অপরাহ্ণের ভ্রান্তি

ঘরের জানালা দিয়ে দিনের প্রথম আলোটুকু আমার চোখের উপর পড়ে আমার ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলো। জানালা বলা ঠিক হবে না। বলা যায় একটা ফাঁকা জায়গা। জেলে তো আর জানালা থাকে না। আমি অন্যদিনের মতো আলস্য না দেখিয়ে উঠে পড়লাম, সূর্যোদয়টা দেখা দরকার। ফুটোটা দিয়ে যতটুকু পারা যায় দেখে নিলাম। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সূর্যটা তখন অনেক উপরে উঠে গেছে। মানে বেলা অনেক গড়িয়ে গেছে। মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘনিশ্বাস বের হয়ে এলো। আমার জীবনের শেষ সূর্যোদয়টাও আমার কপালে জুটল না। অনেক কিছুই তো অদেখা থেকে গেল, অনেক কিছুই তো অজানা রয়ে গেল, শেষে এই সূর্যোদয়টাও!! আজ রাত ১০টায় আমি মারা যাবো, মানে আমাকে মেরে ফেলা হবে, কিন্তু তার জন্যে আমার কেন জানি কোন দুঃখ হচ্ছে না। বরং ৮ মাসের বন্দীজীবনের অবসান হতে যাচ্ছে সেটা চিন্তা করে আমার কেন জানি আনন্দ হচ্ছে! আবারো একটা দীর্ঘনিশ্বাস বের করে দিলাম। আচ্ছা, আমরা দীর্ঘনিশ্বাস কেনো ফেলি? মন খারাপ হলে। কিন্তু দীর্ঘনিশ্বাস ফেলার মানে হল, ফুসফুস থেকে সবগুলো বাতাস জোর করে বের করে দেওয়া। এর সাথে মন খারাপের কি সম্পর্ক? নাহ! এটাও অজানা থেকে গেল। আমার মাথাটা নিশ্চয় খারাপ হয়ে গেছে, না হলে মৃত্যুর আগে কেউ এভাবে চিন্তা করতে পারে? আমি বোধহয় হাসছিলাম, দেখি আমার সহবন্দীরা আমার দিকে বিষদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমিও তাদের দিকে তাকালাম, কিন্তু অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম যে, তাদের দৃষ্টিতে কোন ঘৃণা নেই, কোন বিরক্তি নেই, নেই কোন দুঃখ, আছে হতাশা, শূন্যতা। কেন জানি এই প্রথম আমার আট মাসের বন্দীজীবনে মন খারাপ হল। আরেকটা জিনিস আবিষ্কার করলাম যে, আমি মানুষের চোখের ভাষা পড়তে পারি।

