আজাইরা পোস্ট – কি করছি, কি পড়ছি

[ডিস্ক্লেইমারঃ পোস্টের আজাইরা নামকরনের মূল উদ্দেশ্য পাঠক টানা। অতীত ইতিহাস অনুসারে আজাইরা জিনিস লোকে খায় বেশি। জনগন ক্ষেপলে মাফ চাই।]

আমেরিকায় এখন “হলিডে সিজন” চলছে। মানে ছুটির মৌসুম। নভেম্বরের শেষে থ্যাংক্সগিভিং, ডিসেম্বরে ক্রিস্মাস, শেষে নিউ ইয়ার। ক্রিস্মাস উপলক্ষে গত সপ্তাহে বলতে গেলে অফিসে কেউই ছিল না। প্রায় সবাই ছুটিতে। আমি ছুটি না নিলেও চামে দিয়া বামে অফিসেই যাই নাই সারা সপ্তাহ। ছুটি না নিয়াই ছুটিতে।

কিন্তু তাই বলে যে খুব আরামে আয়েসে দিন কাটছে তা নয়। মেয়েকে নিয়েই সারা দিন পার। রাতে তো ঘুম হারাম। উনি প্রায় সারাদিন ঘুমান, রাতে বিনা কারনে আমাদের কানের পর্দা ফাটান। তারপরও ফাঁকে ফাঁকে নতুন করে বই পড়া চেষ্টা করছি। ছোট বেলায় প্রচুর বই পড়তাম। শেরপুরে যখন ছিলাম, বাসার পাশেই বইয়ের দোকান ছিল। স্বরস্মতী লাইব্রেরী। এখনো আছে বলেই জানি। শেরপুরের কেউ থাকলে আওয়াজ দিও। দোকানের মালিক তখন ছিলেন বিমল ভূষন দাম। আর তার ছেলে দিপক ছিল আমার খেলার সাথি। যখন স্কুল থাকত না তখন কত একা একা সারা শহরের (১৯৮৮ এর দিকে শেরপুর শহর তখন খুব ছোট শহর ছিল) ঘুরে ঘুরে ডাস্টবিন থেকে সিগারেটের ফেলে দেয়া প্যাকেট কুড়িয়েছি (তখনকার ডাস্টবিন কিন্তু এত নোংরা ছিল না)। কারন সিগারেটের প্যাকেটের মুখ দিয়ে তখন চারা খেলতাম। অই প্যাকেটগুলো ছিল বাজীর পয়সা। তো সারাদিন ওই দোকানে পরে থাকতাম। তখন এস এস সি টেস্ট পেপার দেখে ভাবতাম এইটাই পৃথিবির সবচেয়ে বড় বই। খুব শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে ওগুলোকে দেখতাম তখন। তবে পাতা উলটে কোন গল্প না পেয়ে বেশ মন খারাপ হোত।

এরপর যত দিন গিয়েছে পড়ার পরিমান দিন দিন কমেছে। বুয়েটে ঢোকার পর থেকে তো খালি পড়ার বই। ভিন দেশে মাস্টার্স করতে এসে সেটাও কমে গিয়েছিল। আর এখন চাকরিতে ঢোকার পর তো বই কি জিনিস তাই ভুলে গেছিলাম। সারা দিন ২৪ ইঞ্চি দুইখান মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকি আর চোখের পাওয়ার বাড়াই (নাকি চশ্মার!)। DSC00002_2তাই অনেকদিন পর পড়তে বেশ লাগছিল। তাও হোতনা যদি না মাসখানেক আগে হঠাৎ করে কমদামে কিছু বই পেতাম। পুরান জিনিসের দোকানে গিয়ে দেখি ৬৯ পয়সায় পেপারব্যাক বই! কিনে ফেললাম গোটা আস্টেক। তার মধ্যে আছে লর্ড অফ দা রিংস এর তিনটি, জন গ্রিশামের কয়েকটি থ্রীলার, স্টিফেন কিং এর একটা।

