সালাউদ্দিন এবং অন্যরা

ধরা যাক কাজী সালাউদ্দিন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নন। তিনি সাধারণ সম্পাদক কিংবা সহ-সভাপতি। সভাপতি জাতীয় সংসদের …. আসনের সাংসদ এবং …. মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়ত। দেশের ফুটবল মাঠে দর্শক হয় না দেখে সালাউদ্দিনের মন খুব খারাপ। তার খেলোয়াড়ী জীবনে দেখেছেন আবাহনীর ম্যাচ মানে গ্যালারিভর্তি মানুষের উল্লাস, শুরুর বাঁশির আগে তার জুতার ফিতা বাঁধার একটা অভ্যাস ছিল, সেটা দেখেও দর্শকরা লাফাত। আর এখন! ভেবে ভেবে ফুটবল জমানোর জন্য তার মাথায় একটা চিন্তা এল। এত দারুণ পরিকল্পনা যে তিনি পারলে লাফিয়ে ওঠেন। সুপার কাপ নামের বিশাল প্রাইজমানির একটা টুর্নামেন্ট হবে, খেলোয়াড়দের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় সব পুরষ্কার, দর্শকদের জন্যও লোভনীয় কিছু থাকবে। তিনি পরিকল্পনাটা প্রস্তুত করেই ছুটলেন ফেডারেশন সভাপতির কাছে। কিন্তু সভাপতিকে পাওয়া যায় না। তার আরও অনেক কাজ আছে। তার এলাকায় একটা টেন্ডার ছিনতাই নিয়ে খুব ঝামেলা হচ্ছে, জানালেন আগামী সপ্তাহের আগে ফুটবল নিয়ে কথা বলার সময়ই তার নেই।

পরের সপ্তাহে পরিকল্পনাটা তিনি শুনলেন। শুনে বিস্মিত, ফুটবল টুর্নামেন্টে এক কোটি টাকা প্রাইজ! এই টাকায় কত সেতু-কালভার্ট করা যায়! টাকা ছাড় করা যাচ্ছে না বলে তার এলাকায়ই একটা সেতু হচ্ছে না।
তিনি শুকনো মুখে বললেন, এত টাকা আপনি নষ্ট করবেন!
নষ্ট মানে! দর্শক তো মাঠে ফেরাতে হবে।

তা হবে। কিন্তু এত টাকার শ্রাদ্ধ করে!

সালাউদ্দিন অপ্রস্তুত হয়ে বলেন, কিন্তু এমন কোনো বড় পরিকল্পনা ছাড়া আর কোনো উপায় তো নেই।
সভাপতি একটু ভেবে বলেন, আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি পরিকল্পনাটা রেখে যান। আমি একটু ভাবি।
সালাউদ্দিন তার পরিকল্পনাটা রেখে আসেন। আর অপেক্ষা করেন। ফেডারেশন সভাপতি সপ্তাহ খানেক পরে একদিন এলেন, বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং-এ, নিশ্চয়ই এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি, কিন্তু আশ্চর্য সভাপতি এই প্রসঙ্গেই আসেন না। সালাউদ্দিন নিজে থেকেই বললেন, আপনি কি আমার সুপার কাপের পরিকল্পনাটা দেখেছিলেন!
কোনটা যেন?

ঐ যে একটা জমজমাট টুর্নামেন্ট হবে। ফুটবল আবার জমজমাট হবে।
ও। ঐ কোটি টাকার ব্যাপারটা।

পুরো দেখিনি। ভাবছি। আরও ভাবতে হবে। বুঝতেই তো পারছেন দরিদ্র দেশ, এখানে ফুটবলের পেছনে এত টাকা ব্যয়। তাছাড়া ফুটবলের এখন ফিল্ডও ভালো না। দেখি কী করা যায়।

সালাউদ্দিন আরও অপেক্ষা করেন। বছর শেষ হয়। তার অপেক্ষা শেষ হয় না। এর মধ্যে মাথায় আরও আরও সব পরিকল্পনা আসে। কিন্তু এবার আর প্রস্তাব তৈরিতেই তার মন সায় দেয় না। সভাপতির কাছে যেতে হবে। তার নির্বাচনী এলাকা থেকে আসা যুবনেতা-ছাত্র নেতাদের সঙ্গে তাকে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করতে হবে। ডাক কখন আসবে সেই অপেক্ষা।

অপেক্ষা আর অবহেলায় তার উৎসাহের সমাপ্তি ঘটে। একসময় তিনিও ঝাঁকের কৈ হয়ে যান। যারা নতুন চিন্তার বদলে পুরনো কথা বলেই কেমন দিব্যি চালাচ্ছে। ‘ফুটবল মানুষের প্রাণের খেলা। একে মানুষের মন থেকে মুছে দেয়া যাবে না।’ ‘অতীতের কমিটিগুলো কিছুই করেনি। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়ব।”

