আত্ম-পরিচয় নিয়ে আমার ভাবনা-৩

আত্ম-পরিচয় নিয়ে আমার ভাবনার দ্বিতীয় কিস্তিতে সানাউল্লাহ ভাইয়ের একটা মন্তব্য থেকে নেওয়া প্রশ্নমালা ধরে তৃতীয় কিস্তি শুরু করলাম। “আমি এলাম কোথা থেকে? কিভাবে? আমি নাকি সৃষ্টির সেরা জীব! এই মিথ কে তৈরি করলো? আমি সৃষ্টির কতোটা জানি?”

আমাদের ইতিহাস, মানে মানুষের ইতিহাস এক অর্থে মানুষের নিজেদেরকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে জাহির করার ইতিহাস। প্রতি যুগেই মানুষ নিজেদেরকে জগতের মধ্যে সেরা হিসেবে উপস্থাপণ করার চেষ্টা করে গেছে।- এই অনুকল্প’কে ভিত্তি ধরে আমি আজকের আলোচনা এগিয়ে নিতে চেষ্টা করব।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে, আমি শুরু করেছি ‘মানুষ’ কথাটাকে সাধারণ অর্থে নিয়ে। তারমানে, সকল মানুষ। মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের দাবির দুটো পর্যায় আছে। এক, মানুষ সকল জীবের সেরা। দুই, একটি বিশেষ জনগোষ্ঠি বাকি সবার থেকে সেরা। মানুষ সৃষ্টির সেরা- এই অনুকল্পটি সহজেই গ্রহন করা যায়, কারণ অন্য যেসব প্রাণীর সাথে তুলনা করে এর উদ্ভব তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ করতে আসে না বা আসতে পারে না। পেজগি লাগে দ্বিতীয়টায়, অর্থ্যাত মানুষের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে। কারণ, সকল জনগোষ্ঠিই পারে তাদের পরিচয়কে তুলে ধরতে যা অনিবার্যভাবেই নিয়ে যায় আত্ম-পরিচয়ের রাজনীতির দিকে।

সবাই জানে ও মানে যে, মানুষ অন্য জীব-জানোয়ারের থেকে উন্নত, তথা শ্রেষ্ঠ। তারপরই যে প্রশ্নটার আবির্ভাব হয় তা হল “নেক্সট?” এইখানে শুরু হয় গোষ্ঠি বা দলগত পরিচয়ের রাজনীতি, আত্ম-পরিচয় নির্মাণ ও বিনির্মাণ।প্রত্যেক দল তাদের সাধ্যমত নেমে পড়ে আত্ম-পরিচয় নির্মাণে। প্রথমে নানা ধরনের মানুষ কিছু কিছু সাধারণ মিলের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট দলের অন্তর্ভূক্ত হয় (কর্মক্ষেত্রের প্রেক্ষিত ও প্রসার অনুযায়ী দলের আকার কমে-বাড়ে)। এরপর শুরু করে অন্যান্য মানুষের সাথে দলগত এবং ব্যাক্তিগত পর্যায়ে পরিচয়ের ব্যাবধান তৈরী। এটা করা হয় একই সাথে চলমান দুটি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে- নিজেদের ঢোল’টা না ফাটিয়ে যথাসম্ভব জোরে পিটিয়ে+ বাদবাকি সবার ঢোল’টা হয় ফাটিয়ে ফেলে বা বাজাতে না দিয়ে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আমরা ক্যাডেটদের দিয়েই দেখি ব্যাপারটা কেমন।- বাংলাদেশে অসংখ্য দলের মধ্যে আমার বিশ্বাস ক্যাডেটরা একটা ক্ষুদ্র, কিন্তু চোখে পড়ার মত দল। কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আমাদেরকে কঠিন দলীয় বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এগুলোর উদ্ভব হয়েছে আমাদের সকলের ক্যাডেট কলেজে থাকার সাধারণ অভিজ্ঞতায়। এই বৈশিষ্ট্যাবলী আমাদেরকে সমপর্যায়ের অন্যান্য দলগুলো থেকে পৃথক করেছে। যখনই আমরা আমাদের এই পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্যাবলী নিজেদের মধ্যে এবং অন্যদের মধ্যেও গ্রহনযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই, তার পর থেকে শুরু হয় আমাদের সেইসব বৈশিষ্ট্যকে (সাধারণভাবে গুণ হিসেবে বুঝি) মহিমান্বিত করা যা প্রকৃতপক্ষে আমাদেরকেই মহিমান্বিত করে B-) । নিজেদের বৈশিষ্ট্য মহিমান্বিতকরণের পাশাপাশি আবার অন্যদের মধ্যে- যাদের সাথে ক্যাডেটদের তুলনা করা হয়- আমাদের গুনাবলীর বিপরীত বৈশিষ্ট্যগুলো (সাধারণভাবে দোষ হিসেবে বুঝি) হাইলাইট করতে হয়, এমন কি না থাকলে আরোপ করা হয় :thumbdown: । যেমন, ক্যাডেটদের কঠোর পরিশ্রমে উদবুদ্ধ করতে বাছাই করা কিছু রোল মডেল (পরিশ্রমের জন্য আর্মি, চরিত্রের জন্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, পড়ার জন্য বিদ্যাসাগর, ইত্যাদি) নেওয়া হয় যারা সমাজের চোখে নন্দিত। আবার ক্যাডেটদের মকরামির জন্য ঝাড়ি মারার ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয় কিছু রোল মডেল (যেমন বলা হয় মাদ্রাসার ছাত্র, ব্লাডি সিভিলিয়ান, ইত্যাদি )। লক্ষ্যণীয় যে, ভালো গুণাবলী নেওয়া হয় প্রধানত অতীত থেকে, আর অবাঞ্ছিতগুলি নেওয়া হয় বর্তমান থেকে; দুটোই অনেকাংশে কাল্পনিক/আরোপিত।