লর্ড অফ দা রিং এর বই কিন্তু আবার পড়ছি গত প্রায় তিন বছর ধরে! খুলেই বলি। বছর তিনেক আগে ঢাকার রাস্তা থেকে LOTR এর বিশাল এক পেটমোটা সংস্করন পেয়ে গিয়েছিলাম একশ টাকায়। ভেবেছিলাম সিনেমা তো বার দশেক দেখছি, এইবার রসায়া পড়ুম। কিন্তু অই পর্যন্তই। তিন বছরে ফ্রোডো কেবল রিং নিয়া শায়ার থিকা পলাইছে, অইটুকুই। কোই সাউরন আর কোই সারুমান। এইবার তিন পার্ট আলাদা আলাদা বই কিনা ভাব্লাম এইবার ছাড়ন নাই। ফলাফল তিন মাসে ফ্রোডো রিং নিয়া কেবল রিভেনডেলে আইসে লর্ড এলরন্ড এর সভায় যোগ দিতে। মাগার অহনো সভা শুরু হয় নাই।

তিন মাসের প্রোগ্রেসে বিরক্ত হয়ে পড়া শুরু করলাম গ্রিশামের “দি ব্রোকার”। এই লোকের আরো কিছু বই আগে পড়েছিলাম। আমেরিকার থ্রীলার লেখকদের মাঝে ইনি বেশ বিখ্যাত। ব্যাক্তিগত জীবনে আইনজীবি ছিলেন বলে ওনার প্রায় সব বইতেই আইনজীবি, আইন পেশা প্রাধান্য পায়। তাই বলে আবার কেউ ভাববেননা উকিল-মুহুরীদের কাহিনী পইড়া কি হইব। “দি ফার্ম” (টম ক্রুজের প্রথম দিকের সিনেমা), “দি পেলিক্যান ব্রিফ”, “দি ক্লায়েন্ট” এর মত বেশ কিছু উত্তেজক (মানে থ্রীলার, অন্য কিছু না কিন্তু) হলিউডী সিনেমা ওনার বই থেকে বানানো হয়েছে। আগ্রহীরা দেখতে পার। আরেকটি কারনে গ্রীসামকে আমি ভালা পাই কারন উনিও ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া থেকে পড়াশোনা করেছেন। ওনার প্রায় সব বইতেই ভার্জিনিয়ার উল্লেখ থাকে।

এছাড়াও গত একমাস ধরে আরো দুইটি বই পড়ছি (মানে এই মুহূর্তে একসাথে চারটি বই!)। এদুটো আবার গল্পের না। একটু খটমট ধরনের। প্রথমটি হোল বেঞ্জামিন গ্রাহামের “দি ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর” আর পরেরটা হচ্ছে জন বগলের “কমন সেন্স অন মিউচুয়াল ফান্ড”। মানে স্টক মার্কেটের বই আর কি। কি কারনে হঠাৎ করে স্টক মার্কেটের দিকে আকৃস্ট হলাম সে আরেক কাহিনী। একটু বলি, আমেরিকায় সবার রিটায়ারমেন্টের টাকা খাটে ওয়াল স্ট্রীটে, মানে স্টক মার্কেটে। যথারীতি আমারটাও। তো অফিস থেকে কিভাবে কি করতে হবে সেটা বলেই খালাস। কিন্তু আমার টাকা আমি কোথায় কোন কোম্পানিতে খাটাব সেটা আমার সিদ্ধান্ত। সুতরাং বাধ্য হয়ে জানার চেস্টা করতে হোল। এসব করতে করতেই গত বছর শুরু হোল আমেরিকার রিসেশন।

