কিছু ভাবনা, কিছু শঙ্কা

ঘটনাটি খুবই সাম্প্রতিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। না এটি নিয়ে আমি লুকানোর কিছু দেখছিনা। ২০১৩ সালে পাশ করা ক্যাডেট কলেজের এক ছেলে একই বছর গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করা প্রেমিকাকে মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলেছে। “মেরে তক্তা বানানো” কথাটি এখানে অলংকরণ হিসাবে ব্যবহার করি নাই। জখম হবার পরের একটি ছবি দেখার পরে আমার এই কথা মনে হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ পায় “ক্যাডেট নয়” [উদ্ব্যক্তি সংযুক্ত] এরকম একটি ফেইসবুক গ্রুপে। এরপর ভাইরাসের মত ঘটনাটি ফেইসবুকের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে অবশেষে এক্স-ক্যাডেটদের গ্রুপ ইসিএফে এসে পৌঁছায়। সাধারণ জনগণ যারা ক্যাডেট কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট নন এবং সাধারণত ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থার প্রতি বিরাগভাজন তারা এই বিষয়টি বেশ ফলাও করে প্রচার করেছে। স্বভাবতই এই নিয়ে তর্ক আলোচনা ছররা গুলির মত বিভিন্ন দিকে ছুটে গিয়েছে। কেন এরকম ইসিএফে প্রকাশ পাবার আগে একটি “নন-ক্যাডেট” [উদ্ব্যক্তি সংযুক্ত] ফেইসবুক গ্রুপে প্রকাশ পেল; এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল কিনা; ইসিএফেই বা এই এই ধরনের পোস্ট আসবে কেন–ইসিএফ একটি শান্তির ঝান্ডা বহনকারী ফেবুগ্রুপ এখানে হাসি-গান-আনন্দ হবে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় ছিল আলোচনার উৎস। সেদিকে যাচ্ছি না। আমি যেদিকে যেতে চাইছি সেটা বেশ ভয়াবহ। যা দেখলাম তা হলো, এই ঘটনায় ছেলেটির অপরাধকে সাফাই ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা। আসলে ভয়াবহ বলা ভুল হবে। আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন দোষারোপের আঙুল মেয়েটির দিকে ঘুরে যায়। ছেলেটির সহপাঠি এবং আরো কিছু বড় ভাইয়ের কথায় যেটি উঠে আসলো সেটি এই ঘটনাটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য তো করছেই না বরং যেটা বলার চেষ্টা করছে এখানে দুই পক্ষের গল্প শুনে বুঝতে হবে মূল ঘটনা কি ছিল। এরকম একজনের সাফাই ছিল আক্ষরিক ভাবে এরকম,

ইন পাবলিক মারামারি করাটা অফ কোর্স দোষ হইসে…কিন্তু জেলে ঢুকানো মত কিছু না (সবাই হুজুগে পড়ে কমেন্টস করলে তো হবে না) আর আপুরা অবশ্যই এর বিচার হবে…কিন্তু সবকিছুর জন্য আমাদের দুই পক্ষের প্যারেন্টসসহ ছেলে মেয়ে এক রুফের নিচে বসতে হবে…সব কথা শুনে বিচার করতে হবে… 🙂 hope anybody will call their guardians with some inert members (like police)

উপরের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হলে একই ব্যক্তির উত্তর ছিল,

I said of course the boy had a blame…but it is not likely to know what forced him to do that insane thing? (for example a girl if says that your mom is a whore then what would you do) just saying I don’t know what happened so don’t go crazy on me

২০০৫ সালে যখন আইন পড়া শুরু করি বছর খানেকের মাথায় যেই বিষয়টি মাথায় এসেছিল সেটি হলো বাঙলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রথম বারো বছরের পাঠ্যক্রমে সংবিধান, ফৌজদারী দন্ড ও দন্ডবিধি, বিচারব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে অধ্যায় সংযুক্ত করা প্রয়োজন এবং সেটা শুধু মানবিক বিভাগের পৌরনীতিতে নয়, এটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক হতে হবে। কেন বলছি সেটা কি ধরতে পারছেন?

