সাদা বালি আর নীল জলের দেশে

মালয়শিয়া আসার পর থেকেই চারপাশে শুধু রেদাং এর জয় গান,সবার এক কথা, রেদাং সেই রকম জায়গা, রেদাং না দেখলে জীবন বৃথা। আমিও বেশ অনেক দিন ধরে প্লান করছিলাম রেদাং এ যাবার। কিন্তু নানা সমস্যার কারনে আর যাওয়া হয়নি।তাই এবার এক লং উইকেন্ড পেয়ে রওনা দিলাম সাদা বালি আর নীল জলের দেশে । পাবলিক হলিডের কারনে কোন রির্সোট খালি নেই। বেশ কয়েক জায়গায় ফোন করে যায়গা পেলাম রেদাং বিচ রির্সোটে। বেশ বড় একটা গ্রুপের সাথে যাচ্ছি, তবে আমি বাদে সবাই মালয়শিয়ান।

রেদাং কুয়ালালুম্পুর থেকে প্রায় ৫০০ কিমি উত্তরে তেরেন্গানু রাজ্যে অবস্থিত। ২৭ তারিখ রাত ১০ টায় বাস,৯ টার সময় বাস স্টপে গিয়ে দেখি হাজারো মানুষের ভীর। সবাই লং উইকেন্ড পেয়ে বেড়াতে যাচ্ছে। শহর থেকে বের হতেই পুরো হাইও্য়ে জুড়েই সারি সারি গাড়ি।এই গাড়ির মিছিল পেরিয়ে আমরা কুয়ালা তেরেঙ্গানু পৌছে গেলাম ভোর ৫.৩০ এ, একটু পরে ট্র্রুর কোম্পানীর মাইক্রো বাস এসে হাজির। তাদের অফিসে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে মাইক্রো বাস ছুটলো ৩০ কি,মি দুরের মেরাং জেটিএ উদ্দেশ্যে।

মেরাং থেকে রেদাং ৪৫ নটিক্যাল মাইল। এক ঘন্টার স্পিড বোড যাত্রায় পৌছে গেলাম রেদাং। নীল জলের পাশে সাদা সৈ্কতের পাশে সারি সারি রির্সোটে। আমরা চেকিং সেরে গেলাম লাঞ্চ করতে। একটু পরেই আমাদের নিয়ে স্পিড বোড রওনা দিলো গভীর সমুদ্রে। স্ফটিক সচ্ছ নীল জলের মাঝে ঘন্টা দুই স্নোকিং করে ফিরলাম রির্সোটে।

রাত বাড়তেই চারপাশ আলোকিত করে উঠল বিরাট একটা চাদ। সাদা বালির সৈকতে চাদের আলোর এই অদ্ভুত পরিবেশে সবাই বিমুগ্ধ হয়ে বসে রইলাম অনেক রাত পর্য্যন্ত। পরদিন সকাল শুরু হল সূর্যোদ্য় দিয়ে। আমাদের রির্সোটের সামনে থেকেই দেখা যায়, কিভাবে নীল সমুদ্রে উকি দেয় লাল সূর্য্য। পরের দিন মেরিন পার্কে রং বেরং এর হাজারো মাছ আর কোরাল দেখলাম সাথে ছিল কয়েকটা বাচ্চা হাঙ্গর। এর পরে আরও একদিন ছিলাম, সৈ্কতে সৈ্কতে ঘুরে বেড়ানো, স্নোকিং আর রাতে উথাল পাথাল বাতাসে চাদের আলোর সৈ্কতে জমাজামাট আড্ডা। সব মিলিয়ে একটা আসাধারন ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসলাম এই হতাশার শহরে।

৯৭০ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “সাদা বালি আর নীল জলের দেশে”

মওন্তব্য করুন : আছিব (২০০০-২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।