২০০৮ এর ডাউ জোনস (Dow Jones) ইন্ডেক্স ছিল ১৪০০০ এর উপরে। ২০০৯ এর মার্চে সেটা এসে নামল ৮০০০ এর ঘরে। সবার হাতে হারিকেন অবস্থা। আমাদের এখানেও চাকরি ছাটাই। মাইক্রোসফটের ইতিহাসে প্রথম ছাটাই, ইতিহাসে প্রথম রেভিনিউ ড্রপ। স্টক মার্কেটের এই বিয়ারিশ (Bearish) ভাব দেখেই ভাবছিলাম এই সুযোগ। সবাই যখন শেয়ার পানির দরে ছেড়ে দিচ্ছে তখন আমি এই আবা* ক্যান লাফাই? কারন বিশ্বখ্যাত ইনভেস্টর ওয়ারেন বাফেটের একটা কথা অনেক আগে থেকেই মাথায় ছিল “Most people get interested in stocks when everyone else is. The time to get interested is when no one else is. You can’t buy what is popular and do well. ” তাই সাহস করে নিজের সেভিংস থেকে কিছু টাকা খাটালাম স্টকে কিছু না জেনেই। তখন থেকেই মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল, হালায় জানি না তো কিছু, ধরা খাইলে কিন্তু হাতে হারিকেন। দেরি না করে আমাজন থেকে বই দুখানা কিনে ফেললাম। অন্তত কিছু তো জানা দরকার।

বেঞ্জামিন গ্রাহামের “ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর” সম্পর্কে বলতে হয় একটি অবশ্য পাঠ্য সকল বিনিয়োগকারির। তবে বাংলাদেশের স্টক মার্কেটের জন্য আমি একথা বলছি না, কেন নয় একটু পরে বলছি। গ্রাহাম ইনভেস্টমেন্ট জগতে এক বিশাল নক্ষত্র ছিলেন (১৮৯৪-১৯৭৬)। তিনি এই বইতে যারা স্টকে টাকা খাটায় তাদের মূলত দুই ভাগে ভাগ করেছেন। ইনভেস্টর (Investor) আর স্পেকুলেটর (Speculator)। বাংলায় বললে বিনিয়োগকারি আর অনুমানকারি। ব্যাপারটা কি রকম?

বিনিয়োগ হচ্ছে বিনিয়োগ। মানে একটি কোম্পানীর ব্যাবসার অংশীদার। আপনি ওই কোম্পানীর শেয়ার কিনে ওই ব্যাবসায় টাকা খাটালেন। এখন আপনার লাভ আসবে ওই কোম্পানি যদি লাভ করে। অর্থাৎ যখন ওই কোম্পানি আপনাকে ডিভিডেন্ড দেবে। আর স্পেকুলেশন হচ্ছে ফটকাবাজী। আপনি সকালে স্টক কিনলেন কারন বাসে পাশে বসা লোকের কাছে শুনেছেন অমুক কোম্পানির দাম বাড়বে। আবার বিকেলবেলা আবার বিক্রি করে দিলেন। ফটকাবাজরা দিনে কিনে দিনে বেচে। কিন্তু প্রকৃত বিনিয়োগকারিরা কিনে ধরে রাখে। এক্ষেত্রে বাফেটের আরেকটি উক্তি মনে পড়ে গেলো (কলেজে ধর্ম পরীক্ষায় যেমন আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের উক্তি দিতাম), “My favorite holding period is infinite”। মানে প্রকৃত বিনিয়োগ হচ্ছে ওই কোম্পানিতে আসলেই টাকা খাটানো। কিন্তু কোন কোম্পানিতে আপনি টাকা খাটাবেন? অবশ্যই ভালো কোম্পানিতে। কিন্তু ভালো কোম্পানি মানেই কি ভাল স্টক? আবার বাফেটের ডায়ালগ দেই “It’s far better to buy a wonderful company at a fair price than a fair company at a wonderful price”। মানে খালি ভাল কোম্পানি হলেই হবে না, স্টকের দামও ভাল হতে হবে। কিন্তু কিভাবে বুঝব ভাল দাম কোনটা?

