২০ টি মন্তব্য : “*”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আলোচনা ভালো লাগলো মনোজ।
    বাংলাদেশের, উঁচুমানের ছবি কবে পাবো কে জানে।
    গল্প ভালো তো প্রোডাকশন ভালো না,
    প্রোডাকশন চটকদার তো গল্প সাদামাটা বা গল্প নেই।
    পোস্টারটি কিন্তু ভালো হয়েছে। গানটা শুনে নিতে হবে।
    গানের আরেক প্রবলেম : শুরুর লাইনে চমক তো একটু এগুতেই জারিজুরি ফাঁস,
    সেই একই প্যানপ্যানানি।
    অথচ আমদের না আছে গল্পের অভাব, না গল্প দেখার চোখের অভাব।
    তোমার নিজস্ব চলচ্চিত্র ভাবনা নিয়ে লেখাটি আসছে কবে?

    জবাব দিন
    • মনোজ

      ধন্যবাদ ভাই।
      বাংলাদেশে উঁচুমানের ছবি ... আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সৃষ্টিশীলরা পৃথিবী, জীবন ও মানুষের গভীরতা এবং বৈচিত্র্য পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে, তাদের তুলনামূলক গতানুগতিক সংকীর্ণ ধারণা ত্যাগ করে ...ততদিন পর্যন্ত কোন আশা নেই। বাজেটের সংকট আমাদের, কাটবে না। আমাদেরকে পুরোপুরি ভাবে গভীর কাহিনী নির্ভর লো বাজেটের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকিং এর দিকে ঝুঁকতে হবে, যা ক্ষেত্রবিশেষে নিওরিয়েল হতে পারে, হলেই উত্তম।
      গানটা শুনে দেখবেন, গোপাল গোসাই নামক কারো লিখিত, গানের কথা বেশ সুন্দর।
      গল্পের অভাব নেই, গল্প দেখবার চোখেরও অভাব নেই, কিন্তু তা ধারণ করবার এবং নিজস্ব দর্শনে প্রকাশ করবার মানসিকতা, যোগ্যতার অভাব বোধ করছি। 😐
      আমার নিজস্ব ভাবনা নিয়ে লেখার ইচ্ছা সর্বদা জাগ্রত, কিন্তু ডেডিকেটেডলি ইনভলবড্ না থাকলে ব্যপারটা ভালভাবে করা কষ্টকর, আর সেটাও সম্ভব হয়ে উঠে না। 🙁 আরও একটু এদিক ওদিক দেখি, শীঘ্রই লেখার ইচ্ছা আছে। 🙂
      (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)


      There is no spoon

      জবাব দিন
      • আপনার উপলব্ধির সাথে সহমত। আমি অনেক বছর ধরেই বাংলা নাটক বা টেলিফিল্ম বা সিনেমা দেখার সুযোগ পাই না, কিন্তু টুকিটাকি যা দেখি তাতে মনে হয়, নাগরিক জীবনের কিছু উপসর্গকে নির্মাতারা নাগরিক জীবনের এসেন্স হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এই নির্মাতাদের মধ্যে ব্যতিক্রম হিসেবে দাঁড়ানোর একটা প্রচ্ছন্ন চেষ্টা আছে, কিন্তু সিনেমায় পুনরাবৃত্ত চেহারা আর দুর্বল অভিনয় তাদের সবাইকে আবার এক কাতারে টেনে আনে। মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলার মতো সিনেমা কিংবা সিনেমাচরিত্র আমরা পাচ্ছি না। দর্শককে কয়েক ঘন্টার জন্যে ধরে রাখার উদ্দেশ্যেই হয়তো এগুলো তৈরি হচ্ছে, এর বেশি কিছু হয়তো নির্মাতারাও চাইছেন না।

        পাশাপাশি আরো মনে হয়, সব দোষ নির্মাতার ঘাড়ে ফেলতে চাওয়াও ঠিক নয়। সিনেমার দর্শকও তৈরি করতে হবে আমাদের। প্রত্যাশা আর সামর্থ্যকে ক্রমশ কাছাকাছি আনতে পারার কাজটুকু করতে হবে।

        জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    লেখাটা বেশ ম্যাচিউর, পড়ে আরাম পেলাম।

    আমি অবশ্য সিরিয়াস ক্রিটিক টাইপ কেউ নেই, অবশ্য সিসিবিতে তুমি অনেক ছেলে পাবে যারা সিনেমা নিয়ে বেশ ভাবে।

    আমার হিসাব বলে বাংলাদেশে সিনেমা-নির্মাতা-আর্টিস্ট এখন পর্যন্ত প্রফেশনের মধ্যেই আছে, প্যাশনে নেই কেউ, তাই একই ঘুরপাকে আছে সব।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
      • মনোজ

        ধন্যবাদ ভাই 🙂

        প্যাশান আর প্রফেশান এর তফাতটা, তাদের ভাবনা আর কাজের তফাতের সমান্তরাল। বক্তব্যে তাদের দর্শন প্রবল অনুরাগময়, কিন্তু কর্মে তার প্রতিফলন নেই- এই ব্যাপারটা আমাকে খুবই হতাশ করে।
        ধীর লয়ের তো বটেই, কাহিনীর কোন ঘনত্ব নেই, অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘায়িত সংলাপ ...আমি নেহাতই মধ্যপথে কোন ছবি ছেড়ে উঠি না, তাই দেখে ফেললাম 😐 (সম্পাদিত)


        There is no spoon

        জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)

    দেখা হয়নি, তাই সিনেমা আর রিভিউর তুলনাটা সেভাবে দাঁর করাতে পারলাম না।
    কিন্তু লেখবার আঙ্গিক এবং স্টাইল দুর্দান্ত লাগলো। ভাই, বেশি বেশি লেখো!
    পাঁচ তারা দাগিয়ে গেলাম।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ডুবসাঁতার নিয়ে আগ্রহের অনেকগুলো কারণ ছিলো।
    অসাধারণ প্রমো, এইচ ডি তেই ৩৫ এম এম এর কাছাকাছি ডেপথ, নূরুল আলম আতিক, জয়া... এরকম আরো অনেকগুলাই। যথারীতি টিভিতে কোন চিপা দিয়া দেখায়া দিলো টেরই পাইলামনা।
    মনোজের ফিল্মালোচনা আগেরগুলোতেই তার চমতকারিত্বের ছাপ ছিলো বেশ। ডুবসাঁতার ব্যবচ্ছেদ তারই সফল ধারাবাহিকতা। যদিও দেখার আগ্রহ কিছুটা মিইয়ে দিচ্ছে 😛 তারপরেও দেখবো।
    আমার আগ্রহের আরও একটা কারণ এই ফিল্মের সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামানের কাজ। আমার মতে দেশে সমসাময়িক যারা কাজ করছেন ক্যামেরাতে, এই মুহুর্তে রাশেদ জামান তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে শীর্ষেই থাকবেন।
    আসল কথাতো কইই নাই, রাশেদ জামান মির্জাপুরের এক্সক্যাডেট :salute: এবং একজন আর্কিটেক্টও বটেন 😀

    লেখা খুব ভালো হয়েছে মনোজ, এরকম লেখা আরো আরো পড়তে চাই। :thumbup:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মনোজ (২০০৩ - ২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।