ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৮

২৯ অক্টোবর, ২০০৩ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট
বেশ লম্বা একটা ঘুম দিয়ে উঠে বিরক্ত লাগছে। এতক্ষণ ঘুমাবার দরকার ছিল না তারপরেও ঘুমিয়ে ফেলেছি। প্রায় ৩ ঘন্টার মত। হঠাৎ একটা কৌতুক মনে পরে যেতেই হেসে উঠলাম আপন মনেই। মঞ্জুর (১৯৩১) আমার দিকে অবাক হয়ে তাকাল; ডায়েরী লেখার মাঝে শব্দ করে হেসে উঠা নিঃসন্দেহে কিঞ্চিত হলেও প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ।

যাই হোক কৌতুকটা লিখে রাখি না হলে পরে ভুলে যাব। কার কাছ থেকে শুনেছি সেটাও মনে পড়ছে না। যাই হোক।
“এক রাখাল তার গরুর পাল নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। যাত্রাপথে হঠাৎ একটি গরু রাস্তায় বসে পড়ল। রাখাল নিতান্তই বিরক্ত হয়ে গরুটিকে লাঠি দিয়ে গুঁতা দিল, লাথি দিল কিন্তু গরু জায়গা থেকে এক ইঞ্চিও নড়ার তাগিদ নেই। হতাশ রাখাল আশেপাশে তাকিয়ে দেখে পাশের ক্ষেতে মরিচের বাগান। মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল তার। কয়েকটা মরিচ পেঁড়ে নিয়ে এসে ভালো করে ভেঙ্গে ডলে ঢুকিয়ে দিল শুয়ে থাকা গরুর পশ্চাদদেশ দিয়ে। বিদ্যুতের গতিতে লাফ দিয়ে উঠল গরুটি এবং বিকট চিৎকারে দৌড় শুরু করে দিল। এখন রাখাল আর দৌড়ে ধরতে পারে না তার গরূ। কি করার? বাকি যেটুকু ভর্তা করে মরিচ ছিল প্রয়োগ করল নিজের পশ্চাদদেশে। তীব্র আর্তনাদের রাখালও দৌড় শুরু করল কিন্তু তারপরেও দৌড়ে ধরতে পারল না। এত জোরে দৌড় দিয়েছে যে তার গরু ছাড়িয়ে অনেক সামনে চলে গিয়েছে”

লেখা শেষ করতে করতে মনে হচ্ছে কৌতুকটা আসলেই কি এতটা হাসির? কেটে দিব? থাক কষ্ট করে লিখে যখন ফেলেছি কাটব কেন।

হাউসে মনে হচ্ছে তারাবির নামাজ ফাঁকি দেয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু আমার আজকে কেন জানি মন বলছে কিছু একটা ঝামেলা হবে। পোলাপান থেকে যাবার জন্য বলছে কিন্তু মন সায় দিচ্ছে না। বের হয়ে যাই।

রাত ১০টা ৩৫ মিনিট
বিকালের অস্বস্তি ফলে গেল। তিন হাউসে মাগরীবের নামাজের সময় হতে তারাবি পর্যন্ত ব্যাপক আকারে তল্লাশি চলেছে ফাঁকিবাজ ক্যাডেটদের ধরবার জন্য। মসজিদে যাবার পর ফাহিম (১৯৫৮) জিজ্ঞাসা করল মহসিনের (১৯৫২) কথা। মহসিনকে তো দেখে এসেছি আমাদের হাউসে (নজরুল হাউস) গিয়ে বসে আছে বাকি পোলাপানদের সাথে। কারণ কি জিজ্ঞাসা করতে ভয়ে জমে গেলাম। মসজিদে একটি দোয়া/আলোচনা হবে যেটার সূচনা করার জন্য কলেজ কালচারাল প্রিফেক্টকে দরকার এবং প্রিন্সিপাল স্যার মহসিনের অপেক্ষায় বসে আছেন। বাহ!!! যাই হোক মাগরীবের নামাজ শুরু হয়ে গেল। শেষ করে দেখি পেছনের সারিতে ঘাপটি মেরে বসে আছেন প্রিফেক্ট সাহেব। যাক বেঁচে গেল তাহলে।

১,১২২ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৮”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    রাখাল চন্দ্র ধর এর ইংরেজীটা জানি কি ??
    "Cowboy Catch the moon" নাকি "Cowboy Moon Head"?
    একটি আক্ষরিক অনুবাদ আরেকটি ভাবানুবাদ। 😀


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আদনান (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।