উপরের উদ্ধৃতিতে দেয়া দুটো মন্তব্যের মত আরো এরকম বেশ কয়েকটি মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে, যে কারণেই হোক, আমাদের সমাজে কোন কাজটি অপরাধ ও কোনটি অপরাধ নয় এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ধারণা খুবই অপ্রতুল। কাউকে আঘাত করে জখম করা যে আইনের চোখে দন্ডনীয় অপরাধ এই বিষয়টি আমলে নিতে অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। বরং আমার প্রশ্ন আপনারা কয়জন ঠিকমত জানেন?

উপরের দেয়া ঠুনকো সাফাই যদি সত্য ধরে নেই যে ছেলেটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে রাগের বশবর্তী হয়ে আঘাত করেছে সেটিও যে একটি অপরাধ সেটি কয় জন জানেন?

বাঙলা সিনেমায় সবশেষে পুলিশ এসে চিৎকার করে যখন বলতো, “হ্যান্ডস আপ! আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না।” তখন কিন্তু ঠিকই হেসেছি। কিন্তু এটি যে অপরাধবিজ্ঞানের মূল তত্বগুলোর একটি সেটা কয়জন জানেন?

ফৌজদারী আইনের ক্ষেত্রে “Ignorance of law is no excuse” – নামে যে আরেকটি তত্ব আছে সেটি কয়জন জানেন?

১৮ বছর হতে আইনের চোখে একজন বালক সাবালক এবং তার কৃতকর্মের, বিশেষ করে অপরাধের সকল দায়ভার নিজের উপর বর্তায় এটি কয়জন জানেন? জানলেও ঠিক মত বুঝে শুনে কথা বলেন?

এখন কি বুঝতে পারছেন কেন বলেছি পাঠ্যক্রমে প্রাথমিক আইন বিষয় সংযুক্ত করতে? ছেলেমেয়েরা স্বেচ্ছায় পড়ুক আর না পড়ুক অন্তত মাথায় থাকতো বিষয়গুলো। অন্তত—ছেলেটিকে মোরাল সাপোর্ট দেয়া, ঘটনা একপেশে, এটা মামলা করা বা জেলে নেবার মত বড় বিষয় নয়—এই কথাগুলো বলার আগে কিছুটা হলেও চিন্তা করতো।

এতো গেল সাধারণ ভাবনা। এবার ভাবনার মাঝে ১০০% হালাল, আইএসও ৯০০১ সার্টিফাইড, ক্যাডেট কলেজ কিংবা ব্যাচ ভাতৃত্ববোধ টেনে নিয়ে আসি [ভাতৃত্ববোধ দন্ডে আঘাত পেলে কিছু করার নাই। বাস্তবতা দন্ডের চেয়ে কঠিন] এই ভাতৃত্ববোধ যে একটি দুমুখো সাপ এটা মাথা নাড়তে নাড়তে দয়া করে স্বীকার করে ফেলুন। আপনি জানেন আমিও জানি, এই ভাতৃত্ববোধ আমাদের দিয়েছে স্বকীয়তা, দিয়েছে গর্ব, বাড়িয়েছে সাহায্যের হাত। এই একই ভাতৃত্ববোধ আমাদেরকে শিখিয়েছে কাপুরুষ হতে, সুযোগ বুঝে লেজ গোটাতে, অন্ধের মত ভুলকে সমর্থন করতে। এই ভাতৃত্ববোধের ধোঁয়া তুলেই আজকে একটি মানুষকে (একটি মেয়েও নয় এবং সে বিষয়ে আসছি) মেরে তক্তা বানিয়ে দেয়ার পরেও সেই নরপশুর পক্ষে সাফাই গাইছি, মোরাল সাপোর্টের কথা বলছি, বলছি ঘটনা একপেশে। আমরা মানুষ, তারপরে বাঙলাদেশের নাগরিক, এবং তারপরে ক্যাডেট কলেজ নামক একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র। মানুষ ও নাগরিক হিসেবে ব্যর্থ এই প্রাক্তন ছাত্রদের পাশে ভাতৃত্ববোধের দোহাই তুলে দাড়াচ্ছি। ইনিয়ে-বিনিয়ে নানান রঙের ত্যানা পেঁচিয়েই যাচ্ছি। স্বীকার করতে কষ্ট হচ্ছে? কিন্তু ইহাই বাস্তবতা এবং ভয়ংকর বাস্তবতা।

