“গণমানুষের বিদ্রোহ” অথবা “শ্রেণীসংগ্রামের”গন্ধ পাওয়া বুদ্ধিজীবী এবং সমমনা ব্লগাররা কি কখনো আমার এই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন??

বিডিআরকৃত গণহত্যার(সানাউল্লাহ ভাইয়ের মত আমিও একে গণহত্যা বলেই মনে করি) পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এই ব্লগের অনেক সদস্য এবং ক্যাডেট কলেজের আরো অনেক কাছের মানুষের খোঁজ নিতে ফোনে কথা বলেছি বেশ কয়েকজনের সাথে।দুটি কথোপকথন উল্লেখ করলে মোটামুটি সবগুলোর সারমর্মই পাওয়া যায়ঃ

১) মেজর “আ” কান্নারুদ্ধ কণ্ঠে বলছিলেন-“ভাই যারা মারা গিয়েছে তারা আমার আত্মীয়ের চেয়েও বেশি ছিল।আমরা মারা গেলাম, আমাদের স্ত্রী পুত্র নির্যাতিত হল-আর এর পরেও সব দোষ আমাদের?আমরা কি আসলেই এত খারাপ যে আমাদের লাশ ড্রেনে পড়ে থাকলেও আত্মীয় স্বজন ছাড়া আর কেউ একফোঁটা কষ্ট পায়না?”
২)ক্যাডেট কলেজে আমার এক ব্যাচ সিনিয়র ক্যাপ্টেন “ন” ভেজা কণ্ঠে বলছিলেন-“ভাইরে আমরা হচ্ছি এক্সপেন্ডেবল কমোডিটি।তোদের টাকায় আমাদের ইউনিফর্ম আর অস্ত্র কেনা,আর তাই তো আমাদেরকে নিরস্ত্র অবস্থায় কুকুরের মত মারলেও তোদের মনে হয় ঠিকই তো হয়েছে।জীবনে যদি একটা ভাল কাজ করে থাকিস তা হচ্ছে সেনাবাহিনীতে না এসে।”

সহজেই বোঝা যায়,দেশের প্রয়োজনে যন্ত্রের মত খেটে যাওয়া এ মানুষগুলো দেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে নিজেদেরকে প্রশ্ন করছেন-এই যে পারিবারিক জীবনকে শিকেয় তুলে রেখে দিন-রাত ভুলে,সাধ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে বুলেটের মুখোমুখি হওয়ার যে কষ্টের জীবন-ডাজ দ্যাট ওয়ার্থ ইট?বেশি পরিশ্রম কিন্তু কম ব্যক্তিগত সুখের(আমি বিতর্কে যাব না,এ ব্লগের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু ক্যাডেট তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন যে সেনাবাহিনীতে যে পরিশ্রম করতে হয় বাইরে সমপরিমান পরিশ্রমে অন্ততঃ আর্থিক দিক দিয়ে শতগুণ বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব)জীবনে একমাত্র সান্তনা দেশসেবার গৌরব-এই গৌরবই যখন নেই তাহলে বৃথা কেন এই নরকে পড়ে থাকা???

এ প্রশ্নের উত্তর দেবার মত জ্ঞান আমার নেই।তবে তুচ্ছাতিতুচ্ছ একজন মানুষ হিসেবে আমি গতকাল ঘটে যাওয়া একটা ছোট ঘটনা বলতে চাই।আমাদের এই ব্লগেরই এক আদরের ছোটবোনের শহীদ পিতার জানাজা হবার কথা ছিল গতকাল তিনটায়।আর্মি স্টেডিয়ামে নেমে দেখি জানাজার কোন আয়োজন নেই।কাছে গিয়ে জানতে পারলাম পরের দিন(আজকে) সকাল ১০ টায় জানাজা হবে।ওখানে শ্মশ্রুমন্ডিত দুজন বৃদ্ধকেও দেখলাম-উনারাও এসেছিলেন জানাজার নামাজ পড়তে।আমি উনাদের পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখলাম বেশ কৌতুহল নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।বুঝতে অসুবিধা হলনা যে আমার ছোট করে ছাঁটা চুলের(কলেজ থেকে বের হবার পরেও ক্যাডেট রীতিতে চুল কাটার অভ্যাসটা ছাড়তে পারিনি এখনো)কারণে আমাকে সেনা সদস্য ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা।ভদ্রতার খাতিরে জিজ্ঞাসা করলাম-চাচা আপনার কোন আত্মীয় কি মারা গিয়েছে?

