বাৎসরিক ফিরে দেখা

(১)
সকাল থেকেই মেজাজ বিগড়ে আছে জামানের। টাকা নাই বলে বাপ স্কুলে যেতে মানা করে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোর সকালে উঠে ধান লাগানোর জন্য চকে আসে বাপ-বেটা। “আর যহন ফড়াইলাম না ত্যা কাইলহা থেইকা সবারে উইঠ্যা আমার লগে লইবি ক্ষ্যাত লাগাইতে।” সপ্তাহখানেক আগের এক রাতের বাপের বলা কথা গুলো চিন্তা করেই রাগে এলোপাতাড়ি ধানের চারা লাগানো শুরু করলো। নিজের কাজের ফাঁকে ফায়েজুল ইসলাম ছেলের বেজার মুখে ধান লাগানো নিয়মিত বিরতিতে খেয়াল করছিলেন। “কিরে এইডারে ধান লাগানি কয়? হাত হুবে থাহে না?” ধমক খেয়ে লাইন সোজা করার চেষ্টা করল জামান।
“কিয়ো লুককু মিয়া শইলডা ভালানি? তোমার ফুলায় না স্কুলত যাইতো? কোন কেলাশে জানি? ফুলারে স্কুলত ফাডান থুইয়া ক্ষ্যাত লাগানিত নামাইসো?”
বাপ-বেটা কোমর সোজা করে সামনে তাকালো। ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন হাজী আব্দুল জলীল সাহেব, এলাকার ধর্ন্যাঢ্য ব্যবসায়ী।
“আসি ভালাই জলিল সাব। ফুলায় সিক্সত উঠসিন। ট্যাহা নাই ফড়াইতাম কইত্যে? ক্ষ্যাত লাগানিই ভালা। অত ফড়নের কাম নাই।”
“এইডা কিতা কউ? নতুন স্কুল দিসি বাজার হাডির ঐহানে। মালগুদাম রুড ধইরা গেলে হাতের পইছমে ফড়বো। তোমার ফুলারে ফাডায় দিয়ো। ট্যাহা লাগতো না।”
আনন্দে চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো জামানের। ‘জলিল সাবের কথা ফালাইতো ফারতো না আব্বা। আইজকা গিয়াই কাইলহার মার্বেল যেডি হারসি ঐডি জিতন লাগবো। আরেখখান বাঁশি আধামাদা বানায় থুইয়া দিসি হেইডা শেষ করন লাগবো।” চিন্তা করে ধান লাগানোর গতি দ্রুত হয় জামানের।