এবার এই ভাবনায় ভাতৃত্ববোধের পাশাপাশি, ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থার পুরুষতান্ত্রিক, পুরুষ নিয়ন্ত্রিত ভাবনাটুকু নিয়ে আসি। এবারো মাথা নাড়তে নাড়তে স্বীকার করুন যে, গার্লস ক্যাডেট কলেজ যে পূর্ণাঙ্গ ক্যাডেট কলেজ নয় [উদ্ব্যক্তি সংযুক্ত] এটি সময়ে-অসময়ে, ইনিয়ে-বিনিয়ে, জানতে-অজানতে, বয়েজ ক্যাডেট কলেজের অনেকেই বোঝাতে চেয়েছেন ও চেয়ে আসছেন। ছোট একটি উদাহরণ টানি, ইসিএফ থেকেই। মাস দুয়েক আগে একটি পোস্টে মন্তব্যের ঘরের আড্ডায় কথা প্রসঙ্গে ক্রিকেটের কথা উঠলো। তিনটি গার্লস ক্যাডেট কলেজে যে নিয়মিত আন্তঃহাউজ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয় এবং সেটা সামনে আন্তঃক্যাডেট কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় আছে এই তথ্যটুকু অনেক চেষ্টার পরেও একটি মেয়ে একটি ছেলেকে বোঝাতেই পারলো না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত “just kidding” এর আড়ালে ব্যাপারটি নিয়ে তাচ্ছিল্যই করে গেল ছেলেটি। বাস্তব জীবনে ব্যাপারটি আরো গুরুতর। আজকের এই ঘটনা সেটা আবারো আমাদের মনে করিয়ে দেয়। এবার মাথা নাড়তে নাড়তে আবারো স্বীকার করুন, যে এই ঐতিহ্যবাহী ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থায় পড়াশোনা করেও প্রচুর ছাত্র আছে যারা গার্লস কলেজের ছাত্রীদের ক্যাডেটই মনে করে না, মানুষ মনে করা তো পরের কথা।

শেষ করার আগে একটি কথা আবারো‌ মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা মানুষ, তারপরে বাঙলাদেশের নাগরিক, তারপরে ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী। উল্টোটা নয়। আমাদের এই শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ আছে কিনা সেটা ভেবে দেখবার সময় বহু আগে থেকেই হয়ে আছে। যত বিলম্ব হবে ততই বাড়বে কুলাঙ্গারের সংখ্যা।

২,২২২ বার দেখা হয়েছে

৩৩ টি মন্তব্য : “কিছু ভাবনা, কিছু শঙ্কা”

  1. নাফিস (২০০৪-১০)

    টিপিকাল স্টেরিওটাইপিং। জেনে বুঝেই এগুলা করা হয়। আপনার এই পোস্ট ভ্রাতৃত্বের ঝান্ডা বহনকারী অনেক লোকের ই পছন্দ হবে না.. না হইলেও কিছু করার নাই.. বেশি সত্য কথা সবাই হজম করতে পারেনা।

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ভালো লেখা।
    ধন্যবাদ।
    ভাই-ভাই এইসবের লিমিট থাকা দরকার।
    সো কলড ব্রাদারহুডের যন্ত্রণায় অস্থির।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. দিবস (২০০২-২০০৮)

    এবার মাথা নাড়তে নাড়তে স্বীকার করলাম যে বিশ্লেষণগুলা চমৎকার হইছে 😀

    আমাদের এই শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ আছে কিনা সেটা ভেবে দেখবার সময় বহু আগে থেকেই হয়ে আছে। যত বিলম্ব হবে ততই বাড়বে কুলাঙ্গারের সংখ্যা

    আমার ক্যাডেট লাইফকে আমি খুব মিস করি। আমি গর্ব করি ক্যাডেট কলেজ নিয়ে, সারাজীবন করব। আমি আজকে যা তার জন্য ক্যাডেট কলেজ আমাকে সবচেয়ে সুন্দর প্লাটফর্ম করে দিছে। ক্যাডেট কলেজের নাম বিক্রী করে এখন পর্যন্তও চলে যাচ্ছি। সারা জীবন যাব। কিন্তু আমি মানি, ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমের অনেক ক্রুটি আছে। সেগুলা আমরা যদি বিশ্লেষণ না করে অথবা চিন্তা না করে চৌধুরী সাহেব ভাব নিয়ে বসে থাকি তাহলে ক্যাডেট কলেজ সামনে ভাল কিছু করতে পারবে না।

