সিয়াটলের শীত – ১

ধুর হালা, শুইয়া শুইয়া থাকতে থাকতে পিঠ ব্যাথা হয়া গেল মাগার তাও বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করে না। কিন্তুক কিছুক্ষন আগে মনঃস্থির করিয়াছি, আইজকা কিছু একটা লিখুম ই লিখুম। পরথমে ভাবছিলাম ইকটু আতলামি কইরা টেকনিক্যাল কিছু লিখুম নাকি, পরে ভাব্লাম, ধুর কি না কি লিখুম পরে পোলাপাইন আবার ভুল ভাল ধইরা ফালাইব, শেষে ইজ্যত নিয়া টানাটানি। ব্লগে টেকি পোলাপাইনের তো অভাব নাই। জাউজ্ঞা, আপাতত অই বিষয় বাদ। পরে পরচুর গীয়ানগর্ভ আলোচনা/ভালোচনা করা যাইব।

একটু আগে কামরুল এর পোষ্ট এ সিয়াটল এর ওয়েদার নিয়া কমেন্ট করতেছিলাম। সিয়াটল এর শীতের আবহাওয়ার মত জঘন্য আবহাওয়া এই দিন দুইন্যায় আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। শীতকালে ছয় মাস সুর্য্য মেঘে ঢাকা থাকে। তাপমাত্রা থাকে শুন্যের কাছাকাছি কিংবা নিচে। মাঝে মাঝে বরফ আর সাথে সারাদিন টিপ টিপ বৃস্টি। বদ পুলাপাইন আবার রাভীনার টীপটীপ বারসা পানি ভাইব্য না। এই টিপটিপ রবিদার (মানে আমাগো রবীন্দ্রনাথ বাবু) মদ্যথিকাও সব কোবতে টাইন্যা বাইর কইরা হালাইবো। এমন মন খারাপ করা আবহাওয়ার কারনে সিয়াটলে আত্মহত্যার হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে গ্রীষ্মে এখানে যে আবহাওয়া থাকে তার কাছে আবার সব ফেল। মানে মনে মরি মরি অবস্থা। প্রতিদিন ই মনে হয় এক ছুটে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। রোদেলা দিন যে এত সুন্দর হতে পারে তা বুঝেছি এই সিয়াটলে এসে আর ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে থেকে। ক্যালিফোর্নিয়ার সৌন্দর্যটা অবশ্য একটু অন্য রকম। তখন মনে হয় প্রকৃতি যেন দুহাত ভরে সব দিয়েছে। লেক গুলো যেন ছবির মত, ভিউকার্ডের ছবিকেও হার মানায়। সিয়াটলের চারদিকে পাহাড় পর্বতে ভর্তি, দুই চাইরটা আগ্নেয়গিরিও আছে। ।তার মইদ্যে একটা আবার কিঞ্চিত অ্যাক্টিভ, যে কুনু সুমায় উপচাইতে পারে। মানে যে কোনদিন আমরা “আ টেল অভ টু সিটিস” হয়া যাইতে পারি।

যাই হোক, সামার শেষ, মরার শীত শুরু হইতাছে। মনটা খারাপ থাকারই কথা। কিন্তু আমি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি সামনের দিনগুলোর জন্যে। কেন এই অপেক্ষা বুঝতে হলে একটু পিছনে যেতে হবে। বেশি না, মাত্র চার বছর আট মাস। বুয়েট থিকা পাস কইরা বাইর হয়া এক্টাই লক্ষ্য, বাইরে যামু। এমন ই মনোভাব ছিল যে ঠিক করেছিলাম এয়ারপোর্ট এ কোনদিন কাউকে রিসিভ করতে যাবনা। এমনকি বাপ মা যেদিন সৌদি থিকা ব্যাক করল হেদিন ও যাই নাই। আমার কথা এক্টাই, এয়ারপোর্ট এ কোনদিন গেলে প্লেনে চড়ার জন্যেই যামু, খালি দেখতে না। যাই হোক, পাশ কইরা চাকরি খুজতাছি। তখন আবার টেলিকম এর জোয়ার। এহনো মনে লয় আছে। বুয়েটের পোলাপাইন তখন হটকেকের মত বিকাইতাসে। এমনকি ফেল করা পোলা, জিপিএ ২ এর কাছাকাছি, এহনো ডিগ্রী হয় নাই, চাক্রি হয়া গেছে। কেমনে কইরা জানি আমারো একখান হয়া গেল। কিন্তু আমার টার্গেট আঙ্কেল বুশ এর দ্যাশ, অন্য কিছু চোখে লাগে না। কিন্তু হেহানে যাইতে হইলে জি আর ই লাগব আর টেলিকমে চাকরি কইরা আর যাই হোক জি আর ই পড়ার টাইম হইব না। সো, আমি কইলাম নো টেলিকম, মাস্টারি শুরু।