(২)
মাস ছয়েক হলো ঢাকা এসেছে জামান। বুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের ছাত্র। পড়ার ইচ্ছা ছিল ফার্মেসীতে। ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির হতেই পরীক্ষক নাম জিজ্ঞাসা করলেন। “জামান” – বলা মাত্রই একটি তালিকার উপর চোখ বুলাতে শুরু করলেন তিনি। একজায়গায় এসে চোখ আটকে গেল উনার।
“বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যালে চান্স পেয়েছেন আপনি? এখানে কেন এসেছেন?”
“স্যার ফার্মেসী পড়ার ইচ্ছা।”
“তাহলে বুয়েটের সীটটা যে আপনি নষ্ট করবেন সেটার কি হবে?”
“স্যার ওয়েটিং লিস্ট থেকে তো ডাকা হবে!” আমতা আমতা করে বলার চেষ্টা করলো জামান।
“সেটাতো পরের কথা এখন কেন নষ্ট করছেন সীটটি? আপনি আসতে পারেন।” ঝাঁঝালো কন্ঠে ইন্টারভিউয়ের ইতি টানলেন পরীক্ষক। জামানের ফার্মেসী আর পড়া হয়ে উঠেনি তাই তড়িৎকৌশলই চলছে।
গুলশান এলাকায় একটা টিউশনি পেয়েছে। সপ্তাহে তিন দিন হেঁটে শাহবাগ মোড়ে এসে কাঠবডিতে করে তেজগাঁ রেলস্টেশানের সামনে এসে নামে। সেখান থেকে রেললাইন ধরে হাটঁতে হাটঁতে পৌঁছে যায় ছাত্রীর বাসায়। ফেরত যাবার সময় খরচ বাঁচাতে পুরো পথটাই সময় নিয়ে হেঁটে চলে যায়। বাজে কোন অভ্যাস নেই জামানের। সেদিক থেকে নিশ্চিন্ত। হাতখরচের টাকা বাদে বাকি যেটুকু সঞ্চয় হয় বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাপের চাষাবাদের অবস্থা ভাল না। এলাকায় আশুগঞ্জ সার কারখানা তৈরীর সময় সরকার জমি অধিগ্রহণ করেছিল। সেখানে বাপের প্রচুর ধানী জমি হাতছাড়া হয়ে যায়। বিনিময়ে মূল্য হিসেবে বেশীকিছু পায়নি। যা পেয়েছিল সেটাও শুভাকাঙ্খীদের অতি উৎসাহের কারণে খুইয়ে বসে আছেন। ভুল যা হবার হয়ে গিয়েছে এখান থেকেই নতুন করে শুরু করা যাক।
ইংরেজী পড়ানোর তো কথা নয়। ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্রীকে গণিত ও বিজ্ঞান পড়াতেই এই টিউশনি। কিন্তু ছাত্রী বলছে একটু দেখিয়ে দিতে। ইংরেজির দখল একেবারে খারাপ নয়। অগত্যা ইংরেজী সহপাঠের দেখিয়ে দেয়া অনুচ্ছেদ পড়া শুরু করলো জামান। “হোয়েন দ্য সুপার ওয়াজ রেডি…”
“স্যার এটা সুপার না সাপার হবে। সাপার মানে রাতের খাবার”
“আমি জানি এটার মানে রাতের খাবার আচ্ছা উচ্চারণ দেখছি।” ডিকশনারী খুলতে খুলতে জামান আড়চোখে খেয়াল করলো কৌতুকপূর্ণ একটি হাসি দিয়ে রেখেছে মেয়েটি। উচ্চারণ ‘সাপার’ হবে। লজ্জায় শিরদাঁড়ার বিদ্যুৎ খেলে গেল।
“আজকে পড়াবো না।” হা করে তাকিয়ে থাকা মেয়েটির দিকে একপলক তাকিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে উল্টো হাঁটা দিল জামান। সেই টিউশনিতে আর যায়নি সে। লজ্জায় অপমানে ইংরেজীর বই পত্র কিনে আরো মাস ছয়েক নিয়মিত পড়াশোনা করেছে। রুমমেটরা হাসাহাসি করতো জামানের পাগলামি দেখে। সাধারণত দিনের বেলায় পড়ে শেষ করার চেষ্টা করে জামান। রাতের খাবারের কিছু পরে রুমে ফেরত আসে হইহুল্লোড় করা বন্ধু মোজাম্মেল। তাস পেটানো, ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শুনে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে রুমের বাকি বাসিন্দাদের। এক পর্যায়ে বাকিরাও যোগ দেয় সেখানে। কিন্তু জামানের ভাল লাগে না। সে বের হয়ে যায়, হেঁটে বেড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় রাস্তায়। আর চিন্তা করে রাজ্যের কথা। মধ্যরাতের দিকে ফেরত এসে চোখেমুখে চাদর গুঁজে ঘুমানোর চেষ্টা করে। মোজাম্মেলের মউজ তখন সবে গরম হচ্ছে। অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটিতে তাই আর প্রতিবাদ করতো না সে। এই মোজাম্মেল আবার বিপদের বন্ধু। হইহুল্লোড় আর ঠাট্টা তামাশার মাঝে খুব সচেতন ও অনুগত বন্ধু বাস করে ওর মাঝে। তাই ওর দৈনন্দিন জীবনের হাউকাউ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখে জামান।