    অ.টঃ জুনিয়র ক্যাডেট যারা বের হচ্ছে তাদের অনেকের মধ্যেই "চৌধুরী সাহেব" ভাবটা বেশী দেখা যায়। আমি সবাইকে বলছি না, তবে এদের সংখ্যাটা কম না। এটা কি জেনারেশন গ্যাপ নাকি ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমের পরিবর্তণ সেই বিষয়ে নিশ্চিৎ না।


    হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ত্রুটি আগে যা ছিল এখনো তাই আছে। খুব একটা পরিবর্তন আমি দেখছি না। মাঝেমধ্যে দুইচার জন চৌধুরী সাহেব আগেও বের হয়েছে। কিন্তু মেরে তক্তা বানিয়ে দেয়ার মত চৌধুরী সাহেব বের হয়েছে কিনা ভেবে দেখবার বিষয়। এই প্রেক্ষিতে তাহলে কি বলা যায়, যেই ব্যবস্থায় আমরা পার হয়ে এসেছি সেই ব্যবস্থা বর্তমান প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত নয়? এই নব্বই পরবর্তী ফেইসবুক প্রজন্মের জন্য তাহলে পরিবর্তন আনাটা জরুরী।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)
      জুনিয়র ক্যাডেট যারা বের হচ্ছে তাদের অনেকের মধ্যেই "চৌধুরী সাহেব" ভাবটা বেশী দেখা যায়। আমি সবাইকে বলছি না, তবে এদের সংখ্যাটা কম না। এটা কি জেনারেশন গ্যাপ নাকি ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমের পরিবর্তণ সেই বিষয়ে নিশ্চিৎ না।

      দিবস, আমার মনে হয় এটা বয়সের কারণে হয়। বয়স বাড়লে এদের বেশিরভাগই বাইরের জগতের সাথে খাপ খাইয়ে নেবে, চিন্তাভাবনা করে নিজেকে মানিয়ে নেবে। তখন আর চৌধুরি সাহেব ভাব থাকবে না। অবশ্য কেউ কেউ ৫০ পেরুলেও বাচ্চাসুলভ থেকে যান, তাদের কথা আলাদা।

      জবাব দিন
  4. ফেরদৌস জামান রিফাত (ঝকক/২০০৪-২০১০)

    আলোচনার সাথে একমত। আমার মতে সিস্টেমের গলদ তো আছেই, সাথে নতুন জেনারেশনের ক্যাডেটদের মাঝেও ঘাপলা আছে। ফেইসবুকের বদৌলতে বর্তমান কিছু ক্যাডেটের কাজকর্ম দেখা যায়। খুবই অস্বস্তিকর কিছু প্র্যাকটিস গড়ে উঠেছে।

    পানিশমেন্ট সিস্টেম উঠে গেছে বহুদিন হল। এর কুফল তো হাতেনাতেই পাচ্ছি। কিছুদিন আগে কলেজে গিয়ে দেখি ক্লাস ইলেভেন কলেজের সাপ্লাই করা ওয়াশিং মেশিনে জাঙ্গিয়া ধুচ্ছে। ওয়াল ম্যাগাজিনের প্রচুর কাজ করা হচ্ছে হাউস অফিসের প্রিন্টারে। প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার ক্যাডেটের মান কমিয়ে দিচ্ছে কিনা সেটাও এখন দেখবার বিষয়।


    যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      সিস্টেমে গলদ বের করার পন্থা আছে। বিদেশে শিক্ষাবিদরা ব্যবহার করে। গবেষণা চালায়। সমস্যা দুটোঃ
      (১) ক্যাডেট কলেজের সামরিক সম্পর্ক ও ঐতি‍হ্য যেটি বড় দাগে পরিবর্তন বিদ্বেষী।
      (২) উচ্চপদস্থ বা পাওয়ার এলিটদের সন্তানদের অন্যতম গন্তব্য।

      দ্বিতীয় সমস্যাটি আগেও ছিল কিন্তু শতকরা হিসাবে পরিবর্তনটা বড়দাগে শুরু হয়েছে ২০০৪ এর পর থেকে। ভুল বললে সংশোধন আশা করছি, কিন্তু আমার মতে এখন আরেকজন ডঃ আতিউর রহমান ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়, কারণ সেই ডঃ আতিউর রহমানের পরিবারের বর্তমান ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থায় সন্তানকে পড়ানোর ক্ষমতা নেই।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কেউ শুধু ক্যাডেট বলেই এঞ্জেল বা এলিয়েন হয়ে যাবে এই ধারনা থেকে অনেক আগেই বের হয়ে এসেছি। আর সব মানুষের মতই ক্যাডেটদের মাঝেও সব ধরনের দোষ গুণ বিদ্যমান। ক্যাডেটদের যদি কোন আলাদা বৈশিষ্ট থেকে থাকে সেটা হলো 'ইউনিটি'/ ব্রাদারহুড।

