আসুন নিজের সংস্কৃতিকে বলাৎকার করি … …

১.
ঢাকার ৪০০ বছরের ইতিহাসে যে অপূর্ণতা ছিল, তা পূরণ হল এইতো মাত্র কিছুদিন আগে। অবিভক্ত সাংস্কৃতিক ভারত (বাংলাদেশ এবং ভারত) – এর বাদশাহ শাহরুখ খান ঢাকায় এসে আমাদের রাজধানী ঢাকার ইতিহাসকে ধন্য করে গেলেন। শাহরুখকে একটা কারণে অবশ্যই ধন্যবাদ দেই, তিনি আমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা কিভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধর্ষণ করছি । শাহরুখ ঢাকায় শো করে গেছেন – এটা কি শাহরুখের দোষ ? আমরা সেই শো দেখতে হাজার টাকার টিকেট করেছি – এটা কি দোষের কিছু ? দুটোর উত্তরই “না” … …

আমার দেশের মাটিতে দাড়িয়ে শাহরুখ হিন্দিতে পুরো শো চালিয়ে যেতে পেরেছেন, এটা মোটেই শাহরুখের দোষ নয়, বরং এটা শাহরুখদের সফলতা: তারা তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভারতের সীমা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন পৃথিবীর মাঝে । পারিনি আমরা … নিজেদেরটা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া তো দূরে থাক, নিজেরাই নিজেদেরটা ধরে রাখতে পারিনি … … অথচ আমরাই পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি । কোন কিছুকে “নিজের” বলে দাবী করতে হলে তার প্রতি কিছু দায়িত্ববোধ থাকতে হয়; আসুন নিজেকে একবার প্রশ্ন করি, বাংলা ভাষার প্রতি এমন কী দায়িত্ববোধ আছে আমার যাতে আমি বাংলাকে নিজের ভাষা বলে দাবী করতে পারি ???

“বাংলা” আমাদের ভাষা – এটা সত্যি নয়। বাংলা রফিক-শফিক-ছালাম-বরকতদের ভাষা। ওদের মৃত্যুর পরে আমরা দীর্ঘদিন বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে উপভোগ করেছি, এরপর বাংলাকে উলঙ্গ করে নাচিয়েছি , আর এখন উলঙ্গ বাংলাকে প্রতিনিয়তই ধর্ষণ করে চলেছি । হয়ত রফিক-শফিকরা বেঁচে থাকলে ওরা আর একবার চেষ্টা করত ওদের ভাষাকে বাঁচানোর জন্যে … …

২.
২/৩ বছর আগে কোন এক ঈদের কথা। ঈদের সময় মাইক-টাইক সারাদিন একটু গরমই থাকে। গান-বাজনা ছাড়া কি আর ঈদ হয় ! কিন্তু সেবার ঈদে প্রতিটি মাইক-স্পিকারই একই গান গাইছে, আর সেটা সে সময়ের সারা জাগানো ভারতীয় গান, “হরে কৃষ্ণা, হরে রাম … …” ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে চিন্তা করলে “ঈদ”এর দিনে কিছুতেই “কৃষ্ণ-রাম”-এর গান বাজতে পারে না । আর আমাদের যে তরুণ প্রজন্ম এই গানের মূল শ্রোতা ছিল, তারা কিন্তু “ঈদ-কৃষ্ণ-রাম” এসব কিছু চিন্তা করে ঐ গান শুনেনি। তাদের কাছে “ঈদ” একটি “জাতীয় উৎসব” , আর “হরে কৃষ্ণা, হরে রাম … …” গানটি ছিল “উৎসবে বিনোদনের মাধ্যম।” আমাদের দেশে “ঈদ” এখন আর শুধু ধর্মীয় উৎসব হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন আমদের উৎসব; আমার হিন্দু বন্ধুদের অনেকেই আমাকে ঈদের দিনে SMS পাঠায় “ঈদ মুবারক” আর পূজার দিনে পাঠায় “শুভ বিজয়া” কিংবা “শুভ দশমী” … আমিও এমনই। এ দেশে ধর্ম আমাদের কোন কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি কোনদিনই। তাইতো আমরা রোজা-পূজা পালন করতে পেরেছি একই সাথে। যাই হোক , যা বলছিলাম, উৎসব আর উৎসবের আনন্দ । আমাদের জাতীয় উৎসবে বাজছে “ভারতীয় গান।” তাও আবার কোন বিশেষ গোষ্ঠীর মাঝে নয়, পুরো দেশ জুড়ে … … জয়তু ভারতমাতা … …

