বইমেলা….

প্রথম যে বইমেলার কথা মনে পরছে, সেটা তে আমি আসলে যাই নি। আমি তখন ক্লাশ টু তে পড়ি। আমার মামা আর খালা বইমেলা থেকে ফিরলেন ইমদাদুল হক মিলন এর প্রিয়দর্শিণী ও হুমায়ুন আহমেদ এর নি নিয়ে।প্রিয়দর্শিনীর প্রচ্ছদ টা সেইরকম ছিলো। গোলাপ হাতে এক সুন্দরী নারীর হাত! তবে প্রথম কয়েকদিন ছোটদের সেই বই দেখারও আকসেস ছিলো না। তখন আমার পঠিত বইয়ের তালিকায় ছিলো শুধু সেবার ২ টাকার বই সিনডারেলা। আমি নি যখন উল্টেপাল্টে দেখছি, আমার খালা হাল্কা পচানি দিয়ে বল্লো এই বই তুই একমাসেও শেষ করতে পারবি না। এতো বড় অপমান আমি সহ্য করতে পারলাম না। পরের দিন সন্ধ্যার মধ্যে পড়ে শেষ করলাম। বইটার সবমিলিয়ে ৬০% ও বুঝেছিলাম নাকি সন্দেহ।কিন্তু সেই শুরু।
এরপর গত ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত একটা বইমেলাও মিস হয়নি। পারিবারিক ভাবে আমরা খুবি বইকেন্দ্রিক। বইমেলা যাওয়া আমাদের বড়ধরনের আয়োজনের ব্যপার ছিলো।সারাবছর ব্যাপী টাকা জমানো, যার সর্বোচ্চ পরিমান ১২৩ বা এইরকম কিছু। জানুয়ারীর শেষ দিক থেকে আম্মু আব্বু কে বার বার মনে করায়ে দেওয়া।এরপর কোন এক শুভ শুক্রবার সকাল থেকে আম্মু আব্বুর মাথা ঠান্ডা রাখা। দুপুর এ খাবার এরপর দুরুদুর বুকে প্রস্তুত হওয়া। মাথাপ্রতি আমাদের বরাদ্দ ছিলো ১টি বই।বুবু কিনতো হুমায়ুন আহমেদ এর বই, আমি জাফর ইকবাল, ছোটভাই রোবোকপ, আব্বু রবীন্দ্রনাথ, আম্মু মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা কোন বই। আম্মু আব্বুর নিজেদের জন্য কেনা বই কখনো পুরো পড়তে দেখতাম না। বাধ্য হয়ে আমাকেই পড়ার গুরুদায়িত্ব নিতে হত।আম্মু অবশ্য কোন এক স্কুল ছুটির দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদ এর বইটা পড়ে শেষ করতো। পুরো পরিবার একসাথে বইমেলায় গেছি শেষ ২০০৮ এ।যেই আব্বু হাঁটতে হাঁটতে পায়ে ব্যাথা হলে ছোটবেলায় কোলে নিয়ে ঘুরতো, তাকে আমরা সবাই ধরে ধরে নিয়েগিয়েছিলাম। এরপর আম্মু আর আব্বু সামিয়ানার নিচে চেয়ারে বসে রইলো আগের মত।আমরা তিন ভাইবোন আগের মতো দিলাম রামচক্কর। ২০০৮ বুবু চলে গেলো ইউকে। পারিবারিক বইমেলা ভ্রমনের সেখানেই আপাত সমাপ্তি।
আমি মেয়ে হিসেবে যথেষ্ঠ ডানপিটে ছিলাম। ক্লাশ ৮ এ আমি, আর আমার প্রাণবান্ধবী দীপা ও তিথি সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা স্কুলের পর বইমেলায় যাবো। যতদুর মনে পরে এই সিদ্ধান্ত এর পিছনে কারন ছিলো ক্লাশ ৮ এ ছেলেদের যদি একা একা চলতেফিরতে দেওয়া হয়, আমরা কি দোষ করেছি? মতিঝিল স্কুল থেকে বাংলা একাডেমী পর্যন্ত পথ তখন পৃথিবী থেকে চাঁদের মতো দুর্গম ও অচেনা। যদিও আম্মু আব্বুকে বলে গিয়েছিলাম তবু বাসায় ফিরে পিটুনি খেলাম। মোটামুটি বছর পাঁচেক পিটুনি