আমি ইকোনমির ছাত্র নই। তবুও একটু উদাহরণ দেয়ার চেস্টা করছি। যারা স্টকের সাথে জড়িত তারা জানেন PE রেশিওর কথা। মানে Price/Earning per Share ratio। কোন এক কোম্পানির শেয়ারের দাম যদি হয় ৪০ টাকা আর অই বছর পার শেয়ার কোম্পানির লাভ যদি হয় ২ টাকা তাহলে PE এর মান হচ্ছে ২০। একটু ঘুরিয়ে বললে এই কোম্পানিতে যদি আপনি ১০০ টাকা খাটান তাহলে সেই মূলধন উঠে আসতে সময় লাগবে ২০ বছর। এখন যদি আপনাকে প্রস্তাব দেই “দোস্ত, চল তুই আর আমি আলুর ব্যাবসা শুরু করি। তুই যা টাকা খাটাবি তা ৫০ বছর পরে উসুল হবে। লাভ হওয়া শুরু করবে ৫১তম বছর থেকে”। আপনি কি আমার এই ব্যাবসার প্রস্তাবে রাজী হবেন? সাধারনত PE এর মান যদি ১০-২০ এর মধ্যে হয় তাহলে সেই স্টকের দাম খুব ভাল বলে ধরে নেয়া যায়। ২০-৩০ চলেবল। তার ওপরে বিগ নো।

এবার বলি কেন ঢাকার স্টক এক্সচেঞ্জ আমার কাছে ফটকাবাজীর আদর্শ যায়গা মনে হয়। ইদানীং প্রায় সব চ্যানেলে স্টক মার্কেটের খবর দেখি। কি খবর দেয় তারা? আজকের টপ টেন কারা, কার দাম বাড়ছে, কার কমছে, কয়টি অপরিবর্তিত আছে। আরে ছাগল এই তথ্য দিয়া আমি কি করুম। স্টক মার্কেট কি হিন্দী সিনেমার গানের লিস্ট নাকি? আমার দরকার বেক্সিমকোর ব্যাবসার কি খবর, কোথায় কি ঘটল যাতে বেক্সিমকোর ব্যাবসায় প্রভাব পরবে, চট্টগ্রাম পোর্টে কি ধর্মঘট চলছে, পার কন্টেইনার আমদানিতে কি নতুন চার্জ যুক্ত হচ্ছে, ব্যাংকে ইন্টারেস্ট রেট কত, সেটা কি বাড়বে না কমবে, ডলার রেট কত, সরকারের নতুন পশচাদ্দেশ মারা আইন ব্যাবসায় কি প্রভাব ফেলবে এইসব। প্রকৃত বিনিয়োগকারির জানার দরকার নেই আজকে কার দাম বাড়ল আর কার কমল। কারন সে বিনিয়োগ করে অন্তত ৫-১০ বছরের জন্য। তার জানা দরকার কার ব্যাবসা ভাল চলছে বা চলবে (যদিও গ্রাহামের মতে তার কিছুই জানার দরকার নাই। To a speculator, those stock quotes are like oxyzen, cut the supply and they will die)। কিন্তু স্পেকুলেটরদের জন্য ওইটাই দরকার, আজকে কে বাড়ল আর কে কমল। কেন কমল কেন বাড়ল তা জানার দরকার নাই। খালি সকালে কেন আর বিকালে বেচ আর ধরা খাও।

আমার এক আত্তীয় ঢাকার বেশ বড় এক স্টক ব্রোকার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার। গিয়েছিলাম তার অফিসে কয়েকবার। সে মহা এলাহী সিনারি। লোকজন সব কম্পিউটারের সামনে বসে আছে যেন সিনেমা দেখছে। আর আমার আত্তীয় কাকে যেন ফোনে উপদেশ দিচ্ছেন অমুক কোম্পানি কিনেন, সামনে বাড়ব। তখন বুঝিনি কিন্তু এখন আমার ক্ষুদ্র জ্ঞ্যানে না হেসে পারিনা। বাঙ্গালি ধরা না খাইলে কে খাইব। কারও কোন ধারনা নেই কোম্পানি সম্পর্কে কিন্তু কিনে বসে আছে। কারন কি, কারন সে কার কাছ থেকে শুনেছে দাম বাড়বে। কেন বাড়বে তা জানেনা। আসলে কেন বাড়ে? বাড়ে কারন বিগ ফিশরা দাম বাড়ায় যাতে আম-ছাগলরা কিনে। পরে হাতে হারিকেন আম-ছালাবিহীন ছাগলের হাতে। আর আইপিও তো এখন হটকেক। সেটার অবশ্য কারন আছে। নতুন কোম্পানির ফিনান্সিয়াল প্রোফাইল যাই হোক, যেহেতু মার্কেটে কোম্পানির সংখ্যা সীমিত তাই মানুষ যা পারে তাই কেনে।

