অস্ত্র থেকে অক্ষরঃ একজোড়া লড়াকু হাতের গল্প

ভারতীয় একটি সিনেমা দেখেছিলাম বেশ ক’দিন আগে।বাণিজ্যিক সিনেমা হলেও গল্পের ভিন্নতার কারণে মনে বেশ খানিকটা দাগ কেটেছিলো সিনেমাটি।গল্পের নায়ক ছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ এক প্রাক্তন বিপ্লবী,যিনি কিনা ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশে জেঁকে বসা অনিয়ম,অন্যায় আর দুর্নীতি রুখতে আবার হাতে অস্ত্র তুলে নেন।দেশপ্রেমের পটভূমিকায় ভিন্নস্বাদের এ সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন কমল হাসান-দ্বৈত ভূমিকায় দুটি ভিন্ন যুগের ভিন্ন দুই লড়াইকে তিনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন,তাকে শুধু বাণিজ্যিক বলে উড়িয়ে দিলে সম্ভবত বেশ অবিচারই করা হবে।

কিশোর বয়েসে দেখা নিতান্তই বানিজ্যিক একটি সিনেমার প্রতি মুগ্ধতা হয়তো চলচ্চিত্রবোদ্ধারা হেসে উড়িয়ে দেবেন,আর আমার তাতে আপত্তিও নেই।তবে এই সিনেমাটির কথা ভাবলেই আমার খালি আমাদের দেশের অগ্নিসন্তানদের কথা মনে হয়।এ সিনেমায় ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়া ভারতের জনৈক বিপ্লবী ৫০ বছর পর অস্ত্রহাতে হাজির হন দেশকে শুধরাতে।আর তা দেখে আমি ভাবি,১৯৭১ সালে ১৮ বছরের যে তরুনেরা মৃত্যুভয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজহাতে উপড়ে নিয়েছিলো নররাক্ষসদের হৃৎপিণ্ড,২০১০ সালে সেই শত্রুরক্তে রঞ্জিত হাতগুলো কোথায়?

সেই হাতগুলোর অনেকেই হারিয়ে গিয়েছে,কিছু হাত এমনকী কলঙ্কিতও হয়েছে।কিন্তু প্রিয় পাঠক,আজ আপনাদের এমন একজোড়া লড়াকু হাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেব যে হাতজোড়া এখনো অক্লান্তভাবে লড়ে চলেছে যুগ থেকে যুগান্তরে।১৯৭১ সালে এইচএসসি পরীক্ষার ঠিক আগে ১৮ বছর তিন মাস বয়েসে এই হাতজোড়ার অধিকারী মানুষটি যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।শ্রদ্ধেয় ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার তাঁর একটি বই এঁকে উৎসর্গ করেছেন অনেকটা এভাবেঃ

“যে বয়েসে মানুষ চুলে জেল দিয়ে কনসার্ট দেখতে যায়,সে বয়েসে অস্ত্র হাতে দেশের জন্যে যুদ্ধ করে বীরপ্রতীক হয়েছেন-এমন একজন মানুষ আমার বন্ধু,একথা ভাবতেই গর্বে আমার বুক ভরে যায়”