আমি জানি এ অংশটুকু অতিরঞ্জিত শোনাবে,বিশ্বাস করা না করার ভার আমি পাঠকদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।সেই রাস্তার মাঝে বৃদ্ধ ভদ্রলোক আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলেন এই কথা বলে-“বাবা গো,ওরা সবাই তো আমাদের সবার আত্মীয় ছিল”।

দেশের বাইরে বসে ঠিকমত খোঁজ না নিয়ে বিদেশীদের কাছে নিজ দেশের বদনামকারী বিকৃত রুচির কিছু ব্লগার,বড় বড় ডিগ্রীধারী তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী আর সমাজ ও জাতির দর্পণস্বরূপ যে মিডিয়া সে মিডিয়াতে বসবাসকারী কিছু বিবেকহীন মানুষের কাছে আমার এই ঘটনাটি নিতান্তই “ব্যতিক্রম” বলে মনে হবে।কিন্তু আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে অন্তত এটুকু জানি,এ ঘটনাটি ব্যতিক্রম নয়।যাদের কথা বললাম এরা অনেক বেশি সক্রিয় হলেও এদের নিয়ে কিন্তু সারা বাংলাদেশ গড়ে ওঠেনি।আর তাইতো এন এস ইউতে পড়া চোস্ত বাংলিশে কথা বলা ছেলেমেয়েদের আর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া আমার ছোট বোনের চোখে আমি যেমন কান্না দেখতে পাই,ঠিক একই কান্না দেখি আমাকে বহন করা খেটে খাওয়া রিকসাওয়ালার চোখে। আমার সেনা ভাইবোনদের বলছি,ইন্টারনেট ব্লগ আর টক শো এর বাইরেও যে বাংলাদেশ রয়েছে,সে বাংলাদেশ অকৃতজ্ঞ নয়।আপনারা যখন কাঁদেন,আপনাদের সাথে সেই বাংলাদেশও কেঁদে ওঠে।

অল্প কিছু মানুষের জন্যে আমাদের বাকী সবাইকে ভুল বুঝবেননা-প্লিজ!

৩,৯০৭ বার দেখা হয়েছে

৩৯ টি মন্তব্য : ““গণমানুষের বিদ্রোহ” অথবা “শ্রেণীসংগ্রামের”গন্ধ পাওয়া বুদ্ধিজীবী এবং সমমনা ব্লগাররা কি কখনো আমার এই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন??”

  1. তৌফিক (৯৬-০২)

    বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার আগ দিয়ে এক কমেন্টে বলেছিলি পরীক্ষার পর বড় একটা ব্লগ আসছে। সেটা এলো, কিন্তু এমন করে আসবে......

    ভালো লাগছেনা কিছুই ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে। দেশের বাইরে থাকাদের তড়পানিটা কম না, কিছুই জানার উপায় নেই ব্লগ আর পত্রিকাগুলোর ওয়েব সাইটের বাইরে। খেটে খাওয়া বাংলাদেশের যে চিত্র উঠিয়ে আনলি, আশা করি আমাদের আর্মি ভাইয়েরা একটু হলেও শান্তি পাবেন। বাংলাদেশ তো এরাঁই, যারাঁ এভাবে মমতা দেখাতে পারেন, দৈনিকের খাবারটুকু যোগাড় করার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন।

    এলোমেলো অনেক কথাই মনে আসছে, কথাগুলোকে অক্ষরে বন্ধী করার ক্ষমতাও যেন হারিয়ে গিয়েছে।

    বাংলাদেশ আর্মিকে আবারো স্যালুট।

    জবাব দিন
  2. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    আমরা মারা গেলাম, আমাদের স্ত্রী পুত্র নির্যাতিত হল-আর এর পরেও সব দোষ আমাদের?আমরা কি আসলেই এত খারাপ যে আমাদের লাশ ড্রেনে পড়ে থাকলেও আত্মীয় স্বজন ছাড়া আর কেউ একফোঁটা কষ্ট পায়না?

    সুদূর প্রবাসে বসে দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহের সাথে নিজ স্ত্রী সন্তানকে চিন্তা করতে যেয়ে আমার কোর্সমেট হু হু করে উঠেছে অনেকবার। কম্পিউটার স্ক্রিনে ১০ মাস বয়সী ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সে সেখান থেকে ছেলের ছবিই সরিয়ে ফেলেছে। কোনদিন পরিবার নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে থাকবে না বলে মনস্থির করেছে।
    কি যন্ত্রণা....... কি যন্ত্রণা..........।

    ”বাবা গো,ওরা সবাই তো আমাদের সবার আত্মীয় ছিল”

    :salute: :salute:

    অনেক ধন্যবাদ মাসরুফ।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      সায়েদ ভাই, গত কয়দিন ধরে আমি, আমার পুরো পরিবার,আমার কাজিনরা সবাই শুধু কাঁদছি আর কাঁদছি।এমন না যে আমাদের পরিবার সেনাসদস্যে ভরা।বিশ্বাস করুন ভাইয়া,আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষ আপনাদের ভালবাসি, আপন মনে করি।প্লিজ গুটি কয়েক অর্বাচীন মানুষের প্রলাপে দেশের প্রতি নিজের কমিটমেন্টটা কমিয়ে ফেলবেন না(সেটা সম্ভব বলে আমার মনেও হয়না,ভাইদের লাশ দেখেও যারা দেশের স্বার্থে চুপ থাকার মত মানসিক দৃপ্ততা দেখাতে পারে-তাঁদের প্রতি অন্তত আমার আস্থার কোন অভাব নেই)

      জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)
    ইন্টারনেট ব্লগ আর টক শো এর বাইরেও যে বাংলাদেশ রয়েছে,সে বাংলাদেশ অকৃতজ্ঞ নয়।আপনারা যখন কাঁদেন,আপনাদের সাথে সেই বাংলাদেশও কেঁদে ওঠে।

    ..............................