নামটা সালাউদ্দিন না হলে গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সালাউদ্দিন যেহেতু কাজেই এখানেই থেমে থাকা যাচ্ছে না। কারণ এরকম একটা সমস্যায় পড়ে বাস্তবের সালাউদ্দিন ফুটবল ফেডারেশন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ঘোষণা করেন, ”সভাপতি না হলে ফুটবলের জন্য কিছু করা সম্ভব নয়। কাজেই সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন করব।” তা তিনি নির্বাচন করলেন। আশ্চর্য ব্যাপার সেই নির্বাচনে কোথায় সাবেক ফুটবলাররা তার পক্ষে ঐকবদ্ধ হয়ে নামবেন, তার জায়গায় দেখা গেল তাদের সিংহভাগ বিরোধী পক্ষে। এবং তারা একজনকে সালাউদ্দিনের বিপক্ষে সভাপতি হিসেবে দাঁড় করালেন। তার মূল যোগ্যতা হলো তিনি কোনো একটা সাফ গেমসের ‘সিরিমনিস কমিটির (এমন কমিটি যে আছে এটাই সম্ভবত বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক জানে না)’ প্রধান ছিলেন। রাজনৈতিক কিছু যোগ-বিয়োগ, আরোপিত কিছু যোগ্যতার প্রদর্শনী চলল। কিন্তু সাধারণ কাউন্সিলররা তাতে বিভ্রান্ত হননি। সেই কাউন্সিলররা, যাদেরকে সাধারণ হিসেবে আমরা স্বার্থান্বেষী বলে জানি, যারা টাকা বা সুবিধার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে বলে অভিযোগ। অথচ তারাই তৈরি করে দিল বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা কমিটি। সালাউদ্দিনের সাফল্যের সুবাদে তাদেরকে আরেকবার অভিনন্দন জানানো যাক। এবং একইসঙ্গে সালাউদ্দিন-বিরোধীদের একটু নিন্দাও করা যাক। দল-মতের উর্ধ্বে উঠে সালাউদ্দিনকে জেতানো উচিত এটা তো আর সবার চেয়ে তার চিরচেনা ফুটবলারদের সবচেয়ে বেশি বোঝা উচিত ছিল। অথচ কিনা তারাই বিরোধী পক্ষে!

ফুটবল কেন হারিয়ে যাচ্ছে এই বিষয় নিয়ে গভীর অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য আদ্দিষ্ট হয়েছিলাম একবার। এর-ওর সঙ্গে কথা বললাম। এবং শেষে গেলাম ফেডারেশনের মনোনীত সভাপতির কাছে। গিয়ে দেখলাম সবচেয়ে হাস্যকর কথা তিনিই বলছেন। তার বিশ্বাস, ‘গঙ্গা-পদ্মা’ কাপ নামের একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেই নাকি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তা সেই গঙ্গার জায়গায় গঙ্গা রয়ে গেছে, পদ্মার জায়গায় পদ্মা, কিন্তু তিনি জায়গা হারিয়েছেন। তার আগে আরও হারিয়ে দিয়ে গেছেন ফুটবলকে।

ক্রিকেটের এক মনোনীত সভাপতি একবার ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ব্যাংক লিগ নিয়ে। কারণ ব্যাংক লিগ হলে নাকি আর টাকা-পয়সার অভাব থাকবে না কোনো! সেটা ২০০৪ সালের ঘটনা, তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টাকা-পয়সা নিয়ে কোনো সমস্যায় নেই, তা হলে টাকার দরকারটা কী! প্রশ্নের পর প্রশ্নে বোঝা গেল তিনি পাকিস্তানে ‘ব্যাংক লিগ’ হয় বলে শুনেছেন, কাজেই এটার আয়োজন করতে হবে। ভদ্রলোকের ছিল অগাধ পাকিস্তানপ্রীতি। বিশ্বাস করতেন শহীদ আফ্রিদী বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। লারা-টেন্ডুলকারের যুগেও সাঈদ আনোয়ার বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। আরও অদ্ভুত সব পাকিস্তানমুখী ধারণা!

