ম্যাজিক বয় – ০১

ইতিহাস স্যার জিজ্ঞেস করলেন, বল দেখি মাহাত্মা গান্ধীকে কে খুন করেছিল?
রতন উত্তর না দিয়ে উদাস ভঙ্গিতে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে।
স্যার ধমক দেন, বল গান্ধীকে কে খুন করেছিল?
আমি কী করে জানব স্যার! আমি তো খুন করিনি। কাউকে করতেও দেখিনি।

ক্লাস এইটের ছেলের এই উত্তরের পর যে কারোই মাথা ঠাণ্ডা রাখা কঠিন। কাজেই রতন আচ্ছা একটা ধোলাই খেলো। ইতিহাস স্যার শুধু ধোলাই দিয়েই খুশি হন না, তিনি খুশি হন ধোলাইয়ের প্রতিক্রিয়ায়। মার খেয়ে কেউ ‘বাবাগো-মাগো’ বলে চেচিঁয়ে উঠলে তবেই তার শান্তি। মা-বাবা বা এই জাতীয় কাউকে সাহায্যের জন্য না ডাকা পর্যন্ত তাই নিস্তার নেই। কিন্তু রতন কাউকে ডাকে না। এমনভাবে মার হজম করে যায় যে দেখে মনে হয় এগুলো শরীরে মশা-মাছি বসার মতোই ব্যাপার। এখন স্যার কী করেন! আমরণ তো আর পেটানো যায় না। মরে-টরে গেলে একেবারে খুনের মামলা। ফাঁসির আসামী।

স্যার একটু থামেন। থেমে আবার জিজ্ঞেস করেন, এবার বল হুমায়ূনকে কে খুন করেছিল?
আমি না স্যার।
স্যার আবার বেত লাগান। আরও জোরে। আরও গর্জন করে। স্যার এবং বেত দুজনই ক্লান্ত হয়। কিন্তু রতন নয়। তার একটাই কথা-সে খুন করেনি, কাউকে করতেও দেখেনি।

মারে যার কাজ হয় না, তার ক্ষেত্রে করণীয় কী এটা স্কুলের স্যারদেরও জানা নেই। তাই রতন নিজের মতো করে চলে যাচ্ছে। স্কুলে তার বিশেষ বন্ধু-বান্ধব নেই। শত্র“ও নেই। যে ছেলের সঙ্গে লেগে স্যাররাই সুবিধা করতে পারেন না আর কে তার সঙ্গে লাগতে যাবে!

এটা কালকের ঘটনা। আর আজকের ঘটনা হলো, খুব সকালে রতন হাতে একটা ফুটবল নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। রতনের বাবা প্রাতঃভ্রমণ সেরে বাসায় ফিরছিলেন, ফুটবল এবং চিন্তান্বিত রতনকে দেখে তিনি ভীষণ অবাক। এটা ফুটবল নিয়ে কোনো একটা অপকর্ম করারই পূর্বাভাস নিশ্চিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, রতনকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন? ফুটবল নিয়ে মানুষ চিন্তা করে না। খেলে।

ম্যাজিক বয়- মোস্তফা মামুন

ম্যাজিক বয়- মোস্তফা মামুন


রতন কি ব্যাপার? ঠিক রাগ প্রকাশ নয়, তিনি কৌতুহল থেকেই প্রশ্নটা করলেন।
রতন খানিকটা চমকে উঠল। চমকটাও রতনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নয় ।
এই সকালবেলা বইয়ের জায়গায় তোর হাতে বল কেন?
এমনি বাবা।
এমনি! বল হাতে এমনি বসে আছিস?

এরও অনেক উত্তর হতে পারত কিন্তু রতন কোনো উত্তরের দিকেই গেলো না।
রতনের বাবা, ঢাকা জজকোর্টের এলএলবি আইনজীবী শফিকুর রহমান খানিকটা চিন্তায় পড়ে গেলেন। চিন্তায় পড়লে তার কপালে ঘাম চলে আসে, তিনি পানি খান এবং অসহায়ের মতো তার স্ত্রীকে ডাকেন। তিনটা কাজই হলো। হওয়ার পর তিনি খানিকটা তিরস্কৃত হলেন। কারণ তার স্ত্রী রতনের হাতে বল থাকাটাকে খুব অস্বাভাবিক মনে করেন না। তার কাছে অবশ্য রতনের সবকিছুই খুব স্বাভাবিক। রতন কারো সঙ্গে মারামারি করে বাসায় ফিরলে তার সঙ্গে যে কথোপকথন হয় সেগুলো মোটামুটি এরকম