(৩)
দেশ স্বাধীন হয়েছে বছরখানেক হলো জোড়াতালি দিয়ে হলেও যত দ্রুত সম্ভব পাশ করিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর বুয়েট প্রশাসন। শেষ বর্ষের ছাত্র জামান। সামনে ফাইনাল। পিডিবির একটা চাকুরী মনে ধরেছে। কিন্তু বেতনটা আরেকটু বেশী হলে ভাল হয়। যুদ্ধের সময়টা পালিয়ে গ্রামে চলে গিয়েছিল। যুদ্ধে যেতে দেয়া হয়নি তাকে। পিতা ফায়েজুল ইসলাম তার পড়াশোনা করা ছেলেকে হয়তো হারাতে চাননি। বংশের উজ্জল বাতি। জামান চাইলেই সেখান থেকেও পালাতে পারত। কিন্তু সে বাপের কথার অবাধ্য হতে চায়নি। প্রতিরাতে পালানোর চিন্তাকে একটু একটু করে দমন করেছে। দুইগাল ভরা হাসি নিয়ে মোজাম্মেলের রুমে প্রবেশ।
“দোস্ত আর্মিতে লোক নিতাসে। ছয় মাস ট্রেনিং কুমিল্লায় তারপরেই অফিসার। ভাল বেতন। চাল, ডাল, চিনি, তেল সব দিবে। থাকার জায়গা দিবে। নো টেনশন। শুধু ফূর্তি হবে।”
“রাখ তোর আর্মি।” ঝাঁঝালো উত্তরে হাসি আরো বিস্তৃত হয় মোজাম্মেলের। বাম রাজনীতি ঘেঁষা জামানের সেনাবাহিনী ব্যাপারটির উপর কিছুটা অনীহা আছে। এই অনীহা তার বাম রাজনীতির প্রতি আগ্রহ থেকে নাকি অন্য কিছু এ নিয়ে কখনো চিন্তা করেনি সে। এদিকে বাপের কাছে নিয়মিত হারে টাকা পাঠাতে হলে দ্রুত একটি চাকুরীর ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুত ও নিরাপদ। আর্মির চাকুরী যদি সেটা নিশ্চিত করে তবে অনীহা গিলে ফেলে এই চাকুরীই করতে হবে।
“ঐ শালা এত কি চিন্তা করস। বললাম সেইফ চাকুরী, তোর তো দেশে টাকা পাঠানো লাগে। পাশ করার পরে কি করবি? আর্মি আজকে বুয়েটে এসে লোক নিতাসে। দুদিন পর সেটাও করবে না। তখন যাবি কই? ভালয় ভালয় চল দুই দোস্ত কথা বলে দেখি।” তাহলে অনীহাটিকে গিলে ফেলতে হবে? মোজাম্মেল তখন তিন ভুবনের পাড়ে চলচিত্রের গান গাইতে গাইতে গোসল করতে চলেছে, “জীবনে কি পাবো না, ভুলেছি সে ভাবনা। সামনে যা দেখি জানি না সে কি আসল কি নকল সোনা!” হেসেই দিল জামান। আর তাকে দেখে দ্বিগুণ উদ্যোমে গাইতে গাইতে রুম থেকে বের হয়ে গেল মোজাম্মেল।

(৪)
যশোর ক্যান্টনমেন্টে লেডিস ক্লাবের একটি পার্টি চলছে। মৃদু গান, খাবারের পাত্র নাড়াচাড়ার শব্দ, হাসি ঠাট্টার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে মেজর জামান। দেশে সামরিক শাসন চলে আর মেজর জামান এখন মার্শাল ল’ কোর্টের জজ। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার টেলিফোনের হুমকি ও অনুরোধের টোটকা গিলতে না পেরে মাস চার-ছয়েক পরপরই তার পোস্টিং হচ্ছে এক ক্যান্টনমেন্ট থেকে আরেকটিতে। যশোর ক্যান্টনমেন্টটি অপেক্ষাকৃত নতুন। ময়মনসিংহ ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট একই সময়ে স্থাপন করা হয়। তার আগে ও ছিল টাঙ্গাইলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে। সৌভাগ্যক্রমে এখানে প্রায় এক বছর হতে চলল, টেলিফোনের হুমকির ধাক্কায় নতুন পোস্টিং পাওয়া হয়নি। পাশে বসা তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী। একটু দূরেই বসা কমান্ডেন্ট কথার মাঝে পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে সিগারেট ধরালেন।
“Excuse me sir!” একদম ফিশফিশিয়ে জামান কমান্ডেন্টের কানের কাছে গিয়ে বলল। “…my wife is pregnant and we are expecting soon. Could you please smoke outside and keep this place healthy for all the mothers?” পার্টিতে ধুমপান করাতে কোন বাধা নিষেধ নেই। কোন নো-স্মোকিং জোনও নেই। কমান্ডেন্ট থতমত খেয়ে গেলেন প্রথমে। তারপরে বাকি সবার কাছ থেকে বলে উঠে বাইরে চলে গেলেন তিনি। সামান্য মেজর হয়ে কমান্ডেন্টকে অনুমতি থাকা স্বত্তেও বাইরে গিয়ে ধুমপান করতে বলার পরিনতি কি হতে পারে সেটা নিয়ে আর চিন্তা করলো না জামান। ধুমপান শেষে ফেরত এসে আড্ডায় যোগ দেবার আগে কমান্ডেন্ট বললেন, “Thanks for pointing that out Zaman!” জামানের স্ত্রীর সাথে কুশলাদী বিনিময় করে আবার চলে গেলেন নিজ আড্ডায়।

