আমলাতন্ত্রঃ সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া – ‍২

পূর্ববর্তী পর্বসমূহঃ
অধ্যায় ১ – ১ম পর্ব

(গত পর্বের পর)

টেক্সাসের হান্টসভিলিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা সম্পন্ন কারাগারের সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখে চমকে উঠেছিলেন অধ্যাপক জন ডি’উলিও। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা পরিষ্কার সাদা পোষাক পরিহিত, নিঃশব্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কারারক্ষীদের ‘স্যার’ বা ‘বস’ বলে সম্বোধনপূর্বক সম্মান বজায় রেখে কথা বলছে। নতুন মানুষ হিসেবে ডি’উলিও কে দেখে কেউ তার সাথে কথা বলতে আসে নি। কারাকক্ষ গুলো ছিল সাদাসিদে কিন্তু পরিচ্ছন্ন। জানালার কাঁচ অক্ষত, করিডোর পরিষ্কার, পরিবেশিত খাবার ছিল পুষ্টিকর ও বেশীর ভাগ কারাগারের স্ব-উৎপাদিত। শ্রেণীকক্ষ গুলোতে চলমান ক্লাসের আবহাওয়া সন্তোষজনক, ক্লাশরুমের নিয়ন্ত্রণ ছিল নিঃসন্দেহে শিক্ষকের হাতে, হইহুল্লোড় চেঁচামেচি খুব কম ছিল এবং সঠিক ভাবে পাঠদান কর্মসূচী চলছিল। প্রায় সকল সাজাপ্রাপ্ত আসামী কারাগারের কোন না কোন অংশে কর্মরত ছিল এবং এদের সিংহভাগ কর্মরত ছিল কারাগারের নিজস্ব খামারে।

অন্যদিকে, একইভাবে মিশিগানের জ্যাকসনে সর্বোচ্চ সতর্কতা সম্পন্ন কারাগার পরিদর্শনে অধ্যাপক ডি’উলিও যাওয়া মাত্রই কোলাহল ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের উপস্থিতি টের পেলেন। সেখানে আসামীদের ছিলোনা কোন নির্ধারিত উর্দি – যার যা খুশি পরেছিল। ওরা যখন যেখানে খুশি ঘোরাফেরা করছিল এবং কারারক্ষীদের সাথে বেশীরভাগ সময় অভদ্র ভাষায় হুমকি দিয়ে কথা বলছিলো। তারা উগ্র ভাবে অধ্যাপকের পরিচয় ও কারা পরিদর্শনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইছিল এবং ওয়ার্ডেন সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে যাচ্ছিলো। কারাকক্ষ গুলো ছিল ব্যক্তিগত সামগ্রীতে বোঝাই। নিন্মমানের খাবার দেয়া হচ্ছিল। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের হাতে কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলনা। ছিলনা কোনরূপ পাঠদান কর্মসূচী। বেশীরভাগ সময় শিক্ষকদের হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

ম্যাসাচুসেটস এর ওয়ালপ‌োলস্থ কারাগারের অবস্থা ছিল আরো ভয়াবহ। একজন আসামীকে বিছানার চাদর দিয়ে মমির মত আগা-গোঁড়া মুড়িয়ে শুয়ে থাকতে দেখে ডি’উলিও কারণ জিজ্ঞাসা করতে কারারক্ষী জানায় তেলাপোকার প্রকোপ থেকে বাঁচতে সেই আসামী এভাবে শুয়ে আছে। আরেক আসামী ডি’উলিওর সামনেই কারাকক্ষের ভেতর থেকে লাঠি দিয়ে এক কারারক্ষীকে আঘাত করার চেষ্টা করলো। লাঠির মাথায় ধারালো ছোরার মত বসানো ছিলো। আরেক আসামী এক কারারক্ষীকে তিনতলা থেকে ছুঁড়ে নিচে ফেলে দেবার ভয় দেখালো। খাবারের মান ছিল ভয়াবহ। কোন কোন দিন গরম কফি পর্যন্ত তাদের দেয়া হতো না।