আমার আটমাসের বন্দীজীবনে আমার সহবন্দীদের কখনো লক্ষ্য করি নি। আজ করছি। তবে আমি কারো নাম পর্যন্ত জানি না!!! একজন দরজার পাশে বসে আছে, একজন মানুষ এভাবে মূর্তির মত কিভাবে এতক্ষণ বসে থাকে এটাই রহস্য, আরেকজন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কি যেন বলছে, আরেকজন ঘুমাচ্ছে। ওর ঘুমানোর ভঙ্গি দেখে আমার মুলারের এর কথা মনে পরে গেল। মুলার ওভাবে ঘুমাতো, হাজার ডেকেও ওকে ঘুম থেকে তোলা যেত না। আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু। বার্লিনে মারা যায় ও। আমি ওকে হাসপাতাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম ও মনে হয় বেঁচে আছে। বেঁচেই ছিলো, আমি যখন ওকে ঘাড়ে করে টেনে নিচ্ছিলাম তখন গোলার একটা স্প্লিন্টার এসে ওর মাথায় ঢুকে ওকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল, যখন হাসপাতালে পৌঁছেছি তখন দেখি ওর মাথায় ছোট্ট একটা ফুটো। প্রিয়জনের কোলেই ওর মৃত্যু হল, কয়জনের ভাগ্যে জোটে? আমার ভাগ্যই বা কেমন যে, একা একা মরতে হবে। পশুও তো মরার আগে নিজের দলের মধ্যে গিয়ে মরে। আমি কি পশু থেকেও অধম? এসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। আজকাল আর বেশী ভাবতে ইচ্ছা করে না। মিছেমিছি অতো ভেবে কি হবে? চোখ বন্ধ করার চেষ্টা করলাম। চোখ বন্ধ করতেই কতো স্মৃতি ভেসে এলো- ১৯৩৩ সালে আমি জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম। ট্রেনিং করলাম ৬ মাস। কিভাবে কিভাবে জানি ২ বছরের মাথায় অফিসারও হয়ে গেলাম, মানে লেফটেন্যান্ট। আমার থেকে যারা উঁচু র‍্যাঙ্কের ছিলো তারা বলেছিল যে আমি নাকি ভাল করব। এখন সেই কথাগুলোকে শুধুই অর্থহীন মনে হয়। এখন মনে হয় কি দরকার ছিলো? সাধারণ সৈনিক হলেই ভালো হত, অন্তত ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়িয়ে মরতে হত না, ফাঁসিতেই ঝুলতাম। যে আমি নিজে একদিন ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়িয়ে কমান্ড দিয়েছিলাম সেই আমিই আজকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়াবো, কমান্ড পোস্ট এ নয়, স্যান্ড পয়েন্ট এ। ভাবতেই অবাক লাগে। আর ভাবতে পারছিলাম না। ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো ট্রেনিং ক্যাম্পের অমানুষিক পরিশ্রম, আর কর্পোরালদের অত্যাচার। টানা দুই ঘন্টা মাঠে ওই কাদার মধ্যে গড়াগড়ি খাবার পরে আদেশ আসলো আনন্দের গান গাও। সেই অবস্থায় আনন্দের গান কিরকম হবে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। গাইলাম আনন্দের গান। গান পছন্দ হল না, আবার কয়েক ঘন্টা গড়াগড়ি, আবার আনন্দের গান। শেষমেশ আমাদের মোজার্টের শিষ্য বানিয়ে লাইনে ফেরৎ পাঠালো।

ট্রেনিং এর কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে, ফ্রন্টলাইনে চলে গিয়েছিলাম খেয়াল নেই। ফ্রন্টলাইন এ গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে, জীবনে যত বীভৎষ জিনিস দেখেছি আর ফ্রন্টলাইন এ যা দেখছি, তাতে জীবনের আগের বীভৎষ জিনিসগুলোকে হার মানাবে। এবং হয়েছেও তাই। গুলি লেগে বুক ফুটো হয়ে গেছে মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না, সেই অবস্থায় দৌড়াচ্ছে মেডিক্যাল হেল্পের জন্যে। শেলের আঘাতে পেটের নাড়িভুড়ি সব বের হয়ে গেছে, কোনমতে হাত দিয়ে চেপে ধরে এগিয়ে যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে। শেলের আঘাতে দুটো পা’ই উড়ে গেছে, সেই অবস্থায় দুটো হাতে ভর দিয়ে চলে এসেছে হাসপাতালে, সে মরতে চায় না, শুধু বাঁচতে চায়। বাঁচার জন্যে এতো আকুতি মানুষের! একবার আমাদের কোম্পানীকে রেইনফোর্সমেন্ট হিসেবে পাঠানো হয়েছিল, আমি ছিলাম সেখানকার কমান্ডার। গোলার গর্তে মানুষ মরে পড়ে আছে। গ্যাস শেলে মরেছে ওরা। আর কিছু দলকে বেঁচে থাকতে দেখেছি, তবে আমার মনে হয় ওদেরকে বেঁচে থাকতে দেখাই অনেক বড় ভুল হয়েছে, দেখলাম মুখ দিয়ে ফুসফুসের টুকরা কাশির সাথে বের করে দিচ্ছে। আমার তখন মনে হয়েছিল এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে না দেখার চেয়ে ওদের মাথায় একটা গুলি করে মেরে ফেলি, অন্তত মরার কষ্টটা কম পাবে। কেউ মনে হয় আমার ইচ্ছেটা ধরতে পেরেছিলো, একজন আমার হাত ধরে আকুতি করা শুরু করল, “আমাকে মেরে ফেল, ঈশ্বরের দোহাই, আমাকে গুলি কর। না হলে তুমি নরকে যাও।” আমি শুধু হতভম্ব হয়ে সৈনিকটার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, বিধাতা বোধহয় তার কথা শুনেছিলেন।

