাচ্চারা রওনা দিয়ে এখনও সারি সারি গাড়িতে বসে আছে ফেরির অপেক্ষায়। আমার বাসের ভিতর একটু পরপর ছোট ছোট বাচ্চাদের কান্নাকাটি। মোট কথা বাসের মধ্যে এক অসহনীয় পরিবেশ। সময় কাটানোর জন্য সামনে এসে ড্রাইভার আর সুপারভাইজার সাথে আলাপ শুরু করলাম। জিজ্ঞাসা করলাম ভাই আগে এমন জ্যাম দেখছেন কি না? ড্রাইভার সাহেব বলল “২০ বছর যাবত গাড়ি চালাই, অনেক জ্যাম দেখছি, তবে এই রকম জ্যাম আমি দেখি নাই।“ সুপারভাইজার বলল “৯ বছর এই লাইনে, বাংলাদেশের সব জেলাতে গেছি, অনেক জ্যামে পড়ছি, কিন্তু এক জায়গায় এই ভাবে দাড়ায়া থাকন আগে কখনও হইও নাই আর দেখিও নাই।“
রাত আনুমানিক ২২০০ ঘন্টা দৌলতদিয়া ঘাট এর “০” পয়েন্টের কাছাকাছি। রাত এখন যতই হোক না কেন… ঢাকাগামী মানুষের, বিশেষ করে অনেক দূরে গাড়ীর জ্যামে বাধ্য হয়ে এই পায়ে হাঁটা মানুষের ঢল। এর মধ্য রাস্তার অনেক জায়গায় বসেছে সৌখিন বিক্রেতাদের খাবারের দোকান। বাহিরে এসে নিজের মনে মনে চিন্তা করছি, আমরা কি দুর্ভাগা জাতি! এত কষ্ট করে প্রিয়জনের সাথে ঈদ করে মানুষ আজ দূরদূরান্ত হতে ফিরছে কাজের জায়গায়আমাদেরকে একটু দেখার কি কেউ নাই! এ লজ্জা কার-আমার আপনার না গোটা জাতির। মানুষের জীবন, সময়ের কি কোন মূল্য নাই? সময়ের সাথে সাথে যতদূর দেখি,বুঝতে পারি একটু একটু করে বাড়ছে গাড়ির পিছনের জ্যাম…
মধ্যরাত আনুমানিক ১২৩০ । অবশেষে গাড়িটার স্থান হোল ফেরিতে। আনুমানিক রাত ০১৩০ ফেরি আরিচা ঘাটে, গাড়িতে পুনরায় যাত্রা শুরু। লোকজনের মুখে শুনতে পেলাম ইতোমধ্যে গাড়ির লাইন ৮ হতে ১০ কিঃমিঃ লম্বা। আবারো চিন্তার রেখা পড়লো , ঐ ৮-১০ কিঃমিঃ পরের গাড়িগুলা কখন পার হবে। এই গাড়ি ঢাকা পৌঁছানোর পর নতুন যাত্রীদের ঢাকা হতে নিয়ে যাবে দক্ষিণ অঞ্চলে। ঐ সব নতুন যাত্রীদের গাড়ি ছাড়ার সময় ছিল ঢাকা হতে রাত ১০-১২ টার মধ্যে। বাস কাউন্টারে ঐ সকল যাত্রী যারা অধির আগ্রহ আর অস্থির হয়ে বসে আছেন, কখন আসবে গাড়িটা? এরমধ্যে কতো বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ,বাচ্চা ও মেয়ে-ছেলেরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা হতে এসে বাসের কাউন্টারে অপেক্ষারত। চিন্তার মধ্যে থাকতে থাকতে হঠাৎ একটু ঝিমিয়ে পরেছিলাম, ছেদ পড়লো বাসের হেল্পারের ডাকে।
সকাল ০৫০০ টায় লাস্ট স্টপেজ মালিবাগে পৌঁছলাম। গাড়ি হতে নেমে বাক্স পেটরা নিয়ে বাসায় পৌছাতে পৌছাতে তখন ঘড়ির কাটাতে সকাল ০৫৪৫। একটু ফ্রেশ হয়ে বিছানাতে যাবো আবার বেজে উঠলো মুঠো ফোন;অপরিচিত, কিন্তু দেশের সেল ফোন নাম্বার। এত সকালে কে ফোন দিল?? প্রশ্নটা নিজের মনে জিজ্ঞাসা করতে করতে ফোনটা ধরে হ্যালো বললাম। “কি শালা বাবু… ঘুমের ডিস্টার্ব করলাম??”ফোনের অপর প্রান্ত হতে ভেসে এলো পরিচিত কণ্ঠস্বর।
আমি তো একদম ভুলে গিয়েছি। মেজো দুলাভাই,গতকাল সকাল বেলা কানাডা এয়ারপোর্ট হতে ফোন করেছিল। কি বলবো? হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এখন তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে। আর আমিও মাত্র খুলনা হতে ৩৬৫ কিঃমিঃ পাড়ি দিয়ে রাজধানী ঢাকাতে। শুধু বললাম “ Welcome to Bangladesh”….welcome to Analog ,,,, sorry DIGITAL Bangladesh”
সেই “আবুল” এর প্রসঙ্গ দিয়ে শেষ করি-
বড় গাড়িতে কিছু হেল্পার থাকে যাদের কাজ ড্রাইভারকে সামনের কিছু কিছু ব্যাপারে আগাম সতর্ক করা। এই যেমন, সামনে কোন প্রাইভেট কার থাকলে বলে ”ওস্তাদ সামনে প্লাস্টিক”লোকাল গাড়ি থাকলে বলে “ওস্তাদ সামনে মুড়ির টিন”। কিন্তু “আবুল”…… এইটা তো আগে কখনও শুনি নাই।
নোয়াপাড়ার পর হতে শুরু করে মাগুরা আর ফরিদপুরের মোড় পর্যন্ত রাস্তার যে কি বেহাল দশা তা না দেখলে বা না ভ্রমণ করলে কাউকে বুঝানো যাবে না। আর এই অবস্থা চলছে অনেক দিন যাবত। কিন্তু আমাদের তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী গত ঈদে মানে ঈদ-উল-ফিতরের আগে মিডিয়াকে বললেন যে ৯০% রাস্তা মেরামত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তব বলে অন্য কথা। রাস্তার এত খারাপ অবস্থা যে অনেক বড় বড় বাস কোম্পানির মালিক তাঁদের বাস এই রুটে চালাতে অপারগতা জানাচ্ছে।
আর এই জন্য গাড়ির হেল্পার সামনে কোন বড় গর্ত বা ভাঙ্গা দেখলে বলে “ওস্তাদ সামনে আবুল”। বাসের হেল্পার এর কাছে শুনলাম “আবুল” এর সারমর্ম। এই নতুন টারমলজি শুনে বাসের মধ্যে না পারলাম অট্টহাসিতে হাসতে…
শুধু নির্বাক হয়ে আধো আলো আর আধো অন্ধকার মধ্যে দেখতে পেলাম সারি সারি গাড়ির লাইন আর পায়ে হাঁটা মানুষের ঢল