ডি’উলিওর পর্যবেক্ষণ অন্যান্য গবেষকের পর্যবেক্ষণ ও স্টেট কারেকশনাল অথরিটির দেয়া পরিসংখ্যা দ্বারা পুনঃপ্রমাণিত হয় যে পর্যবেক্ষণ সময়ের মাঝে টেক্সাসের বড় কারাগারগুলোতে অপরাধের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেক কম ছিল। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সালের মাঝে টেক্সাসের কারাগারের ভেতরে ঘটা হত্যাকান্ডের সংখ্যা ছিল মিশিগানের কারাগারে ঘটা হত্যাকান্ডের অর্ধেক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কারাগারের ছয় ভাগের এক ভাগ। ব্রুস জ্যাকসনের মতে একমাত্র টেক্সাসের কারাগারগুলোতেই কারাবন্দীরা কারাগারের বাইরের থেকে ভেতরে বেশী নিরাপদ ছিল। একইভাবে টেক্সাসের কারাগারগুলোতে আত্মহত্যার হার মিশিগানের থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের কম। শুধু পর্যাপ্ত শিক্ষামূলক প্রকল্প ও অন্যান্য পরামর্শ প্রকল্পের কারণে টেক্সাসের কারাগারগুলো সুশৃঙ্খল ছিল তা কিন্তু নয়। টেক্সাস সরকার এসব কিছুর পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের জন্য সাধারণ নাগরিকের মত সম্পূর্ণ চিকিৎসা ও শিক্ষা সেবার পাশাপাশি কারাগারের ভেতরে কৃষিখাত থেকে শুরু করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল।

তবে টেক্সাসের কারাগারের সুশৃঙ্খল অবস্থা বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৮৩ সালের শুরুর দিকে সেখানে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারাগারের অভ্যন্তরে ১৯৭৮ সালে একটিও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেনি অথচ এরপরে ১৯৮৩ সাল নাগাদ সেখানে ঘটলো দশটি হত্যাকান্ড। ১৯৮৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো পঁচিশে। ছয় বছরে কারাগারের অভ্যন্তরে হত্যাকান্ডের হার ছয় গুণ হলো। কারারক্ষীদের উপর সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের আক্রমণও বেড়ে গেল আশঙ্কাজনক হারে। এককালের পরিচ্ছন্ন করিডোর হয়ে গেল আস্তাকুড়, পরিষ্কার জানালার কাঁচ গুলো হয়ে উঠলো নোংরা ও ভাঙ্গা। বর্ণ ও গোত্রভেদে দলাদলী মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। অন্যান্য গবেষকরাও একই পরিবর্তন খুঁজে পেলেন। টেক্সাস কারাগারের চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেল যা ছয় বছর আগেও আদর্শ কারাগারের উদাহরণ হিসেবে সমগ্র আমেরিকায় ব্যবহৃত হতো।

হঠাৎ এরকম পরিস্থিতির অবনতির কারণ হিসেবে আমাদের মাথায় যা আসতে পারে সেগুলো হলোঃ- বাৎসরিক বাজেট, লোকবল, কারাগার সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা ইত্যাদি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কারণ এদের কোনটিই নয়। টেক্সাস কারাগারের বাৎসরিক বাজেট, লোকবল মিশিগানসহ অন্যান্য বড় জেলখালা গুলো থেকে কম ছিল। এমনকি মিশিগানের তুলনায় (৬৪০ ঘন্টা) টেক্সাসে কারারক্ষীদের (৮০ ঘন্টা) মোট প্রশিক্ষণ ঘন্টা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম ছিল। এদিকে টেক্সাসে প্রতি বর্গফুট-প্রতি তলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা ক্যালিফ‌োর্নিয়া কিংবা মিশিগান থেকে বরং বেশী ছিল। টেক্সাসের কারারক্ষীরা আসামীদের উপর অত্যাচার ও আইন বহির্ভূত বল প্রয়োগও করেনি। যদিও এই ব্যাপারে গবেষকদের মাঝে কিছুটা দ্বিমত আছে তবে ডি’উলিওর মত বেশীরভাগ গবেষকের মতে টেক্সাসের কারাগারে কারারক্ষীদের নৃশংসতার প্রমাণ মেলেনি। (কিছু গবেষক মনে করেন যেসব সাজাপ্রাপ্ত আসামী কারাগারের আভ্যন্তরীন টেন্ডারের সাথে জড়িত ছিল তারা তাদের কর্তৃত্বের অবৈধ প্রয়োগে অন্যান্য আসামীদের শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো। কিন্তু শুধুমাত্র আসামীদের মাঝে সহিংসতা বৃদ্ধি টেক্সাসের কারাগারের সার্বিক শৃঙ্খলার অধঃপতনের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য যথেষ্ট নয়।)

