ওয়েক আপ, ক্যাডেটস! …এখন শোক কে শক্তিতে পরিণত করার সময়

ক’দিন ধরে কিছুই ঠিকমত ভাবতে পারছিনা। সবকিছু শুধুই ঝাপসা হয়ে আসছে। তারপরেও জীবন ত থেমে থাকে না, থামতে দেওয়াও যায় না।

এখন আমাদের আরো কিছু দায়িত্ব বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ছেলেমেয়েদের পড়ার ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। আমাদেরও কিছু দায়িত্ব নেওয়া উচিত। সবাই মিলে ঠিক করা দরকার, কি কি ভাবে আমরা শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাড়াতে পারি।

জানি, সবারই মনে অবস্থা। তারপরেও……………আমাদের ঘুরে দাড়াতেই হবে।

সানা ভাই, শওকত ভাই, আপনারা প্লিজ এদিকটাতেও একটু নজর দিবেন।

১,৯০১ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “ওয়েক আপ, ক্যাডেটস! …এখন শোক কে শক্তিতে পরিণত করার সময়”

  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    বস, কিছু মনে না করলে বলি, কাডেট হিসাবে দায়িত্বের চেয়ে মানুষ হিসাবে দায়িত্ব আমি বড় করে দেখছি। শহীদ অফিসার কিংবা বিডিআর পরিবাররা সাহায্য পাবে সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু এই রেশারেশিতে হারিয়ে যাওয়া বেসামরিক লোকগুলোর জন্য কেউই কাদবে না ওদের পরিবার ছাড়া।
    তাদের পাশে দাড়ানোটা মানুষ হিসাবে কর্তব্য মনে করছি। সামু এবং এখানে এনিয়েই আমার লাস্ট পোস্ট টা আছে। বোধ করি সবার নজর এড়িয়ে গেছে।
    আমাকে ভুল বুঝবেন না। কিন্তু আমি মানবিক দায় এড়াতে পারলাম না।

    জবাব দিন
  2. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    গোলাম ইমতিয়াজ ফারুক (সি সি আর ১৯৮৭-১৯৯৩) gifaruque@gmail.com
    হাসান মাহমুদ (সি সি আর ১৯৯০-১৯৯৬) hm77@ucla.edu
    মির্জা আদনান হোসেন (এম সি সি ১৯৯৪-২০০০) adnan1729@hotmail.com
    (Please provide a means of communication. Moderators can you make this page available only for the members please, as it would contain personal information. Thank you)

    যারা কন্ট্রিবিউট করতে চান তারা এই ব্লগে যার যার মতামত দিন এবং কিভাবে ব্যাপারটা অর্গানাইজ করা যায় সে ব্যাপারেও বলুন । আর যারা দেশের বাইরে আছেন তারা সবাই মিট আপ করে তাদের ইনপুট টাও দিন । আমি মাত্র যোগাযোগ করেছি সিনিয়র ভাইদের সাথে, কংক্রিট কিছু হলেই এখানে আপডেট করব ।

    জবাব দিন
  3. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    রাফি ভাইয়া তুমি যেহেতু তোমার হাত তুলেছ, তোমাকে একটা দায়িত্ব দিতে চাই । আমাদের স্প্রেডশীটে একটা ডাটাবেস করতে হবে, নীচের পয়েন্ট গুলো যদি লক্ষ্য করে যদি স্প্রেডশীট টা করা যায়, তাহলে খুবই ভাল হয়,
    ১। সব শহীদ দের নাম, উনাদের ফ্যামিলি মেম্বার কতজন ।
    ২। ফ্যামিলি মেম্বারদের ডিটেইলস (e.g. বাচ্চারা কিসে পড়ে, ভাবীরা কাজ করছেন কিনা)
    ৩। উনাদের ফ্যামিলিতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটা কি এই মুহূর্তে ।
    ৪। কার পাশে সবার আগে দাড়ানো দরকার এটা বের করাও জরুরী ।
    ৫। কিছু বাদ পরলে যোগ করার অনুরোধ থাকল ।

    এটা একটা সময়সাপেক্ষ কাজ, কিন্তু খুবই জরুরী । আরেকটা কথা না বললেই নয়, শুধু আর্থিক ভাবে সাহায্য করাই কিন্তু মূখ্য নয়, শহীদ পরিবার গুলোকে মানসিক ভাবে সাহস দেয়া উনাদের বুঝতে দেয়া উনারা একা নন । আমরা আছি উনাদের সাথে । আপাতত স্প্রেডশীট টা যদি দাড়া করানো যায় তাহলে আমার এবং আমরা যারা প্রবাসী আছি তাদের জন্য ফান্ড উঠানো সহজ হবে । এখন আমরা কার ব্যানারে আসব এটাও একটা ব্যাপার । ব্যক্তিগত ভাবে আমি যেকারো ব্যানারে আসতে রাজী, যতক্ষন পর্যন্ত সর্বচ্চ সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছাতে পারছি । ব্লগের আন্যান্য মেম্বারদের সক্রিয় মতামত আশা করছি । আর আমাদের বেশ বড় একটা ভলান্টিয়ার বাহিনী দরকার । কেউ একজন দায়িত্ব নিন পুরো ব্যাপারটা দেশ থেকে কো-অর্ডিনেট করার জন্য । আমার আরো কিছু আইডিয়া আছে সেগুলো আরেকটু গুছিয়ে খুব শিগগীরই আপনাদের সাথে শেয়ার করব । ধন্যবাদ ।

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      একটা কথা...আমার মনে হয় সবার আগে মানসিক সহায়তাটা বেশি প্রয়োজন।বীরপ্রসূতি এ পরিবারগুলোকে শুরুতেই আর্থিক সহায়তার কতথা বলা ধৃষ্টতার মত হয়ে যেতে পারে...আমার কথা ভুল বুঝবেন না প্লিজ, যে পরিবার তার সন্তানকে দেশের জন্যে বলি দেয়-মৃত্যর পরমুহূর্তেই আর্থিক সহায়তার কথা বললে বীড় রক্তের অধিকারী এই পরিবারের মানুষেরা আহত বোধ করতে পারেন।আমি আদনান ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত,তবে আমাদের কিছুটা সতর্ক হতে হবে যাতে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে হলেও ভুল করে আমরা এই শোক সন্তপ্ত পরিবারগুলোকে আঘাত না দিয়ে ফেলি।

      জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      আমি আসলে সাহায্য করতে প্রস্তাব করছি সকল শহীদ পরিবারকে, শুধু আর্মি, বা বিডিআর বা সিভিলিয়ান নয়। আমার বিশ্বাস, আর্মি পরিবারের জন্য টাকা দিয়ে সাহায্য লাগবে না। কিন্তু বাকিদের বেলায় টাকা লাগবে।

      তাই, টাকা লাগবে অন্যদের জন্য, আর সামাজিক ও মানসিক সাপোর্ট আর্মি-পরিবারের জন্য। ভেবে দেখুন, সমাজে তারা কতোটা চাপের মধ্যে,- মৃত স্বজনদের কষ্টে যখন তারা দিশেহারা, সেই সময় অনেকে আজেবাজে কথা শোনায়।


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।