শুক্রবার (তারিখ লেখা নেই)
রাত বাজে পৌনে বারটা। আগামীকাল থেকে পাক্ষীক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। সকালে আবার Principal Assembly আছে। ভাবতেই মেজাজটা খিঁচরে গেলো।
১৯ অক্টোবর ২০০৩, রবিবার
দুপুর দু’টা বাজে, তিনটার সময় অডিটরিয়ামে যেতে হবে। Music Club এর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ২৩ তারিখ। যাবার ইচ্ছা ছিলনা। মহসিন নাম ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আসলে ICCLMM এর পর সবকিছু ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখছি হলো না। ঘুমাতে হবে এখন। শাকেরীন গান শুনছে দ্বিগুন জোশে। তার ৫৫৫ ব্যাটারী সম্পূর্ন চার্জ করা বোঝা যাচ্ছে। এই মাত্র ক্যামেরা দিয়ে একটা interesting ছবি তুললাম। বাগান থেকে একটা হলুদ রঙের গোলাপ ছিঁড়েছিলাম। গোলাপটা টেবিলের উপর রাখতেই মনে হলো ছবি তুলি গোলাপটার। কনসেপ্টটা ভিন্নধর্মী করে ফেললাম। আমার ডায়েরীটা রাখলাম পাতা খুলে। একটা পার্কার কলম রাখলাম। গোলাপ রাখলাম তারপাশে আর একটা Gold Leaf এর প্যাকেট আধখোলা। চমৎকার ছবি। এখন ঘুমাতে যাব।
২৩ অক্টোবর ২০০৩, বৃহস্পতিবার
রাত বাজে সাড়ে বারোটা। লাইটস আউট হয়ে গিয়েছে আরো পৌনে এক ঘন্টা আগেই। মনটা আজকে খুবই ভালো। অনেক ভালো অভিজ্ঞতা একদিনেই – অসাধারণ। আজকে ছিল Music Club এর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। মাত্র তিনদিন সময় পেয়েছি। মোট ১২টা আইটেম ছিল। এর মধ্যে আমার অংশগ্রহণ ছিল ৪টি তে। দুইটা ব্যান্ডের গান আরেকটা আধুনিক (আসলে আধুনিক নয়, ‘ওরে নীল দরিয়া।’ আধুনিক বলে কিনা জানিনা।) আর একটি মাউথ অর্গানে বাজানো একটা instrumental এর সাথে গীটার accompany. পুরো অনুষ্ঠানটা এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। কলেজের বেস্ট সিঙ্গার খালেদ সাধারণত আমাদেরকে (ক্যাডেট) রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে ক্লান্ত বানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আজকে গেয়েছে নজরুলের “…আলগা কর গো খোঁপার বাঁধন।” কি যে গেয়েছে সেটা সামনে বসে না শুনলে আমার এই দুর্বল ভাষা শৈলী দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব না। ব্যান্ডের গান গুলোও ভালো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো হয়েছে মাইলস এর ধিকি ধিকি। আমাদের হাউসমাস্টার হাসিম উদ্দিন স্যার নিজে এসে আমাকে বলেছেন গানটা তার ভালো লেগেছে। যেহেতু হাঁদার ভালো লেগেছে গানটা তার মানে আসলেই ভালো হয়েছে…!!!!!
রাত দেড়টা বাজে। টিভি রুমে অবৈধ অনুপ্রবেশপূর্বক আমরা “কূছ না কাহো” নামক হিন্দি ছবিটা দেখতে যাব। আমার যদিও হিন্দি ছবির ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তারপরেও যাব কারন নিয়মভংগ করা হচ্ছে। সেটা যে ভাবেই করা হোক না কেন। টিভি রুমটার সাম্প্রতিক আবিস্কার হলো দ্বিতীয় দরজার তালাটা ফয়সালের লকারের তালার চাবি দিয়ে দিব্বি খুলে যায়। হাহাহাহা…!!! ধরা না খাবার সকল বন্দোবস্ত করলাম।
রাত তিনটা বাজে
ছবি দেখা শেষ করে আসলাম। পোলাপান কার্ড খেলতে বসেছে। আজকের মজার ব্যাপার হলো আজকে আমাদের সাথে SH থেকে শফিকুল্লাহ এবং FH থেকে মহসিন (CCP), তারিকুল, কায়েস আছে। ব্যাপারটা ভয়াবহ এবং কলেজ রুলস বিরোধী। ধরা খাইলে খবর আছে। তারপরেও কি আছে লাইফে…!? হঠাৎ লাইট ফ্যান অফ করে পোলাপান বডি স্প্রে বের করল। মোমবাতি জ্বালালো। তারা fire works করবে। অন্ধকার ঘরে অনেক্ষণ ধরে বিভিন্ন কোণ থেকে ড্রাগনের মত শিখা বের হচ্ছে। মজা লাগছে দেখতে। শেষ করে বসলাম আড্ডা দিতে। রাত বেড়েই চলেছে। আড্ডা, চানাচুর, সিগারেট চলছে তার সাথে সমান তালে। আমার ঘুম পাচ্ছে। দেখি এক ফাঁকে ঘুমিয়ে পড়া যায় কিনা। বুঝে ফেললে অবশ্য বিরক্ত করবে শালা রা। দেখি কি করা যায়। আর লিখব না।
