আলোচনা ভালো লাগলো মনোজ।
বাংলাদেশের, উঁচুমানের ছবি কবে পাবো কে জানে।
গল্প ভালো তো প্রোডাকশন ভালো না,
প্রোডাকশন চটকদার তো গল্প সাদামাটা বা গল্প নেই।
পোস্টারটি কিন্তু ভালো হয়েছে। গানটা শুনে নিতে হবে।
গানের আরেক প্রবলেম : শুরুর লাইনে চমক তো একটু এগুতেই জারিজুরি ফাঁস,
সেই একই প্যানপ্যানানি।
অথচ আমদের না আছে গল্পের অভাব, না গল্প দেখার চোখের অভাব।
তোমার নিজস্ব চলচ্চিত্র ভাবনা নিয়ে লেখাটি আসছে কবে?
ধন্যবাদ ভাই।
বাংলাদেশে উঁচুমানের ছবি ... আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সৃষ্টিশীলরা পৃথিবী, জীবন ও মানুষের গভীরতা এবং বৈচিত্র্য পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে, তাদের তুলনামূলক গতানুগতিক সংকীর্ণ ধারণা ত্যাগ করে ...ততদিন পর্যন্ত কোন আশা নেই। বাজেটের সংকট আমাদের, কাটবে না। আমাদেরকে পুরোপুরি ভাবে গভীর কাহিনী নির্ভর লো বাজেটের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকিং এর দিকে ঝুঁকতে হবে, যা ক্ষেত্রবিশেষে নিওরিয়েল হতে পারে, হলেই উত্তম।
গানটা শুনে দেখবেন, গোপাল গোসাই নামক কারো লিখিত, গানের কথা বেশ সুন্দর।
গল্পের অভাব নেই, গল্প দেখবার চোখেরও অভাব নেই, কিন্তু তা ধারণ করবার এবং নিজস্ব দর্শনে প্রকাশ করবার মানসিকতা, যোগ্যতার অভাব বোধ করছি। 😐
আমার নিজস্ব ভাবনা নিয়ে লেখার ইচ্ছা সর্বদা জাগ্রত, কিন্তু ডেডিকেটেডলি ইনভলবড্ না থাকলে ব্যপারটা ভালভাবে করা কষ্টকর, আর সেটাও সম্ভব হয়ে উঠে না। 🙁 আরও একটু এদিক ওদিক দেখি, শীঘ্রই লেখার ইচ্ছা আছে। 🙂
(সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
আপনার উপলব্ধির সাথে সহমত। আমি অনেক বছর ধরেই বাংলা নাটক বা টেলিফিল্ম বা সিনেমা দেখার সুযোগ পাই না, কিন্তু টুকিটাকি যা দেখি তাতে মনে হয়, নাগরিক জীবনের কিছু উপসর্গকে নির্মাতারা নাগরিক জীবনের এসেন্স হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এই নির্মাতাদের মধ্যে ব্যতিক্রম হিসেবে দাঁড়ানোর একটা প্রচ্ছন্ন চেষ্টা আছে, কিন্তু সিনেমায় পুনরাবৃত্ত চেহারা আর দুর্বল অভিনয় তাদের সবাইকে আবার এক কাতারে টেনে আনে। মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলার মতো সিনেমা কিংবা সিনেমাচরিত্র আমরা পাচ্ছি না। দর্শককে কয়েক ঘন্টার জন্যে ধরে রাখার উদ্দেশ্যেই হয়তো এগুলো তৈরি হচ্ছে, এর বেশি কিছু হয়তো নির্মাতারাও চাইছেন না।
পাশাপাশি আরো মনে হয়, সব দোষ নির্মাতার ঘাড়ে ফেলতে চাওয়াও ঠিক নয়। সিনেমার দর্শকও তৈরি করতে হবে আমাদের। প্রত্যাশা আর সামর্থ্যকে ক্রমশ কাছাকাছি আনতে পারার কাজটুকু করতে হবে।
প্যাশান আর প্রফেশান এর তফাতটা, তাদের ভাবনা আর কাজের তফাতের সমান্তরাল। বক্তব্যে তাদের দর্শন প্রবল অনুরাগময়, কিন্তু কর্মে তার প্রতিফলন নেই- এই ব্যাপারটা আমাকে খুবই হতাশ করে।
ধীর লয়ের তো বটেই, কাহিনীর কোন ঘনত্ব নেই, অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘায়িত সংলাপ ...আমি নেহাতই মধ্যপথে কোন ছবি ছেড়ে উঠি না, তাই দেখে ফেললাম 😐 (সম্পাদিত)
দেখা হয়নি, তাই সিনেমা আর রিভিউর তুলনাটা সেভাবে দাঁর করাতে পারলাম না।
কিন্তু লেখবার আঙ্গিক এবং স্টাইল দুর্দান্ত লাগলো। ভাই, বেশি বেশি লেখো!
