লিখতে চাইছি কলেজে আমার প্রথম সকালের কথা। কিন্তু মনে নাই তো :(( –
আসলে প্রথম সপ্তাহের অনেক কথাই মনে নাই। শুধু মনে আছে অভিষেক অনুষ্ঠানে ‘হাসিব’ ভাইয়ের হাওয়া ‘বুঝিনি তো আমি’ গান’টা।অডিটোরিয়ামে আম্মা, আব্বা আর এক মামার সাথে বসে গান’টা শুনতে বেশ ভাল লেগেছিলো। শেষ বিকেলে যখন হাউস অফিস থেকে আব্বা-আম্মা’কে বিদায় জানাচ্ছিলেন নাজনীন ম্যাডাম, দুচোখের পানি ধরে রাখতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে গিয়েছিলাম। মনে আছে, সেই কান্না পুরা টার্মে ফিরে ফিরে এসেছে, প্রতিদিন।
বৃহস্পতিবার ছিল বলে প্রথম রাতেই আমরা স্পেশাল ডিনার পেয়েছিলাম। কিন্তু গ্রাম থেকে যাওয়া এই আমার পক্ষে কাটাচামচে খাওয়া’টা একেবারেই সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ডাইনিং হলে সারাক্ষণ শুধু বসে বসে ঘেমেছি আর নিজেকে নিজেই অভিসাপ দিয়েছি কেন এখানে আসার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিলাম বলে।দেখেছি সবাই কি মজা করে কাবাব, মুরগির রোস্ট, গরুর রেজালা আর পুডিং দিয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে পোলাও খাচ্ছে। আর আমি পেটে দূরন্ত ক্ষুধা নিয়ে চেয়ে চেয়ে শুধুই দেখেছি।
ডিনারের আগে-পরে সিনিয়রদের রুমে ম্যারাথন দাড়িয়ে থেকে থেকে যখন মনে হয়েছিল পড়ে যাব, এমন সময়ে যার যার রুমে গিয়ে শোবার অনুমতি মেলে। কিন্তু শু’লেই কি আর ঘুম আসে? শুধু মনে পড়েছে বাড়ির কথা। কি ভালোই না ছিলাম বাড়িতে!
দ্বিতীয় দিন ব্রেকফাস্টের পর থেকে শুরু হয়েছিল অনুভূতিহীন সময়। আগে জানতাম, লোকে মাঝে মাঝে ঝাড়ি দিতে গি্যে বলে ‘বাপের নাম ভূলায়ে দিব’। কিন্তু বাস্তবে তা যে সম্ভব, তা জানলাম ঐ সময়েই। শুধু বাবার নাম নয়, দুনিয়ার নামই ভুলে গেছিলাম। ব্রেকফাস্টের পর ক্লাস এইটের ‘পিচ্চি’রা (তখন দানব মনে হইছিল :grr: ) ডাইকা শুরু করলো বিদিক ঝাড়ি। একেক জন একেক দিক থেকে শুরু করে। কে যে কোন ফল্ট নোট করে রেখেছে কে জানে। শুধু মনে মনে ভাবতাম, কবে বাড়ি যাবো। আর শাস্তি খুব বেশি অসহ্য মনে হলে হাসিব ভায়ের সেই গানটা মনে হতো ‘বুঝিনি তো আমি, বুঝিনি তো আমি’………
হাজার মাইল দৌড়ের উপর থাকা ব্যাস্ত এই দিনগুলোতে ‘চুরি করে পাওয়া’ ছোট ছোট অবসরে কলেজের দিনগুলোর কথা মনে হলে মাথা’টা ফাকা ফাকা লাগে, আর বুকের ভিতরে দমবদ্ধ একটা অনুভূতি চেপে ধরে। মনে হয় কি যেন হারিয়ে ফেলেছি। মুহুর্তেই একা হয়ে যাই, বরুণা যেদিন আমাকে চমকে দিবে বলে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে ডেকে ওর হবু স্বামীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, সেইদিনের মত।
😀
সিসিআর, বানান ভুল করছ, আমাগো ইজ্জত ডুম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সরি বস,
আসলে মনটা খুবই খারাপ ছিলো তো, সব ঠিকমত খেয়াল করতে পারিনি। এখন আবার দৌড়াইতাছি ক্লাসে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইয়া শিরোনামটা ঠিক করেন প্লিজ। সিসিআর টা সিসিয়ার লিখছেন ভুলে মনে হয় :((
মাহমুদ, আমাকে নিয়ে কি তোমার কোন স্মৃতি আছে? এই মনে কর তোমাকে পাংগা দিলাম, কিংবা অন্যকিছু?