টেক্সাসের সাজা প্রাপ্ত আসামীরা ক্যালিফোর্নিয়া কিংবা মিশিগানের আসামী থেকে ভিন্ন ছিল। টেক্সাসের বিচারকরা অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই জেল-জরিমানা করে থাকতেন একই সাথে টেক্সাসের আসামীদের ক্রিমিনাল রেকর্ড ক্যালিফোর্নিয়া কিংবা মিশিগানের থেকে লঘু ছিল। এই তথ্য থেকে মনে হতে পারে এই কারণেই টেক্সাসের কারাগারে সহিংসতা কম ছিল। কিন্তু গবেষক ডি’উলিও ইতমধ্যেই বলেছেন পূর্বের ক্রিমিনাল রেকর্ডের সাথে কারাগারের অভ্যন্তরে সাজা প্রাপ্ত আসামীদের আচরণের কোন সম্পর্ক এখন পর্যন্ত নেই। এছাড়াও যখন টেক্সাসের কারাগারের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া শুরু করলো তখন আসামীদের আচরণে বিশেষ কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। গবেষক ডি’উলিও উল্লেখ করেন, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সর্বোচ্চ সতর্কতা সম্পন্ন কারাগার টেক্সাসের প্রায় সকল নিয়মকানুন (বিল্ডিং টেন্ডার বাদে) অনুসরণ করে চালানো হতো এবং এটির দায়িত্বে ছিলেন টেক্সাস কারাগারের প্রাক্তন পরিচালকের ভাই। ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যান্য কারাগারের তুলনায় অধিক সংখ্যক ও দাগী আসামীদের কারাগার হওয়া সত্বেও সেই বিশেষ কারাগারটিতে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যান্য কারাগারের তুলনায় সার্বিক ভাবে ভাল অবস্থানে ছিল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কারাবন্দী আসামীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কিংবা তাদের মাঝে সহিংসতার হার সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারছে না। প্রশ্ন জাগে আর কি বাদ পড়ে যাচ্ছে?

১৯৭০ সাল নাগাদ জর্জিয়ার আটলান্টায় অবস্থিত জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার হাইস্কুল আমেরিকান শিক্ষা ব্যবস্থার এক পঁচে যাওয়া উদাহরণে পরিণত হলো। স্বল্প আয়ের কালো-অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলটির ৯০০ ছাত্রের বেশিরভাগ আসতো সরকারী অভিবাসন প্রকল্প থেকে যেখানে অবস্থানরত বেশিরভাগ পরিবার ছিল মাতৃপ্রধান এবং সরকারী ভাতার উপর নির্ভরশীল।

স্কুলের শিক্ষক, যাদের কেউ অত্র এলাকার অধিবাসী ছিলেন না, বেশিরভাগ ছিলেন অনুৎসাহী এবং কারণটা অনেকটাই অনুমেয়। স্কুলটি ছিল নোংরা; বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি ছিল বিকল। ছাত্ররা ছিল উচ্ছৃঙ্খল এবং প্রচুর মারামারির ঘটনা ঘটতো। এই পরিস্থিতিতে খুব একটা পাঠদান কার্যক্রম চলার সুযোগ পেত না। শিক্ষা ব্যবস্থার মানদন্ডের বিচারে স্কুলের ছাত্রদের অর্জিত সাফল্য ছিল অত্যন্ত কম এবং আটলান্টা শহরের সর্বনিন্ম। খুব শীঘ্রই কার্ভার হাইস্কুল অন্যান্য স্কুলের কাছে “প্রবলেম স্কুল” হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠলো এবং তারা বাজে ও ঝামেলা করা ছাত্রদের কার্ভারে বদলি করা শুরু করে দিল। কার্ভার হয়ে উঠলো শহরের শিক্ষাব্যবস্থার আস্তাকুঁড়। কর্তৃপক্ষ স্কুলটি বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা শুরু করলো।

১৯৮০ সালের শুরুর দিকে যখন প্রফেসর সারাহ লরেন্স লাইটফুট কার্ভার পরিদর্শনে আসলেন তার কাছে মনে হলো এমন একটি স্কুল বন্ধ করে দেয়ার কথা চিন্তা করাটাই অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার। স্কুলের প্রতিটি অংশ ছিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ঠিক মত কাজ করছিল। ছাত্ররা ছিল সুশৃঙ্খল, পরিষ্কার ও পরিপাটি স্কুলের পোষাক পরিহিত এবং তারা স্কুলের ছাত্র হিসেবে ছিল গর্বিত। কিছু শিক্ষক স্কুল ছেড়ে চলে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলের অগ্রগতি ও সাফল্যের ব্যাপারে ছিলেন আশাবাদী। সাফল্যের হার খুব বেশী না হলেও তা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১০ বছর আগের আস্তাকুঁড় স্কুলে ইদানিং অন্যান্য স্কুল থেকে বদলির আবেদনপত্র জমা পড়ছে জানা গেল।