শুরু করলাম ব্র্যাক এ পড়ানো। গিয়া দেহি হেইহানেও ক্যাডেট পোলাপাইনে ভর্তি। বরিশালের অনেক ক্যাডেট দেখে অবশ্য বেশ ভালই লাগল। ব্র্যাকের দেড় বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা আমার সব সময় মনে থাকবে। অন্যান্য প্রায় সব শিক্ষক ই ছিল আমার প্রায় সমবয়সি। যথারীতি সুন্দরী/নট সো সুন্দরী ছাত্রীদের নিয়ে নানা মতবিনিময় হোত আমাদের মাঝে। কার ক্লাসে কে কি করলো, কে কিভাবে তাকায়, কার কি ঘটনা, কোন ছাত্রী কোন স্যার এর প্রেমে মশগুল এই সব আর কি। টীচার হইলেও বয়সে তো আর খুব একটা আর বড় না। তবে আমাদের সব সময় একটা আক্ষেপ ছিল যে বেশির ভাগ সুন্দরী মেয়েগুলো ছিল বিবিএ ডিপার্টমেন্ট এ, কম্পিউটার এ বরাবরই আকাল। টেকনোলজি মনে হয় কোনদিনই মেয়েদের সহ্য হয়নি। আমি পড়াতাম আমার প্রিয় বিষয় নেটওয়ার্কিং। বেশ কয়েকটা ভাল ব্যাচ পেয়েছিলাম আমার মনে আছে। শিক্ষক হিসাবে যদিও আমি কখনই ভাল ছিলাম না। আমি মনে করি ভাল ছাত্র হলেই ভাল শিক্ষক হওয়া যায় না। তার জন্য বিশেষ গুন দরকার হয়। আমার তা না থাকলেও কাজ চলে যাচ্ছিল কোন রকম। বাকিটা যারা আমার ছাত্র ছিল তারা ভাল বলতে পারবে। ব্লগেও মনে লয় দুই চাইড়ডা আছে, আওয়াজ দেও পোলাপাইন।