তুমি কোন রুমে ছিলা ৯২-৯৩ তে? কোন টেবিলে বসতা তুমি?
সরি অনেক কিছু প্রশ্ন করে ফেললাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কোন কথাই আর স্পস্ট করে মনে নাই। আপনার কথা তো না-ই (তারমানে আপনে ভালা পোলা আছিলেন, পাঙ্গাননাই 😀 )
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
নিজের প্রথম দিনের কথা মনে পড়ে গেল।
শেষের লাইনটা একটু কেমন জানি। বরুণারা এভাবে চমকে দিয়ে মজা নেয় ক্যান? :gulli: :gulli: :gulli:
সিসিয়ার দেখে আমি ভাবলাম এইটা কোন নতুন জায়গা, মাহমুদ ভাই মনে হয় ভ্রমঅন কাহিনি লিখছেন।
আর শরম দিও না ছোডো ভাইডি... :shy: :shy: :shy:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বরুণার কাহিনী শুনতে মন চায়।
এবার স্বামী-বাচ্চা'সহ দেখা দিয়েছিলো এক বন্ধুর বিয়েতে, গত বছর যখন দেশে গেছিলাম। =(( =(( =((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বরুনাদের বাঞ্চাই 😡 😡 😡
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
একেবারে স্বামী-বাচ্চা’সহ ব্যাঞ্চাই 😡 😡
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মাহমুদ ভাই অনেক কিছু মনে করাই দিলেন ভাইয়া। ইশশ এই টাইপের লেখা দেখলেই খালি মনে হয় নামিয়ে দেই আমিও এইরকম একটা পোষ্ট।
তপু ভাই সবই তো বুঝলাম মাগার আপনের পাশের গেঞ্জি পরা মাইয়াডা কেডা? 😉
হাহাহা, তোর দেখি সিভিল পানি জইমা গেছে রে? এইটা সিসিসির শামস। ঐ শামস দেখ তোরে মাস্ফু কি কইছে। পাংগা খাবি বইলা মনে হইতাছে...
অফটপিক কেমন আছিস। অনেকদিন দেখিনা?
স্মৃতি তুমি বেএএএএএদনা.................. :(( :(( :((
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই কেএএএএএদনা……
কাইন্দেন্না কইতে চাইছিলাম, কিন্তু আমার ছড়াকার মনটা দেলওওওওনা 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
শেষ প্যারাটা সিসিবি রিলেটেড কোন লেখা ('আমি কেন সিসিবিতে' কিংবা 'সিসিবি আমার কতটুকু...ইত্যাদি ইত্যাদি...) -র জন্য পার্ফেক্ট ভূমিকা হবে... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ঠিকই কইছো মিয়া।
খাড়াও, ওই বিষয়েও লিখা আইতাছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ক্লাশ সেভেনে আবার অভিষেক হতো নাকি ? আমদের অবশ্য হয়নি।
হ ভাইয়া,
তয় শুঞ্ছিলাম তখনকার আমাগো প্রিন্সিপাল স্যারের পোলা ঝকক'তে পড়ত বলে উনি আমাদের প্রতি অতীব দয়া-পরবশ ছিলেন। 😀 😀 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ism
হুম
মাহমুদ ভাইয়ের লেখাটা পিড়া ট্রাই দিয়া দেখলাম প্রথম দিনের অনেক কিছুই মনে আছে 😀
কিন্তু আবার এইটাও মনে হইলো, স্মৃতি তুমি বেএএএএএদনা……………… :(( :(( :(( (কপিরাইটঃ লাবলু ভাই B-) )
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাইয়া, এইটকেই দানব মনে হলে টুয়েল্ভকে কি মনে হতো আপনার :-/ ???
আপনার আত্নপরিচয় নিয়ে ভাবনার সিরিজ কি শেষ?
না। ওটা মাথায় আছে রে ভাই। আমার প্রায় সবগুলো পোস্টকে আসলে "আত্নপরিচয়"এর সাথে সম্পর্কিত পাবে আশা রাখি।
আর কয়েকটা দিন ধৈর্য্য ধরো ভাইডি 😀 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
শেষ লাইন টা পইড়া মনটাই খারাপ হয়ে গেল। 🙁 🙁
:boss: :boss: :hatsoff: :hatsoff:
Life is Mad.
পুরা পোস্ট টাই মন খারাপ জাগানিয়া বিশেষ করে শেষের প্যারাটা তো ...একদম শেষ করে দিসে । মুরুব্বীদের দোআ আর আল্লাহর রহমতে এই দিন এখনো দেখতে হয় নাই । সব বরুনার ব্যান্চাই 😡
সুন্দর লেখা