এহহ, শুরু করছিলাম বই পড়া নিয়ে, গেলাম কই স্টক মার্কেটে। যাই হোক, আপাতত এই থাক। পাঠকদের বিরক্তি উদ্রেক করলে সরি না। যাবার আগে মেয়ের একটা ছবি দিয়ে যাই, হাজার হোক ওই আমার মূল ইনভেস্টমেন্ট এখন। সবাই ওর জন্য একটু দোয়া করবেন।

DSC02070

ওহ, ভুইলা গেছিলাম, শুভ নববর্ষ ২০১০, এসো হে জানুয়ারী এসো এসো…

৫০ টি মন্তব্য : “আজাইরা পোস্ট – কি করছি, কি পড়ছি”

  1. রাব্বী (৯২-৯৮)

    আজাইড়া হলেও ভাল লাগলো। কত মানুষের জীবন যে কম্পিউটার স্ক্রীনে আটকে আছে! স্টকমার্কেট বুঝিনা, তবে ব্যাপারটা ফটকাবাজি বলেই মনে হয়। যারা শেয়ারে ইনভেস্ট করে (পরিচিতের মধ্যে) এবং লাভ করে, এটা নিয়ে তাদের চাপা অহংকার দেখে হাসি পাইতো। 😀


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    পোষ্টের শিরোনাম আর ডিস্ক্লেইমার দেখে মেজাজ খারাপ হইছে x-( ।

    তবে শেষটায় কিউট ভাতিজী'র ছবি দেওয়ায় এখন মেজাজ ঠান্ডা।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  3. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    শেয়ার ( বাংলাদেশের) বাজার কে ফটকাবাজি মনে হয় দেখে আমার ছোটভাই এখন আর আমাকে ওর লাভ-লসের খবর বলে না।
    আপনার বই পড়ার গল্প তো ভালই চলছিল কই থেকে কই চইলা গেলেন। লর্ড অফ দ্যা রিংস সিনেমা দেখিনাই ভাবছিলাম বইটা পড়ে সিনেমা দেখব কিন্তু বইটা বড় স্লো মনে হল শেষ করতে পারি নাই। এখন ভাবছি ছোটবেলার গল্পগুলা আবার পড়ব এই জন্য ডঃ জেকিল এন্ড মিষ্টার হাইড আর ট্রেজার আইল্যান্ড আইনা রাখছি লাইব্রেরি থেকে কিন্তু পড়ার সময় পাচ্ছি না।

    জবাব দিন
  4. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    ভাল্লাগসে বস ...... লর্ড অফ দ্য রিংস শেষ করতে অনেক কষ্ট হইসিলো ... বড়ই কঠিন ইংলিশে লেখা। আসিমভ কালেকশনটা শেষ কইরা স্টিফেন কিং কালেকশন ডাউনলোড দিবো ভাবতেসি।
    ভাতিজী রাগি রাগি চেহারা নিয়া ঘুমায় কেন ?????