ক্যাডেটদের গুণগান ও তুলনীয়দের দোষের সাতকাহন গাওয়া হয় নানা ধরণের সংগঠন (যেমন, আর্মড ফোর্সেস) ও ব্যক্তির (যেমন, আমাদের আত্মীর-বন্ধু) মধ্যে নানা সামাজিক পরিমন্ডলে পারস্পরিক মেলামেশায়। তাদের সম্মিলিত প্রয়াসে ক্যাডেটদের মহিমান্বিত করে এমন সব সাধারণ ‘বয়ান’ (ইংরেজি narrative-এর বাংলা করলাম) জনশ্রুতিতে প্রচলিত হয়। একদা এইসব বয়ান তৈরী ও প্রচার হয়ে গেলে তা ক্যাডেটদের জন্য- এবং সমবয়সি অন্যদের জন্যও- গ্রহনযোগ্য ব্যবহারের মাপকাঠি হিসেবে কাজ শুরু করে।আমরা নিজেরাও সচেতন ভাবেই এইসব মাপকাঠি মেনে চলার চেষ্টা করি। যেমন, হাইস্কুল+কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য ক্যাডেট কলেজের পোলাপাইন অনেক কিছুতেই ‘রোল মডেল’, পড়াশোনা-খেলাধূলা-নিয়মানুবর্তিতা-ভদ্রতা-অধ্যবসায় (কিসে নয়? :thumbup: )।

উল্লেখ্য যে, এইসব গুণ বিশেষভাবে কোন ক্যাডেটকে নির্দেশ করে না, বরং একটা দল হিসেবে সাধারণভাবে সকল ক্যাডেটদের নির্দেশ করে। এর অর্থ হল, কোন বিশেষ ক্যাডেটের মধ্যে এইসব গুণাবলীর সবগুলো থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। কিন্তু সাধারণভাবে মানুষ আশা করে এসব একজন ক্যাডেটের মধ্যে থাকবে। যখন তারা তা দেখতে পায়, তখন তা’রে কয় আদর্শ ক্যাডেট। আর না পাইলে কয় ‘মকরা’ ক্যাডেট। একই সাথে, অন্য পোলাপাইনদেরও একই মাপকাঠিতে মাপতে গিয়ে যখন কারো মধ্যে এসব পাওয়া যায়, তা’রে প্রসংশা করে, না পাইলে দাবড়ানি।

ক্যাডেটদের মহিমান্বিত করে যেসব বয়ান, তা’ কিন্তু চিরস্থায়ী নয়, বরং সতত পরিবর্তিনশীল। এদের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে সমাজে ক্যাডেটদের সামগ্রিক গ্রহনযোগ্যতার উপর যা আবার নির্ভর করে সমাজের সাধারণ মাপকাঠিতে ক্যাডেটরা উত্তীর্ণ হতে পারছে কি না তা’র উপর। কিছুদিন আগেও, মানে ‘মেরিটলিস্ট’ এর যুগে ক্যাডেটদের মহিমা প্রকাশ+প্রমাণ করার প্রধান মাধ্যম ছিলো এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষা আর টিভি বিতর্ক। (এখন কি অবস্থা?)।