মেজর কামরুল হাসান ভুঁইয়া,যাঁর লড়াকু হাতের গল্প নিয়ে এই লেখাটি

মেজর কামরুল হাসান ভুঁইয়া,যাঁর লড়াকু হাতের গল্প নিয়ে এই লেখাটি

প্রিয় পাঠক,ছবির ক্যাপশন দেখেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি! গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে বান্ধবী জ্যেতির সাথে গিয়েছিলাম বইমেলায়।ডিএমসি থেকে সদ্য পাস করা ডাক্তার এই মেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বলতে এককথায় অজ্ঞান,আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ওর পড়াশোনাও প্রচুর।ক্যাডেট-ননক্যাডেট নিয়ে ওর সাথে খুনসুটিসুলভ ঝগড়ায় আমার এক অব্যর্থ অস্ত্র এই মেজর কামরুল হাসান ভুঁইয়া স্যার।যখনই বলি যে স্যার ছিলেন আমার কলেজেরই ক্যাডেট এবং ক্যাডেট থাকা অবস্থাতেই মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন-ও নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নেয় যে ক্যাডেটরা আসলেই গুনী(স্যারকে ও এতই পছন্দ করে যে বর্তমান যুগের ক্যাডেট এই আমার শত দোষও ও পুরোপুরি উপেক্ষা করে!)। হুমায়ুন আহমেদের অটোগ্রাফ শিকারীদের লম্বা লাইনের ভীড়ে যখন প্রায় হারিয়েই যাচ্ছিলাম,ঘুরতে ঘুরতে ঠিক তখনই চোখে পড়ল “শুধুই মুক্তিযুদ্ধের বই” নামের স্টলটি(নং-৩০৯,৩১০)।“জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা”,”বিজয়ী হলে ফিরব নইলে ফিরবই না”-বার বার পড়া খুব প্রিয় এই দুটি মুক্তিযুদ্ধের বই যখন আবার হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা ওল্টাচ্ছি(আসলে লেখকের নামের পাশে আমার প্রিয় কলেজের নাম আবার দেখে নিচ্ছি)-জ্যেতি তখন কাঁধে খোঁচা দিয়ে বলল-এই বুদ্ধু,দেখেছিস তোর সামনে কে বসা?

এতই উচ্ছ্বাসিত হয়েছিলাম যে নিজ চোখে দেখার পরেও বইয়ের পেছনের ফ্ল্যাপে দেয়া ছবি আবার মিলিয়ে এবং স্টলের একজনকে জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হলাম,হ্যাঁ,ইনিই মেজর কামরুল হাসান ভুঁইয়া,আমাদের কিংবদন্তীর নায়ক।

জ্যেতির অবস্থাও আমার মতই,ও স্বাধীনতা-২য় খণ্ড সহ স্যারের আরো দুটো মুক্তিযুদ্ধের বই কিনেছিল,কিন্তু প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্বেও সরাসরি স্যারের কাছে অটোগ্রাফ চাইতে একটু ইতস্ততঃ করছিল।কিন্তু আমার ভেতরে সে দ্বিধা নেই-সরাসরি স্যারকে বললাম-“স্যার,আমিও আপনার মত ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র-আমাদেরকে একটু অটোগ্রাফ দেবেন প্লিজ!”

অবাক হয়ে দেখলাম,আমি ক্যাডেট শুনেই স্যার সাথে সাথে বললেন-“আমি তো সেকেন্ড ইনটেকের ক্যাডেট,তুমি কোন ব্যাচ?” স্যারকে ব্যাচ নম্বর জানালাম-আমার সাথে তাঁর বয়সের পার্থক্য “মাত্র” বত্রিশ বছর দেখে তিনি একটু হাসলেন।এরপর একে একে কথা বলে জানতে পারলাম তিনি বদর হাউসে থাকতেন(তখন একটাই হাউস ছিল যেটার দোতলায় তাঁরা থাকতেন-বদর হাউসের লোকজনের “পার্ট” নেবার কোন সুযোগ নেই কেননা তখন বদর হাউস বলে কোন হাউস ছিলোনা!)।১৮ বছর ৩ মাস বয়েসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং তার অধীনে প্রায় সাড়ে চারশ যোদ্ধা যুদ্ধ করেছে।জানতে পারলাম তিনি ৫ বার পাকিস্তানি আর্মির হাতে ধরা পড়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেছেন,একবার ভুল করে ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তাঁকে প্রহৃত হতে হয়েছে। আমি জানতে চাইলাম,”স্যার,আপনার বইগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের এত অসাধারণ সব কাহিনী রয়েছে কিন্তু নিজের সম্পর্কে এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদেরকে জানাননি কেন?”। বিশাল মাপের এই মানুষটিকে হঠাৎ যেন কিছুটা বিব্রত মনে হল-বুঝতে পারলাম,নিজমুখে নিজের কীর্তির কথা লিখতে তিনি একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননা।