(৫)
চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। আবার একটু পর ঠিক হচ্ছে। মৃদু লয়ে যন্ত্রপাতির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সম্ভবত কান্নার শুনতে পেল জামান। সাদা পোশাকের অনেকগুলো মানুষ। এরা বোধহয় ডাক্তার। অক্সিজেন মাস্কটাও ভারী ঠেকছে। শরীরের বাকি অংশ মাল্টিপল অর্গাণ ফেইলিউরের ধাক্কায় বিকল হয়েছে গত কয়েকদিনে। হঠাৎ করে একটু বেশিই খারাপ হয়ে গেল। সিঙ্গাপুর যাবার কথা ছিল চিকিৎসার জন্য, কিন্তু সামরিক হাসপাতাল বললো তারাই যথেষ্ট। কিন্তু শেষ রক্ষা মনে হয় হলো না। ঘাড় নড়ানো যাচ্ছেনা বেশ কিছুক্ষণ ধরেই। চোখের কোণে দুটো বাচ্চা ছেলে দেখা গেল। একজন কোলে আরেকজন দাঁড়ানো। ওদের চেনা লাগছে কিন্তু মনে করতে পারছি না। মনে করার আগেই চলে গেল। আমার কি এভাবে থেমে যাবার কথা ছিল? অনেক কাজ বাকি। অনেক কিছু জানার বাকি। অনেক কিছু জানানোর বাকি। কিন্তু…

আট মাসের একটি ট্রেনিং এ চীন গিয়েছিল জামান। চীনের কাছ থেকে নতুন একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও প্রযুক্তি গ্রহণ ও মিডিয়াম টাইপ ট্যাংক-৫৯ মেরামতির উপর ছিল ট্রেনিংটি। দেশে ফেরত আসার পর মেডিকেল চেকআপে পাইলস ধরা পরে জামানের। সেটা অপরেশান করে নিরাময় করতে গিয়ে কেঁচো খুড়তে সাপ হিসেবে বেড়িয়ে আসে রেক্টাম ক্যান্সার বা মলদ্বারে ক্যান্সার। বেশ দুর্লভ কিন্তু ভয়ানক এই ক্যান্সারটি ততদিনে অনেকটুকু ছড়িয়ে গিয়েছে। উচ্চতর চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রেখে আরো কয়টি বছর বাঁচতে পারতো সে। কিন্তু যেভাবেই হোক ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিলনা এই ব্যাপারে। আর তাই ১৯৯০ সালের আগস্ট মাসের ২৬ তারিখ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকাতে জীবনের ইতি টানতে হয় মেজর জামানের।

উৎসর্গঃ আমার বাবা প্রয়াত মেজর ফখরুজ্জামান। বি,এ – ১১৩২, ১ম বিএমএ ব্যাচ শর্ট কোর্স।