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  4. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    ধন্যবাদ মাসরুফ অনেক সময়োপযগী একটা পোস্ট দেয়ার জন্য । আমাদের সেনাবাহিনীর ভাইদের প্রতি অনুরোধ মনোবল হারাবেন না, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে এর পেছনের শয়তানদের দেশের মানুষের সামনে নিয়ে আসুন । তথাকথিত বুদ্ধিজীবি ছারা বিবেকবান সব মানুষ আপনাদের সাথে আছেন ।

    জবাব দিন
  5. সাইফ (৯৪-০০)

    মাস্ফু,তোর এই কথাগুলার সাথে সস্তা মানসিকতার ব্লগারদের কে আর বিদেশে বসে যারা কতিপয় ব্লগ পড়ে এবং নিজেদের বিলাসবহুল জীবনের ফাকে অবসরের বিণোদন হিসেবে ব্লগিং করে দেশপ্রেম এর চর্চা করে,তাদের মিডিয়া নির্ভরতা আর সস্তা ব্লগ নির্ভরতা কতটুকু ঠুঙ্কো তার জন্য নিচের বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করতে বলছি
    ১।আজাকের চ্যানেল আইতে খবরে জেনারেল শাকিল এর সাক্ষাতকার একটা টক শোতে দেখানো হয়েছিল......সেখানে তিনি সরাকারের প্রতি বিডি আর এর প্রতি সমস্ত সুযোগ সুবিধা আর তার আধুনিকিকরনের কথা বলেছিলেন।তাইলে আমার প্রশ্ন কতিপয় বিডি আর সদস্যদের এই অভিযোগ...।।যে অফিসাররা তাদের অভাব অভিযোগ এর কথা প্রধান্মন্ত্রিকে বলে নাই...এরপরো কি তা যুক্তিতে কিংবা বিবেকের জিজ্ঞাসায় যৌক্তিকতা এনে দেয়?
    ২।১ মার্চ চ্যানেল আইতে মোস্তফা মল্লিকের সব কয়টা রিপোর্ট দেখবেন
    সাধারন মানুষ বলত আপনারা যা বোঝান বিদেশের লোকদেরকে তারা কি বলছে
    ৩।জেলায় জেলায় সাধারন মানুষ কিভাবে এর প্রতিবাদ আর বিচার চাইছে দেখবেন......
    ৪।বিডী আর সদস্যদের অনেকের কান্না দেইখেন,
    ৫।২৮ ফেব্রুয়ারিতে আর টিভি তে এবং সব কয়টা টিভি চ্যানেলের টক শো তে লোকজন কি বলছে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শামিম স্যার ইলেক্ট্রনিক মিডীয়ার কি রকম সমালোচনা করছে,সাথে অন্য সবাই ও।,আপনারা কিভাবে বিবেকের কাছে পরাস্ত হয়েছেন,ধোকা খেয়েছেন মিডিয়াতে এক দুইজন জওয়ান্দের আমি বিদ্রোহি স্লোগান দেখে,শোনেন,কুনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এর প্রধিন তত্ব হলো।অই মুহুর্তে হোস্টেজদেরকে উদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা,জিম্মিকারি কিংবা সন্ত্রাসিদেরকে মীডিয়া কাভারেজ এর বাইরে রাখা ,নইলে এরা হত্যা এবং ধ্বংসাত্মক কাজে আরও বেশি হিংস্রতা দেখায়,শুধু মাত্র নেগোশিয়েশনের জন্য অদেরকে যেসব খবর পঊছানো দরকার সেইগুলা শধু মিডিইয়া পঊছে দেয় এবং তাদেরকে শান্ত করারা জন্য এবং রক্তপাত যাতে কম হয় সেই জন্য অই মুহুর্তে মীডিয়া ঊল্টা একটা প্রপাগাণ্ডা মেশিন হিসেবে সরকারের সাথে কাজ করে।এইটা হলো কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এ সাংবাদিকতার বেসিক।বিশ্বাস না হইলে একটু পড়াশুনা কইরা দেখেন।তবে জিম্মিকারিদের যদি যৌক্তিক কোন দাবি থাকে সেইটা পরিস্থিতি নিওয়ন্ত্রনে আনার পর মীডীয়া জোরালো ভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
    আমাদের দেশে বেশিরভাগ সাংবাদিকদের প্রাতিষ্ঠিনিক তেমন কোন সাংবাদিকতার শিক্ষা না থাকায় এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন সেই সাথে একটা রাষ্ট্রযন্ত্রের কোণ প্রতিষ্ঠানের কি কাজ সেইগুলা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা এবং ইয়েলো জার্নালিজম এর একটা বড় প্রভাব থাকায় এমনটি হয়েছে,এতে লাভ বলতে এইটুকুন ঈ যে গোটা দেশকে বিশ্বের সামনে বাজেভাবে উপস্থাপন,দেশের প্রতিষ্ঠাণ সমুহকে আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে উপস্থাপন,জনমনে অসন্তোষ তৈরি করা,সরকারকে অস্থিতিশিল করে তোলা,ভীক্টিম দের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়া।এবার বিবেক কে প্রশ্ন করুন আপনি কতটুকু শিক্ষিত,আপনার পি এইচ ডী র মুল্যকতটূকু,আপনি দেশকে কতটুকু ভালোবাসেন,
    এইভাবেই যুগের পর যুগ সিভিল মিলিটারি গ্যাপ বাড়ানো হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে।আর আমি আপনি একে অন্যের কাছ থেকে দূরে সরে গেছি।