১,৮৫০ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : ““আবুল” ও WELL COME TO BANGLADESH”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    প্রথম লেখা
    কিন্তু না খুব ভাল হয়েছে।
    কিছু ভুল রয়ে গেছে বস প্রথম প্রথম বাঙলা টাইপ করলে হতেই পারে।
    ও প্রথম লেখার জন্য আপনাকে স্বাগতম ব্লগে।
    :guitar: :guitar: :guitar:

    আর একটা কথা ভাইয়া প্রথম লেখার পর কি জানি একটা ফরমালিটি আছে; আমি ছুডু মানুষ, বড়রা আপনাকে বলে দেবে আশা করি।
    আজকাল ব্লগেও আবুলগিরি চলতেছে; কেউ নিয়ম মানে না। 😕


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. আমি নিজের গাড়ি চালানোর সময় শূনে ছিলাম " উস্তাদ সামনে পিলাসটিক"। আমি বললাম তুই ব্যালেসটীক ? তখন চীৎকার শুনলাম " উস্তাদ্দ আমরা নাকি বালের সটীক,হালারে কচন দেন। চাইলেই কি পারা যায়? উস্তাদ এর টাকা দরকার,একটু পর পর থামতে হয় লোক ভরার জন্য। আমার সাথে দূরত্ব বারতেই থাকে ব্যালেসটীক এর।