৩.
এইতো সেদিন, গত ১৫, ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বরে গেলাম ক্যাডেট কলেজের পুনর্মিলনী। ১৫ তারিখ রাতে কনসার্টে অংশ নিতে ঢাকা থেকে এলো দুই নারী-কণ্ঠশিল্পী । এদেরকে Lady Singer বললেই এদের মাহাত্ম্য ভাল করে বোঝা যায়। একেবারে ভাজে-ভাজে সৌন্দর্য !!! যাই হোক, ১৫ ডিসেম্বর রাতের কনসার্ট, স্বভাবতই এরা “দেশের গান” দিয়ে শুরু করল … কিন্তু হায়, ২/১ টি গান যেতেই সবাই “শিলা … … শিলা …” বলে চিৎকার … … মানে তাদেরকে “শিলা” গেয়ে শোনাতে হবে। “শিলা কী” – এটা যারা জানেন না, তাদের জন্য বলি, “শিলা হচ্ছে ডিসেম্বর ২০১০ এ বাজার মাতানো ভারতীয় সিনেমার গান যেখানে ক্যাটরিনার কোমর দোলানো আপনাকে মুগ্ধ করবেই !!!” যাই হোক, ডিসেম্বর মাস, তাও আবার ১৫ ডিসেম্বর রাত, অনুষ্ঠানের আয়োজক BEXCAএর পক্ষ থেকে কিছুতেই হিন্দি গানের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু আইন করে তো আর কাউকে শ্রদ্ধাশীল করা যায় না, তাই দর্শক-শ্রোতাদের মুহুর্মুহু অনুরোধের কারণে হিন্দি গানের অনুমতি পেতে সময় লাগল না ; আর যায় কোথায় … অনুমতি পাওয়া মাত্রই শুরু হল জনপ্রিয় সব হালের হিন্দি গান … … নাচছে Lady Singer, দুলছে শ্রোতা … … মাত্র ১৫/২০ মিনিট পরেই আমাদের “জাতীয় বিজয় দিবস” … … … জয়তু ভারতমাতা, জয়তু রাজা হিন্দুস্তানি … …

৪.
আমাদের কোন অনুষ্ঠানই এখন আর হিন্দি ছাড়া জমে না। সেটা বিয়ে, জন্মদিন, কিংবা কোন জাতীয় উৎসব – যাই হোক না কেন । আমাদের ঘরে ঘরে চলছে হিন্দি সিরিয়ালের মহড়া … … এমনকি এখন ক্লাস ৫/৬ এর ছেলেমেয়েরাও চরম হিন্দি বলতে পারে টেলিভিশন নামের এই অদ্ভুত যন্ত্রটির কল্যাণে।

আচ্ছা, আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে দিনে দিনে হিন্দি-প্রেমিক হয়ে যাচ্ছে – এটা কি ওদের দোষ ???
বিদেশী ভাষার গান শোনা, মুভি দেখা কি অপরাধ ???
শাহরুখ খানরা এদেশে আসলে তার শো এর টিকিট কেনা কি অপরাধ ???
এমন আরও অনেক প্রশ্ন আসে মনে … …
সবাই খালি “না , না …” উত্তর দেয়, সবাই এসকে ধিক্কার জানায়, কিন্তু সবার বাসায়ই টিভি খুললেই চলছে হিন্দি সিরিয়াল … … …

৫.
পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন,২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর – এগুলো এখন আমাদের জাতীয় আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। বছরে সারা মাস জুড়ে বাংলা ভাষাকে বলাৎকার করে ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই “আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙানো …” একটা গান গেয়ে আমরা আমাদের সারা বছরের বলাৎকারের পাপমোচন করি। ২২ শে ফেব্রুয়ারি থেকে আবার পুরো উদ্যমে শুরু করি বলাৎকার … … … বছর জুড়ে নিজের সংস্কৃতিকে ধর্ষণ করার পরে পহেলা বৈশাখ কিংবা পহেলা ফাল্গুন এলেই আমাদের বাঙালিয়ানা উপচে পড়ে … … আমরা একদিনের জন্যে বাঙালি হই … তবে যেহেতু এগুলো আমাদের জাতীয় উৎসব, তাই সেদিন বেশি দূরে নয় যখন পহেলা বৈশাখেও আনন্দ করার মাধ্যম হিসেবে মাইকে মাইকে বাজবে হালের কোন হিন্দি গান … …