এত ভূমিকা আর ভনিতার একটা কারণ অবশ্যই সালাউদ্দিন। একমাত্র কারণ কিন্তু নয়। সালাউদ্দিন সূত্রে আমরা নিশ্চিত হলাম যে কোনো ফেডারেশন বা বোর্ডে দরকার এমন একজন প্রধান যার কাছে সেই খেলাটার উন্নতিই হবে মুখ্য বিষয়। সেরকম লোক আসার উপায়টা কী! অবশ্যই নির্বাচন। ফুটবলে ফিফার চাপে বাধ্য হয়ে সালাউদ্দিনকে পাওয়া গেছে, এখন অন্য ফেডারেশনে প্রাণসঞ্চারী ‘সালাউদ্দিনদের’ আনতে হলে সভাপতি পদেও নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনে অযোগ্য লোকও চলে আসতে পারে, এটা যেমন ইতিহাসের কথা তেমনি এটাও ইতিহাস যে শেষপর্যন্ত সফল এবং দূরদর্শী নেতারাও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই সৃষ্টি। নির্বাচন না হলে সালাউদ্দিন কোনোদিনই সভাপতি হতেন না, যেমন নির্বাচন না হলে ক্রিকেটে মাহবুব আনাম-গাজী আশরাফ লিপু কিংবা অন্য কোনো যোগ্য সংগঠকের এই সুযোগ নেই। সম্পাদক-উপ সম্পাদক থেকে তারা নানান পরিকল্পনা করবেন হয়ত, কিন্তু সেগুলো হারাবে ফাইলের ভীড়ে, সময়ের ফেরে, সভাপতির কর্মব্যস্ততায়।

সরকারের মন্ত্রী বা সাংসদ বা অন্য কোনো পদাধিকারীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই, তারা যোগ্যতার জোরেই এসব পদে আসীন হন। কিন্তু তাদের কাছে ফেডারেশনটা থাকে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বিষয়। একজন সাংসদের প্রধান কাজ কাগজে-কলমে আইন প্রণয়ন করা, বাস্তবে নিজের এলাকার ভোটারদের খুশি রাখা। ফেডারেশনকে দেয়ার সময় তার কই! তাছাড়া তারা এই জায়গাটাকে ঠিক নিজের পারফরম্যান্স দেখানোর জায়গাও মনে করেন না। সাবের হোসেন চৌধুরী ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে ভীষণ সফল ছিলেন। পরের নির্বাচনে তো এর ভিত্তিতে আর জিততে পারেননি। কাজেই তারা এটাকে পদাধিকারবলে প্রাপ্ত একটা চেয়ার ধরে নিয়ে মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেই দায়িত্ব শেষ করেন। আর ফেডারেশন চলতে থাকে লাইনে বসানো মালগাড়ির মতো। ফুটবল মাঠ দর্শকশূন্য হয়। ক্রিকেট এক গন্ডিতে আটকে থাকে।

দিন-বদলের গানের জোরেই এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এবং তারপর চাটুকার শ্রেণী রাতের আঁধারের গল্পের মধ্যেও এমন দিন-বদল ঢুকিয়ে দিচ্ছে যে ব্যাপারটা এখন প্রায় হাস্যকর। তবু বলি, এই আওয়ামী লীগ সরকারই ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচন দিয়ে যোগ্য সংগঠকদের ফেডারেশনে আনার ব্যবস্থা করেছিল। বাকি রয়ে গিয়েছিল সভাপতির পদটা। এখন এটাকে নিজেদের অসমাপ্ত কাজ মনে করে সভাপতি পদেও নির্বাচনের ব্যবস্থাটা করে ফেললে ক্রীড়াঙ্গনের দিন-বদল বোধহয় হয়েই যাবে।

অন্যান্য খাতে দিন-বদল প্রায় এভারেস্ট জয়ের মতো ব্যাপার। ক্রীড়াঙ্গনে কত সামান্য কাজ। সাফল্যের এমন লুটিয়ে থাকা সুযোগ পায়ে ঠেলতে আছে!

৩,৬৯৯ বার দেখা হয়েছে

৬২ টি মন্তব্য : “সালাউদ্দিন এবং অন্যরা”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বিডিনিউজে আগেই পড়েছিলাম... ভাল লাগল
    আজকেও দেখলাম হকি খেলোয়ারেরা প্রাকটিস বর্জন করেছে...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    যাক পোলাটা রেগুলার লেখা দিচ্ছে, '৮৭ এর দল ভারী হচ্ছে। :thumbup: :thumbup:

    আচ্ছা এটা কি সত্য ঘটনা, নাকি গল্পের মত করে মূল চিত্রটা তুলে আনা?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  3. সাবের হোসেন চৌধুরী ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে ভীষণ সফল ছিলেন। পরের নির্বাচনে তো এর ভিত্তিতে আর জিততে পারেননি। কাজেই তারা এটাকে পদাধিকারবলে প্রাপ্ত একটা চেয়ার ধরে নিয়ে মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেই দায়িত্ব শেষ করেন। আর ফেডারেশন চলতে থাকে লাইনে বসানো মালগাড়ির মতো। ফুটবল মাঠ দর্শকশূন্য হয়। ক্রিকেট এক গন্ডিতে আটকে থাকে।