পাঁচ তারা দাগিয়ে গেলাম।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ডুবসাঁতার নিয়ে আগ্রহের অনেকগুলো কারণ ছিলো।
অসাধারণ প্রমো, এইচ ডি তেই ৩৫ এম এম এর কাছাকাছি ডেপথ, নূরুল আলম আতিক, জয়া... এরকম আরো অনেকগুলাই। যথারীতি টিভিতে কোন চিপা দিয়া দেখায়া দিলো টেরই পাইলামনা।
মনোজের ফিল্মালোচনা আগেরগুলোতেই তার চমতকারিত্বের ছাপ ছিলো বেশ। ডুবসাঁতার ব্যবচ্ছেদ তারই সফল ধারাবাহিকতা। যদিও দেখার আগ্রহ কিছুটা মিইয়ে দিচ্ছে 😛 তারপরেও দেখবো।
আমার আগ্রহের আরও একটা কারণ এই ফিল্মের সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামানের কাজ। আমার মতে দেশে সমসাময়িক যারা কাজ করছেন ক্যামেরাতে, এই মুহুর্তে রাশেদ জামান তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে শীর্ষেই থাকবেন।
আসল কথাতো কইই নাই, রাশেদ জামান মির্জাপুরের এক্সক্যাডেট :salute: এবং একজন আর্কিটেক্টও বটেন 😀
লেখা খুব ভালো হয়েছে মনোজ, এরকম লেখা আরো আরো পড়তে চাই। :thumbup:
১ম 😀
আলোচনা ভালো লাগলো মনোজ।
বাংলাদেশের, উঁচুমানের ছবি কবে পাবো কে জানে।
গল্প ভালো তো প্রোডাকশন ভালো না,
প্রোডাকশন চটকদার তো গল্প সাদামাটা বা গল্প নেই।
পোস্টারটি কিন্তু ভালো হয়েছে। গানটা শুনে নিতে হবে।
গানের আরেক প্রবলেম : শুরুর লাইনে চমক তো একটু এগুতেই জারিজুরি ফাঁস,
সেই একই প্যানপ্যানানি।
অথচ আমদের না আছে গল্পের অভাব, না গল্প দেখার চোখের অভাব।
তোমার নিজস্ব চলচ্চিত্র ভাবনা নিয়ে লেখাটি আসছে কবে?