দু’একটা ব্যর্থতার ঘটনা সমাজ ব্যতিক্রম হিসেবে উপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হলে শ্রেষ্ঠ্যত্বের বয়ানে ঘূণ ধরে। ফলশ্রুতিতে দলগত, কাজে কাজেই ব্যক্তিগত পরিচয়েও নামে ধ্বস। শ্রেষ্ঠত্বের আসন থেকে এই পতন স্থায়ীত্ব পায় যদি পাশাপাশি আরেকটা দল ধারাবাহিক সাফল্য দিয়ে তাদের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের বয়ান প্রতিষ্ঠা করে ফেলে। শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার একমাত্র উপায় হল সমাজের সাধারণজ্ঞানের পরিধিতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের বয়ান জারি রাখা, তা সে যেকোন ভাবেই হোক- শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিযে, জ্ঞান দিয়ে, কাজ দিয়ে।

(বেঁচে থাকলে আগামী কিস্তিতে এই আলোচনার চোখে বিশ্বের ইতিহাস দেখার চেষ্টা করবো)।

দ্রষ্টব্যঃ ইচ্ছে করেই তত্ত্বীয় রেফারেন্স এড়িয়ে যাচ্ছি জনস্বার্থে। কেউ বিশেষভাবে আগ্রহী হলে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে আলোচনা করা যাবে।

২,৫৯৩ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “আত্ম-পরিচয় নিয়ে আমার ভাবনা-৩”

    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      কন কি বস?

      আমি এতো চেষ্টা করছি ভারি ভারি তত্ত্বকথা বাদ দিয়ে সহজ করে লিখতে......আমি মনে হয় লিখতে পারছি না যত সহজ করে লিখতে চাই :(( :(( :((


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        আরে কাইন্দো না। তোমারে ফ্যাক্ট কই,

        আমি সাইন্সের পোলা, কাজ-কাম যন্ত্রপাতি নিয়া। স্পেসিফিক ইন-পুট আর স্পেসিফিক আউট-পুট। এইটা কখনই হবার চান্স নাই সে ইন-পুট ফিক্স থাকবে কিন্তু আউটপুট একেকবার একেক রকম হবে।

        তুমি কাজ কর মানুষ নিয়ে। মানুষ একই ঘটনায় একেক বার একেক ভাবে রি-অ্যাক্ট করে, মেশিন করেনা। এইটা আরও বুঝছি ম্যানেজমেন্টের একটা ট্রেনিং এ গিয়া। তখন মনে হইছিল মানুষ এমন একটা যন্ত্র যার কোন ইন-পুট, আউট-পুট রেশিও ঠিক নাই, আজিব।

        তুমি লিখতেছ এই মানুষ নিয়া, যত সহজ কইরাও কও না কেন, আমার কঠিন লাগবো। তোমার যেমন কঠিন লাগব "ফেরাডেস 'ল"।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমি তো বুঝে গেলাম... B-)
    তয়, একটা ব্যাপার খুব খারাপ হইছে...আমি যে 'মকরা ক্যাডেট' এইডাও বুঝলাম... :(( :(( :((


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
    যখনই আমরা আমাদের এই পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্যাবলী নিজেদের মধ্যে এবং অন্যদের মধ্যেও গ্রহনযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই, তার পর থেকে শুরু হয় আমাদের সেইসব বৈশিষ্ট্যকে (সাধারণভাবে গুণ হিসেবে বুঝি) মহিমান্বিত করা যা প্রকৃতপক্ষে আমাদেরকেই মহিমান্বিত করে

    ঠিক যেমন 'জুনা ও তার দল' নিজেদের মধ্যে এবং অন্যদের মধ্যেও 'বৃক্ষতা' নামক বৈশিষ্ট্যটি গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে :-B ...তারপর থেকে শুরু করেছে 'বৃক্ষতা'কে মহিমান্বিত করা ~x(


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  3. তৌফিক (৯৬-০২)

    মাহমুদ ভাই, আপনি কিসের স্পেশালিস্ট? মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান নাকি নৃতত্ত্ব?? আপনার লেখাগুলা কিন্তু মূলধারার ব্লগগুলাতেও প্রকাশের দাবী রাখে। নিজের বিভিন্ন কার্যকলাপ আর আচরণের যেরকম চরম চরম ব্যাখ্যা পাচ্ছি, সবকিছু ফিলিপস বাত্তির মতো ফকফকা হয়া যাইতাছে। খুব ভালো লাগছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। 🙂

