সিনিয়র রঙ্গ

(গৌরচন্দ্রিকাঃ পুলাপান সব কি মইরা গেসস নাকি? পরার চাপ থিকা রিলিফ পাইতে সাইট এ আইসা দেখি কুনু লিখা নাই।আছাড় মারতে ইচ্ছা করসে সব কয়টারে(সিনিয়র ভাইরা বাদে)। আমার ফেসবুক এর সাইট থিকা কিসু লিখা তুইলা দিতাসি মনের দুঃখে-তরা ত কেউ লিখস না-বিয়াদব পুলাপান তুম্রা ব্লগ না লিখা কি গানা বাজনা কইরতিসাআআআআও?(ইলিয়াস স্যার এর ভাষায়) থাউক আর কথা না বারায়া লিখা দেইঃ)

সিনিয়র-রঙ্গঃ প্রশ্নঃ সিনিয়র কত প্রকার ও কি কি?উদাহরণ সহ বর্ণনা কর।(পূর্ণ মাণ-১০)

(আজকে খালি অল্প কয়েক টাইপ নিয়াই আলোচনা করুম।আমি শুরু কইরা দেই,পুলাপাইন চালায়া যা।লিখায় সাধু চলিত ভাষার মিশ্রন ঘটান হইসে।মল্লিক স্যার খাতা দেকলে রসগোল্লা ধরায় দিত।)

উত্তরঃ ক্যাডেট জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এই সিনিয়র প্রজাতি।জুনিয়রদের কারো বা ভীতি কারো বা আহ্লাদ সঞ্চালন করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। এদেরকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

ক)টেরর সিনিয়রঃ সিনিয়রদের মধ্যে এই প্রজাতি সবচেয়ে রক্তলোলুপ।সাধারণত বড় বড় prefect তথা পৈতাধারী(cross-belt holder)দের এই প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে। জুনিয়রদের তদারক করা,ডিসিপ্লিন বজায় রাখা এদের পেশা আর পান থেকে চুন খসলে পাঙ্গায়া জুনিয়রের বারটা বাজান এদের নেশা।”you F**er,start frontroll!,”hands down”,”start push-up”এদের প্রিয় ডায়ালগ।তবে কখন কখন এই সব টেরর সিনিয়ররাই জুনিয়র বিপদে পরলে(যেমনঃক্লাশ এইট ক্লাশ সেভেন রে পাঙ্গাইতে গিয়া অথরিটির কাছে ধরা খাইলে) দেখা যায় সবার আগে দৌড়ায়া আসে।

খ)প্রেমিক সিনিয়রঃ এই প্রজাতি হচ্ছে উপরোক্ত প্রজাতির বিপরীত গোত্রভুক্ত।এরা ক্লাস সেভেন এর কাছে অতি জনপ্রিয় কিন্তু ক্লাশমেটদের কাছে সন্দেহের পাত্র।”কিরে অই জুনিওরের সাথে তর এত পীরিত কিসের,তুই ত শালা ইনটেক এর ইজ্জত মাইরা হাতে ধরায়া দিবি,ভাল হয়া যা”-এ ধরনের ডায়ালগ এদের নিত্যদিনের সঙ্গী।তবে এই সিনিয়রদের সাথে বেশি মাখামাখি না করাই ভাল কেননা তাহলে ইন্সপেকশন এর সময় দেখা যায় তার সব কাজ কর্ম নিজের কইরা দিতে হইতেসে।এদের প্রিয়পাত্র জুনিয়রদের আরেকটা অসুবিধা হইল parents day তে আনা খাবার ভাগ করা।free night এ আজাইরা আলাপ কইরা জুনিয়রের পরাশুনার বারটা বাজান এই প্রজাতির সিনিয়রদের অন্যতম প্রিয় শখ।

গ)খাইশ্টা সিনিয়রঃ এরা এমন এক প্রজাতির সিনিয়র যারা আশেপাশে থাকলে মুসলমান জুনিয়ররা “আয় খোদা আইজকা কার মুখ দেইখা উঠসিলাম” আর হিন্দু জুনিয়ররা “হে ভগবান পূর্বজন্মে কি পাপ করেছিনু” টাইপ কথাবার্তা চিন্তা করতে থাকে।সম্পূর্ন বিনা কারণে জুনিয়রের হালুয়া টাইট করাকে এরা বিনোদন হিসাবে গ্রহণ করে। এদের সবচেয়ে বাজে অভ্যাস হল স্থান-কাল-পাত্র সম্পর্কে ধারণা না থাকা।জুনিয়রের সামনে তার সিনিয়রকে পাঙ্গান যে একটা নিমকহারামি কাজ,এই ব্যাপারে এরা পুরাপুরি অজ্ঞ।সাধারণত ছ্যাক-পার্টি(যারা কোন কোয়ালিটি ছাড়াই খালি তেল মাইরা প্রিফেক্ট হওয়ার ধান্ধায় ছিল কিন্তু ধরা খাইসে)হচ্ছে এই টাইপ সিনিয়রের উর্বর প্রজননভূমি।এদের দেখলে জুনিয়ররা দল বেধে “খাড়া এই হালারে বাইরে পায়া লই অর টেংরি ভাইঙ্গা গলায় ঝুলায়া দিমু” ধরণের গ্রুপ ডিসকাশন করতে ভালবাসে। কোন এক অজানা কারনে প্রেপ-গার্ড হিসেবে অধিকাংশ সময়ে এদের দেখা যায়।