দিয়ে আম্মু টায়ারড হয়ে গিয়েছিল। অপ্রাসংগিক হলেও একটা কথা বলি, আব্বু আমাদের ৩ ভাইবোনকে কখনো পিট্টি দেন নি। আম্মু পুরাই উলটা। আমি আমার বিয়ের ২ দিন আগেও পিটুনি খেয়েছি আম্মুর হাতে। আম্মুর হাতে পিটুনি খাওয়া অবশ্য এমন কিছু কঠিন না। আম্মুকে ঠিকমতো খেপায় দিতে পারলেই হলো। আমি ও আমার ছোটভাই মাঝে মাঝে বিনোদোনের জন্যও তা করি। এইচ এস সি তে বইমেলার সঙ্গী ছিলো শর্মিষ্ঠা। এইচ এস সি পরীক্ষার আগের বইমেলায় আমরা জাফর ইকবাল স্যার ও তার ওয়াইফ কে অনেক যন্ত্রনা করেছিলাম মনে পড়ে। আমরা তখন সদ্য নিউরনে অনুরন এর পুরস্কার বিজ়য়ী, উনার সাথেও ওখানে পরিচয় হয়েছে। আমাদের মনে কত প্রশ্ন, সেইগুলো জিগেস করার জন্য কেন যেন আমাদের বইমেলাকে উপযুক্ত মনে হয়েছিলো।
এর পরেরবার বইমেলায় গেলাম পুরো হাঁসের মতো গ্রীবা উঁচিয়ে কারন আর কিছুই না, মাত্র বুয়েটে চান্স পেয়েছি। আমার এক মামা আমাকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন। আম্নুর কাছ থেকে ৫০০ টাকা উদ্ধার করে মানিক সমগ্র কিনে ফেল্লাম। ইউনিভার্সিটির প্রথম ২/১ টা বইমেলায় গেলাম নিয়মমতো বিশাল বন্ধুবান্ধবের গ্রুপ নিয়ে। এরপর কাছের বন্ধুর সংখ্যা কমতে কমতে দাড়ালো ক্লাসের বাকি ৩ টা মেয়েতে রিকি, শারমিন ও লিটা। আমরা গেলেই কেনো জানি মিডিয়াগুলো আমাদের সাক্ষাৎকার নিত অথবা ছবি। কিন্তু ছবি বা সাক্ষাৎকারকে এখনো আলোর মুখ দেখতে দেখি নি।রিকির বই কেনা অতন্ত্য দর্শনীয় ছিলো। সে একটা বইয়ের প্রতিটা পাতায় হাত বুলাবে, দাম ছাড়া অন্য সব কিছু দেখবে, ২/৩ পাতা পড়বে, এর পর উলটা দিকে হাঁটা দিবে। যে বইটা কিনবে সেটা অবশ্য ধরেই ছুঁড়ে দিতো প্যাক করার জন্য। ফেব্রুয়ারীতে আমার জন্মদিন হওয়ায় আমি বন্ধু দের কাছ থেকে খুব সুন্দর বই উপহার পেয়েছি। উপহার সংক্রান্ত কথাবার্তা অবশ্য খুবি চাছাছোলা হত।আমিই উদ্যোগ নিতাম। জিগেস করতাম বাজেট কত। এরপর বাজ়েট এর ভিতরে সবচেয়ে ভালো বই খুঁজে বের করতাম। আরেকটা ছেলেমানুষী করতাম নিজেকে জন্মদিনের গিফট হিসেবে একটা বই দেওয়া।
সব নিয়মের অবশ্য ব্যাতিক্রম হয়েছে গত বইমেলায়। আমার বিয়ের পর প্রথম বইমেলা। বর কানাডায়। আমি ঢাকায়। পুরো সময়টা আমি ওর পছন্দের লেখকের বই ও অটোগ্রাফ এর জন্য লেখককে খুঁজে বেরিয়েছি।বইমেলায় নিজের পছন্দের বই কেনার ব্যপারে আমি কখনো এত কেয়ারলেস হই নি।এবার বইমেলায় যেতে পারছি না।কবে যেতে পারবো তাও জানি না।তবে জানি কোন এক রঙ্গিন বিকেলে আবার যাব- খুব প্রিয় একজনের হাত ধরে, যখন ও আকাশ, রাস্তা, গরম, মানুষের ভীড় নিয়ে বিরক্তি ও উপদেশমালা দিয়ে ভালোবাসা লুকোতে ব্যস্ত, দুরুদুরু বুকে…
(প্রথমবার লেখা তাই :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: )