যাই হোক, ব্র্যাক এ ঢোকার প্রধান উদ্দ্যেশ্য ছিল জি আর ই পড়া। শুরু করলাম কোমর বাইন্ধা। দিনে দুই চাইড়টা ক্লাস নেই আর সারা দিন ইংরেজি শব্দ মুখস্ত করি। ব্যারন’স এর সাড়ে তিন হাজার শেষ কইরা অন্য সোর্স ধরলাম। বিগ বুক এর কয়েকশ মডেল টেস্ট ঝালাপালা কইরা ফেললাম। শেষে এমন অবস্থা যে রাইতে ঘুমের মইদ্যে জি আর ই ওয়ার্ড স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। ঠিক যেমন কলেজ থিকা বাইর হওনের পর কেমিস্ট্রির সুত্র স্বপ্ন দেখতাম বুয়েট কোচিং এর আগে। সে আরেক কাহিনি। এই রকম ঘ্যানা দেওয়া পড়ার সুফল পেলাম জি আর ই দেবার পর। বেশ ভালো একটা স্কোর করে ফেললাম। জি আর ই পরীক্ষার হলে বসেই ভার্বাল আর কোয়ান্টেটিভ এর স্কোর কম্পিউটার এ দেখা যায়। মনে আছে সেই প্রথম কোন পরীক্ষার পর আমার চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছিল স্কোর দেখে। এস এস সি এইচ/এস সির রেজাল্ট এ দু পায়ে দাড়িয়েও এতটা মনে হয় খুশি হইনি। পড়াশোনার পালা শেষ, এবার ইউনিভার্সিটি তে এ্যাপ্লিকেশান করার পালা। যারা এই সব বিষয়ে জানেন, আমেরিকা/কানাডা তে এ্যাপ্লিকেশান করা মেলা খরচের ব্যাপার। গড়ে প্রতি ভার্সিটিতে প্রায় ১০০/১২০ ডলার চলে যায়। জি আর ই/টোফেল এর খরচ তো আছেই। কি আছে জীবনে, চাকরির সব টাকা ঢাললাম এ্যাপ্লিকেশান এর পিছনে। যে কারনে বুয়েটের টীচার হবার সুযোগ হেলায় সরিয়ে দিয়েছিলাম (মানে পয়সা কম আর কি), টাইম টু পে ব্যাক নাউ। আমার কিপটামি করা পয়সা, সামর্থ থাকা সত্তেও বাসে টেম্পুতে ঝুলে ঝুলে অফিসে যেয়ে বাচানো লাখ দেড়েক টাকা চলে গেল স্বপ্নের পিছনে। সাধে কি লোকে কয় সখের দাম লাখ টেকা? হাই জি আর ই স্কোর আর হাই জি পি এর ঠেলায় এ্যাপ্লাই ও কোরলাম সব হাই প্রোফাইল ইউনিভার্সিটীতে। বার্কলে, অস্টিন, ভার্জিনিয়া, আরবানা-শ্যাম্পেন, ওয়াশিংটন, পেন্সিল্ভানিয়া, মিনেসোটা-টুইন সিটিস, জর্জিয়া-টেক কিছুই বাদ গেল না। গোটা দশ বারটা এ্যাপ্লাই করে ভাব্লাম, আমার যা স্কোর, গোটা পাচেক তো লাগবই। তারপরে যেইহানে আবাহাওয়া ডা এট্টু ভাল, সী বিচ টীচ আছে, সুন্দরী মাইয়া দেহা যায় সেইহানে যামুগা। মাগার বিধি বাম, এত হাই প্রোফাইল নিয়াও ধরা খাইলাম, একের পর এক রিজেকশান আসতে শুরু করল। দুই একটা যাও এ্যাডমিশান পেলাম তাও হালার ফান্ড ছাড়া। আর আমার মত মধ্যবিত্ত পোলা নিজ খরচে যে পড়তে পারুম না সেইটা তো নিশ্চিত। খুব ভেঙ্গে পড়লাম। ওদিকে আমার পার্বতী তখন বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তার পারিবারিক কারনে অতি সত্ত্বর বিয়ে করাটা জরুরী। মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা তখন আমার। কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। এ বছর আর বাইরে যাওয়া হবেনা প্রায় নিশ্চিত। সব ইউনিভার্সিটির রেজাল্ট চলে আসছে। দুইটা এ্যাডমিশান হইছে ফান্ড ছাড়া, বাকি সব গোল্লা। আমি তখন ভাবতেছি ব্র্যাকের চাকরি আর না, কারন আজীবন মাস্টার থাকা আমার দ্বারা হবে না। মাস্টারি আমি কোনদিনও পছন্দ করি নাই। আগে ফিরায়া দিছি, মাগার এইবার টেলিকম এ চাকরি খোজা শুরু করলাম। কিন্তু সেখানেও অশান্তি, দুই বছরে আমার বন্ধুরা তখন সবাই প্রোমোশন নিয়ে উঠে গেছে। আমি শুরু করলে গোড়া থেকে শুরু করতে হবে, সেটাও আবার সহ্য হচ্ছে না। কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না, বাসায় বসে একা একা কাঁদি আর ভাবি জীবনের সব আশা ভরসা মনে হয় নিভে গেল। জীবনের লক্ষ্যটাকে তখন এভারেস্টের চুড়ার মত দূর মনে হতে লাগল। তার মধ্যে বিয়ের জন্য প্রেমিকার চাপ, আমি এখন কোই যাই? পার্বতী থাকা সত্তেও মনে হচ্ছিল দেবদাস হওয়া ছাড়া গতি নাই।

