কামরুল ভাইয়ের ইফতারি,আমার জিলাপি ভক্ষন ও হাবিজাবিঃ পর্ব ১(গল্প শুরুরও আগের গল্প)

এই লিখা শুরু করার আগে ব্লগের নামকরণ নিয়া ইয়াহু মেসেঞ্জারে কামরুল ভাইয়ের সাথে এক দফা হয়া গেল।ভাবছিলাম ডজ দিবো,কিন্তু পরশু দিনের ইফতারি নিয়া যে আমার ব্লগ লিখার কথা সেইটা কামরুল ভাই ভুলেন নাই। উনি আমারে বলসিলেন ব্লগ লিখতে, আমিও চিরায়ত নিয়ম অনুসারে সেইটা অল্টারনেট জুনিয়র রায়হানকে পাস করে দিছিলাম। কিন্তু কেমনে কি,যুগের সাথে সাথে ডজ মারার উপায় গুলাও যে এডভান্স হইসে সেইটা তো আর আমি হিসাবে নেই নাই। আজকে সকালে রায়হান আমার কাঁচা ঘুম ভাঙ্গায় কথায় কথায় বলে-মাসরুফ ভাই,আমার বাসায় পিসি,ইন্টারনেট কানেকশন কিচ্ছু নাই। আমিও গজগজ করতে করতে মনে মনে বললাম,বেটা এইভাবে ডজ দিয়া আর কয়দিন কাটাবি-কলেজে হইলে তোরে এমন ধোলাই দিতাম,আহারে আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম রে..

যাই হোক, রায়হানের মত সরাসরি ডজ না মারলেও আমি মনে মনে বিষয়টা চাইপা যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম। মনের মধ্যে হাল্কা অপরাধবোধ কাজ করলেও নিজেরে বুঝ দিতাম এইটা ভাইবা- সাম থিংস আর বেস্ট লেফট আনসাইড আত্মার আত্মহারা আনন্দ অনির্বচনীয়ই থাকুক,উহা অন্তর্জালে প্রকাশ করিয়া কাজ নাই ইত্যাদি ইত্যাদি…। যাই হোক,নেটে কামরুল ভাইয়ের সাথে এই কথা সেই কথা বলতে না বলতেই পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে স্টাইলে উনার ঝাড়ি(মোলায়েম সুরে)-কিরে মাসরুফ তোর না ব্লগ দেওনের কথা ছিল আমার বাসার ইফতারি নিয়া?? আমি মিনমিন কইরা(প্রেয়ার ডজ দিতে গিয়া খোদ মস্ক এন্ড ডায়নিং হল প্রিফেক্টের হাতে ধরা খাইলে গলা থিকা যেই স্বর বাইর হয় সেই স্বরে)বলতে নিলাম- ইয়ে মানে কামরুল ভাই, ওইটা আসলে আমার না রায়হানের লিখার কথা…। ভাবলাম জুনিয়র হিসাবে হয়তো এই বেলা রায়হানের উপর দিয়াই যাবে,কিন্তু-হা বিধি, এ ভবভূমি তব লীলাস্থলী,পরেরি যাতনা দেখি কিহে তুমি হও সুখী?মাফ পাওয়া তো পরের কথা,সেয়ানা রায়হান দেখি সব সিস্টেম আগে থিকাই কইরা রাখছে(মনে হয় ও আর জিহাদ বদ দুইটা আইইউটিতে পাশাপাশি রুমে থাকে, নাইলে আমারে আবার “কাশেম” বানানোর আগাম ব্যবস্থা ওর এত তাড়াতাড়ি আয়ত্ব করার কথা না)। কামরুল ভাই উল্টা কয়-ওর নেট নষ্ট আর ও ছুডু মানুষ-তোর লিখার কথা ছিল তুই লেখ (আহা!যেন এই “ছুডু মানুষ” সাইবার ক্যাফেতে গিয়া লিখলে আশে পাশের “পরিবেশ-দূষণ” দেইখা চরিত্র নষ্ট কইরা ফালাইবো)

বুঝলাম, ডজ দেওয়া আমার মত গাছের কপালে নাই। সুতরাং ভাইসব,শিগগিরি কামরুল ভাইয়ের বাসায় আমার দুঃসাহসিক অভিযান নিয়া একখানা ব্লগ আসিতেছে…ঘন্টা খানেকের মইধ্যেই- দেশিবাবা,যৌবনজ্বালা,টেলস ফ্রম বাংলাদেশ ইত্যাদি সাইটে যদি এখন আপনার অবস্থান হয় অতি সত্বর তা হইতে নিজেদের বাড়ি সিসিবির দিকে চোখ রাখুন…

(চলিবে…??)

২,৩৭৯ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “কামরুল ভাইয়ের ইফতারি,আমার জিলাপি ভক্ষন ও হাবিজাবিঃ পর্ব ১(গল্প শুরুরও আগের গল্প)”

  1. ১.
    আমার ইফতারি?আমি তো রোজাই থাকি না। ক্যামনে কি?
    ২.
    অইদিন তো আসলে ইফতারি টা ইম্পর্টেন্ট ছিলো না। ইম্পর্টেন্ট ছিলো জম-জমাট আড্ডাটা। দল বাইন্ধা ক্যাডেট কলেজের আলাপ করার মজাই আলাদা।
    ৩.
    তুইও ফাকিবাজ হইয়া গেছিস। সবাই খালি এখন ট্রেলার পোষ্ট মারে। একবারে পুরাটা দিলে কি হয়?

    জবাব দিন
  2. সাব্বির (৯৫-০১)

    মাস্রুফ তো একটা ভন্ড। ওর আশায় বইসা থাকলে খবর আছে।
    হালার ঘন্টা খানেক যে কবে শেষ হইব আল্লাহ পাক জানে।
    ওদের ইফতার পার্টি নিয়া আমিই নেক্সট পার্ট লেখা শুরু করুম নাকি চিন্তা করতাছি B-) B-) ।

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আচ্ছা আমি কিছুতেই সেকেন্ড পার্ট টা পাব্লিশ করতে পারতেসি না কি করা যায় বলেন তো?খালি এরর দেখায়......সারারায়ত জাইগা লিখছি আর এইদিকে পাব্লিক ও খেইপা লাল...টেম্পরারিভাবে এইখানে পাব্লিশ করি?পরে কাটকপি পেস্ট কইরা আলাদা পোসট দিমু???

    জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    লেখাটা বেশি বড় হয়ে যাওয়ার কারণে পাব্লিশ হচ্ছেনা এমন ও হতে পারে।ব্লগ এডজুটেন্ট কে অনুরোধ করব দয়া করে এখান থেকে কাট কপি করে আলাদা ব্লগ আকারে পাবলিশ করতে।আমি সারারাত জেগে লিখার পর বিগত ২ ঘন্টা ধরে চেশটা করেও পাবলিশ করতে পারিনি তাই তিতিবিরক্ত হয়ে মন্তব্য আকারে দিলাম।পাবলিশ হবার পর এই মন্তব্য আকারে ব্লগ মুছে দেব।

    জবাব দিন
  5. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    সেহরীর পর থেকে ব্লগ লিখে সেটা প্রিয় সিসিবিতে প্রকাশ করতে না পারার যন্ত্রনা আর গর্ভযন্ত্রনা সম্ভবত কাছাকছি।মন খারাপ করে বেলা ১০ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।উঠে দেখি লেখা পাবলিশড!হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা কষ্টটুকু করার জন্যে!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাব্বির (১৯৯৫-২০০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।