ঘ)উদার সিনিয়রঃ এরা অতি দুর্লভ প্রজাতির সিনিয়র।কবি রবীন্দ্রনাথ যখন শান্তিনিকেতন ক্যাডেট কলেজের College Cultural Prefect ছিলেন তখন তিনি এদের উদ্দেশ্য করে “শেষের ক্যাডেট” দেয়াল পত্রিকায় লিখেছিলেনঃ”ক্যাডেট কলেজের রাজ্যে ভাল সিনিয়রের সংখ্যা এত কম বলেই তার এত কদর,নইলে তা নিজেরই ভীড়ের ঠেলায় হয়ে যেত মাঝারি”।এরা কখনও প্রাণ থাকতে কোন জুনিয়রকে পানিশমেন্ট দেয়না।কালে ভদ্রে যদিও বা দেয়,জুনিয়রের কষ্ট দেখে নিজেরাই কান্নাকাটি শুরু করে।এরা সাধারণত খুব ভাল ছাত্র হয় এবং এস এস সি,এইচ এস সি দুইটাতেই বড় বড় স্ট্যান্ড করে থাকে(জুনিয়রের দোয়াতেই বোধ হয়!)।এরা কলেজ ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজেদের বাক্স-প্যাটরার পাশাপাশি জুনিয়রদের অপরিসীম ভালবাসাও নিয়ে যায়।এই গ্রুপ এর জনৈক ব্লগার যার নাম ক দিয়ে শুরু এই দুর্লভ গোত্রের অন্তর্ভূক্ত। এছাড়াও নানান প্রজাতির সিনিয়রের আনাগোনা আমরা ক্যাডেট কলেজ নামক আজবখানায় প্রতি নিয়তই দেখতে পাই যাদের বিশদ বিবরণ পরবর্তীতে পেশ করা হবে। আজ এ পর্যন্তই।

(পুলাপাইন আমি টার্ম পেপার লিখা বাদ দিয়া ব্লগ লিখসি আমার জন্য দোয়া করিস য্যান সহি সালামতে পাশ করি ।সময়ের অভাবে লিখতে পারলাম না তরা শেষ করিস)

২,৮১৭ বার দেখা হয়েছে

৬০ টি মন্তব্য : “সিনিয়র রঙ্গ”

  1. আইহায় ভাইয়া আমি তো আকাশে উড়ে গেলাম!! আর বইলেন না, খুজে পাওয়া যাবে না।
    এত বিনয় দেখাইয়েন না, ক্যাডেট মানুষ, কোথায় দুইটা গালি (খারাপ কথা না!) দিয়া কমেন্ট লিখবেন, তা না, ধন্যবাদ দিতেসেন!

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ ভাই, ব্লগটা নিয়া কেউ কিছু বলে না 🙁
    জোশ হইসে আপনার থিসিস, 🙂
    এখন ভাগেন। টার্ম পেপার রেডী করেন গিয়া, শুধু সময় নষ্ট! ভিপিরে বইলা দিবো একদম।

    জবাব দিন
  3. হ, সেইদিন তো রাসেল মামা তোর কথা জিগাস করে, আমি ভাবলাম আহারে নাদান বাচ্চা, নাহয় কয়েক টাকা না দিয়া চলে আসছে। আমি তারপর টাকাটা দিয়া দিলাম। তাই তো সবাই খেইপা অস্থির, সবাই তোরে পিটাইতে সুযোগ খুজে। 😆
    বন্য...সভ্য হ বাপ, এখনো সময় আসে, গরীব মানুষের টাকা মারিস না।

    জবাব দিন
  4. অ্যাঁ? মাসরুফ ভাই আবার কি জিগাস করসে?
    একি আপনি লাস্ট পর্যন্ত এই কথা বললেন???
    উপকারের এই প্রতিদান??
    না না না...
    আমার এ জীবন রাখার আর কোনো ইচ্ছে নেই।

    জবাব দিন
  5. @১১২৭,
    তোর এই টরজান টাইপ চিক্কুরটা না দিলে হয় না!!
    @মাস্রুফ ভাই,
    গাছ গুলারে জিজ্ঞেস করলাম...রিপোর্ট তো খারাপ ভাই...
    @রায়হান,
    গেলি কই???
    @সবাই.....যাই..আইজকা...

    জবাব দিন
  6. @fuad......tui ki ilias sir er chela naki?amare mashroof na daika "masrup" daka publik oi aktai silo....

    @Samjhang.....apu ami emnitei Dialog Masala leikha color hoya gesi ar color korle college thika out koira dibe....eibarer moto khoma dao...

    @Konok.....Bhalo mondo ja ase khaya ne janos e to dui diner duniya....

    @fuad again.......keda keda report kharap dise amare naam gula list koira dish.......

    @sobai......oi toder kaj kam nai?nijera poros na amareo porte des na......Geli shobai?

    জবাব দিন
  7. নাউজুবিল্লাহ, কই থেকে কি আসলো?? কনক ভাইয়ের জায়গায় আমি আইলাম কই থেকে? নাহ মাসরুফ ভাই, আপনে কি কলেজ প্রিফেক্ট গিরি করে আসছেন? ভিপি কিছু বলে নাই?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : mashroof

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।