প্রয়াত মেজর ফখরুজ্জামান

প্রয়াত মেজর ফখরুজ্জামান

২,৫২৩ বার দেখা হয়েছে

২৮ টি মন্তব্য : “বাৎসরিক ফিরে দেখা”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    প্রথম।
    কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছি ভাই।
    শেষ দিকে এসে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছিল...
    আল্লাহর কাছে দোয়া করি উনি যেন আঙ্কেলকে বেহেশত দান করেন।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    সস্রদ্ধ শ্রোদ্ধা, এর বেশি কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ২৩ বছর পরে এখন খুব বেশী একটা কষ্ট হয় না। গত বছর বুঝিই নাই। মায়ের মুখে বিভিন্ন সময় শোনা কাহিনীগুলো কিছুটা গল্পের ফ্লেভারে লেখার ইচ্ছা ছিল অনেক আগে থেকেই। গতকাল এক ধাক্কায় সেটা লিখতে গিয়ে বেশ কষ্টই হলো দেখলাম।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  3. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

    সিগারেটের ঘটনা তো আগে জানতাম। কিন্তু দারুন মুন্সিয়ানায় ব্যবহার করেছেন ঘটনাটা। ট্রিগারিং পয়েন্ট ফর মি। দারুন লেখা হইসে।


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন
  4. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    খুব খারাপ লাগলো আঙ্কেলের কথা ভেবে। উনি নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছেন। আল্লাহ্‌ নিশ্চয় অনেক শান্তিতে রেখেছেন উনাকে। খুব সুন্দর করে লিখছ। শুভকামনা রইল।

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      পড়ার জন্য ধন্যবাদ জিয়া ভাই। এখনো মনে হয় আর কয়টা দিন বেশী পেলে ভালই হত। আবার মনে হয় না তাহলে কষ্ট আরো বেশী পাওয়া লাগত। সাড়ে চার বছরের বাচ্চার মনে বাবার মৃত্যু খুব বেশি দাগ কাটার সুযোগ পায় নি। কিন্তু পরে হয়তো এত কষ্ট সহ্য হতো না। সর্বশক্তিমান যা করেন মঙ্গলের জন্য।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  5. সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

    মন্তব্য করতে দেরি হবার জন্য দুঃখিত। লেখাটি পড়ে ধাক্কা খেয়েছিলাম একটা।দারুন লেখা হয়েছে।


    যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

    জবাব দিন
  6. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    তোমার অন্যান্য দিনলিপি স্মৃতিচারণেও বাবার অনুপস্থিতিটা চোখে পড়েছিলো। না থেকেও তিনি যে তোমাদের জীবনে ব্যাপৃত হয়ে আছেন সেটা স্পষ্ট।
    বাবা ছাড়া বড় হলেও বাবার টাফনেস নিশ্চিতভাবেই পেয়েছো তুমি।

    স্যালুট ও অশেষ শ্রদ্ধা মেজর জামানের জন্যে।

    সংশোধনীঃ 'ঝাপসা'য় চন্দ্রবিন্দু নেই।

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      এই মানুষটাকে আরো কয়েকটা বছর দেখতে পেলে লেখার অনেক কিছু পেতাম। সাড়ে চার বছরের শিশুর স্মৃতি, মায়ের মুখে শোনা গল্পের উপর ভরসা করে বেশি কিছু লিখা যায় না। তারপরেও এই মৃত্যুবার্ষিকীতে মনে হলো কিছু একটা লিখি। একটা টাইমলাইনের মত। বাবার চেহারাটা মেন্ডেলের বংশগতি সূত্রের বদৌলতে নিশ্চিত পেয়েছি আর মা সবসময় বলেন রগচটা মেজাজ ওটাও নাকি উনার অবদান! 😛

      সংশোধনের জন্য ধন্যবাদ! পড়ার পাশপাশি ভুল গুলো ধরিয়ে দিলে ভাল লাগে। সবাই সেটা করতে চায় না।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ধন্যবাদ আপু। লেখা ভাল লাগলে হয়তো সেটা ভালভাবে জানানোর একটি দায়িত্ববোধ এসে যায়। তোমার নিজের কাছে পোশাকী লাগতে পারে, কিন্তু আমার জন্য

      লেখাটা মন ছুয়ে গেল।

      কথাটি যথেষ্ট!


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।