কিংবদন্তীসম কোন ব্যক্তি যখন ধরাছোঁয়ার মধ্যে চলে আসে,আমার মত সাধারণ মানুষেরা বোধহয় স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি কিছুটা হারিয়ে ফেলে।স্যারের সাথে কথা বলতে গিয়েও আমার এমনটি হয়েছিল-বোকার মত হঠাৎ প্রশ্ন করে বসলাম-“স্যার,মুক্তিযুদ্ধের সময় তো আপনি আমাদের চাইতেও অনেক ছোট ছিলেন-মানুষ মারতে আপনার ভয় লাগেনি?”

সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এল-“কে বলল আমি মানুষ মেরেছি?আমার দেশের নিরস্ত্র মানুষের গায়ে যারা গুলি করেছে তাদেরকে কোন সংজ্ঞায় মানুষ বলবে আমাকে একটু বল তো?”

এটা বলেই তিনি বললেনঃ

-“যুদ্ধের সময় এক পাকিস্তানি সৈন্যের গায়ে গুলি লাগায় সে মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।মৃত্যু নিশ্চিত জেনে সে তার পকেটে যে টাকা ছিল সেগুলো বের করে ছিঁড়ে ফেলতে থাকে,যাতে বাঙ্গালি ওই টাকা নিয়ে খরচ করতে না পারে।মরার সময়েও তার চিন্তা ওই একটাই-কিভাবে বাঙ্গালির ক্ষতি করা যায়। ইয়েস,আই শট হিম!”

আমি বুঝতে পারলাম,বইয়ে যা পড়েছি তা স্যারের অভিজ্ঞতার শতভাগের একভাগও নয়।সাথে সাথে স্যারকে বললাম যে এক্স ক্যাডেটদের সিসিবি(ক্যাডেট কলেজ ব্লগ) নামে একটা বাংলা ব্লগ আছে যেখানে আমরা লেখালেখি করি,সেই ব্লগের পক্ষ থেকে আমি স্যারের একটি দীর্ঘ সাক্ষাতকার নিতে আগ্রহী।অবাক হয়ে দেখলাম,স্যার সিসিবির কথা আগে থেকেই জানেন,যদিও ভালভাবে ঘেঁটে দেখেননি।আমি অতি সামান্য মানুষ,স্যারের মত লিজেন্ডকে যদি সিসিবিতে আনতে পারি তাহলে এই এক পূণ্যেই আমার বহু পাপ মোচন হয়ে যাবে-সেই লোভে এপ্রিলের পরপরই (স্যারের ব্যস্ততা কমার পর) সিসিবির পক্ষ থেকে উনার দীর্ঘ সাক্ষাতকারের সময় ঠিক করে এলাম।

এবারের বইমেলায় বের হওয়া স্যারের “পতাকার প্রতি প্রনোদনা” বইটিতে অটোগ্রাফ দেবার সময় তিনি বললেন যে চোখের অসুবিধার কারণে ঠিকমত প্রুফ দেখতে পারেননি-ফলে কিছু কিছু বানান ভুল রয়ে গিয়েছে।আমার ডাক্তার বান্ধবী জ্যেতির সাথেও নিজ শরীরের অসুখ-বিসুখ নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বললেন।

“শরীর থেকে মনকে আমি আলাদা করে রেখেছি,শরীর যতই বিদ্রোহ করুক মনকে সতেজ রাখতে চেষ্টা করি।বইমেলার খরচ বাদ দিয়ে আর্থিক লাভ যা থাকে তা অতি সামান্য,কিন্তু তোমাদের সাথে কথা বলে আমি আমার হারানো যৌবনের সেই উত্তাল দিনগুলোকে ফিরে পাই-আর এজন্যেই আমার এখানে আসা”-স্যারের সাথে সেদিনের মত শেষ কথাগুলো ছিল এগুলোই।