ধন্যবাদ ভাই।
বাংলাদেশে উঁচুমানের ছবি ... আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সৃষ্টিশীলরা পৃথিবী, জীবন ও মানুষের গভীরতা এবং বৈচিত্র্য পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে, তাদের তুলনামূলক গতানুগতিক সংকীর্ণ ধারণা ত্যাগ করে ...ততদিন পর্যন্ত কোন আশা নেই। বাজেটের সংকট আমাদের, কাটবে না। আমাদেরকে পুরোপুরি ভাবে গভীর কাহিনী নির্ভর লো বাজেটের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকিং এর দিকে ঝুঁকতে হবে, যা ক্ষেত্রবিশেষে নিওরিয়েল হতে পারে, হলেই উত্তম।
গানটা শুনে দেখবেন, গোপাল গোসাই নামক কারো লিখিত, গানের কথা বেশ সুন্দর।
গল্পের অভাব নেই, গল্প দেখবার চোখেরও অভাব নেই, কিন্তু তা ধারণ করবার এবং নিজস্ব দর্শনে প্রকাশ করবার মানসিকতা, যোগ্যতার অভাব বোধ করছি। 😐
আমার নিজস্ব ভাবনা নিয়ে লেখার ইচ্ছা সর্বদা জাগ্রত, কিন্তু ডেডিকেটেডলি ইনভলবড্ না থাকলে ব্যপারটা ভালভাবে করা কষ্টকর, আর সেটাও সম্ভব হয়ে উঠে না। 🙁 আরও একটু এদিক ওদিক দেখি, শীঘ্রই লেখার ইচ্ছা আছে। 🙂
(সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
There is no spoon
গানটা'র ইউটিউব লিঙ্ক : http://www.youtube.com/watch?v=zi3PlS6niTI&feature=related
There is no spoon
আপনার উপলব্ধির সাথে সহমত। আমি অনেক বছর ধরেই বাংলা নাটক বা টেলিফিল্ম বা সিনেমা দেখার সুযোগ পাই না, কিন্তু টুকিটাকি যা দেখি তাতে মনে হয়, নাগরিক জীবনের কিছু উপসর্গকে নির্মাতারা নাগরিক জীবনের এসেন্স হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এই নির্মাতাদের মধ্যে ব্যতিক্রম হিসেবে দাঁড়ানোর একটা প্রচ্ছন্ন চেষ্টা আছে, কিন্তু সিনেমায় পুনরাবৃত্ত চেহারা আর দুর্বল অভিনয় তাদের সবাইকে আবার এক কাতারে টেনে আনে। মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলার মতো সিনেমা কিংবা সিনেমাচরিত্র আমরা পাচ্ছি না। দর্শককে কয়েক ঘন্টার জন্যে ধরে রাখার উদ্দেশ্যেই হয়তো এগুলো তৈরি হচ্ছে, এর বেশি কিছু হয়তো নির্মাতারাও চাইছেন না।
পাশাপাশি আরো মনে হয়, সব দোষ নির্মাতার ঘাড়ে ফেলতে চাওয়াও ঠিক নয়। সিনেমার দর্শকও তৈরি করতে হবে আমাদের। প্রত্যাশা আর সামর্থ্যকে ক্রমশ কাছাকাছি আনতে পারার কাজটুকু করতে হবে।
" ..নাগরিক জীবনের কিছু উপসর্গকে নির্মাতারা নাগরিক জীবনের এসেন্স হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন .." - যথার্থ বলেছেন :thumbup:
There is no spoon
আলোচনাটা চমৎকার লাগলো। এরকম আরও পড়তে চাই।
সিনেমাটা তবু দেখবো ভাবছি, নূরুল আলম আতিকের অনেক কাজই আগে ভাল লেগেছিলো, সেই ভরসায়।
www.tareqnurulhasan.com
ধন্যবাদ। ছবিটি অবশ্যই দেখুন 🙂
There is no spoon
লেখাটা বেশ ম্যাচিউর, পড়ে আরাম পেলাম।
আমি অবশ্য সিরিয়াস ক্রিটিক টাইপ কেউ নেই, অবশ্য সিসিবিতে তুমি অনেক ছেলে পাবে যারা সিনেমা নিয়ে বেশ ভাবে।
