কলেজে প্রথম ঘড়ি পড়ার দিন…

কলেজে সিনিয়রিটি প্রকাশের অনেক গুলা মাধ্যম ছিল। তার মধ্যে ১টা ছিল ঘড়ি পরা। জ়ুনিয়র থাকতে দেখতাম, সিনিয়র রা ঘড়ি পরতেন। আর আমরা মনে মনে ভাবতাম কবে সিনিয়র হব আর ঘড়ি পরব। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এল। আমরা ঘড়ি পরার পারমিশন পেতাম প্রি-টেস্ট শুরুর দিন থেকে। ঘড়ি পরে এক্সাম দিতে গেলাম। কি ভাব এক একটার!! সিনিওর হইয়া গেসি। ঘড়ি পরি। ইংলিশ এক্সাম ছিল সেদিন। কে আর আমল দেয় ইংলিশ এক্সাম। এক্সাম শেষ করে পেট ভরে লাঞ্চ করে বীরদর্পে হাউসে ফিরলাম। রুম এও ঢুকিনাই, সাথে সাথে হোল এস এস সির ডাক পড়ল কমন রুম এ। প্রিফেক্টরা ডাক্ দিসে। আমরা জানিনা আমাদের ফল্ট কি (সাদাসিধা এস এস সি আমরা 😀 )। আমাদের সবাইকে কানে ধরে দাড়াইতে বলা হল।আমরা নাকি বেশি সিনিয়র হইয়া গেসি। ফল ইন ঠিক মত করিনা, কথা বেশি বলি, হাবিজাবি……তন্মধ্য হইতে আমাকে এবং তান্নী কে বের করা হইল। আমরা তো আকাশ হইতে পড়িলাম।আমরা আবার কি করসি। আপারা বললেন, আমগো ২জনের হাঁটায় নাকি ড্যাম কেয়ার ভাব আসে!!! আমারা নাকি হ্যান্ড সুইং বেশি দিই। টুয়েল্ভের মত হাটি। হাটা নিয়ে এই দুজন অবশ্য আগেও মার্কড ছিলাম 😐 ……

“ম্যানিলা আর তান্নী, বের হও, সামনে আস!!” (আমরা মাথা নিচু করে সামনে গেলাম)

“তোমাদের ২জনের কথা আর কি বলব……হ্যা্এএএএএএএএএএএ!!!!! এত হ্যান্ড সুইং কিসের তোমাদের??? ক্লাস টুয়েল্ভ হয়ে গেস???সিনিয়রদের দেখলে শান হইতে ইচছা করেনা?? কত বড় সাহস?? হ্যান্ডস ডাউন হও!!”

সেই দিন পুরা রেস্ট টাইম আমি আর তান্নী ঘড়ি পইরা হ্যান্ডস ডাউন হইয়া ছিলাম কমন রুমে……আর ভাবতেসিলাম, ঘড়ি পইরা আজ মনে হয় একটু বেশি হ্যান্ড সুইং দিয়া দিসি…… 😕

(ভাই এবং বোনেরা, এইটা আমার প্রথম লেখা। ভাল না লাগলে পইড়েন্না 😛 )

৩,০৮৭ বার দেখা হয়েছে

৪৭ টি মন্তব্য : “কলেজে প্রথম ঘড়ি পড়ার দিন…”

  1. আরিফ (৯৫-০১)

    সিস্টার একদম খারাপ হয় নাই........মজা করলাম আরকি..ভালোই হয়েছে..আমিতো লিখতেই পারিনা.আরো লেখার চেষ্টা করো..তবে তোমাদের আগে আমরা সিনিয়র হয়েছি কারন আমরা ক্লাশ ১০ এ উঠলেই হাতঘড়ি পরেছি..

    জবাব দিন
  2. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    ম্যানিলা,
    লেখা অবশ্যই ভালো লেগেছে।
    তবে ঐযে, জুনায়েদ আগেই বইলা ফালাইছে...।।
    হাটার সুইং যেন না বাড়ে...তবে কি-বোর্ডে হাতের সুইং বাড়ানোর অনুমতি দেয়া গেল (শুধুমাত্র ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লেখার জন্য)...

    জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    কলেজে সিনিয়র হবার এই ধাপগুলো খুব মজার...
    ক্লাস এইটে -ইমিডিয়েট জুনিয়র ইনটেক আসার পর ডাইনিং টেবিলে হাত রেখে খাওয়ার পারমিশন...এবং একাডেমিক ব্লকের এক সাইডে লিডিং...
    নাইনে- দো'তলার লিডিং...জুনিয়র গ্রুপের লিডিং...
    টেনএ- ঘড়ি পড়ার পারমিশন...
    পরীক্ষার্থী - মোটামুটি সবকিছুর পারমিশন...
    ইলেভেন- কলেজকে বাবার বাড়ি বানিয়ে ফেলা...
    টুয়েল্ভ- ঐ...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. (ভাই এবং বোনেরা, এইটা আমার প্রথম লেখা। ভাল না লাগলে পইড়েন্না )

    পৈরা তো ফালাইছি এহন আমার্কহৈবো? আল্লাগো :((
    আমার এক্টা পরশনো আচে,
    সবাই খালি ঘড়ি পর্তো, কেউ ঘোড়া পড়তো না ক্যান? 😕 :-/

    জবাব দিন
  5. সাব্বির (৯৫-০১)

    একটা ঘটনা মাথায় ঢুকতাছেনা,
    হাত সুইং বেশি মানে তো জলদি চল টাইপ হাটা,,,
    জলদি চললে ড্যাম কেয়ার ভাব কেমনে আসে????
    আপু লেখা খুব ভাল হইছে। চালাইয়া যাও।

    জবাব দিন
  6. মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    আমার রুমমেট হাসান ক্লাস সেভেন থেকেই ঘড়ি ব্যবহার করতো !!!! কেমনে ???????

    হাসানের একটা চাবির রিং ছিল যেটা অবিকল বাংলা সিনেমায় নায়কের গলায় যেমন লকেটে নায়ক নায়িকার ছবি ঝোলানো থাকে সেই রকম। রিং এর ঢাকনা খুলে তার মধ্যে আঠা দিয়ে ঘড়ির ডায়াল লাগানো ছিল । সেটাই ছিল আমাদের ব্যাচের প্রথম ঘড়ি। আমরা দীর্ঘ প্রেপগুলাতে বার বার হাসানের কাছে যেতাম প্রেপ শেষ হতে কতক্ষন বাকি দেখার জন্য ।

    জবাব দিন
  7. নাজমুল (০২-০৮)
    তাসারা আমাদের কলেজ এ ক্লাস ৭ সব সময় প্রোপার্লি শান হয়ে।

    খালি তোগো কলেজ এই না সব কলেজ এই x-( আমরা তো একবার ক্লাস ১০ এ ওঠার পর জুনিয়র রে দাক্লাম অই পোলা তখনক্লাস ৯ এ শান হয়নাই বলে যে মাইরটা খাইসিল =)) :))

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান (১৯৮৮- ১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।