ভাল লাগল :hatsoff:
বডি স্প্রে আর মোমবাতি/লাইটার দিয়ে ফায়ার ওয়ার্কস ফাটাফাটি জিনিষ, এখনো মাঝে মাঝে করি... তবে সবচেয়ে বেশি মজা করেছিলাম বিএমএতে :grr:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:(( :(( সার্জেন্ট রায়হান ভাই এইটা দিয়া আমারে "অ্যাস বার্ণ" করতো :(( :((
:grr: :grr: :grr: ব্যাপক মজার জিনিষ এই অ্যাস বার্ণ ইস, তখন যদি জানতাম তোরে ব্লগে এমনে পাবো, শান্তি মত পাঙ্গায়া রাখতাম... মিস হয়ে গেছেরে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:(( :(( :(( :(( :(( আপনে তো আবার আমার কোম্পানিতেই ছিলেন-আমারে মনে পড়ে নাকি মামা?ঐ যে লম্বা ভ্যাদাইম্মা পোলাডা যে সারাদিন পাঙ্গা খাইতো? :(( :(( :(( :(( :((
মনে পড়বে না কেন? তোর মত দামড়া তো আর সচারাচর দেখা যায় না... তখন সযদি খালি জানতাম... :grr: :grr:
এতো পাঙ্গা খাইতি, তোর কলেজ ভাই তোরে ডাউট দিত না?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 আমার স্বনামধন্য কলেজ ভাই আমারে দিয়া শেল গ্রেভ আর আট জনরে দিয়া আমার চাইর হাত পা চাইপা ধইরা নাকে ট্যাপের পানি ছাইড়া দিয়া "সাবমেরিন"-এই দুই পানিশমেন্ট ৫৩ বি এম এ লং কোর্সে উনবোধন করাইছিলেন 🙂
পুনশ্চঃজেসিসিরে ক্যান মাইনষে গাছ কয় সেইদিন এক্কেবারে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছিলাম।সেই দিন থিকাই "গাছ" নামের প্রতিবাদ করা ছাইড়া দিছি 🙂 🙂
*উদ্বোধন
আহারে 🙁 ...
ব্যাপার না... কলেজ ভাইয়ের ডাউট আমিও অবশ্য কখনো নেই নাই......
( মাত্র ৮ জনেই তোরে চাইপা ধরতে পারলো 😮 )
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার কি জানেন?স্বনামধন্য কলেজ ভাই যখন আমারে কুত্তার মত পাঙ্গাইতো,যেই পিসিসিরে আমি দিনে রাইতে গালি দিতাম আর পচাইতাম সেই পিসিসির এক বড়ভাই(২০০১ আইসিসিএলএমএম এ দেখা হইছিল) আমারে হালকা পাতলা সেভ করার চেষ্টা করতেন।আর নিজে না খাইয়া টেবিলে আমার জন্য পুডিং রাইখা দিত পিসিসির রুহুল-বেশি পাঙ্গা খাই বইলা আমার খাওয়া বেশি হওয়া উচিত এইটা ছিল তার যুক্তি।
দুইন্না জুইড়া পচুর গিয়াঞ্জাম রে মামা-
আর ইয়ে মানে-নড়াচড়া যাতে না করতে পারি তাই কোমরের উপ্রে ভোটকা ফাহিমরে বসাই দিতো :(( :(( :((
মানুষকে চেনার জন্য ঐসব কষ্টের সময়ই হল সবচেয়ে উপযুক্ত সময়... আর সবচেয়ে উপকারি দিক হল রুহুলের মত মানুষদের খুঁজে পাওয়া...
ব্যাপার না...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:shy: :shy: আমার প্রাণের দোস্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজী রুহুল কিন্তু রসময়দার বই নিয়া ধরা খাইয়া রেস্ট্রিকশন খাইছিল বি এম এ তে 😮 😮 😮
:khekz: :khekz:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
তোর মত দামড়া তো আর সচারাচর দেখা যায় না…
ফাহিম আর শোয়েব রে দেখেন নাই? 😛 😛 😛
চালায়ে যা, প্রত্যেকটা পর্ব আমাকে কলেজে নিয়ে যায় । :clap:
তোমার ডায়েরির পাতাগুলো পড়লেও সম্ভবত মন্তব্য করা হয়নি। দুঃখিত। লেখা ভালো লাগছে। চালিয়ে যাও।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাল লেগেছে। 🙂
এবার বেশ তাড়াতাড়ি নামিয়ে দিলে? ভাল ।
কালকে আরেকটা নামানোর ইচ্ছা আছে। দেখি। বললাম না ঢাকা আছি। রবিবার আসার আগেই যতটুকু লেখা যায়।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
চলুক তবে......
ভালো লাগছে।
খালেদের গান শুনে প্রিন্সিপাল কি বলছিল মনে আছে?
"তুম তো ....(যে মেইন গানটা গেয়েছিল,মান্না দে/নাম ভুলে গেছি)..কেও হারিয়ে দিয়েছ!!!
আরে শালা ভুলেই গেসিলাম আমার চাবির কথা , মনে আছে কত জায়গার তালা খুলত ঐটা দিয়ে ? পরে তো আমি যেখানে যত চাবি পাইতাম সব collect করা শুরু করসিলাম :)) . হাহাহাহাহা মনে পরলেই হাসি পায় এখন.