স্বদেশের উন্নয়ন নিয়ে আমার ভাবনাঃ শেষকথার শুরু

[পূর্বকথনঃ এই ব্লগটা লিখেছিলাম গত আগষ্ট মাসে আমেরিকা থেকে দেশে আসার পর প্রথম রাতে। এতোদিন উন্নয়ন চিন্তা মাথায় ছিলো না। তাই এটার কথা ভুলে গেছিলাম। গত পরশু+কাল “হতে যাচ্ছে শ্বশ্বুরবাড়ি”তে যাওয়া এবং আসার পথে সু-দী-র্ঘ ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকার সময় হঠাৎ করে আবার সেই চিন্তাগুলো মাথায় উঁকি দেওয়া শুরু করেছিল। তারই ফলশ্রুতিতে এই ব্লগটার কথা মনে পড়লো।]

-এখন রাত ৩টা বেজে পাঁচ মিনিট। কিছুক্ষন আগেই এয়ারপোর্ট থেকে বড়মামু আর ছোট ভাইয়ের সাথে মামার বাসা খিলগাঁয়ে এসেছি। আমি কিছু খাবো না বলায় মামী চুলা নিভিয়ে ঘুমাতে বললেন। অন্য সবার সাথে আমিও বিছানায় শুয়ে পড়লাম।

টেবিলে পানির জগ আর গ্লাস ছিলো। এক গ্লাস পানি খেতে গিয়ে আচমকা মনে হলো ঢাকা শহর ক্রমশঃ বসবাসের যোগ্যতা হারাচ্ছে। কেন?- কারণ, পানি ফুটানো+গন্ধযুক্ত! এইখান থেকে নানান চিন্তা মাথায় ভিড় জমানো শুরু করল। ফলে ঘুম লাটে উঠল। বুঝে গেলাম বাংলাদেশে আমার প্রথম রাতটা নির্ঘুমই কেটে যাবে।

আমার এবারের যাত্রার শুরু থেকেই কুফা লেগে আছে। প্রথমে আসতে চাইলাম জুনের মাঝামাঝি। বিটকেলে এক সিস্টেমের চিপায় পড়ে সেটা পিছিয়ে হলো আগস্টের ৯ তারিখ। লস এঞ্জেলস’এ এয়ারপোর্টে যাবার সময় বন্ধুর গাড়ির সমস্যা দেখা দিল। আরেক বন্ধুর গাড়িতে করে এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে চীন সাগরে তাইফুনের কারণে। পরদিন আবার যথা সময়ে গিয়ে শুনি ফ্লাইট ২ ঘন্টা পিছিয়েছে। ইচ্ছে ছিল এয়ারপোর্টে অপেক্ষার সময়টাতে সিসিবি’র জন্য ব্লগ লিখবো। কিন্তু সেখানে কোনো ফ্রী ইন্টারনেট নেই। আবার পেইড গুলো আমার ক্রেডিট কার্ড অজানা কোন কারণে নিচ্ছে না। এদিকে চড়া মেজাজটা আরো চড়ে গেলো আমেরিকার ইমিগ্রেশনের কারণে; চেকিংএ প্যান্ট ছাড়া আর সবই খুলতে হলো! প্রায় ১৩ ঘন্টার লম্বা জার্নির সংক্ষিপ্ত বিরতী হলো তাইপে’তে, মাত্র ৩০/৩৫ মিনিট। সেখানে ইন্টারনেট পেলাম, বেশ স্পীড! কিন্তু সময়ের স্বল্পতায় তেমন কিছুই লিখতে পারলাম না। ভাবলাম কুয়ালালামপুরে গিয়ে ৮/৯ ঘন্টা সময় পাওয়া যাবে, সেখানে লিখবো। কিন্তু সেখানে কোন ইন্টারনেটই পেলাম না! ফলে আমার ভ্রমনের লাইভ ব্লগ লিখার পরিকল্পনাটা মাঠে মারা গেলো।