    তবে যেমন বলেছো, ব্রাদারহুড একটা দুমুখো সাপ। এর ভাল দিকের অগনিত উধাহরন দেয়া যাবে, তবে খারাপ দিকও কম নয়। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় যার কিছুটা উঠে এসেছে। এই ঘটনা যদি একটু অন্যরকম হতো, যেমন ছেলেটা যদি এক্স ক্যাডেট না হতো তাহলে এক এক্স ক্যাডেট বোনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে সবাই কোমরে গামছা বেধে ঝাপিয়ে পড়তো, কেউ ভুলেও মেয়ের দোষ ইত্যাদি ইত্যাদি কথা তুলতো না।

    কিন্তু এর উল্টোটা হলে অর্থাৎ মেয়েটা সিভিল হলে দেখতে প্রচুর মুখোশধারী ভাল মানুষ যারা এখন চুপ করে আছে তারাও ঐ এক্স ক্যাডেট ছেলের পক্ষে সাফাই গেয়ে ভাসিয়ে দিত। ব্রদারহুড বলে কথা!

    আর নতুন এক্স ক্যাডেটদের আলাদা করবো না, ফেসবুকের কল্যানে ইয়াং জেনারেশন যা দেখি তাদের বেশিরভাগই চরম ভাবে অসহিঃশ্নু, আক্রমনাত্মক। নিজের মতের বাইরে কিছু শোনার মত, মানার মত মানষিকতা বেশিরবাগের মাঝেই অনুপস্থিত। দু একটা ব্যতিক্রম বাদে যত দেখি ততই হতাশ হই।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      যেই দুটো উদাহরণ টানলেন, এরকম কাছাকাছি ঘটনা কিন্তু অতীতে হয়েছে। দেখতে কিন্তু বেশ ভাল লাগে কত সহজে মানবিকতা, শোভনীয়তা, বিবেক এক নিমেষে গায়েব করে দিয়ে ভাতৃত্ববোধের পতাকা নিয়ে জলদি চল শুরু করে। প্রতিবার নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে গিয়ে বলেছি উভয়পক্ষের কথা শোনা উচিৎ একপেশে গালাগালি করা বন্ধ করেন। এসব করতে গিয়ে গালিও খেয়েছি। আরো একটা ব্যাপার যেটা বললাম। গার্লস ক্যাডেট কলেজের কেউ এতে থাকলে তাকে খুব সহজেই অপমানিত, তাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করা হয়েছে। ক্যাডেট কলেজের ভাতৃত্ববোধ তো নতুন কিছু না। উপরে দিবসের সাথে যেটা বলছিলাম, এবং আপনিও যেটা বললেন, বর্তমান প্রজন্মের এই অসহিষ্ণুতার কারণটা তাহলে কি? আমি তো ঘুরে ফিরে আঙুল তুলবো‍ প্রচলিত ব্যবস্থার প্রতি। কারণ আমার মতে এই ফেইসবুক জেনারেশানকে ঠিক ভাবে গড়ে তোলার জন্য এই প্রাচীন ব্যবস্থায় যুগপোযোগী পরিবর্তন আনতে হবে। তবে এগুলো হলো তত্ব কথা। পরিবর্তন কখনো আসবে না। মন মেজাজ খারাপ ছিল তাই লিখলাম। এখন আসেন চা খাই। আর সার্কাস দেখি। :teacup:


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      আকাশ, তোর মন্তব্য সহ আরো অনেকের মন্তব্যই দেখলাম। মূল ঘটনা জানি না। কারণ খেলাধূলা ছাড়া ফেসবুকে আর কোন কিছু নিয়েই ফলো করি না তাই আমার হোম ফিডেও আসে না। তবে এইখানে গল্প শুনে এবং মন্তব্য গুলো দেখে বুঝতে পারলাম সেই পুরনো গল্প। মনে পড়ে রুমানা মঞ্জুরের ঘটনাতেও ভ্রাতৃত্ববোধ আর পুরুষতন্ত্র দুইয়ের দারুণ মিশেল দেখেছিলাম। বিভিন্ন ক্যাডেট কমিউনিটি রাজাকার শিবির নিয়ে কথা বললেও ভ্রাতৃত্ববোধের ঝান্ডা উড়ে। সো ক্যাডেট কমিউনিটির আচরণ মোটামুটি প্রেডিকটেবল, যেটা নাফিস বলল উপরে।
      তবে,