৬.
ভারত আমাদের দেশকে তাদের প্রদেশ বানাতে বানাতে পারবে কিনা – এই রাজনৈতিক প্রশ্নে যেতে চাই না। তবে বর্তমান অবস্থা বজায় থাকলে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দিক থেকে খুব সহজেই ভারতের সাথে মিশে যেতে খুব বেশিদিন আর লাগবে বলে মনে হয় না … … দু:খ হচ্ছে রফিক-শফিকদের জন্যে … বেচারা জীবন দিয়ে একটা জাতির জন্যে কেবল মাত্র একটা জাতীয় উৎসব নিয়ে আসলেন … … আর তরুণ প্রজন্মের দোষ দিয়ে লাভ নেই , দায় তরুণদের নয়, কারণ নিজের ভাষাকে কিভাবে চর্চা করতে হয় – সেটা তাদের শেখানো হয়নি … … “মা” যদি সারাদিন টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল নিয়ে পড়ে থাকে , তাহলে তার মেয়ে বড় হয়ে বাংলা গানের ভক্ত হবে – এটা আমরা আশা করতে পারি না … … আমরা নিজেদের সংস্কৃতি অন্যের মাঝে ছড়ি দেয়া তো দূরে থাক, নিজের ঘরেই নিজের সংস্কৃতির চর্চা করতে পারিনি – এ দোষ কি শাহরুখ খানের ??? আমাদের RJ-রা প্রতিনিয়ত রেডিওতে বাংলা ভাষাকে উলঙ্গ করে নাচাচ্ছে – এ দোষ কি হিন্দি গানের ??? পৃথিবীর সব দেশই তার ভাষা, তার সংস্কৃতি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়। আমরা উদার জাতি, আমরা চাই অন্যেরটা গ্রহণ করতে … … … আসুন প্রতিদিন নতুন করে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতিকে বলাৎকার করার নতুন নতুন পদ্ধতি বের করি … … … আর দিন শেষে গাই :

তোমরা একতারা বাজাইও না, দোতারা বাজাইয়ো না, একতারা বাজাইলে মনে পইড়া যায় – একদিন বাঙালি ছিলাম রে … … … একদিন বাঙালি ছিলাম রে … … …

[বি.দ্র. আমরা যারা বাংলায় গান গাই, আমরা যারা বাংলার গান গাই, তাদের কাছে অনুরোধ :শুধু সমালোচনা নয় নিজের সুচিন্তিত মতামত দিন, কীভাবে এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব ।]

[চলবে]

১,৯৫১ বার দেখা হয়েছে

১৯ টি মন্তব্য : “আসুন নিজের সংস্কৃতিকে বলাৎকার করি … …”

  1. শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

    সব হিন্দী চ্যানেল বর্জন করা হোক.......ডাইরেক্ট একশন...যদি সত্যিই আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার ইচ্ছা থাকে...
    btw,প্রথম হইলাম মনে হয়? 😛


    People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

    জবাব দিন
  2. রেশাদ (১৯৯৩ -৯৯)

    খুব বড় কোন লক্ষ্য না, পরিবর্তন যেহেতু ঘর থেকেই শুরু করতে হয় আমি কেবল আমার ঘরেই হিন্দি বর্জন করব এটুকু বলতে পারি। সম্ভবত আমার মত অনেকেরই বউ এর সাথে ঝগড়া লাগার অন্যতম কারণ টিভি তে কি চলবে সেই দ্বন্দ। তবে ঝগড়া না করে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টার একটা স্থায়ী সমাধান করে ফেলা উচিত। আমাদের ছেলে মেয়েরা হতে পারে একটা বিরাট সহায়ক মাধ্যম, আমি নিশ্চিত আমার বউকে যদি জিজ্ঞেস করি সে তার ছেলেকে পরকীয়া আর উন্নাসিকতা শিখাতে চায় কিনা, উত্তরটা না ই হবে।
    লেখাটার নামকরণে হিন্দিটা বর্জন করতে পারো। বিষয়ের সাথে সাংঘর্ষিক বলে।

    জবাব দিন
    • শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

      আমার মনে হয় ঘরে বর্জন করে তেমন লাভ হবে না।বাচ্চারা তখন বাইরের থেকে প্রভাবিত হবে।কলেজে যেমন হয়,দেখা গেল একজন হয়ত ভ্যাকেশনে একটা হিন্দী সিনেমাটা দেখে নি,কিন্তু আড্ডা হচ্ছে,সেখানে সে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবিত হবে।পশ্চিমবঙ্গে যেমন হয়,সেখানে বাংলাদেশের চ্যানেল নাই,কারণ এতে বাংলাদেশ দ্বারা প্রভাবিত হবে(পড়ুন বাংলা সংস্কৃতি/ভাষা)শক্তিশালী হবে।আর এই টিভি দিয়ে কিন্তু ব্যাপক মগজ ধোলাইও হয়।আপনি বুঝতেই পারবেন না,আপনাকে কিভাবে মোটিভেটেড করা হল।এখন সরকার যদি কঠোর হয়ে কাজটা করে তাহলেই হবে।চিল্লাপাল্লা একটু হবে,কিন্তু বিটিভি'র যুগে যেমন চলা যেত,এখনো চলে যাবে।এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও ভালো নির্মাতা হবে,পুরা শিল্পটা উন্নত হবে।