    একটা ভীডীও চিত্র,এক্টা স্থির চিত্র,এক্টা মুখের কথ যে কতরকম বিপর্যয় এনে দিতে পারে,সেইটা আমাদের সাংবাদিক রা যদি বুঝ ত তাহলে কখনি এরম হত না,শুধু এই ঘটনার কথা বলছি না,দেশের সব ঘটনাতেই এই কাজ করে থাকে তারা সচেতন অথবা অসচেতন ভাবে।আমি ব্যক্তিগতভাবে পড়াশুনা করেছি,কিভাবে যুদ্ধে মীডীয়া প্রোপাগাণ্ডা হিসেবে কাজ করে যুদ্ধ জয়ের ক্ষেত্রে,দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধ,ভিয়েত্নাম ওয়ার,আমাদের লিবারেশন ওয়ার............উপসাগরিয় যুদ্ধ......।মীডীয়া একটা যুদ্ধে জয় পরাজয়ে অনেক বিরাট ভুমিকা রাখে।ভিয়েত নামযুদ্ধে ছোট্ট একটা বাচ্চার ছবি যে কতটূকু প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল বিশ্ব বাসির মনে,এমেরিকান ট্রুপস এর মনে,অবশ্য ঈ পজিটিভ লি।

    শওকত ভাই,লাব্লু ভাই আমার কথায় যদি ভুল থাকে ধরিয়ে দিবেন প্লিজ।

    জবাব দিন
    • ত্রিমিতা (৯৬-০০)

      আচ্ছা সাইফ ভাই, আমি ধরে নিলাম যে সাধারণ জনগন মিডিয়াতে যা দেখে সেটার উপর ভিত্তি করে অনেক কিছু বিবেচনা করে, এটাই স্বাভাবিক। বুদ্ধিজীবিদের কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু একটা মিডিয়া যখন লাল কাপড়ে মুখ ঢাকা অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসীর কথা সারা দেশে প্রচারিত করে ওই মিডিয়ার বিরুদ্ধে আমরা কি কোন আইনগত ব্যাবস্থা নিতে পারিনা? নাকি এইটাও সরকার কে বলতে হবে? মিডিয়া কেন বারবার বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার করে পার পেয়ে যাবে?

      বিদ্রোহী কখনও নিজের মুখ লুকায় না, সন্ত্রাসী লুকায়। বারবার এদেরকে 'বিদ্রোহী' বলে প্রকৃত বিদ্রোহীদের অবমাননা করা হচ্ছে।

      জবাব দিন
    • আদনান (১৯৯৭-২০০৩)
      কুনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এর প্রধিন তত্ব হলো।অই মুহুর্তে হোস্টেজদেরকে উদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা,জিম্মিকারি কিংবা সন্ত্রাসিদেরকে মীডিয়া কাভারেজ এর বাইরে রাখা ,নইলে এরা হত্যা এবং ধ্বংসাত্মক কাজে আরও বেশি হিংস্রতা দেখায়,শুধু মাত্র নেগোশিয়েশনের জন্য অদেরকে যেসব খবর পঊছানো দরকার সেইগুলা শধু মিডিইয়া পঊছে দেয় এবং তাদেরকে শান্ত করারা জন্য এবং রক্তপাত যাতে কম হয় সেই জন্য অই মুহুর্তে মীডিয়া ঊল্টা একটা প্রপাগাণ্ডা মেশিন হিসেবে সরকারের সাথে কাজ করে।এইটা হলো কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এ সাংবাদিকতার বেসিক।

      ভাই একদম সঠিক জিনিসটা বলেছেন।

      জবাব দিন
  6. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
    আমার সেনা ভাইবোনদের বলছি,ইন্টারনেট ব্লগ আর টক শো এর বাইরেও যে বাংলাদেশ রয়েছে,সে বাংলাদেশ অকৃতজ্ঞ নয়।আপনারা যখন কাঁদেন,আপনাদের সাথে সেই বাংলাদেশও কেঁদে ওঠে।
    যুগের পর যুগ সিভিল মিলিটারি গ্যাপ বাড়ানো হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে।আর

    :salute: :salute:


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  7. তানভীর (৯৪-০০)
    আমার সেনা ভাইবোনদের বলছি,ইন্টারনেট ব্লগ আর টক শো এর বাইরেও যে বাংলাদেশ রয়েছে,সে বাংলাদেশ অকৃতজ্ঞ নয়।আপনারা যখন কাঁদেন,আপনাদের সাথে সেই বাংলাদেশও কেঁদে ওঠে।

    :salute:

    জবাব দিন
  8. নিজের কাউকে হারাতে হয়নি, প্রিয় বন্ধুটিও শেষপর্যন্ত প্রান নিয়ে ফিরেছে, তবু এত কষ্টের চাপ!
    টিভিতে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলেই জ্বালা করে উঠছে। বহুদিন এমন চাপ অনুভব করিনি বুকের ভেতর। শুধু আমার না, সারা বাংলাদেশের চোখ জ্বালা করছে এখন। বিনা কারনে এতগুলো প্রানের অপচয়। এতগুলো শিশু পিতৃহারা, এতগুলো নারী বিধবা, এতগুলো বাবা-মা সন্তান হারা। কিছুদিন পর আরো কিছু বলির পাঁঠার প্রান যাবে হয়তো ভুল বিচারে। আরো কিছু শিশু পিতৃহারা হবে, আরো কিছু নারী স্বামীহারা হবে। আরো কিছু প্রান্তিক পরিবার চির নিঃস্ব হবে।

    কে সেই জিঘাংসার কারিগর যার জন্য বাংলাদেশে আজ শশ্মানের শোক?

    জবাব দিন
  9. সাজ্জাদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    লেখক যা বলেছেন তা কিছুটা সত্য আবার খানিকটা emotional. সাইফ এর প্রতি বলছি বিদেশে বসে ব্লগিং করলে সেটা মুল্যহীন হবে এটা তো কোন কথা হলো না। নিজেদের সবকিছুকে ভাল বলা আর অন্যের দুর্নাম করা বাঙ্গালির অভ্যাস। আমি বিদেশে বসে Phd করছি তার মানে আমি বাসায় বসে বাংলাদেশের অবস্তায় কষ্ট পাই না? মাযহার যার সাথে আমার কোচিং এ দেখা হয়েছিল তার পরিণতিতে আমার খারাপ লাগেনা? আমাদের সবার অন্যের bashing করার খুব ভাল অভ্যাস। civil society যেমন army bashing করে, army তেমন civil society এর উপর অস্ত্রের জোর দেখাই। army হয়তো সেটা অসবীকার করতে পা্রে কিন্তূ এটাই সত্য। আমাদের সবাইকে সম্মান করা উচিত। ডঃ ইউনুস যখন নোবেল প্রাইজ পাই তখন সবাইক খুশি হয় যদিও সে civil society এর লোক। civil society তো সমাজের মাথা। আমেরিকা অথবা ইউরোপ এরা তো আর্মি দিয়ে উন্নতি করেনি। উন্নতি হয়েছে হাজার হাজার scientist, researcher আর ভাল leaders দের কারনে। pentagon এ হাজার হাজার scientist research করে। ওরা তো civil society এর লোক।

    আর মিডিয়া এর ব্যাপারে বলতে হয় যে ওদের কাজটাই এরকম। CNN এর উদয় হয়েছিল gulf war উপলক্ষে। যত war ততো লাভ। এটাই media এর ধর্ম। ABC news, MSNBC, CNN, AL jazeera সবাই তো একি। বাংলাদেশের মিডিয়া এর দোষ কি? ওরা তো পাবলিক sentiment যেদিকে সেদিকেই লিখে। বাংলাদেশ জিতলে সবাই বলে বাঘের বাচ্চা আর হারলে বলি হা...দা। যখন যেমন তেমন।