    অফটপিকঃ স্টেপলস সেন্টার লস এঞ্জেলস ডাউনটাউনের একটা স্পোর্টস এরিনা। NBA=এর লেকারস, ক্লিপারস, WNBA-এর স্পার্ক্স, NHL-এর কিংসের হোমগ্রাউন্ড। মক্কার লোক আসলেই হজ পায় না। 🙂

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
      আপনার লেখাগুলা কিন্তু মূলধারার ব্লগগুলাতেও প্রকাশের দাবী রাখে।

      মূলধারার ব্লগরে আমি ভয় পাই, কারণ ওখানে কিছু মস্তো মস্তো গিয়ানী আনাগোনা করে 😛 😛 😛


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
      আপনার লেখাগুলা কিন্তু মূলধারার ব্লগগুলাতেও প্রকাশের দাবী রাখে।

      তৌফিক ভাই, এইটা কিন্তু মানতে পারলাম না। সিসিবি-কে তো আমরা মূলধারার ব্লগ হিসাবেই দেখি।
      যে ব্লগে সবাই লিখতে পারে সেটাই মূলধারার ব্লগ- এই সংজ্ঞায় সিসিবিকে মূলধারার ব্লগ বলা যায় না। কিন্তু এটাকে সঠিক সংজ্ঞা বলে আমি মানি না। ব্লগে সবাইকে লিখতে পারতে হবে এমন কোন কথা তো নেই। ইংরেজিতে সব বিখ্যাত ব্লগেই দেখেছি লেখক মাত্র কয়েকজন এবং পাঠক সবাই।

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

        ভাই মুহাম্মদ,

        ছাইড়া দেও বিষয়টা। আমি আসলে এটা ফান মন্তব্যে কাটিয়ে দিলেও আসল কথা হলো, আমি অন্য ব্লগগুলোতে অস্বস্তি বোধ করি। কিন্তু সিসিবি আমার কাছে নিজের বাড়ির মতো মনে হয়। তাই যদি কিছু লিখি, তা এখানেই।


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
        • তৌফিক (৯৬-০২)

          ব্যাপার না মাহমুদ ভাই, আমিও অন্য ব্লগে ব্লগাই না। 🙂

          আর সিসিবি কন্টেন্টের দিক থেকে যথেষ্টই সমৃদ্ধ, মুহাম্মদের সাথে এই ব্যাপারে দ্বিমত নাই। কিন্তু এই ব্লগে ট্রাফিক অন্য ব্লগের থেকে কম। তাই মূলধারা-অমূলধারার বিভাজন। মাহমুদ ভাইয়ের এই লেখাগুলা বেশি লোকজন পড়লে ভালো হইত- এই ধারণা থেকে উনারে অনুরোধ করছিলাম। উনি যেহেতু চান না, আর কথা নাই। আমরা পড়তে পারলেই হইল, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। 😀

          জবাব দিন
  4. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
    প্রতি যুগেই মানুষ নিজেদেরকে জগতের মধ্যে সেরা হিসেবে উপস্থাপণ করার চেষ্টা করে গেছে।

    এটাকেই কি "অহম" (ego) বলা যায়। মানুষের মধ্যে অহম জিনিসটা বোধহয় খুব বেশী। এজন্যই তারা এমন একজন ঈশ্বর তৈরী করেছে যে চূড়ান্ত অহমের আধার। সৃষ্ট সকল ঈশ্বরেরই একটা জিনিস কমন থাকে: অহম।
    খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। পড়ছি।

    জবাব দিন
  5. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    মাহমুদ ভাই ভালো লাগছে লেখাটা পড়ে। আরো পড়ব সাথে আছি।
    গত পর্বে জীবন নিয়ে আমার মূল্যায়নের বিরোধিতার যে দিকটি আপনি তুলেছিলেন সেটা সম্পর্কে জানতে মঞ্চায়। অর্থাৎ জীবনের সবচেয়ে বড় অর্থ তার নিরর্থকতায় এর বিরুদ্ধে আপনি একটু গুছিয়ে কিছু বললে উপকৃত হতাম।

    জবাব দিন
  6. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    আপাতত কোন দ্বিমত নাই । খুব সহজ ভাষায় জটিল ব্যাপার লিখেছেন । আপনার বিষ্লেষন ভাল লাগছে । চিন্তার নতুন দিক খুঁজে পাচ্ছি । চালিয়ে যান, আছি আপনার সাথে ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (২০০১-২০০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।