আমি যখন কোর্ট মার্শালের সামনে দাঁড়ালাম তখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো যে, আমি বন্দী ক্যাম্পে অনেক বন্দীর উপরে অত্যাচার করেছি। আমার অবাক হবার পালা, আমি প্রথম দুই মাস যুদ্ধ করেছি পোল্যান্ডে, তারপরেই আমাকে বার্লিনে মানে সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বন্দী ক্যাম্পের আশেপাশেই আমি কখনো ছিলাম না। আর আমি কিনা বন্দীদের উপরে অত্যাচার চালিয়েছি? আমি প্রতিবাদের সুরে বন্দী ক্যাম্পের অবস্থান জানতে চাইলাম। কিন্তু তারা যেখানকার নাম বলল সেখানে আমি কখনই যাই নি। বন্দী ক্যাম্পের অবস্থান বলা হল আল-আলামিন, অর্থাৎ আফ্রিকায়। কোথায় বার্লিন আর কোথায় আফ্রিকার মরুভূমি! আমি জোর গলায় প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু আমার প্রতিবাদে কোন কাজ হয় নি। বরং তারা আমাকে মিথ্যুক উপাধি দিয়েছে। আমি জার্মান, আর ওরা আমেরিকান। যারা কিনা রেড ইন্ডিয়ান্দের তাড়িয়ে দিয়ে ওদের জায়গায় বসবাস করে নিজেদের আমেরিকান বলে, সেই বাটপার জাতি আমাকে মিথ্যুক বলে? আমি এর ও তীব্র প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু আদালত আমাকে একটা শাস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলো, আমার মৃত্যুদন্ড ৪ মাস এগিয়ে দিয়েছে। একদিক দিয়ে ব্যাপারটা খারাপ না। আমার সাথের সহবন্দীদের সাথে আমেরিকানদের খারাপ ব্যবহার দেখার চাইতে আগে আগে মরে যাওয়া অনেক ভালো। আজ সেই দিন, কয়েকটা বুলেট আমার হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দেবে। আমার বাবা-মা হয়তো জানতেও পারবে না যে তাদের ছেলে মৃত্যুদন্ড পেতে যাচ্ছে। তারা ভাববে যে তাদের ছেলে বীরের মতই মরেছে। আমার বোন অ্যানা জানতেও পারবে না যে তার পরম আদরের ভাইটি আমেরিকান বন্দীশালায় ইঁদুরের মত জীবনযাপন করে মারা যাচ্ছে। শুধু ইভলিন জানে যে আমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। সে শুধু এটুকুই জানে, আমি যে আজকে মারা যাচ্ছি তা সে জানে না। সেটা সে জানার চেষ্টাও করে নি। হয়তো সে আমার থেকেও ভালো একজনকে স্বামী হিসেবে পেয়েছে, হয়তোবা তার এরি মধ্যে বিয়েও হয়ে গেছে। আমাদের বিয়ে হবার কথা ছিলো ১৯৩৯ এর গ্রীষ্মে। কিন্তু আমাদের ভাগ্য খারাপ, সে বছরই যুদ্ধ শুরু হল। আমি চলে এলাম। আমাদের মাঝে শেষ কথা হয়েছিলো, “আমি অবশ্যই আবার ফিরে আসবো।” কিন্তু ফেরা আর হল না।

একটু আগে একটা সার্জেন্ট এসে বলে গেলো, আমার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হতে মাত্র এক ঘন্টা বাকী। আমি হ্যাঁ বা না কিছুই বললাম না। ওর সাথে বাজে বকে সময় নষ্ট না করে বরং ইভলিনকে একটা চিঠি লিখি। যদিও জানি ইভলিন এটা কখনই পাবে না। তারপরেও….

আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফায়ারিং স্কোয়াডের দিকে। আমিও একদিন এভাবে জার্মানীরই কয়েকজন উঁচু পদমর্যাদার অফিসারকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গিয়েছিলাম। জেনারেল অলব্রীচ, কর্ণেল স্টাউফেনবার্গ, লেফটেন্যান্ট ওয়ারেন। তাদের অপরাধ ছিলো Operation Valkyrie শুরু করা। কর্ণেল স্টাউফেনবার্গকে যখন দাঁড় করানো হয়েছিলো গুলি করার জন্যে তখন লেফটেন্যান্ট ওয়ারেন তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। নিজের সি ও’র মৃত্যু নিজের চোখে দেখবে না বলেই সে নিজে থেকেই আগে মারা যায়। সেনাবাহিনীতে আমি কখনো এরকম দেখি নি। ওই তো স্যান্ড পয়েন্ট দেখা যাচ্ছে, আজকে ১০ জনকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে আমি পদমর্যাদায় ৩য়, ক্যাপ্টেন। বাকি দু’জনের একজন মেজর হেলম্যুট রেম্যান আর আরেকজন কর্ণেল লেডউইক ব্যেক। সবার আগে গেলেন কর্ণেল তিনি প্রায় মূর্তির মত দাঁড়িয়ে ছিলেন শেষ পর্যন্ত, কিন্তু মেজর রেম্যান যেন শেষ মুহূর্তে কিছু বলতে চাইছিলেন কিন্তু শেষমেশ পারলেন না। তার শেষ কথা শেষ পর্যন্ত অসমাপ্তই থেকে যায়। এবার আমি, জোর গলায় চিৎকার করে আমেরিকান একটা ক্যাপ্টেন আমার নাম উচ্চারন করলো,” ক্যাপ্টেন হেইঞ্জ ব্র্যান্ডট”। মারা যাবার আগে আমার নামটা কেউ পড়ল, তাও আবার একটা নোংরা আমেরিকান!! আমি ধীর পায়ে গিয়ে দাঁড়ালাম স্যান্ড পয়েন্ট এ। ক্যাপ্টেনটা আদেশ দিলো “লোড” সাথে সাথে ৬ জন সৈনিক যন্ত্রের মত তাদের বন্দুক গুলো লোড করলো। তারপরে শুনলাম “এইম”। ৬ জন আমার দিকে বন্দুকের ব্যারেল উঁচিয়ে রেখেছে। এখানকার ৬ টা গুলি আমার জীবন কেড়ে নেবে। তারপরেই শুনলাম “ফায়ার”। ৬ টা বন্দুক থেকে একসাথে স্পার্ক হল। আমি দেখতে পেলাম ৬ টা গুলি ঘুরতে ঘুরতে আমার দিকে ছুটে আসছে। যদিও আমি কোন শব্দ পাইনি, কারণ বুলেট তো শব্দের চেয়ে দ্রুত যায়। বুঝতে পারছি ৬ টা গুলি আমার বুকের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন কেউ একজন গলন্তু সীসা আমার গায়ে ঢেলে দিয়েছে।অমানুষিক যন্ত্রণা, সেই যন্ত্রণার জন্ম এই পৃথিবীতে নয়, যেন অন্য কোন জগতে। কিন্তু হঠাৎ আমি আমার আগের জীবনের স্মৃতিগুলো দেখতে পেলাম। আমার মা-বাবা, অ্যানা, স্কুল, ইভলিনের সাথে ঝগড়া, প্রম, ট্রেনিং, ফ্রন্টলাইনের অম্ল-তিক্ত-বিষাক্ত স্মৃতি, ও আচ্ছা এই তাহলে ফ্ল্যাশব্যাক? মৃত্যুর আগে পুরানো স্মৃতির পুনর্জাগরণ?

পরিশিষ্টঃ ১৯৪৫ সালে বন্দী হওয়া ক্যাপ্টেন হেইঞ্জ ব্র্যান্ডট এর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় ১৯৪৬ সালের প্রথমদিকে। ব্র্যান্ডট যেখানে থাকতো সেখানে একটা চিঠি পাওয়া যায়, যার প্রাপক ছিলো ইভলিন পেল্কোভোনিক, যিনি ব্র্যান্ডট এর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছিলেন তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন চিঠিটি পৌঁছে দেবার। কিন্তু জার্মানীর পতনের পরে আমেরিকানরা জার্মানীতে প্রবেশ করলে ইভলিনকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। জার্মানীর পতনের কিছুদিন আগে ড্রেসডেনে রয়্যাল এয়ার ফোর্সের বোমা হামলায় ব্র্যান্ডট এর পুরো পরিবার মারা যায়। ব্র্যান্ডট তা জানতো না। বহুদিন পরে ২০১০ সালে প্রমানিত হয় যে ক্যাপ্টেন হেইঞ্জ ব্র্যান্ডট নির্দোষ ছিলো, তখন অপরাধী হিসেবে কর্ণেল হেইঞ্জ ব্র্যান্ডট কে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৪৫ সালে আমেরিকান টাইপিস্ট শুধু পদমর্যাদা টাইপ করতে ভুল করেছিলো।

৭৬৯ বার দেখা হয়েছে

২ টি মন্তব্য : “অপরাহ্ণের ভ্রান্তি”

মওন্তব্য করুন : সুষমা (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।