ওরা কয়জন ছিল?
একজন।
মাত্র একজন। তবু তোকে এমন মেরে দিল। তাহলে তো খুব দুঃখের কথা। ওরও কি ব্যান্ডেজ লেগেছে?
মনে হয়।
তোরও ব্যান্ডেজ। ওরও ব্যান্ডেজ। সমান সমান হয়ে গেল। কিন্তু সমান সমান হলে তো চলবে না। আমার ছেলেকে এগিয়ে থাকতে হবে। হবে না!
রতন মাথা নাড়ে।
কাল থেকে তোর নাস্তায় ডিম দুটো দেবো।
আচ্ছা।
সঙ্গে দুধও বাড়িয়ে দেবো। পুরো দুই গ্লাস।
আচ্ছা।
কিন্তু এরপর কারো সঙ্গে লাগলে আমি যেন তোর হাতে ব্যান্ডেজ না দেখি।

কাজেই এমন মায়ের কাছে তার ছেলের ফুটবল হাতে বসে থাকাটা কোনোভাবেই অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না। তিনি বরং বলটা ভালো করে দেখে বললেন,

ছাই একটা বল। তিন বছর আগে কিনে দিয়েছিলে। নতুন একটা বল কিনে দিও।
নতুন বল কিনে দিতে হবে?
অবশ্যই। আমার ছেলে কি যা-তা বল দিয়ে খেলবে! আজ ফেরার সময়ই একটা নতুন বল চাই। মনে থাকবে নাকি লিখে দেবো?
ছেলে বই-পত্র রেখে বল নিয়ে বসে আছে, কোথায় তাকে বকবে, আর তুমি কিনা!
সব মা তাদের ছেলেদের বকে, এখন আমিও যদি বকি তাহলে আমার রতন আর অন্যদের মধ্যে তফাত থাকল কোথায়। আমার ছেলে সবার চেয়ে আলাদা। অন্যরকম। মনে রেখো।

রতনের মা ছেলের জন্য নাস্তা তৈরি করতে চলে যান। ভাবগতিকে মনে হয় আজ ডিম বা দুধ আরেকটু বেড়ে যাবে।

বাবা কী করবেন বুঝতে না পেরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। তারপর রতনের হাত থেকে ফুটবলটা কেড়ে নেয়ার একটু চেষ্টাও করেন। এবং আশ্চর্য ব্যাপার রতন বিশেষ বাধা দেয় না। বলের দখল যে এত সহজে পেয়ে যাবেন তার ধারণায় ছিল না, এখন হাতে বল নিয়ে কী করবেন বুঝতে পারেন না। বলটা ছুঁড়ে দূরে ফেলে দেবেন নাকি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। একটা শট মারবেন নাকি? স্কুলে থাকতে তার ফুটবলার হিসেবে অল্প-বিস্তর খ্যাতি ছিল। কিন্তু সেটা এত পুরনো বিদ্যা যে তার ওপর ভরসা করা ঠিক হবে না। শফিকুর রহমান খুব সমস্যায় পড়ে গেলেন। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে ছোট-খাট সমস্যাগুলো তাকে বড় জ্বালিয়ে মারে। কাল মামলা জেতার পর মক্কেল তাকে টাকা দেবে, কিন্তু তার কাছে ভাংতি নেই। কারো কাছেই ভাংতি নেই। মক্কেল বলে,আপনি ভাংতি দিন। তিনি বলেন ভাঙ্গানোর দায়িত্ব আপনার, এই নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে তুমুল বচসা। অনেক লোকও জুটে গেলো, পরে যখন তারা জানল যে ভাংতি নিয়ে এই গোলমাল তখন সবাই এমন নাক ওল্টালো যে লজ্জায় তার মাথা কাটা যাওয়ার যোগাড়। শেষে তাকে দুশো টাকা ছাড়তেই হলো। এখন বলের সমস্যা। বল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সমস্যায় নিশ্চয়ই কোনো প্রাপ্তবয়স্ক লোক কখনও পড়েনি। এই কুক্ষনেই তার মুহুরি আজিজ মিয়া এসে হাজির। বল হাতে তার কিংকর্তব্যবিমূঢ় দাঁড়িয়ে থাকা দেখে সে কিছুটা থ। আসলে থ নয়, সে পুরো দৃশ্যটা মুখস্থ করার চেষ্টা করছে। আদালতে খুব রসিয়ে রসিয়ে অন্য উকিলদের কাছে বলবে। আচ্ছা অন্যদের কী এরকম কোনো সমস্যা হয় না!