মন খারাপ করে প্রতিদিন ব্র্যাকে যাই, ছাত্র পড়াই, ক্লাসের ফাকে চা খাই আর বিড়ি টানি আর ভাবি “কি করলাম জীবনে”? কিন্তু একদিন অফিসে এসে মেইল চেক করতে গিয়ে দেখলাম আমার স্প্যাম ফোল্ডারটা বেশ মোটা হয়ে গেছে। অনেক দিন খালি করা হয় না। কি মনে করে সেদিন “এম্পটি ফোল্ডার” না চাইপা ভাবলাম দেখি কি আছে ভিতরে। কার অষুদ খাইলে কি কত লম্বা হয়, ভায়াগ্রার লেটেস্ট দামডাও চেক কইরা লই। মনের যা অবস্থা, বলা তো যায় না কহন কি লাগে। ঢুইকা একটা একটা কইরা ওপেন করতাছি আর ডিলিট করতাছি। হঠাৎ একটা মেইল এ চোখ আটকাইয়া গেল। ভার্জিনিয়া থিকা আসছে। আমার আনফান্ডেড এ্যাডমিশান তারা ডলার দিয়া ভরপুর কইরা দিতে চাইতাছে। আমি তো আর না করতে পারি না। রবিদার মত আমি বলিলাম “আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম”।

আইজকা এইটুকুই থাক। মোরাল অফ দা স্টোরিঃ আমি আর কোনদিন না দেইখা স্প্যাম মেইল মুছি না।

আপডেটঃ গোটাদুই ছবি লাগাইয়া দিলাম 😉

৩,১৩৬ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “সিয়াটলের শীত – ১”

  1. তোমার অবস্থা দেখি পুরা আমার মত, পার্থক্য তুমি বুশের দ্যাশের ফান্ড খুজতে খুজতে হয়রান (After graduation)আর আমি দ্যাশে ইউনি খুজতে খুজতে হয়রান (Before graduation). 😀

    Anyway, কামরুলের ব্লগে কইছি একটু আগে, সিয়াটলের পাগলা মানুষ গুলারে নিয়া লিখতে, শীত নিয়া লিখছ কইবা, কিন্তু বেশি লেখ নাই, সিরিজ করছ দিইখ্যা আর কিছু কইলাম না।

    জবাব দিন
  2. আই হায় বস মোরাল অফ দা স্টোরিটা আগে কইলে এতো দিনে মনে লয় আমিও আপনের লগে সী-বিচে বইসা সুন্দরী মাইয়া দেখতাম। 😉 😉 আমারতো প্রথম প্রথম স্প্যাম মেইল দেইখা মেজাজ খারাপ হইয়া যাইতো। আমার যন্ত্র বড় করার জন্য হালা পুতেরার কি টেনশন। ধুমাইয়া ডিলিট করছি সব। এখনো করি।

    আহারে! আমি হারাইলাম, আমি ইহাকে হারাইলাম। :(( :((

    সিয়াটলের শীত যেন গ্রীষ্ম আসার আগ পর্যন্ত চলে।

    জবাব দিন
  3. তৌফিক (৯৬-০২)

    মরতুজা ভাই,

    আমি আমার ফান্ডের খবর পাইছিলাম ভলভো দুইতলা বাসে কইরা ঢাকা ভার্সিটি থাইকা উত্ত্রা আসার সময় মোবাইলে জিপি ইন্টারনেটে। এমন চিক্কুর দিছিলাম বাসের লোকজন সব আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাইতেছিল। আমি তো তখন পৃথিবীর চূড়ায়, কোন কিছু কেয়ার করি নাকি?