শুধু কার্ভার নয়, শহরে অবস্থিত নিন্মমানের স্কুল নিজ অবস্থান হতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এরকম উদাহরণ অন্যান্য শহরেও পাওয়া যাবে। যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর কারণ সমূহকে চিহ্নিত করে বড় দাগে ফালানো সম্ভব নয় তবে গবেষণায় এটা জানা সম্ভব যে একটি স্কুলের সাফল্যের বা পতনের সাথে কি কি বিষয় সম্পর্কিত নয়। কার্ভার স্কুলে শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্রদের মাঝে বিগত ১০ বছরে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তনের আগে ও পরে একই শিক্ষকেরা একই ছাত্রদের পাঠদান করে আসছেন। তবে ১৯৬৬ সালের বিখ্যাত কোলম্যান রিপোর্ট প্রকাশ পাবার পর কার্ভারের পরিবর্তনের কারণ বিশ্বাস করা কঠিন। আমেরিকার শতাধিক স্কুলের লক্ষাধিক ছাত্রদের মাঝে চালান‌ো এই গবেষণায় বলা হয়, ছাত্রদের ও তাদের পরিবারের বৈশিষ্ট্য একটি স্কুলের সাফল্যের কারণ নির্ধারণের সবচাইতে সঠিক মাপকাঠি। এই দুইটি মাপকাঠিকে ধ্রুব ধরে নিলে স্কুলগুলোর মাঝে সাফল্যের তারতম্যের আর কোন উল্লেখযোগ্য কোন কারণ চোখে পড়বে না। কোলম্যান রিপোর্টে উঠে আসা আরো কিছু বিষয়ের সাথে কার্ভারের ঘুরে দাঁড়ানোর কারণের সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। যেমন, রিপোর্টে বলা হয়, শিক্ষাগত সাফল্যের সাথে স্কুল ভবনের মান, বাৎসরিক বাজেট, শ্রেণীকক্ষের আকার ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখযোগ্য কোন সম্পর্ক নেই। অন্যান্য গবেষকরাও তাদের গবেষণায় একই ফলাফল পেয়েছেন। যেমন, অর্থনীতিবিদ এরিক হানুশেক ১৩০টি স্কুলের মাঝে চালানো সমীক্ষার মাধ্যমে দাবী করেছেন যে স্কুলের জন্য বরাদ্ধকৃত সম্পদের পরিমানের তারতম্য ছাত্রদের অর্জিত সাফল্যে কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। যুক্তরাজ্যে মাইকেল রাটার ও তার সহকর্মীরা লন্ডনের ১২টি স্কুলের (যাদের অর্জিত সাফল্যের পরিমাণ ভিন্ন) মাঝে একই গবেষণা চালিয়ে খুঁজে পান যে স্কুল ভবনের আকার, প্রতি ১০০ স্কয়ার ফিট-প্রতি তলায় ছাত্র সংখ্যা, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ইত্যাদি বিষয় সাফল্যের তারতম্যের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয়। কার্ভারে কোন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি, ছাত্রপ্রতি বাৎসরিক বাজেট খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি, এবং প্রতি শ্রেণীকক্ষে ছাত্র সংখ্যারও কোন পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু কার্ভার ও অন্যান্য স্কুল গুলোতে কিছু একটা পরিবর্তন অবশ্যই হয়েছে। যেই পরিবর্তনই হোক না কেন, সেটা একটি স্কুলের বস্তুগত বৈশিষ্ট্যের জরিপ করে সহজে বের করা সম্ভব নয়।

অধ্যায় ১ আগামী পর্বে সমাপ্য

ভুল বানান, অসম্পূর্ণ বাক্য, অস্পষ্ট বাক্য চোখে পড়লে উদ্ধৃতি সহকারে মন্তব্যের ঘরে দেয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

৪ টি মন্তব্য : “আমলাতন্ত্রঃ সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া – ‍২”

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।