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ব্লগে স্বাগতম মোকাররম ভাই। সিসিবিতে আমরা(বিসিসি) সব সময়ই এগিয়ে আপনি এবার আরো এগিয়ে নেবেন 😀

    গত ঈদের আগে চার দিনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়া আসা করতে হয়েছিল, যেতে লেগেছিল ২৩ ঘন্টা। আর আসতে একটু কম, ১৭ ঘন্টা। এরথেকে কম সময় লেগেছে আমার আফ্রিকা পৌছাতে 🙁


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      খারাপ বলিস নাই আহসান। এই কলেজ ফিলিংস টা অদ্ভুত লাগে।
      বিসিসির কেউ ভালো কিছু করলে কেনো জানি একটু বেশি ভালো লাগে।
      ক্যান যে লাগে?
      রেসিজম চলবে না।
      কিন্তু বিসিসি জিন্দাবাদ।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    মোকাররম ভাই বিষয়বস্তু মানে আবুল কাহিনী পুরাতন হইলেও সমস্যা কিন্তু আবহমান কালের। যদিও আবুল আইসা এই সমস্যাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে; যেই মাত্রার নাম অনায়াসে আবুল মাত্রা হিসাবে নামকরণ করা যায়।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    মোকাররম,
    প্রথম লেখার জন্যে শুভেচ্ছা রইলো। তোমার আর তোমার পরিবারের প্রাণান্তকর অভিজ্ঞতা পড়ে মজা পেলাম। মজা করে লিখছো যে! নিজেকে নিয়ে মজা করা কি সহজ?

    আমিও দেশে যাইনা অনেকদিন।ভোগান্তিগুলোর কথা মাথায় থাকেনা, শুধু ভালো ভালো সবকিছুর কথা মনে হয়।

    তোমারে এখানে দেখে একটু শান্তি পেলাম। কাছাকাছি বয়সের লোকজন দেখলে যেমনটা হয় আর কি। 😀 তুমি কেবল ইমিডিয়েট জুনিয়র, প্রায় ব্যাচমেট বলা যায়। তাই তোমাকে :frontroll: দেওয়ানো আমার কম্মো না।

    পোলাপান প্রথম ব্লগ লেখার পর সবাই :frontroll: দেওয়ানোর জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তোমার জন্যে প্রিন্সিপাল সানাভাই আসবেন হয়তো। ততক্ষণ পর্যন্ত জুনিয়ররা লুক ডাউন নীচেএএ!

    জবাব দিন
  6. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    স্যার আসসালামু আলাইকুম।
    ব্লগে স্বাগতম।
    নতুন হিসেবে লেখা মন্দ হয়নি। এক টানেই পড়ে ফেলেছি। লিখতে লিখতে আরো সুন্দর লেখা হবে। একবার যখন একটা লেখা পোস্ট করেই ফেলছেন, এখন নিয়মিত লিখতেই থাকুন। অপেক্ষায় রইলাম নতুন লেখার।
    বিসিসি'র জয়জয়কার চলতেই থাকুক।

    জবাব দিন
  7. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    ব্লগের সবার জ্ঞাতার্থে বলছি...
    ব্লগে একজন সাদা মনের মানুষের আবির্ভাব হলো এই লেখার মাধ্যমে... পরম পরোপকারী এই মানুষটিকে আমার খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। জানিনা কোনদিন এই মানুষটির মত এত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হতে পারবো কিনা...কিন্তু ভীষন ইচ্ছে করে এই মানুষটির মতো পরোপকারী হতে। নিজের অনিষ্ট করেও অন্যের উপকার করা এই মানুষটিকে দেখেই মানুষের উপকার করার ইচ্ছে মনে জাগ্রত হয়েছে আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে। স্পষ্টভাষী এই মানুষটির সকল আশা পরম পরুণাময় আল্লাহ তা-আলা পূরণ করুক। আমিন।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।