      আর নতুন এক্স ক্যাডেটদের আলাদা করবো না, ফেসবুকের কল্যানে ইয়াং জেনারেশন যা দেখি তাদের বেশিরভাগই চরম ভাবে অসহিঃশ্নু, আক্রমনাত্মক। নিজের মতের বাইরে কিছু শোনার মত, মানার মত মানষিকতা বেশিরবাগের মাঝেই অনুপস্থিত। দু একটা ব্যতিক্রম বাদে যত দেখি ততই হতাশ হই।

      এইডার সাথে চরমভাবে একত। এই কারণে ইদানিং কিছু বলবার লিখবার আগ্রহ পাই না।

      জবাব দিন
  6. শাহরিয়ার (০৬-১২)

    কালকে দেখলাম তাহমিদের ব্যাচমেটরা খুব ধমক দিচ্ছে কেন তোমরা বলা হচ্ছে। যাদের ধমক দিচ্ছে তারা কয়েক ব্যাচ সিনিয়র। ব্যাপারটা ভাল্লাগছে!
    আমার এইটা মাথায় আসতেছিল না যে যদি ওরে একটু শেল্টার দেয়ার কথা মাথায় আসে এই "ব্রাদারহুডের" জন্যে। তাইলে মেয়েটার জন্যে কেন বলতেছে না? ও মেয়ে বলেই? যদি তাই হয়ে থাকে তাইলে ঠিক আছে। এই ব্যাপারটাও ভাল্লাগছে।

    ভাল লিখছেন ভাইয়া। ১০০% সহমত।


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      সত্য কথা বলতে আপাতত বইসা চা খাওয়া আর সার্কাস দেখা ছাড়া কোন কাজ নাই। গতকাল দুঃখে কষ্টে লিখসিলাম। আজকে আবার উটপাখি উটপাখি মনে হইতেসে। আমার সাথে জোরো জোরো বলো, "none of my f***ing business." এবার চলো চা খাই! 😀 :teacup:


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  7. Sharif M Shafique

    বাসের মহিলা/প্রতিবন্ধি আসনে বসা কোন ছেলেকে উঠে যেতে বল্লে সেখান থেকে প্রতিউত্তর পাওয়া যায়- পুরুষ সীটে যে মহিলারা বসে আছে? অথচ, বাসে আমি কখনই পুরুষ সীট খুঁজে পাইনি।।

    কিসের মধ্যে কি - পান্তা ভাতে ঘি।

    জবাব দিন
  8. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    মোকাব্বির,

    সহপাঠিনীকে মেরে তক্তা বানানো না, শুধুমাত্র থাপ্পড় মেরে সেটা ইউটিউবে দেয়ার অপরাধে আমার এলাকার ১৭ বছরের এক ছেলের বিরূদ্ধে আইনী ব্যবস্থা আমি নিজে নিয়েছি, এটা নিয়ে ব্লগ/ফেসবুকে/মিডিয়াতে বেশ আলোচনাও হয়েছে। ওই ঘটনার পর একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম আমার পেইজে, যেটার কিছু অংশ এখানে দিচ্ছিঃ

    ১) অনেকেই আমাকে “ঘটনার পেছনের ঘটনা” অনুসন্ধান করতে বলেছেন। “কেন ছেলেটা এই কাজ করল, মেয়েটাও নিশ্চয়ই খুব খারাপ”- এধরণের ডজনখানেক মেসেজ আমি পেয়েছি।আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, কোন কারণই একটি মেয়েকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবার মত জঘন্য কাজকে জায়েজ করেনা।এটি আইনতঃ দণ্ডনীয় একটি অপরাধ এবং আইন এই ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। যারা এধরণের বিকৃত চিন্তা করে থাকেন তারাও মনে মনে একেকজন অপরাধী, শুধু ধরা পড়ার অপেক্ষায় আছেন। যেদিন আপনারা ধরা পড়বেন, প্রার্থনা করুন সেদিন আপনাদের কেসের তদারকিতে যেন আমি বা সমমনা কোন অফিসার না থাকি।