    যা হোক, ছবিগুলা সুন্দ্র হইছে। সিয়াটলের নাম শুনলেই স্লিপ্লেস ইন সিয়াটল ছবির কথা মনে আসে। আহা! ছবিটা বড় ভালো ছিল।

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    মরতুজা ভাই, আপনার লেখা পইড়া মনটা কেমন একটু বিষন্ন হইয়া গেল, ঠিক বুঝলাম না আপনার লেখার কারণে নাকি এই আবহাওয়ার কারণে!
    ছবিগুলা সুন্দর হইসে।
    এই সিরিজের পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

    জবাব দিন
  5. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    শীতকাল ছয় মাস জুড়ে থাকে?
    হুম...বুঝছি!
    ঠান্ডা বেশি...বড় রাত...লোকজন আকাম কইরা সামাল দিবার পারে না...ফলাফল আত্মহত্যা!!!
    ঠিকই আছে!!! 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  6. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    স্পাপ ফোল্ডার ওপেন করাটাই তাহলে আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। বেশ ভাল্লাগছে স্মৃতিচারণ। এতো হাই প্রোফাইল ছাত্র হইয়াও যেই গিয়ানজাম আমাদের মতো গরীব এবং কু-মেধাবী পোলাপাইনদের না জানি কি হয়। 🙁

    জবাব দিন
  7. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    মরতুজা ভাইগো মতোন ব্রিলিয়ান্ট আছিলামনা দেইখা এখনো ঐ লম্বা করার মেইল ছাড়া স্প্যাম এ আর কিছু পাইনা :(( :(( :(( বস্, লেখা+ছবিগুলা ভাল্লাগছে। সিরিজ করছেন দেইখা আরো ভাল্লাগছে, তয় মাইঝে মইদ্ধে চিপা চুপায় পিচ্চি পোলাপাইনগো লাইগা সেই কচিকাচা সিরিজটাও দিয়েন 😀


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  8. মরতুজা (৯১-৯৭)

    ফৌজিয়ান-পুলাপাইন অলওয়েস জাতে মাতাল তালে ঠিক, পুলাপাইন্না গল্প ছাড়া মন ভরে না।

    লেখাটা শেষ করার পর দেখলাম ফয়েজ ভাইয়ের কমেন্ট কামরুল এর পোষ্টে। সিয়াটলের শীত অনেক লম্বা, দেখি এইটা কতদুর যায়। চাইর বছর আগে থিকা সুরু করছি, কিছুদুর ত যাইবই।

    জবাব দিন
  9. মরতুজা (৯১-৯৭)

    আফারে, সরকারি চাকরির হাজার দশেক টাকা দিয়া আর যাই হোক, এ্যাপ্লিকেশান এর পয়সা হইত না। সংসার চালানো তো দুরের কথা। সম্মান ধুইয়া কি আমি পানি খামু। আর সবাই বুয়েটের টীচার হোত বাইরে যাবার প্লাটফর্ম হিসাবে, আমি আমার মত অন্য প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়েছিলাম, এই আর কি।

    আর দেহি, শীতের মইদ্যে দুই চাইরডা গরম গপ্পও ঢুকাইয়ে দেওন যায় কিনা।

    জবাব দিন
  10. জিহাদ (৯৯-০৫)

    দিনলিপি টাইপের জিনিসপাতি পড়তে আমার বরাবরই জোস লাগে।
    এইটারে সিরিজ হিসেবে দেইখা বহুত খুশি। তবে শীতের পাশাপাশি গরম কিছু নিয়াও লেইখেন।

    আপনে দেখি সিলিকন ভ্যালিতেও কাজ করছেন। :boss:


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।