    জবাব দিন
  5. তানভীর (৯৪-০০)

    লর্ডস অফ দ্য রিংগস- বইটা পড়ার চেষ্টা করেছিলাম, অনেক খটমটে- তাই আর পড়া হয়নি। তার চেয়ে মুভিটা দেখে মজা পেয়েছি। রাতে শুরু করেছিলাম, টানা তিনটা পর্ব দেখা শেষ করেছিলাম ভোরে এসে।
    জন গ্রিসামের নাম এত শুনেছি, কিন্তু পড়া হয়নি একটাও। ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়িই কিছু বই কিনে ফেলতে হবে ওর।
    আমার আশেপাশে সবাই শেয়ার মার্কেটে ইনভল্ভড। আমিও শুরু করব কিনা দ্বিধায় ছিলাম। এখন বুঝতে পারলাম আরও অনেক গবেষনার দরকার আছে। 😕
    ভাতিজীকে অনেক অনেক আদর। বাবার মত জিনিয়াস হোক এই দোয়া রইল। 🙂

    জবাব দিন
  6. যাক স্টক মার্কেট নিয়া কিছুটা হইলেও জানলাম।
    আমাদের সাথে একপোলা রুমে নেট নিয়া সারাদিন খালি জিনিসপত্রের দাম লেখত, টুথব্রাশ, প্রাণ পানির বোতল, কসমেটিকস.... পরে শুনলাম এইপোলা শেয়ার ব্যবসা করে। :)) :)) :))

    ইংলিশে বই পড়তে ভাল্লাগে না, বুঝি না... আর বড় কথা হইল মনটানে না :(( জন গ্রীশামের পেলিক্যান ব্রিফ শুরু কইরাও বেশি দূর যাইতে পারি নাই :((
    তয় ইংলিশ মুভি আবার ভালা পাই। জন কেচাম'স দা গার্ল নেক্সট ডোর দেখছেন বস? চোখে পানি না আসলে পয়সা ফেরত।

    ভাস্তির চেহারা আসলেই আপনের মত হইছে। বাপ মার মত জিনিয়াস হউক , দোয়া রইল।

    জবাব দিন
  7. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ভাতিজি মাশাআল্লাহ সুন্দর হইছে। আরেকটু বড় হইলে টাংকিবাজির ট্রেনিং দিয়া ফালাইও। আমি শুরু করছি ট্রেনিং আমার মেয়ের, এর পরে কুংফু শিখামু ঠিক করছি।

    যাউজ্ঞা, বাংলাদেশের শেয়ার ভালা পাই না, সালাম দিয়া দিয়া রাখছি গত বছরে, খুব ইমম্যাচিউর মুভমেন্ট এখানে।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  8. মিশেল (৯৪-০০)

    ১. এটা মরতুজা ভাইয়ের অমরতুজীয় পোস্ট।

    ২. বই পড়ার ব্যাপারে সহমত। ছোটকালে আমিও প্রচুর বই পড়তাম কিন্তু এখন সময় হয় না।

    ৩. শেয়ার বাজার ভালা পাই না।

    ৪.

    যাবার আগে মেয়ের একটা ছবি দিয়ে যাই, হাজার হোক ওই আমার মূল ইনভেস্টমেন্ট এখন।

    ব্যাপক সহমত। 😀

    জবাব দিন
  9. জিহাদ (৯৯-০৫)

    এইটা আজাইরা পোস্ট ক্যামনে হইলো। এইটা তো কাজাইরা পোস্ট। কাজের অনেক কিছু জানলাম।
    বই নিয়ে লিখতেসিলেন। হুট করে স্পীড ব্রেকার মাইরা মন খ্রাপ করাইলেন।
    ভাতিজি আপনার মত হইসে। 🙂


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  10. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বাহ... ভাতিজি দেখি পুরা আপনার মতই হইছে... 🙂

    অনেক দিন পর টানা একটা গল্পের বই পড়ে শেষ করলাম। ড্যান ব্রাউনের "দ্যা লস্ট সিম্বল"। ফিনিশিং বাদে বাদে পুরোটাই দূর্দান্ত লাগছে। এখন পড়ার জন্য অন্য কোন বই খুঁজছি।

    শেয়ার বাজারকে মাইনাস... বুঝি না :thumbdown:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  11. আন্দালিব (৯৬-০২)

    এটা মোটেই আজাইরা পোস্ট না। আমি আজাইরা ভেবে পড়তে বসে শেয়ারের স্টকে স্টাক হয়ে গেলাম! x-(