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      সাজ্জাদ ভাই, আমি আমার এ ক্ষুদ্র ব্লগে সিভিল-মিলিটারি সম্পর্কের উন্নয়ন,দেশের উন্নতির জন্যে আর্মি না সিভিল সোসাইটি বেশি দরকারী- এধরণের ভারী ভারী কোন কিছু নিয়েই কথা বলিনি।আমি শুধুমাত্র চেয়েছি সেনাবাহিনীর উপর নানা কারণে ক্ষোভ আছে যাদের-সেই লোকগুলো যখন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে স্মরণকালের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডগুলোর একটিকে যুক্তিযুক্ত করার চেষ্টা করে সেই নিকৃষ্ট মনোভাবকে।সেনাবাহিনীর অনেক সমস্যা আছে এ নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই, এ সমস্যাগুলোর কারণেই ৩ মাস বিএমএ তে ট্রেনিং করার পরও রিজাইন দিয়ে চলে এসেছি(না, আমাকে বের করে দেয়া হয়নি)।কিন্তু এই এতগুলো মানুষের পরিবার যখন স্বজন হারানোর উৎকণ্ঠায় দুঃসহ সময় পার করছে-তখন ভাল মত না জেনে আমাদের কতিপয় বুদ্ধিজীবী একে গণমানুষের বিদ্রোহ ,শ্রেণিসংগ্রামের বহিঃপ্রকাশ ইত্যাদি নামে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করেছে।ঠিক এক দিন পরেই যখন বর্বর ঘটনাগুলো উন্মোচিত হল-তখন আস্তে আস্তে সুর পাল্টে গেল সেই একই লোকগুলোর।আমার কথা হচ্ছে-এ ধরণের দোদুল্যমান আচরণ করবে আমার মত অর্ধশিক্ষিত-জোয়ারে গা ভাসানো লোকেরা-যাঁদের আমরা বুদ্ধিজীবী বলে সম্মান দেই তাঁদের কি উচিৎ ছিলনা টক শো গুলোতে সেনাবাহিনীর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করার আগে অন্ততঃ কিছুটা সংযমের পরিচয় দেয়া?পিএইচডি করলে বা দেশের বাইরে থাকলেই যে দেশ নিয়ে চিন্তা করা যাবেনা,দেশপ্রেম সেনাবাহিনীর পৈতৃক সম্পত্তি -এমনটি কিন্তু আমি কোথাও বলিনি।খেয়াল করলে দেখবেন যে আমি সবাইকে দোষ দেইনি-দিয়েছি অতিমাত্রায় সক্রিয় কিন্তু সংখ্যায় কম এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষগুলোর।যখন একটা মানুষের সহকর্মীরা(আর্মিতে বলা হয় ব্রাদার এট আর্মস)মারা যাচ্ছে, তাদের স্ত্রীরা হচ্ছে ধর্ষিতা-আর রাজনৈতিকভাবে তাদের হাত পা বেধে রাখা হচ্ছে-সে সময়ে হুল ফোটানো মন্তব্যে অতিষ্ট হয়ে সাইফ ভাইয়ের মত কেউ যদি কিছুটা বিষেদাগার করেই থাকেন তাহলে তাকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় কি?যে মানুষগুলো নিজের পারিবারিক জীবন মোটামুটি বিসর্জন দিয়ে দেশের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন-দেশের বাইরে উন্নত জীবন ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে কেবল ইন্টারনেট ঘেঁটে দোষ বের করা কিছু (আবারো বলছি, এটা সরলীকরণ নয়,সবাই এমন করেননা-আমি খুব ক্ষুদ্রসংখ্যক লোকের কথা বলছি) মানুষের ব্যাঙ্গোক্তি তাঁরা সইবেন কেন?আর অন্য দেশের মিডিয়ার চরিত্র এমন বলেই আমাদের মিডিয়ার সাত খুন মাপ হয়ে গেল?

      আমার আপত্তিটা ঠিক এ জায়গায়।

      জবাব দিন
      • জিহাদ (৯৯-০৫)

        সেটাই। আমি নিজেও আর্মির বিগ ফ্যান না। মাসরুফ ভাই যে ঘটনা বর্ণনা করলেন সেটাকে সাজ্জাদ ভাই বাড়াবাড়ি বলছেন কীনা সে ব্যাপারে আমি শিওর না । তবে করে থাকলে আমি বলবো এটা মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। পিলখানা গণহত্যার ব্যাপারে বাংলাদেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের মনোভাব এখন এমনই।


        সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

        জবাব দিন
  10. আলম (৯৭--০৩)

    এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর। দেশের মানুষকে আর্মির ‘প্রতিপক্ষ’ বানানোর বুদ্ধিজীবীয় অপপ্রয়াসকে ধিক্কার জানাই।

    (মিডিয়ার 'প্রচারণার' 'কৌশল' সম্পর্কে সাজ্জাদ ভাইয়ের বক্তব্য বাস্তবসম্মত মনেকরি।)

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      সরি রাজীব ভাই আমি নিজেও একটু সারকাস্টিক হয়েছিলাম আপনার সাথে।মানসিক অবস্থা আপনি নিজেও জানেন,তাই ক্ষমা করে দেবেন আশা করি।আসলে এই ঘটনাটা এতই নৃশংস যে আমাদের অনেকের পক্ষেই আবেগ দমন করাটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।কিচ্ছু ভাল লাগছেনা গত ক'দিন ধরে।আপনার কথা সত্য,বাড়াবাড়ি কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।তবে ভাইয়া যে ঘটনাটা ঘটেছে এটা কি চরমতম বাড়াবাড়ি নয়???এক্সট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশনের জন্যে কিন্তু এক্সট্রা অর্ডিনারি পদক্ষেপ নিতে হয়।আশা করব আমাদের সরকার সেই পদক্ষেপগুলো নেবে, অবশ্যি বাড়াবাড়ি পরিহার করে।ভাল থাকবেন ভাইয়া, আগামীকাল আমন্ত্রণ রইল।

      জবাব দিন
    • মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

      সাইফ, আসলে তুমি আমি, আমরা সবাই আশা করি, বুদ্ধিজীবিরা নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে জীবিকা অর্জনের পাশাপাশি সমাজে বিবেকের প্রসারও ঘটাবেন। ৭১ এ আমাদের বুদ্ধিজীবিদের মেরে ফেলার পরে যারা তাদের জায়গা নিয়েছে, দূর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা টাউট শ্রেনীর মতন শুধু বুদ্ধি বেচতে জানে, বিবেকের ব্যাপারটা তাদের জানা নেই।

      জবাব দিন
  11. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)
    এন এস ইউতে পড়া চোস্ত বাংলিশে কথা বলা ছেলেমেয়েদের আর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া আমার ছোট বোনের চোখে আমি যেমন কান্না দেখতে পাই,ঠিক একই কান্না দেখি আমাকে বহন করা খেটে খাওয়া রিকসাওয়ালার চোখে।

    ........................