“পৃথিবী এগিয়ে গিয়েছে,কিন্তু আমি থেমে আছি সেই একাত্তরেই…আমি কম জানার মানুষ,আমার জ্ঞানের পরিধি কেবলই মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে সীমিত”-বইয়ের ভূমিকায় যখন এ লাইনগুলো পড়ি তখন বলে উঠতে ইচ্ছে করে-“স্যার,প্লিজ আপনি এভাবেই থাকুন আমাদের মাঝে।অবশ্যই এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা,কিন্তু সেই অগ্রযাত্রার মাস্তুল হিসেবে থাকুক আপনার মত কিছু মানুষ যারা একাত্তর ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা-বোঝবার দরকারও নেই।”

মেজর কামরুল হাসান ভুঁইয়া তাঁর লড়াকু হাতদুটো দিয়ে ১৯৭১ সালে মেশিনগান হাতে যুদ্ধ করেছিলেন,২০১০ সালে সেই দু হাতেই অক্ষরকে অস্ত্র বানিয়ে যুদ্ধ করে চলেছেন।অস্ত্র পালটেছে কিন্তু লক্ষ্য পাল্টায়নি-৩৮ বছর আগে যে লড়াই ছিল দেশকে স্বাধীন করার,৩৮ বছর পর সে লড়াই এখন দেশকে গড়ে তোলার।

স্যার,আপনি এভাবেই যুগ যুগ ধরে লড়াই চালিয়ে যান,আমাদেরকে সুযোগ দিন আপনার অসমাপ্ত লড়াইইয়ে সামিল হতে।

শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে রণাঙ্গন ত্যাগ করবনা স্যার,কথা দিচ্ছি!


কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ

ওয়ারদা নাসের আলী (জ্যেতি)
ইন্টার্নরত ডাক্তা্র,ঢাকা মেডিকেল কলেজ;বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ পাঠিকা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মাতামাতিতে আমাদের প্রজন্মের প্রথম সারির একজন।

নামকরণ,ফটোগ্রাফ এবং বইমেলায় সঙ্গদানের জন্যে।

৫,৭৭৯ বার দেখা হয়েছে

৫৭ টি মন্তব্য : “অস্ত্র থেকে অক্ষরঃ একজোড়া লড়াকু হাতের গল্প”

  1. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    এখন পর্যন্ত কেউ নেই। আমিই প্রথম।
    স্যারের সিসিবিতে অংশগ্রহন নিসন্দেহে সিসিবির জন্য এক বড় পাওয়া হবে।
    বিষয় বস্তু এবং লেখার জন্য :thumbup: :thumbup:


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    এই ভদ্রলোককে আমি শ্রদ্ধা করি।
    মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর মত আবেগী মানুষ আমি আর দেখিনি। বেসরকারীভাবে, সম্পুর্ণ নিজের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন, আমাদের মত ছেলে মেয়েদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটা ভালোভাবে জানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
    বেশ কয়েক বছর আগে প্রথম পরিচয় , বইমেলায় গেলে আমি তার স্টলের সামনেই অনেকটা সময় কাটাই। গত বইমেলায় আমাকে তাঁর লেখা দুটি বইও উপহার দিয়েছেন।

    স্যার ভালো থাকুন।
    যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, তবে এখন থেকে আমরাও আছি আপনার সংগে।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    অনেক ধন্যবাদ মাসরুফ, একজন "মানুষের মতো মানুষ" নিয়ে লিখবার জন্য। স্যারের কথা অনেক শুনেছি; একবার টিভিতে এক টকশোতেও দেখেছি তাঁকে। তোমার সাক্ষাৎকার এর অপেক্ষায় থাকলাম। অনেক শুভকামনা।
    আর স্যারকে কি আমরা কোনভাবে WCSF এও পেতে পারি? তাঁর পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতা আমাদের পক্ষ থেকে কাজে ভুল করার সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দিতে পারতো। কেউ দায়িত্ব নেবেন প্লিজ?

