কাকঁড়া দ্বীপে আরেকবার

গত চাইনিজ নিউইয়ার ছুটিতে গিয়েছিলাম কাকঁড়া দ্বীপ, কিন্তু ছিলাম মাত্র কয়েক ঘন্টা, তখনি প্লান ছিল, আবার আসব এখানে, রাতে থাকতে হবে, এবারের থিম্পুসানের ছুটিতে আবার আমাদের সমুদ্র যাত্রা।

মাছধরা ট্রলার

মাছধরা ট্রলার


সকাল ১১ টাঃ ছুটির দিনের প্রাথমিক আলস্য কাটিয়ে যাত্রাহল শুরু, কে-এল সেন্টাল হয়ে ক্লাঙ্গ বন্দরের জেটিতে আসতে আসতে ১টা বেজে গেল। বেশি মজা করার জন্য ফেরি বাদ দিয়ে উঠলাম কাঠের মাছধরা ট্রলারে, প্রায় ১.৩০ ঘন্টা লাগল দ্বীপে আসতে, পাথে অবশ্য মানগ্রোভ বন দেখলাম, কারন, ট্রলার কিছুদুর যায় একটা দ্বীপ এর মাঝখানের একটা নদী দিয়ে, জনমানবহীন এই দ্বীপ জুড়ে শুধু গাছ আর গাছ।
7046432
দুপুর ২টাঃ সমুদ্রের সব চেয়ে কাছের হোটেল সি লায়ন, একটা ডাবল বেড এর রুম নিয়ে আর ২টা সাইকেল ভাড়া নিয়ে বের হলাম দ্বীপ ভ্রমনে, ৩ কিমি লম্বা এই দ্বীপ এব প্রায় পুরোটা চষে বেড়ালাম। রাতের খাবার খেলাম বিরাট একটা আস্ত মাছভাজি আর ভাত।
কাকঁড়া দ্বীপের ভিতরে খাল আর রাস্তার পাশে বাড়ি

কাকঁড়া দ্বীপের ভিতরে খাল আর রাস্তার পাশে বাড়ি


রাত ২টাঃ সামনে, বিশাল একটা সমুদ্র, আমি আর আমার বন্ধু বসে আছি জাহাজ থামার লম্বা জেটির মাথার খোলা জায়গায়, নিচে ঢেউ এর ছপাত ছপাত শব্দ, মাথার উপরে বিরাট একটা চাঁদ, দূর সমুদ্র থেকে আসা রাতের ঠান্ডাবাতাস, একটু দূরে, জেলেদের পল্লীথেকে ভেসে আসা গানের সুর, সাথে কয়েকটা “টাইগার” এর বোতল, আ হা জীবনটা আসলেই খুব সুন্দর,
হোটেল সি লায়ন

হোটেল সি লায়ন


সকাল ৮টাঃ প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে, হোটেলের বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দোখছি, হালকা সবুজ জলের সাগর বৃষ্টিতে ভিজছে, বৃষ্টি মাথায় করে বের হলাম খেতে, অনেক খুজে একটা দোকান পেলাম, খাবার, চাইনিজ ডাক রোষ্ট, হলুদ ভাত আর চাইনিজ চা। খবার খেতে খেতে আমার বমি চলে আসালো, মিল্লাত তাড়াতাড়ি বিস্কুট নিয়ে আসলো, আমি খালি বিস্কুট খেয়ে চলে আসলাম জেটিতে, ৯.৩০ এ ফেরি ছাড়বে,আবার ফিরে যাবার সময় চলে আসছে, কাল অফিস আছে, আবার সেই লুপবন্দী জীবন, বিদায় কাকঁড়া দ্বীপ।
আজ ফিরে না গেলেই কি নয় ...

আজ ফিরে না গেলেই কি নয় ...


খুব দ্রুত চলছে আমাদের ফেরি, আমার কানে বাজছে তপন এর গানটি, “আজ ফিরে না গেলেই কি নয় …”, কিন্তু ফিরে তো যেতেই হয়, চাইলেও আর না চাইলেও … এবার কিছু ছবি দেখুন
payabakau1
pulauketam03
img_1881small

১,৭১৪ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “কাকঁড়া দ্বীপে আরেকবার”

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।