আমার হিসাব বলে বাংলাদেশে সিনেমা-নির্মাতা-আর্টিস্ট এখন পর্যন্ত প্রফেশনের মধ্যেই আছে, প্যাশনে নেই কেউ, তাই একই ঘুরপাকে আছে সব।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ও হ্যাঁ, সিনেমাটা আমি কিছুটা দেখেছি, কিন্তু এত ধীর লয়ের সিনেমায় আমি বেশিক্ষন থাকতে পারিনা। 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ধন্যবাদ ভাই 🙂
প্যাশান আর প্রফেশান এর তফাতটা, তাদের ভাবনা আর কাজের তফাতের সমান্তরাল। বক্তব্যে তাদের দর্শন প্রবল অনুরাগময়, কিন্তু কর্মে তার প্রতিফলন নেই- এই ব্যাপারটা আমাকে খুবই হতাশ করে।
ধীর লয়ের তো বটেই, কাহিনীর কোন ঘনত্ব নেই, অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘায়িত সংলাপ ...আমি নেহাতই মধ্যপথে কোন ছবি ছেড়ে উঠি না, তাই দেখে ফেললাম 😐 (সম্পাদিত)
There is no spoon
আরো বেশি বেশি লিখ মনোজ় কারণ ভাল লেখা পড়তে ভাল লাগে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
🙂 প্রাণপণ চেষ্টা করি, কিন্তু লাইফে ডিস্ট্র্যাকশান বেশী ভাই :((
There is no spoon
আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতে বসেছিলাম। অনেকখানি হতাস হয়েছি। চরিত্রগুলো চরিত্র হয়ে উঠেনি। গল্পটাও ধরে রেখেছে বলা যাবে না।
জী ভাই ...আমার আগ্রহেরও সমান ভরাডুবি হয়েছে 🙁
There is no spoon
সিনেমা যাই হোক, আলোচনাটা ভাল লাগলো। গানটা ভাল লাগলো। আরো বেশি করে লেখো। এরকম লেখা পড়তে চাই।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ধন্যবাদ ভাই। ওই গানে আমি আপাতত পুরোপুরিভাবে আসক্ত 🙂
There is no spoon
দেখা হয়নি, তাই সিনেমা আর রিভিউর তুলনাটা সেভাবে দাঁর করাতে পারলাম না।
কিন্তু লেখবার আঙ্গিক এবং স্টাইল দুর্দান্ত লাগলো। ভাই, বেশি বেশি লেখো!
পাঁচ তারা দাগিয়ে গেলাম।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই :hug: ... আমি চেষ্টা করবো 🙂
There is no spoon
ডুবসাঁতার নিয়ে আগ্রহের অনেকগুলো কারণ ছিলো।
অসাধারণ প্রমো, এইচ ডি তেই ৩৫ এম এম এর কাছাকাছি ডেপথ, নূরুল আলম আতিক, জয়া... এরকম আরো অনেকগুলাই। যথারীতি টিভিতে কোন চিপা দিয়া দেখায়া দিলো টেরই পাইলামনা।
মনোজের ফিল্মালোচনা আগেরগুলোতেই তার চমতকারিত্বের ছাপ ছিলো বেশ। ডুবসাঁতার ব্যবচ্ছেদ তারই সফল ধারাবাহিকতা। যদিও দেখার আগ্রহ কিছুটা মিইয়ে দিচ্ছে 😛 তারপরেও দেখবো।
আমার আগ্রহের আরও একটা কারণ এই ফিল্মের সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামানের কাজ। আমার মতে দেশে সমসাময়িক যারা কাজ করছেন ক্যামেরাতে, এই মুহুর্তে রাশেদ জামান তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে শীর্ষেই থাকবেন।
আসল কথাতো কইই নাই, রাশেদ জামান মির্জাপুরের এক্সক্যাডেট :salute: এবং একজন আর্কিটেক্টও বটেন 😀
লেখা খুব ভালো হয়েছে মনোজ, এরকম লেখা আরো আরো পড়তে চাই। :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!