৩,৯৮৭ বার দেখা হয়েছে

৭৩ টি মন্তব্য : “বইমেলা….”

  1. রকিব (০১-০৭)

    দারুণ স্মৃতিচারণ ভাবী। পুরানো সেই দিনের কথা বেশ মনে করিয়ে দিলেন। কবে যে আবার বইমেলায় যাবো !! 😕
    অফটপিকঃ ভাইয়া আর আপনি এখন কোথায় আছেন??


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. তানভীর (৯৪-০০)

    ব্লগে লেখালেখির জগতে স্বাগতম। 🙂

    যতদিন হলে ছিলাম, নিয়মিত বইমেলায় যেতাম। যেতাম দুপুরের একটু পরে, যখন লোকজনের ভীড় কম থাকত। ওখানে গিয়ে বইগুলো ছুঁয়ে দেখার মধ্যেও একটা অন্যরকম আনন্দ আছে।
    এবার ইনশাল্লাহ অবশ্যই যাব।

    জবাব দিন
  3. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    চমৎকার স্মৃতিচারণ মেলিতা। প্রথম ব্লগ বলে ব্লগে স্বাগতম।
    বইমেলায় গিয়ে আমার অভ্যাস হলো বই এবং লেখক সংক্রান্ত প্যাচাল জুড়ে দেওয়া যার বেশিরভাগই লেখকদের শোনার জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক নয়। এটা নিয়ে আমাকে মাঝে মাঝেই ঠ্যাঙানির কাছাকাছি পৌছাতে হয়নি তাও নয়। এবার অবশ্য এখনও বইমেলায় যাওয়া হয়নি। ভার্সিটিতে হলে থাকতে চা খেতে বাইরে যাওয়ার স্টাইলে মেলায় যেতাম। এবার অবশ্য নিজের সময় আর যাওয়ার সঙ্গীর অভাবে এখনও যাওয়া হয়ে উঠেনি। তাও শান্তি দেশে আছি মেলায় যাবার সুযোগ আছে........ 😀 😀

    জবাব দিন
  4. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    মেলিতা দারুণ স্মৃতিচারণ। মনটা তোমার দেশেই পড়ে আছে!! আর আমি দেশে থেকেও গত কয়েকবছর ধরে বইমেলায় যাই কোনোরকমে শেষ সময়ে। লোকের ভিড়, ঠেলা ধাক্কার ভয়ে। একরকম দুপুরের দিকে যাই। আগে থেকে তৈরি তালিকা হতে। বড় জোর এক ঘণ্টার মধ্যে কম্ম শেষ করে ভাগি!! অথচ আশি, নব্বইয়ের দশকে দিনের পর দিন মেলা না ভাঙা পর্যন্ত আড্ডা, ঘুরাঘুরি............ নাহ্ আসলেই দিন শ্যাষ!!


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • মেলিতা

      থ্যাঙ্কু ভাইয়া।প্রবাসজ়ীবনের প্রথম ৬ মাসতো, দেশের জ্যামগুলো পর্যন্ত মিস করি। গত ৪/৫ বছর আসলেই বইমেলার অনেক ঠেলা ধাক্কা করে চলতে হয়েছে, এমন কি বছর ২ আগে একবার ভেবেওছিলাম যে আর বইমেলায় যাব না। স্মৃতিচারণে আসলে শুধু সুখের কথাই মনে পরে।

      জবাব দিন
  5. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    মেলিতা কী সুন্দর সহজ ঝরঝরে অকপট কথ্ন! অনেক বই পড়া থাকলে বোধহয় মনের ভেতর একটা লেখক সত্ত্বা এমনি এমনিই জন্ম নেয়।
    আমার কেন জানি দেশে থাকতে খুব একটা বই মেলায় যাওয়া হয়নি। বই কিনতাম নিউমার্কেটের বইপাড়া থেকে।

    না।তবে জানি কোন এক রঙ্গিন বিকেলে আবার যাব- খুব প্রিয় একজনের হাত ধরে, যখন ও আকাশ, রাস্তা, গরম, মানুষের ভীড় নিয়ে বিরক্তি ও উপদেশমালা দিয়ে ভালোবাসা লুকোতে ব্যস্ত, দুরুদুরু বুকে…

    ২০০৫ ফেব্রয়ারী মাসে দেশে যাওয়াতে আমার এই আশাটা পূরন হয়েছিলো। এর আগের ছয় বছরে কোন বাংলা বই পড়া হয়নি। তাই সেবার বুভূ্ক্ষের মতোন যাই দেখি তাই কিনি। পাশে নির্ঝর থাকাতে সুবিধা হয়েছিলো এই যে আমাকে কোন বোঝা টানতে হয়নি।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • মেলিতা