    জবাব দিন
  12. ব্লগ আর মিডিয়ার বাইরের সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতি গুরুত্ব দেয়াকে সম্মান জানাই।
    কিন্তু এমন সচেতন মানুষ, যারা এই দেশের এবং আমাদের আত্মপরিচয়ের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সব কিছুকে বিচার করে, কত শতাংশ হবে?

    সত্যি কথা হলো, মিডিয়াই বরং মানুষের মনকে আবার ঘুরিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ হুজুগে, আবেগপ্রব্ণ। এই বৈশিষ্ট্যের সাথে মিডিয়ার দায়িত্বহীন ভূমিকা এবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কখনো আরো সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্র হলে, কি ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি করা যাবে এই ঘনবসতিপূর্ণ জনবহুল বাংলাদেশে।

    সুতরাং, দয়া করে সবাই, ব্যাক্তিগত শোক ক্ষোভের উর্ধ্বে উঠে নিখাদ দেশপ্রেমের দৃষ্টিতেও এই ঘটনার বিচার করলে, অনেক অনেক বেশি আতংকিত এবং বাকরুদ্ধ হয়ে পড়বেন।

    আমরা সাধারণ মানুষ হলাম ভেড়ার পালের মত। কিন্তু রাখালরা যখন সেই পালকে শিয়াল হায়েনার আস্তানার দিকে নিয়ে যেতে থাকে, তখন কি করার থাকে?

    'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' শুনতে হয়তো অলীক কাহিনী মনে হয়, ভয়ংকর ভবিষ্যতের পুর্বাভাষ কে হয়তো অলীক কল্পনাই মনে হয়। কিন্তু আমার স্থির বিশ্বাস, যদি আমরা সচেতন না হই, এমন দিন আমাদের এই প্রজন্মের জীবদ্দশাতেই হয়তো দেখতে হবে, যেদিন দরবার হলের ঘটনা ঘটতে থাকবে দেশের প্রতিটি শহরে, আর্মি অফিসারদের ঘরে ঘটে যাওয়া অমানবিক ঘটনা ঘটবে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে।

    বুদ্ধিজীবি আর এই রাজনীতিবিদ গোষ্ঠীও সেদিন বাঁচবে না, কিন্তু আমাদের এই দেশটার কি হবে?

    জবাব দিন
  13. তাই, কিছু আত্মবিক্রিত লোকের গালাগালি আর সাময়িক গ্রহণযোগ্য যুক্তির সামনে যদি আমরা আপনারা মাথা গরম করে, সহ্য করতে না পেরে, পালিয়ে যাই, তাহলে আমরা এই দেশের ভালোবাসার কি মূল্য দিতে পারলাম?

    যে মানুষগুলো জীবন দিয়ে আমাদেরকে জানিয়েছে দেশপ্রেমের মূল্য কি হতে পারে, তার তুলনায় আমাদের এই রাগ, এই অনুভূতি অনেক অর্থহীন। চিন্তাশক্তিকে ধীরস্থির রেখে সমস্ত ষড়যন্ত্রের সামনে এই দেশকে বাচাতে হবে, তাহলেই শহীদদের আত্মা হেসে উঠবে জান্নাতের বাগানে। মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক, যারা দেশপ্রেমিক তাদেরই দায়িত্ব বুদ্ধিবৃত্তিক জারজদের থাবা থেকে মিডিয়াকে বাচানোর, জনমানসিকতাকে বাচানোর।

    জবাব দিন
  14. হোসেন (৯৯-০৫)

    মানুষ জন পক্ষ অবলম্বন করতে নিরাপদ বোধ করে,আমি বুঝতে পারছি না যে দৃষ্টিকোন থেকেই দেখি না কেন এ জাতীয় ঘটনায় শোকের পাল্লা অনেক বেশী ,পাশা পাশি দেশ হিসেবেও আমরা ঝুকির মাঝে পড়লাম। দুইটি বাহিনীই আমাদের এবং আমাদের দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়ে আসছে। দোষীদের শাস্তি দেবার পরও কিন্তু বিডিআর থাকবে ,আমাদের সীমান্ত পাহারা দেবে। আর্মী এখন যৌক্তিকভাবেই ভীষন ইমোশোনাল ,তাই কিভাবে এই দুই বাহিনী কো অপারেট করবে? সীমান্ত রক্ষাটাও আমাদের জন্যে অনেক কারনে জরুরী। বিডিআর এর যারা এই নারকীয় হত্যাকান্ড ঘটালো তাদের কারনে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই পুরো বিডিআরের উপর আর্মীর রাগ চলে আসবে। এটা আমার বন্ধুদের বর্তমান ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখলেই বোঝা যায়। এই ক্ষোভ প্রাকৃতিক নিয়মেই আসবে। যদিও সেটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্যে হেলদি না।