আজিজ মিয়া গলা খাকারি দিতেই তিনি বলটা ছেড়ে দিলেন। সেটা গিয়ে পড়ল একটা ফুলের টবে। এমন হঠাৎ পতনে টবটা ভেঙ্গে যাওয়ারই কথা, তিনি আর ওদিকে তাকালেনই না। তার স্ত্রীর দ্বিতীয় ভালোবাসা হলো ফুলের টব। কী যে অনর্থ হবে?
তিনি আর ভাবলেন না। ওদিকে তাকালেনও না। আজিজ মিয়ার দিকে মন দিলেন। আজিজ মিয়ার মন ঘুরিয়ে দিতে হবে।
মক্কেল এসেছে।
জ্বি স্যার।
কয়জন?
তিনজন। কিন্তু সুবিধার নয়। একজন এসেই রিকশাওয়ালার সঙ্গে ভাড়া নিয়ে ঝগড়া করেছে। আরেকজনের পাঞ্জাবী ছেড়া।

খুবই চিন্তার কথা। যে রিকশাওয়ালার সঙ্গে ঝগড়া করে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা বাগানো কঠিন ব্যাপার হওয়ারই কথা। যে ছেড়া পাঞ্জাবী সেলাই করতে পারে না তার কাছে উকিলের ফি থাকবে কী করে। এখন তৃতীয়জনই ভরসা।
আজিজ মিয়া তার মনের কথাটা কীভাবে যেন পড়ে ফেলল। বলল, তৃতীয়জনকে দিয়ে খুব একটা সুবিধা হবে না। সে মাস্তান গোছের। আমাকে তুমি করে বলেছে। আপনার সম্পর্কেও কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। বলে কিনা ডাক তোর উকিলকে।
না দিনের শুরুটা খুব খারাপ হতে যাচ্ছে।
তবু মুহুরির সামনে নিজেকে প্রকাশিত হতে দেয়া যায় না। বললেন, চলতো দেখি। কোথাকার কোন মাস্তান!

আরও কিছু হুমকিসূচক কথা বলতে বলতে তিনি এগোতে থাকেন। রতনের হাসি পায়। সে জানে এটুকু জায়গাই বাবার ক্ষমতার গন্ডি। বসার ঘর পর্যন্ত যেতে তার গলা ক্ষীন হতে থাকবে। আজিজ মিয়া মাস্তানের যে ধমকটা সহ্য করতে পেরেছে, বাবা ওটুকুও পারবেন না।

রতনের মন খারাপ হলে বাবার কর্মকাণ্ড গভীরভাবে দেখতে ইচ্ছে করে। বাবাকে দেখলে তার মন ভালো হয়ে যায়। এই বয়সের একজন মানুষ, যে কিনা আবার উকিল সে এত ভীতু হয় কী করে! আজ অবশ্য বাবার দিকে মন না দিলেও তার চলবে। আজ যে তার ফুটবলটা নিয়ে অনেক কিছু করার আছে।
এখন কেউ নেই। একটু পরীক্ষা করে নেয়া যাক।

রতন বলটা হাতে নেয়। হাতে নিয়ে ভালো করে দেখে। সাধারণ একটা বল, ওর খাটের তলায় অনেকদিন ধরে পড়ে ছিল, ঠিকমতো পাম্পও করা নেই। খুঁজে বের করতে তার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। খাটের নীচে তেলাপোকারা নিশ্চিন্তে ঘুমায় সম্ভবত, সাত-সকালে কেউ এতকাল ওদের বিরক্তও করেনি, আজ সকালে রতনের হানা দেয়াতে ওরা খুব রাগ করেছে। নিরীহ প্রাণীদেরও রাগ-ক্ষোভ আছে, প্রতিবাদের ভাষা আছে, ওরা রতনের চারদিকে চক্কর দিতে লাগল। খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার, রতন একটাকে সেন্ডেলচাপাও দিয়েছে। তারপরও ঝামেলা আছে, খাটের নীচে ঢুকে যাওয়া যত সহজ, বেরোনো তত সহজ নয়। বেরোনোর পথে মাথায় একটা বাড়িও খেয়েছে। জায়গাটা ফুলে গিয়ে থাকবে। স্বস্তির কথা যে মা এখনও ফোলাটা দেখেননি। দেখলেই তাকে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ার ভেতর চলে যেতে হবে।
বলটা হাত থেকে পায়ে নিতেই রতন খেয়াল করল, তার পায়ে অদ্ভুত এক ধরনের শক্তি এসে যাচ্ছে। আর পায়েও যেন চুম্বক। বলটা পা থেকে পড়তেই চাচ্ছে না।
যে বা যারা এক আধটু ফুটবলে লাথি দেয় তারা জানে ফুটবলের চেয়ে অবাধ্য কোনো জিনিস হয় না। পায়ে ফুটবল ধরে রাখার চেয়ে কঠিন কাজ জগতে সর্বোচ্চ দু-চারটা হতে পারে।