    ২) ক্যান্টনমেন্ট জোনে (খিলক্ষেত এবং ক্যান্টনমেন্ট থানা) ইভ টিজিং-এর মূল উৎপাটন করতে আমি এবং আমার অধীনস্ত অফিসারেরা বদ্ধপরিকর।আমার নিজেরও একটি ছোট বোন আছে, ওর প্রতি এরকম কিছু করা হলে আমি যে ব্যবস্থা নিতাম- আমার এলাকায় কেউ ইভ টিজিং করলে তার বিরূদ্ধে ঠিক একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি এই লেখার পাঠকদের অনুরোধ করছি, ক্যান্টনমেন্ট এবং খিলক্ষেতে ইভ-টিজিং এর কোন ঘটনা আপনাদের কানে আসলে সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি আমাকে জানান। আমি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

    ৩) মনে রাখবেন, ইভ টিজিং এর প্রতিকার চাইলে সমাজ যদি ভিকটিমকে বাঁকা চোখে দেখে তবে সেটা সমাজের দোষ, ভিকটিমের নয়। আপনার আশেপাশের সমাজ যদি এরকম পঁচে যাওয়া আচরণ করে সেক্ষেত্রে সমাজকে অগ্রাহ্য করতে শিখুন। পুলিশ আপনার পাশে আছে এবং থাকবে।

    ভাতৃত্ববোধের দোহাই টেনে যারা এই অপরাধকে জায়েজ করে তাদের ক্ষেত্রে ১ নম্বর পয়েন্ট প্রযোজ্য।

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      মাস্ফু ভাই, আমার একটাই অনুরোধ, এই ছেলে যাতে ভাতৃত্ববোধের দোহাইয়ে ছাড়া বা লঘুদন্ড নিয়ে পার না পায়। আপনার কাছ থেকে পাবেনা এটা আমি নিশ্চিত জানি। তবে যতদূর বুঝতেসি আপনার এক্তিয়ারের বাইরে।

      যাই হোক। এর আগেও অন্ধ সমর্থনের বেশ কয়েকটি উদাহরণ আমি ক্যাডেট কমিউনিটিতে দেখেছি। বিশেষ করে নতুন যারা বের হচ্ছে তাদের মাঝে এই প্রবণতা খুবই বেশী। গলদটা কি সিস্টেমে কিনা সেটাও ভেবে দেখার সময় হয়েছে। কথা হলো এগুলো শুধু ব্লগেই লেখা। আমার কথা কারো কানে পৌঁছাবে না নিশ্চিত। এখানকার মানুষরাই ঠিক মত পড়ে দেখে না। লিখে প্রতিবাদ করাটা দায়িত্ব মনে করেছি তাই লিখেছি। লিখে যাব। কিছুটা ভরসা পাই আপনাদের মত মানুষদের দেখে। ভাল থাকবেন ।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  9. আন্দালিব (৯৬-০২)

    কিছু ব্যাপারে কঠোর নীতি পালন করা উচিত। যেমন একজন মানুষ আরেকজন মানুষের গায়ে কোন অবস্থাতেই হাত তুলতে পারেন না। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে নাই, ক্যাডেটে তো আরো বিরল। হ্যাঁ, পরিবেশের উপাদান আমি, এই নিজেও ক্যাডেটেও জুনিয়র মেরেছি, কিন্তু সেটা নিয়ে সময়ের সাথে সাথে তীব্র অনুশোচনাবোধ করি। একজন মানুষকে হাত দিয়ে মারার চাইতে খারাপ অপমান করা যায় না।

    এই ছেলেটার শাস্তি হওয়া জরুরি। ক্যাডেট-কমিউনিটির নিজেদের আত্মগরিমার দিকে তাকানো উচিত। এই ব্রাদারহুডের নেশা ক্ষতি ছাড়া ভাল কিছু করে না। ফেলো-ফিলিংস থেকে একজন আরেকজনের উপকার করা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু অমুক ক্যাডেট বলে অপরাধ করলেও আমি তাকে সমর্থন দিবো - এটা ঘটতে পারে না।

