মেঘ পাহাড়ের দেশে

আকাশে হলুদ একটা বিশাল চাদ, আমি হাটছিলাম নরম ঘাসের মাঠের ঠিক মাঝখানে। পায়ের নিচে শিশিরে ভেজা, নরম দুব্বা ঘাস। মাঠের একপাশে আকাশ আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে একটা বিশাল পাহাড়। দূর থেকে যে পাহাড়ি হিমেল বাতাস ভেসে আসছে, তাতে হি হি করে কাপছি আমি। মাঠে আরেক পাশে একটা ছোট নদী, সেখানে ঝর ঝর শব্দে বয়ে যাচ্ছে স্ফটিক সচ্ছ পানি। নদীর পাশে কিছু বসার বেঞ্চ আর পাইন গাছের সারি। ১২ টার দিকে, ঠান্ডায় ফিরে আসলাম হোটেলে, সাথে একটা টাইগারের ক্যান। শনিবার রাতটা কাটিয়েছি, ১৪০০ মিটার উচু “তানহা রাতা” নামের একটা হিল স্টেশনে।
malcamtea

পরদিন সকালে, ঘুম ভাংগলো খুব তাড়াতাড়ি, সকালের নাস্তা করেই গেলাম কাছের একটা “জল প্রপাত” দেখতে। এর পরে বনের মাঝের ট্রেইল ধরে গেলাম আরেক জলপ্রপাত আর ওয়াচ টাওয়ার দেখতে।
robinson_waterfall
৬০০০ ফুট খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠে একবারে খারাপ স্টাবেরি ফার্ম, চা-বাগান, আর ১৫০০ মিটার উচু ব্রিঙ্গাল নামের ছোট শহর, আদিবাসি, সব মিলিয়ে একটা জম জামাট ছুটি কাটিয়ে এখন আবার ফিরে আসলাম সেই মন খারাপ করা শহরে।
82254247bikim5ns

১,৬৮১ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “মেঘ পাহাড়ের দেশে”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    ছবিগুলা দেখে খুব হিংসা হচ্ছে! ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে যাই! 🙁
    আরেকটু বেশী বর্ণনা দিও রে ভাই। নিজেরা তো যেতে পারিনি, তোমার লেখা দিয়েই না হয় দেখে নিব।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মেহেদী হাসান সুমন (১৯৯৫-২০০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।