    :thumbup: :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    উদ্যমী ক্রীড়া সংগঠকরা অভিমানে দূরে সরে যান। সালাউদ্দিন এর মতো 'শেষ না দেখা পর্যন্ত লেগে থাকার' লোক দরকার। সামরিক উচ্চপদস্থ অফিসার, কিংবা কৃষি সচিব কিংবা লুটেরা এম পি দের হাত থেকে মুক্তি দরকার, সেই সাথে এইটাও নিশ্চিত করা দরকার ক্রীড়া সংগঠক নামধারী অসৎ লোকগুলোকেও ঠেকানো।
    মামুন ভাইকে সময়োপযোগি চমৎকার লেখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
    কিন্তু বার বার ধোকা খাওয়া বাঙ্গালি যে আমরা 🙁 তাই আবার যখন দেখি আর্সেনাল চেলসির জার্সি পড়ে আমাদের জাতীয় দলের ফুটবলাররা প্র্যাকটিসে যায় তখন কষ্ট টাও লাগে খুব। একদিক দেখতে গিয়ে সবসময় আমরা অন্যদিকটা গুলিয়ে ফেলেছি। এর থেকে যত দ্রুত বেরিয়ে আসা যায় ততই মঙ্গল।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. কামরুল হাসান (৯৪-০০)
    ভদ্রলোকের ছিল অগাধ পাকিস্তানপ্রীতি। বিশ্বাস করতেন শহীদ আফ্রিদী বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। লারা-টেন্ডুলকারের যুগেও সাঈদ আনোয়ার বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। আরও অদ্ভুত সব পাকিস্তানমুখী ধারণা!

    আলী আসগর লবী সাহেব নাকি? 😀
    ওই ব্যাটার চেহারাই তো খুব খারাপ ছিলো। 😀 দেখলেই রাগ উঠতো। :grr:


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  6. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    মামুন ভাই
    আজকের আর্জেন্টিনা-বলিভিয়া ম্যাচ নিয়া একটা প্রিভিউ দিবেন না? খেলা দেখার কোন উপায় পাচ্ছি না, আমার এখানে স্কাই-স্পোর্টস দেয় না ব্যাটারা। 😀


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  7. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    মামুন ভাই,
    হকি নিয়েও কিছু একটা লিখেন...
    এমন সম্ভাবনাময় একটা খেলা এইভাবে মইরা যাবে-ভাবতেই খুব খারাপ লাগে...


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  8. শাওন (৯৫-০১)

    সত্যি বলতে কি? লেখাটা পড়া শুরু করেছিলাম ই মামুন ভাইয়ার নামটা দেখে আর প্রতিবারের মতো এবারও খুউউব মজা পেলাম...আসলে লেখনীর ধরনটাই অসাধারন


    ধন্যবাদান্তে,
    মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
    প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

    ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

    জবাব দিন
  9. এহসান (৮৯-৯৫)

    কামরুল কই গেলা? তোমারে খালি ফোন করতে পারলাম না। ৫-১ এর পরে মামুন ভাই এর লগে কথা কইসি আর ৬-১ এর পরে ওয়াহাব ভাই রে ফোন দিসিলাম; উনি মনের দুঃখে ফোন ধরে নাই।
    যাই হল মন খারাপ কইরো না। আর্জেন্টিনা বিস্বকাপে খেলবে। আর কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বাদ পরে যাবে তখন তোমরা চমক দেখানো সেনেগাল মারকা কোনো আফ্রিকান টীম্রে সাপোর্ট করবা 🙂

    মামুন ভাই,
    বলিভিয়া খেলা শেশ করার আগে আরো ১টা দিতে পেরেছিলো। ও হ্যা ডিমারিয়া খেলেছে এবং ৬৪ মিনিটে লাল কার্ড খাইসে। ১ম অর্ধে আপনার সাথে কথা বলার সময় ওই যে মেসি একটা কাউন্টার এট্যাক করসিলো, ওইটা ছারা আর মাত্র একবার মেসি গেসিলো। পুরা খেলা এক তরফা হইলো।

    জবাব দিন
  10. আহসান আকাশ (৯৬-০২)
    কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বাদ পরে যাবে তখন তোমরা চমক দেখানো সেনেগাল মারকা কোনো আফ্রিকান টীম্রে সাপোর্ট করবা

    :khekz: :khekz: :thumbup: :thumbup:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  11. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    এটা খালেদা-নিজামী'র চার দলীয় জোটের ষড়যন্ত্র। তারা ম্যাচ ইঞ্জিনিয়ারিং করছে। বাংলার মানুষ এ ষড়যন্ত্রের মোক্ষম জবাব দিবে। 😛 😛


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  12. আন্দালিব (৯৬-০২)
    সালাউদ্দিন সূত্রে আমরা নিশ্চিত হলাম যে কোনো ফেডারেশন বা বোর্ডে দরকার এমন একজন প্রধান যার কাছে সেই খেলাটার উন্নতিই হবে মুখ্য বিষয়।

    :thumbup: :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।