    জবাব দিন
  10. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    ভাই অল্প কথার ব্লগে আপনার অছাম পয়েন্ট অফ ভিউ গান দিয়া নানা দিকে পরিষ্কার গুলি চালায়ে দিলেন। আপনার অস্ত্রটা দিয়া মাঝেই মাঝেই প্লিজ গুলি চালাবেন, তাতে জগৎ সংসার উপকৃত হবে।

    জবাব দিন
  11. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এই লিখাটা আগে পড়ি নাই।
    পড়লাম।
    এবং আশংকা আগের মতই রয়ে গেল।
    আড়াই বছর আগের লিখা, কিন্তু বুঝলাম, এই আড়াই বছরে কিছুই বদলায় নাই।
    সব স্টেরিওটাইপিং এখনো আগের মতই আছে।
    এরচেয়ে হতাশার আর কি হতে পারে???


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      পরিবর্তন আনার জন্য হয়তো আড়াই বছর কিছুই নয় তারপরেও যেহেতু বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি এবং করছি সেহেতু কিছুটা হলেও পরিবর্তনের হাওয়া আমাদের গায়ে এসে লাগতেই পারতো কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ উপরের ঘটনা কিংবা এর বিভিন্ন মাত্রার অন্যান্য ঘটনায় ঘুরে ফিরে একই ব্যাপার ঘটে। দাবিয়ে রাখা ও ইনিয়ে বিনিয়ে, রঙ্গ রসে, হাস্যোচ্ছ্বলে আঙ্গুলটা মেয়েদের দিকে তুলে ফেলা। এখানে আলোচনার অনেক শাখা প্রশাখা আছে কিন্তু বড় দাগে এটাই হয় হচ্ছে এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হবে। মৌলির এই ঘটনায় আর কেইসই করতে রাজি হয় নাই। অনেক বড় ভাই আইনের ঝান্ডা হাতে অনেক কিছু করে ফেলার ভাষণ দিয়ে ফেলেছিলেন কিন্তু আদতে কিছুই হয় নাই। নানান কারণ থাকতে পারে কিন্তু মূল কারণ আমার ঐ পোস্টে যেটা বললেনঃ অবদমনকে গ্লোরিফাই করার ভয়াবহ প্রবণতা।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        আমি মনেহয় একটু বেশিই আশাবাদি।
        গত দু'বছর ধরে বেশ মনযোগ দিয়েই ইসিএফ ও সিসিবি ফলো করছি।
        এসব জায়গায় ইন্টার পারসোনাল কমুনিকেশনের ব্যাপারগুলা দিন দিন উন্নততর হতে দেখে ভাবছিলাম, পরিস্থিতির উন্নয়নটা হয়ত ত্বরান্বিত হবে।
        কিন্তু কৈ, সেরকম কিছু তো দেখছি না......

        আসলে পরিস্থিতি উন্নয়নে এত এত ফ্যাক্টর ইনভলবড যে এর কোনো সহজ সমাধান নাই।
        তবে একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
        শুরুটা হতে হবে নারীকে "মেয়েমানুষ" নয়, "মানুষ" হিসাবে গন্য করার মধ্য দিয়ে।
        নারী কোনো বিকলাঙ্গ জীবের নাম নয় যে তাঁকে সাপোর্ট দিয়ে রাখতেই হবে, বরং নারী পুরুষের মতই সর্বাংশে সক্ষম তো বটেই, অনেকক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি সক্ষম একজন মানুষ - এই বিশ্বাস তারুন্যের মধ্যে প্রথিত করেই এই সংগ্রামের সুচনাটা হতে পারে।
        বিরাট সমস্যা হলো, কিছু পুরুষ তো বটেই, অনেক নারীও নিজেকে বিকলাঙ্গ ছাড়া আর কিছুই ভাবে না...
        ডিসকাশান-এ অংশ নেয়ায় ধন্যবাদ...


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
        • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

          সমস্যাটা বৈশ্বিক তবে বাঙলাদেশে অবস্থা বেশী খারাপ। সত্যি কথা বলতে এই নিয়ে পাতার পর পাতা লিখে ফেলা যাবে কিন্তু শুরুটা কোথা থেকে এই চিন্তা করে হতাশ হয়ে যাই। ইটস আ পলিসি রিজিম চেঞ্জ। সেই সাথে চেঞ্জ ইন ভ্যালুজ, এ্যাটিটিউডস। সব কিছু।


          \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
          অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

          জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।