    জবাব দিন
  4. জিহাদ (৯৯-০৫)

    স্যারের সাথে সিসিবি নিয়ে আগেই কথা হইসে একদিন বইমেলায়। আমি, সামিয়া, মুহাম্মদ, রাশেদ ছিলাম তখন। কথা ছিল তিনিও সিসিবির জন্য মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি লেখা দিবেন। বাসায় যাওয়ার ঠিকানাও দিয়ে দিয়েছিলেন সেদিন পরে যোগাযোগ করার জন্য। আর উনার বই অটোগ্রাফ সহ আপনার আগেই নিয়ে আসছি এইবার 😀

    সাক্ষাতকারের অপেক্ষায় রইলাম।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  5. এতো ভাল একটা লেখায় হাটু বুদ্ধি দিয়া যে কি কমেন্ট দিব তা মাথায় আসতেছে না।।খালই একটা অফটপিক কথা।
    তখন একটাই হাউস ছিল যেটার দোতলায় তাঁরা থাকতেন-বদর হাউসের লোকজনের “পার্ট” নেবার কোন সুযোগ নেই কেননা তখন বদর হাউস বলে কোন হাউস ছিলোনা!

    এত কিছুর মাঝেও আপনার এইটা মাথায় আসলো... হা হা হা হায়রে ক্যাডেট। :)) :)) :)) :)) :)) :)) :))

    জবাব দিন
  6. আছিব (২০০০-২০০৬)

    বস :just: অসাধারণ কাজ করছেন :salute:
    ভাই+স্যারকে অতিসত্বর আমাদের মাঝে দেখতে চাই। :salute:

    ভাই,আপনার :just: ফ্রেন্ড জ্যোতি আপুরও পাঙ্খা হয়ে গেলাম।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উনার আগ্রহ সত্যি আমাদের জন্য অনুকরণীয় :salute:

    জবাব দিন
  7. রিফাত (২০০২-২০০৮)

    “যে বয়েসে মানুষ চুলে জেল দিয়ে কনসার্ট দেখতে যায়,সে বয়েসে অস্ত্র হাতে দেশের জন্যে যুদ্ধ করে বীরপ্রতীক হয়েছেন-এমন একজন মানুষ আমার বন্ধু,একথা ভাবতেই গর্বে আমার বুক ভরে যায়”
    ...................................... :salute: :hatsoff:

    জবাব দিন
  8. সাদিক (২০০০-২০০৬)

    ওয়ারদা নাসের আলী (জ্যেতি)
    ইন্টার্নরত ডাক্তা্র,ঢাকা মেডিকেল কলেজ;বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ পাঠিকা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মাতামাতিতে আমাদের প্রজন্মের প্রথম সারির একজন।
    ''মাতামাতি'' শব্দটা ব্যবহার না করলে হয়না

    জবাব দিন
  9. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    বই পড়ে ক্ষণে ক্ষণে চোখে পানি আসা, গর্বে বুকে কাঁপন ধরা, গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবার মতোন অনুভূতির সাথে পরিচিত হয়েছিলাম “জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা” ও ”বিজয়ী হলে ফিরব নইলে ফিরবই না” বইদুটো পড়ে। তারপরও এর ধারাবাহিকতা রয়েই গেছে। এখন পড়ছি "স্বাধীনতা - ১ম খন্ড" - অপেক্ষায় আছে "২য় খন্ড"।

    কাকতালীয়ভাবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও একটা আছে কামরুল হাসান স্যারের সাথে (যদিও তখন তিনি এইভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেননি)। শেয়ার করার ইচ্ছা রইল।
    :hatsoff: :salute: :salute: :salute: :salute:

    এপ্রিল তো শেষ...........সাক্ষাতকার কই মাসরুফ?


    Life is Mad.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।