      ধন্যবাদ আপু। বইমেলা নিয়ে আমার অনেক সুখের স্মৃতি আছে।আমি ভবিষ্যতটাও সুন্দর আশা করি। আসলে এই লেখাটা কিছুটা ভবিষ্যতকথনের মতো।আমি ভবিষ্যত নিয়ে সুন্দর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।

      জবাব দিন
  6. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    সুন্দর স্মৃতিচারণ, ভাবি।
    বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিকে নিজের বইমেলায় যাবার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। তখন টিউশনি করে আমার সংসার চলে। 🙂 তার উপর চা-সিগারেট খাওয়া। পকেটে বই কেনার পয়সা থাকতো না। তবু প্রতিদিন মেলায় যেতাম। স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পছন্দের কোন বই পড়া শুরু করতাম। দোকানদার কটমট করে তাকানোর আগ পর্যন্ত পড়েই যেতাম। তারপর পরদিন আবার অন্য কোন স্টলে সেই বইটারই বাকি অংশ পড়া শুরু করতাম , একই ভাবে। এইভাবে শুধু মেলায় স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে আমি অনেক বই শেষ করে ফেলেছি। 😛


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  7. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    চমৎকার হয়েছে ভাবী... নিয়মিত লেখতে থাকুন... শুভ ব্লগিং


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  8. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    চমতকার লিখেছেন ভাবী । আপনি যে মামুন ভাইয়ের বৌ এটাতো খেয়ালি করিনাই । ফেসবুকে আপনাদের কুকিং এ্যাডভেন্চারের ছবি দেখি মাঝে মাঝে । মামুন ভাইকে আমার শুভেচ্ছা দিযেন । মেলায় লাস্ট গেছি ২০০৩ এ । আবার কবে যাবো বলতে পারিনা । তবে তারেকের (কনফু) কল্যানে মেলার বই ঠিকই আমার হাতে এসে যাচ্ছে । আরো লিখবেন আশা করি 🙂

    জবাব দিন
  9. মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    মামুন আঁতেলটা তো মনে হয় ক্লাসের বই আর চোথা ছাড়া কিছু কখনও পড়েনি। এখন আপনার সাথে থেকে যদি একটু উন্নতি হয় 😛

    সুন্দর লেখা । আমি লাকি , তিন বছর পর এবার বইমেলা ঘোরার সুযোগ পাচ্ছি।

    জবাব দিন
  10. হাসান (১৯৯৬-২০০২)
    আমরা গেলেই কেনো জানি মিডিয়াগুলো আমাদের সাক্ষাৎকার নিত অথবা ছবি। কিন্তু ছবি বা সাক্ষাৎকারকে এখনো আলোর মুখ দেখতে দেখি নি।

    :khekz: =))

    আমিও প্রিন্সিপাল স্যারের মত দুপুর বেলাতে যাই, ভীড় অসহ্য লাগে x-( আমাদের ব্যাচ, গুড 😀

    জবাব দিন
    • মেলিতা

      টিভি ক্যামেরা দেখলেই পিছলে সরে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। কারন হাতের সামনে দুষ্ট ছেলে মিষ্টি মেয়ে টাইপ বই থাকলে অইটা নিয়ে শক্ত হয়ে দাড়ায়ে থাকতে হত। ফ্রেন্ডরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে গেলেও ঝারি দিত x-(
      সারাদুনিয়ার ০২ ব্যাচ ই রক্স :gulli2:

      জবাব দিন
  11. মেলিতা

    স্কুল কলেজেও উপহার হিসেবেও
    আমাদের স্কুল থেকে নিয়ম ছিল ফেয়ার ওয়েলে পালামৌ দিবে
    কাছের আত্নীয় স্বজনের মধ্যে আমরা ৬ জন এক স্কুলে পড়তাম তাই ... :grr:
    তবে এই বইটার মত ভাল বই খুব কম পড়েছি।

    জবাব দিন
  12. আহমদ (৮৮-৯৪)

    লেখাটা দারুন নস্টালজিক। :boss:


    ছোট্টবেলার সেই দিনগুলো হারিয়ে
    খারাপ যে লাগেনা মনটা
    সেই লাল-নীল-হলদে রাজা-রানী পুতুলে
    ভরা ছিল জানালার কোনটা।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আছিব (২০০০-২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।