      People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

      জবাব দিন
      • রেশাদ (১৯৯৩ -৯৯)

        মগজ ধোলাই এর বিষয়টা মনে হয় এখন সবাই বোঝে, আর বুঝেশুনেও আবার ঐ পথ মাড়ানোর কারন একটাই, মন আর মস্তিষ্কের চিরায়ত সংঘর্ষ।
        বড় কিছু করবো ভেবে আমরা অনেক সময় ছোট করে হলেও শুরু করতে ভুলে যাই। সরকার কিংবা অন্য কেউ এসে করে দেবে ভেবে আমি কেন আমার কাজটা করব না? ছোট হলেও আমার শুরুটা আমিই করি।
        প্রভাবিত হওয়ার অধিকার প্রত্যেক শিশুরই থাকা উচিত, কিন্তু বাবা মা হিসেবে আমরা তাকে ভাল আর মন্দের পার্থক্যটা বোঝাতে পারলেই আমার কাজটা করতে পেরেছি ভাবতে ভাল লাগবে আমার।

        জবাব দিন
  3. আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

    তারিক@আমাদের মেডিকেলে ক্যাডেটদের একটা সংগঠন আছে,তার একটা আয়োজনে ডিসকো পার্টির বিরোধিতা করায় আমাকে কেউ সাহায্য করেনি।এটি বাস্তবতা।এদেশের শিল্পী অভাবে মারা যায়,আর আমরা হাজার হাজার টাকা দিয়ে বিদেশী শিল্পীর নাচ দেখি।এটাও বাস্তবতা।
    অন্য রকম বাস্তবতার জন্য আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
    রেশাদ ভাই@আপনার ফর্মূলাটা বেশ!সবার এই রাস্তাটা ধরা উচিত। বোনকে সাথে নিয়ে যে গানের ভিডিও দেখা সম্ভব না তার বিয়ে বা গায়ে হলুদে সে গান বাজতে দেবার মানে কী?মনোবিজ্ঞান বলে ওই গানগুলি বাজার সময় আমাদের মস্তিষ্কে এর দৃশ্যআয়ন হয়।

    জবাব দিন
  4. নঈম (৮৭-৯৩)

    সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে গেলে সবার আগে বিকল্প সামনে আনতে হবে। যদি বলা হয়, আসুন আমরা ভারতীয় বা হিন্দি সংস্কৃতি বর্জন করি, তবে বিকল্প সংস্কৃতিও সামনে তুলে আনতে হবে। সরকার দেশী সংস্কৃতির বিকাশে ভর্তুকি দিতে এবং আরোও বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দিতে পারে। মূল প্রস্তাবনার সাথে সহমত; আমাদের সংস্কৃতি আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।

    জবাব দিন
  5. Globalization!!!!!
    ধর্ম যেমন আর জোড় করেও টিকানো যাচ্ছে না। ঠিক তেমনি হয়ত অনেক জাতি স্বত্তাও বিলুপ্তির পথে। আবারো ডারউনের মতবাদ টানতে হচ্ছে। যাদের ক্ষমতা বেশী তারাই হয়ত টিকে থাকবে।
    তো, আমরা কি পারি না একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিনত হতে? তবেই হয়ত বলতে পারব আমরা বাঙালি। না হয় সবসময়ই গাইতে হবে

    তোমরা একতারা বাজাইও না, দোতারা বাজাইয়ো না, একতারা বাজাইলে মনে পইড়া যায় – একদিন বাঙালি ছিলাম রে … … … একদিন বাঙালি ছিলাম রে … … …
    জবাব দিন
  6. জুনায়েদ (০৪-১০)

    কোন সমস্যা ছিলনা যদি শাহরুখ খানরা তাদের সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করত, কারণ সেক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ হত।কিন্তু তারাতো তাদের দেশেরটার প্রতিনিধি না ,কারণ তারা যে সংস্কৃতিকে তুলে ধরে সেটা খিচুড়ি সংস্কৃতি।বলিউডের কালচার আর ভারতের কালচার সম্পূর্ণ আলাদা। এখন আবার শুনছি বিশ্বকাপ এর উদ্বোধনীতেও এই কাজ চলবে,অবশ্য বচ্চন পরিবার দিয়ে 😕


    জুনায়েদ

    জবাব দিন
  7. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    তোমার পোস্টের সাথে আমি একমত পোষন করি। এ ব্যাপারে পরিবর্তন আনতে আমাদের যেমন পারিবারিক ভাবে সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন, স্কুল, কলেজ ইত্যাদির মাধ্যমে দিক নির্দেশনা ও সরকারে উদ্দ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। এই সর্বমুখী সচেতনতা/উদ্দ্যোগ না থাকলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের উপায় নেই।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।