    সরকারের পরিবার গুলোকে সাহায্য করার ঊদ্যোগ কে স্বাগত জানাই সেই সাথে এই ব্যবস্থা কিছু সাধারন মানুষ যারা হয়ত পিলখানার পাশ দিয়ে হেটে যাবার অপরাধে মারা গেলেন তাদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কেন সম্প্রসারিত করা যায় না তা বুঝতে পারছি না। বিডিআরের যারা হয়ত এই নারকীয় হত্যাকান্ডে অংশ না নেবার অপরাধে মারা গেলেন তারাও যাতে ঊপেক্ষিত না হন সেটার দিকেও দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

    আমার যেসকল ভাই এই ঘটনায় শহীদ হলেন তাদের জন্যে অশ্রু ছাড়া আর কি ই বা দিতে পারি আমি?


    ------------------------------------------------------------------
    কামলা খেটে যাই

    জবাব দিন
  15. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    বাবা গো,ওরা সবাই তো আমাদের সবার আত্মীয় ছিল”।

    আর সেজন্যেই তো ভাইয়া এখনও বেঁচে আছি - প্রহর গুনছি - প্রস্তুত আছি।

    "হারিয়ে যাওয়া শহীদ ভাই ও বোনেরা
    তোমাদের পরিবার
    এবং
    প্রিয় দেশমাতৃকা -
    কিচ্ছু ভেবো না তোমরা।
    আমি বুকে পাহাড় চেপেছি;
    আমি অকল্পনীয় ধৈর্য্য ধরেই আছি।
    কিন্তু সবাই জেনে রেখো আমি হাল ছাড়ব না।
    যে চোখের অশ্রু রক্তের নদীতে মিশেছে;
    আমি জানি সে চোখের স্বপ্নেরা কখনো মরে না।
    এই মাটির কসম খেয়ে বলছি -
    ঐ সব ক’টা বেজন্মা খুনীদের তন্ন তন্ন করে খুঁজে
    ওদের পাওনাটুকু বুঝিয়ে দেব একদিন...
    এই আমি ও আমরা।
    তারপর শুরু করবো সব কিছু আবার শুরু থেকে !!"


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন
  16. সাজ্জাদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    মাসরুফ আমি বুজতে পারছি না তুমি ওই লোকগুলার উপর কেন এত ক্ষেপে আছ। ওরা মিডিয়াতে বিবৃতি দিয়েছে প্রথম দিনের কাহিনী শুনে। যেখানে সরকার বোকা বনেছে BDR কাহিনীতে সেখানে media তো শুধুমাত্র পারিপার্শিক অবস্তা দেখেই রিপোর্ট করে। মিডিয়া হলো একটা দেশের opposition party. ওরা আছে বলেই তো আমরা চুরি চামারি গুলার খবর পাই, ওরা তো আমাদের সরকারকে সোজা থাকতে বাধ্য করে। ওদের পক্ষে কিভাবে সম্ভব BDR এর কাহিনী জানা যেখানে army intelligence পর্যন্ত কিছু জানে না?

    আর সুর পালটানো কোনটা বলতেছ?যেসব লোক প্রথম দিন আর্মি এর দোষ দিচ্ছিল? ওরা তো প্রাথমিক তথ্যের ভিিত্ততে বলেছে। ওরা তো বলেনি যে আর্মি মারা সমর্থন করে। ওরা বলেছে যে আর্মি এ দুর্নিতি এর তদন্ত হওয়া উচিত। আমিও তা এখনও সমর্থন করি।
    কেউ কি বলেছে অফিসার মার? আর এটা কি ভুল আর্মি দুর্নিতী করেনা?

    একটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করব। দুইবছর আগে যখন আর্মি ক্ষমতা নেয় তখন ওরা বাংলাদেশের এইসব ব্লগার এর উপর বিরক্ত হয়ে www.sachalayatan.com কে বাংলাদেশে ban করে দিয়েছিল। কিন্তূ কেন? ঢাকা ইউনিভার্সিটির ঘটনা রিপোর্ট এর কারনে প্রচুর সাংবাদিক কে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে যা সবাই জানে। আর্মি এদেশে অনেক কিছু করেছে যা এখন বলার সময় নয়। কিন্তূ সাংবাদিক রা তো প্রতিশোধ নিতে চাইবেই। তবে আমার মনে হয় এখন ওরাও সহানুভুতিশীল। ওরাও তো মানুষ।

    আমরা কেউ BDR এর এই ঘটনার পক্ষে নয়। অন্য দেশের মানুষের পঙ্কে হয়তো সম্ভব কিন্তূ আমি বুজে পাইনা নিজ দেশের পক্ষের মানুষ কিভাবে এই কাজ করতে পারে। আমি শুধু চাই এতগুলা নিরপরাধ মানুষ খুনের বিচার হোক। আমরা আর কতকাল এমন ঘটনা দেখতে থাকব?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ত্রিমিতা (১৯৯৬-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।