গতকাল আলসেমিতে আর অফিস যাওয়া হয়নি। দুপুর বেলা বস এর ফোন, আজকেও নাকি অফিস ছুটি। টানা দুই দিন ছুটি এই খুশি তে আবার ঘুম দিলাম। আজ একটা ইফতারের দাওয়াত আছে। মুরতাজা ভাইয়ের ক্ষূদ্রনরম কোম্পানি তে। নামে ক্ষূদ্র হলেও এদের অফিস শহরের সবচেয়ে উচচ ভবনে। এই ভবন এক সময় দুনিয়ার সবচেয়ে উচূ ভবন ছিল। ইহার ৩০ তলায় ক্ষূদ্রনরম কোম্পানির অফিস। আয়োজক ২ বার ফোন করে মনে করিয়ে দিল। ছুটির দিন তো, তাই ভাবছে ঘুম ভাঙ্গছে কিনা। দাওয়াত পত্রে লেখা, পোশাক হইতে হবে ‘স্মাট কাজ্যুয়াল’। না হইলে প্রহরি নাকি ঢুকতেই দিবে না। এতো শুনেছি শুধু মানুষ নাকি স্মাট হয়, আজকাল পোশাক ও স্মাট হয়ে গেছে। দিন আসলেই বদলে গেছে।
যাই হোক, বিকাল ৬ টার দিকে প্রাতঃ কাজ (!!) শেষ করে রওনা দিলাম। আমাদের এখান থেকে একটা ট্রেন ওই ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ড এ গিয়া থামে। এই ট্রেন আবার অটোমেটিক, কোন চালক নাই। টিকেট কিনতে হয় মেশিনে। আমি টিকেট কিনিয়া ট্রেন এ উঠলাম। ভাবছি চালক ছাড়া এই ট্রেন আবার কখন বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে তো সমূহ বিপদ। এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি (বিয়া তো করলাম না) । যাই হোক নিরাপদে স্টেশন এ নামিয়া তাড়তাড়া বাইরে যাবার রাস্তা খুঁজিতে শুরু করলাম। কারন ১০০ তলা ভবনের নিচের এই স্টেশন নিরাপদ মনে হচ্ছে না, যদি ভুমিকম্প শুরু হয়।
কিছুক্ষন পরে উহাদের লবিতে গেলাম। এক সুন্দরী রমনী আমাকে বরণ করিল। এর পর উহার সহকমী পুলিশগন আমাকে তল্লাশি করে একখানা স্মাট কার্ড দিলেন। কার্ডও আজকাল স্মাট হয়ে গেছে, শুধু আমরা এখন ও… মনে মনে বলিলাম একদিন আমরাও … ।
এরপরে লিফটের সামনে আসিলাম। লিফটের সামনে লেখা ৩০ সেকেন্ড এ ৩০ তলা। উচচ রক্ত চাপ থাকলে প্রবেশ নিষেধ। আমি ভাবছি, কি করব, ৩০ তলা হেটে উঠলে কি রক্ত চাপ উচচ থাকবে না নিচে চলে আসবে। আল্লার নাম নিয়ে রক্ত চাপ এর কথা ভাবতে ভাবতে চলে আসলাম হল রুমে। সবাই ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। আমিও লাইনের দিকে অগ্রসর হলাম। এর পরের কহিনী খুব করুন। ইফতারে তাহারা ৫ তারকা হোটেল এর দূর্গন্ধ যুক্ত চাইনিজ নুডুলস, সাথে অর্ধ সিদ্ধ মাছ ও সী ফুড, কাচা শাক সবজি, কিছু নাম না জানা মিষ্টি জাতিও আঠালো খাবার আর কিছু নরম পানীয়। আমি খাবার হাতে নিয়ে বিহবল হয়ে গেলাম ………।
মেনু দেইখাই তো আমার রক্তচাপ বাইরা গেল... ~x(
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আপনের কষ্ট বুঝি। কাল রাতে আমার কানাডিয়ান হাউসমেট আমারে আধা কাঁচা চিংড়ি খাওয়াইছে। নিজে বাড়ছে আমার জন্য, বেশি কইরা চিংড়ি দিছে আবার। খাইতে গিয়া আমার জান খারাপ। বেচারা মন খারাপ করব দেইখা আমি হাসি হাসি মুখ কইরা পুরাটা খাইছি। খাওয়ার চেয়ে হাসি হাসি মুখ কইরা থাকাটা বেশি কষ্টের ছিল। 🙁
room mate ta ki M na F ?? :)) :))
যদিও সঠিক টার্মিনোলজিতে রুমমেট, তারপরও কেউ যাতে ভুল না বুঝে তার জন্য লিখলাম হাউসমেট। কিন্তু.......
কানাডায় মেল ফিমেল ব্যাপার না, সবই জায়েয। তবুও যদি জানতে চান, মেল ছিল ওইটা। ভালো পোলা। ট্রমবোন বাজায়, মিউজিক স্কুলে যায়।
Boss ... tar mane ki hoilo??? 😛
মামু আপনেও কি ক্ষুদ্র নরম কোম্পানিতে যাওনের ধান্ধায় আছেন?হালাগো ইফতারের মেনু দেইখা বিল গেটসের পসচাদ্দেশে একটা গদাম কইরা বসায় দিতে ইচ্ছা করল... x-( মুমিন মুসলমানরে উল্টা পাল্টা ইফতার দেয়... x-(
আমি আজকে ইফতার করছি (যদিও রোজা ছিলাম না) খেজুর, জিলাপী,রুহ-আফজা,আলুর চপ,বেগুনী,ছোলা,পিয়াজু,সুতি-কাবাব,কলা,মুড়ি,হালিম,পানি আর বেন্সন এন্ড হেজেস দিয়া।
কারটা ভালো এইবার বলো।
মেহেদি, ইফতার এর দাওয়াত না অন্য কিছুর দাওয়াত ছিল সন্দ লাগতাসে। কামরুল হাসান সাব, এইটা অন্যায়, ইফতার এর এইসব আইটেম এর কথা মনে করাইয়া দিয়া এই মুমিন বান্দারে কষ্ট দিতাসেন।
কামরুল ভাই, আমারে না ডাইলে একা একা ইফতার করাডা কি ঠিক হইছে? x-(
তোর তো দাম বাইড়া গেছে। দাউয়াত দিয়া আনতে হয়। আচ্ছা যা দিলাম।
যেকোন দিন,যা খাইতে চাস। আসার সময় আমার বই নিয়া আসবি।
কালকে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব এ কুমিল্লার ইফতার আছে...।সবাই আইসেন ভাই। 🙂 🙂 🙂