সর্বনাম তুমি

আচ্ছা, যদি এমন হতো
কোনদিন হয়ত দেখা হয়েই গেল
নগরীর কোন ব্যস্ত ভীরে
অথব শুনশান কোন চরে
হয়ত আমি আমি গিয়েছিলাম
একটু একা থাকতে,
নিজেকে একটু সময় দিতে
নিজেকে আরো কাছ থেকে দেখতে
আর তুমিও-
আনমনে আকাশ দেখতে দেখতে
হঠাৎই চোখ আটকে গেল
কোন এলোমেলো বাতাসে
শাড়ীর ওড়ানো কোন তোমাতে
তবে আমি কি করব!
না হয় এগিয়ে গেলাম
পিছন থেকে ডাক দিলাম
আর তুমি ঘুরে দাঁড়ালে
আমি কি বলব?

এ যে সেই তুমি
আমার স্বপ্নের তুমি
প্রতি রাতে যার শীতল স্পর্শে
আমার সকালটা বড্ড আলসে হয়ে যায়
মনে হয়
যদি আরেকটু ঘুমাতাম
আরেকটু তোমায় দেখতে পেতাম।

এ তো সেই তুমি,
আমার কবিতার তুমি
যাকে ঘিরে এ মগজ ফুঁড়ে বেড়িয়ে আসে
হাজারো ছন্দ
হাজারো রূপকথা।

এ তো সেই তুমি
আমার অপূর্ণ হৃদয়ের পূর্ণতা।

সর্বনাম তোমাকেই এতটা ভালবাসি
বিশেষ্য হয়ে দেখো
এ হৃদয় উজাড় করে দেব।

৫,১১৬ বার দেখা হয়েছে

৩ টি মন্তব্য : “সর্বনাম তুমি”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    সড়কদ্বীপে আমি দাঁড়িয়েছিলাম
    যানবাহনের ব্যস্ততার ফাঁকে
    পারাপারের অপেক্ষায়,
    ওপারে দোলনচাঁপা হাতে যে কিশোরী
    তার পেছনেই অকস্মাৎ ভেসে ওঠে
    মুখ খুব চেনা চাহারায়।
    খুঁজেও মেলেনি যাকে এ শহরে
    পথে প্রান্তরে উদ্যানে ও পার্কে
    তাকেই আজ হঠাৎ
    দোলনচাঁপার কেয়ারির মাঝে -
    পাবো জানলে কিশোরীর সব ফুল হাতে
    আমি দাঁড়াতাম ওখানটায় বহু আগে

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।