মাজহার আমাকে তুই মাফ করে দিস রে ভাই…

মাজহার,

আমার দোয়া নিস। আশা করি জান্নাতে ভাল আছিস। ২৪ তারিখের প্যারেডের সময় তোর সাথে শেষ দেখা হবার পর থেকে মনটা কেমন জানি করে। তোর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে রে ভাই। প্যারেডের পেছনের দর্শক সারি থেকে পালিয়ে আমি, তুই, জুনায়েদ আর জাহাঙ্গীর গেলাম সিগারেট খেতে। ওখানে আমার কোরের নন-স্মোকার আসাদও আসল। ওর সাথে মনের সুখে ঠিকমতো কথা বলতে পারলাম না তোদেরই জন্য।

তোকে জিজ্ঞেস করলাম, “কি রে, ভাবী কেমন আছে?”
– “ভাল স্যার”
– “হানিমুনে গেছিলি?”
– “জি স্যার, ব্যাংককে”
– “শয়তান! Why to Bangkok? নতুন বিয়ে করছিস, এতগুলা টাকা খরচ করে ফেললি। কক্সবাজারে যেতে পারতি”

তুই তখন তোর সেই বিখ্যাত হাসিটা দিয়ে বললি,

– “কক্সবাজারেও গেছি স্যার। মিশনেই তো যাচ্ছি স্যার, তাই ভাবলাম একটু….”

মাজহার তুই যেন কোন মিশনে আছিস? কেমন রে মিশন এরিয়া? আর্মাডের নাফিজ স্যার, সাইফ স্যার, আসাদ আর মোমিন ও তো আছে ওখানে। ওদের সবাইকে সালাম দিস। ইলাহী স্যারকে আমার সালাম দিস – উনি স্টাফ কলেজে আমার ফার্স্ট টার্ম ডি এস ছিলেন। পি এস খালেদ স্যারকে বলিস, স্যারকে সেদিন অফিসে চা খাওয়ানোর সময়টা পর্যন্ত পেলাম না। হায়দার স্যারকে প্যারেডের দিনে সিগারেট খাওয়ার সেফ-প্লেসটা দেখানোর জন্য আমার ধন্যবাদ জানাস। আর আমার কোর্সমেটটা – মাকসুমুল হাকিম – কে একটু দেখে রাখিস। অনেকের সাথেই সেদিন আমার স্বভাবসুলভ অনেক ফান করেছি। স্যাররা আমাকে ভুল বোঝেনি তো?

আর মাজহার, তোকে সেদিন শয়তান বলে গালি দিয়েছিলাম। তুই তো জানিস, আমি প্রিয় জুনিয়রদের এভাবেই সম্বোধন করি। মনে কষ্ট পেলে মাফ করে দিস রে ভাই।

আর হ্যা, আমি তোকে একটা সিগারেট দিয়েছিলাম। আমার প্যাকেটা খালি, এখানে এসে একটা সিগারেট দিয়ে যাবি, প্লিজ…..

আমাদের সবাইকে আমাদের মিশনের জন্য অপেক্ষায় রেখে তোরা চলে গেলি। দিন আমাদেরও আসবে। সে পর্যন্ত ভাল থাকিস।

– তোকে অনেক জ্বালাতন করা – ইউসুফ স্যার

১,৯৩০ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “মাজহার আমাকে তুই মাফ করে দিস রে ভাই…”

মওন্তব্য করুন : সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।