রতন বলটা নিয়ে একটু খেলার চেষ্টা করল। শূন্যের ওপর বল নিয়ে একটু খেলা, এমন কাজটা দুই তিনবারের বেশি করা যায় না, বল পায়ে লেগে বেরসিকের মতো দূরে চলে যেতে চায়, দ্বিতীয়-তৃতীয়বারের পর আর তাকে ছোয়ার সুযোগই থাকে না। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, রতন যেমন চাইছে তেমনই থাকছে। একের পর এক সে বলে লাথি মারছে কিন্তু বল যেন পোষ মানা পাখি, নিজে থেকেই ফিরে এসে ওর পায়ের আরেকটা লাথি খাচ্ছে এবং দূরে যাচ্ছে না। খুশি হয় রতন। সঙ্গে ভয়ও।
তার মানে কাল রাতের স্বপ্নটা সত্যি। সত্যি সত্যিই!
রতনের ঘাম চলে আসে। সে বুঝতে পারছে না কী করবে এখন?
উত্তেজনায় রতন খেয়ালই করেনি মা কখন এসে দাঁড়িয়েছেন। দাঁড়িয়ে নয়, এখন তিনি বসে পড়েছেন। বসে মুগ্ধ হয়ে দেখছেন রতনের পায়ের কারুকাজ।
রতন মাকে দেখে একটু বিব্রত হয়ে গিয়েছিল, মা চোখের ইশারায় বললেন, চালিয়ে যাও।
রতন চালিয়ে গেল। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বলে লাথি মারছে, যত জোরে ইচ্ছা কিন্তু বল তার ক্রীতদাস। মাঝে মধ্যে আকাশে তুলে দিচ্ছে, তবু বল ঠিকঠাক নিজে নিজেই ফিরে আসছে তার পায়ে কিংবা মাথায়।
মা হাততালি দিয়ে বললেন, এই না হলে আমার ছেলে।
রতনের উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। তাকে নিয়ে না মা চিরকালই গর্ব করতে চেয়েছেন, অন্যদের চেয়ে তার ছেলে আলাদা এটা দেখার মধ্যেই তো তার জীবনের সার্থকতা। কাজেই রতন দ্বিগুন উত্তেজনায় বল নিয়ে নানান কসরত করতে লাগল।
মা হাততালি দিতে থাকলেন। আর রতনও চালিয়ে যেতে থাকল।
স্বপ্ন তাহলে সত্যি। কিন্তু এই স্বপ্ন যে শুধুই আনন্দের নয়। যতটা আনন্দের, ততোটাই ভয়ের।

(চলবে………… )

২,৭৫৮ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “ম্যাজিক বয় – ০১”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    এবারের বইমেলায় এটা আমার পড়া মামুন ভাইয়ের সবচেয়ে মজার কিশোর উপন্যাস।

    যারা এখনো পড়েননি তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দেয়ায় মামুন ভাইকে ধন্যবাদ।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  2. জাবীর রিজভী (৯৯-০৫)

    আমি তো মামুন ভাইয়ের পাঙ্খা অনেক আগে থেকেই... :salute: :boss:

    অফ টপিক: এইবার বইমেলায় আমার ডাইনোসর আমারে "হ্যালো ক্যাডেট" বইটা গিফট করছে। 😀 😡 বার বার পড়ি আর পোলাপাইনরে পড়াই।কই,"দেখ,আমাগো জাত ভাই"

    জবাব দিন
  3. সাইফ (৯৪-০০)

    কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে কথা বল্লে, আড্ডা মারলে, যাদের সংস্পর্শে গেলে নিজেকে ধন্য মনে হয়, কারন,তাদের কথাবার্তায় ব্যক্তিত্ব আর মেধা ফুটে উঠে, আর তার সাথে যদি থাকে স্বতস্ফূর্ততা, সরলতা তাহলেতো তার কোন তুলনাই চলে না।

    মামুন ভাই এমন একজন তুলনাহীন মানুষ , অন্তত আমার কাছে।

    জবাব দিন
  4. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    মামুন ভাইয়ের সবগুলা বই এবার কিনেছি আর পড়াও শেষ। এই বইটা অসাধারন লেগেছে। আর বামহাতি বাবলু-র যে মর্মস্পর্শী সমাপ্তি তা অনেক নাড়া দিয়েছে। ভাই আপনাকে :salute: :salute:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তুহিন (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।