    তবে লর্ড অফ দ্য রিংস আপনার পড়া হবে না বুঝা গেছে। ঐ সমাবেশ পর্যন্ত গেছেন, রিবেনডেলের সেই সমাবেশে ৮০/৯০ পৃষ্ঠা চলবে। হা হা হা :grr:

    শেয়ার বুঝি না একেবারেই এইটা মাসুম ভাইয়ের একটা পোস্টে বলছিলাম। আপনার পোস্টের শেয়ারের অংশটুকু কিন্তু খুব ভালো লাগছে। বই পড়ে পড়ে এভাবে শেয়ার ব্যবসা শিখে ফেলতে পারলে তো দারুণ হয়! 😀 :clap:

    জবাব দিন
  12. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    বাংলাদেশের স্টক মার্কেট থিওরি মেনে চলে না... :no:
    উপরের লেভেলে চলে ম্যানুপুলেশন...নিচের লেভেলে স্পেকুলেশন... :-B
    তবে কনক্লুশন হচ্ছে, লাভ করাই মূল কথা...তা সে যেভাবেই হোক... B-)

    লেখা হঠাৎ করে শেষ করে দিয়েছেন...
    পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম...

    পিচ্চিকে অনেক অনেক আদর...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  13. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    লর্ড অফ দ্য রিংস দেখে খুব ভাল লেগেছিল। দেখেছিলাম তিন বার। বইটা পড়া হয় নাই। তবে টলকিন এর অনেক গুণগান শুনেছি। বই অসাধারণ হবে যে এতে কোন সন্দেহ নাই, না পইড়াই 😀
    জন গ্রিশাম এর নাম শুনেছি অনেক। তবে তার কোন বই পড়ি নাই। ভার্সিটিতে আমার দুই রুম পরে একজন থাকতো, গ্রিশামের ভক্ত। তার কাছে প্রায় সবই ছিল। তবে আমি গ্রিশামের বই থেকে করা দুইটা মুভি দেখছি: দ্য পেলিকান ব্রিফ এবং দ্য রেইনমেকার। রেইনমেকার ছিল ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার করা ছবি, সেই হিসেবে অতো উঁচুমানের হয় নাই। তার কাছ থেকে আরও বেশি আশা করেছিলাম। পেলিকান ব্রিফ বেশ ভাল লেগেছিল: ডেনজেল ওয়াশিংটন আর জুলিয়া রবার্টস।

    জবাব দিন
    • মরতুজা (৯১-৯৭)

      টল্কিন বেচারা আসলেই বস। পরের বছর তো মনে হয় লর্ড অফ দা রিং এর আগের কাহিনী দা হবিট বইয়ের সিনেমা আসছে। বইটা পড়া আছে। অসাধারন। সিনেমাটাও জটিল হবে বলেই আশা করছি। গত কয়েক বছরে টেকনোলজির অনেক উন্নতি হয়েছে। স্পেশাল ইফেক্টের দিক থেকে। "Avatar" দেখলে বুঝবে। তবে খবরদার, অবতার অরিজিনাল ডিভিডি ছাড়া দেইখ না। পারলে ব্লু রে, আর উপায় থাকল অবশ্যি 3D is the best.

      জবাব দিন
  14. শেয়ারবাজারে দুই প্রজাতির মানুষ থাকে। এক প্রজাতির হাতে থাকা টাকা, আরেক প্রজাতির কাছে অভিজ্ঞতা। দিন শেষে এরা নিজেদের জিনিস হাতবদল করে চলে যায়।

    কপিরাইট: মাসুম ভাই।

    জবাব দিন
  15. রাশেদ (৯৯-০৫)

    দারুণ লেখা মরতুজা ভাই, এরকম ব্লগর ব্লগর লেখাগুলারে এমনিতেও ভালু পাই। শেয়ার বাজারের কাহিনীটা বিশেষ ইন্টারেস্টিং মনে হল। আর ভাতিজি মাশাল্লা দারুণ কিউট হইছে 🙂


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মরতুজা (৯১-৯৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।