কি লিখতে গিয়ে কি লিখছি নিজেই বুঝতে পারছিনা না।- যাই হোক, শুরু করেছিলাম ‘বাংলাদেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে’ এই ভাবনা থেকে। হুম, এই যাত্রায় আমেরিকা+তাইওয়ান+মালয়েশিয়া হয়ে আসতে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। আর সেইসবকে বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে নিতে গিয়েই মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশ ক্রমাগত বসবাসের যোগ্যতা হারাচ্ছে। কারণ, কোন কিছুই ঠিকঠাক মতো পাবার উপায় নেই। এমনকি খাবার পানিটা পর্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত! –

বিমান থেকে নামার সাথে সাথেই ভ্যাপসা গরমে আধাসিদ্ধ হয়ে পড়লাম, অথচ অন্যান্য বিমানবন্দরে ঠান্ডার জন্য মোটা কাপড় গায়ে চড়াতে হয়েছে। আর মধ্যরাতের ফাঁকা রাস্তা দেখেই আঁতকে উঠেছি, না জানি দিনের আলোতে কেমন দেখবো।

বিমানবন্দরে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম।- ইমিগ্রেশনের লাইনে দাড়িয়ে আছি সবাই। পুলিশ কাজ করছেও বেশ দ্রুত। তারপরেও লাইনের পিছন থেকে লোকজন দেখি গালাগালি শুরু করল। অথচ এই লোকগুলোকেই আমি কুয়ালালামপুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা বোর্ডিংপাস চেকিংএ সুবোধ বালকের মতো চুপচাপ দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি। তাহলে কেন একই মানুষ বিদেশে এক রকম ব্যবহার করে, আর দেশে আরেক রকম? আমি জাপানে এবং আমেরিকায় দেখেছি বাংলাদেশীরা কি কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু দেশে আসলে কেন তেমনটি করে না? বিদেশের মাটিতে থাকতে দেশের প্রতি প্রবল প্রেম দেশেছি তাদের দৈনন্দিন কথাবার্তায়, আচার-আচরণে। কিন্তু দেশে ফিরলে সেই তারাই কেন দেশকে গালাগালি করে, দেশকে বসবাসের অযোগ্য মনে করে? দেশে ফিরলে কেন তারা বদলে যায়।- এটা হতে পারে তাদের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের জন্য, অথবা ব্যক্তির উর্ধ্বে অন্যকোন কারণে? প্রথমটি সঠিক হলে ব্যক্তির চরিত্র সংশোধন করলেই সমস্যা মিটে গেলো (যেমন প্রথম আলোর ‘শপথ প্রকল্প’)। কিন্তু আমার ধারণায় সমস্যা ব্যক্তিতে নয়, সমগ্র সিস্টেমে। অর্থ্যাৎ, আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই ব্যক্তিকে উপরোক্ত ব্যবহার করতে উদবুদ্ধ/বাধ্য করে। কাজেই, ব্যক্তির চরিত্র সংশোধন বা দেশপ্রেমের বুলি কপচিয়ে কোন লাভ হবে না, দেশ ক্রমাগতভাবে বসবাসের জন্য আরো অযোগ্য হতেই থাকবে। এই রাহুগ্রস্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তাই বিদ্যমান সিস্টেম বদলাতেই হবে। এবং সেটা করতে হবে কথায় নয়, কাজে।

বাংলাদেশকে আমি এখনো মনে করি অপার সম্ভাবনার দেশ। এই ধারণাটা উন্নয়ন বিষয়ক পড়াশোনা থেকে উদ্ভূত হলেও তা’ পাকাপোক্ত হয়েছে বিদেশের মাটিতে খেটে খাওয়া আমাদেরই ভাই-বেরাদরদের কাছ থেকে। জাপানে যেমন, আমেরিকাতেও ঠিক তেমনি বাংলাদেশীদেরকে দারূন আক্ষেপ করতে দেখেছি দেশে কিছু করতে পারার সুযোগের অভাবের জন্য। তাদের শ্রমে বিদেশে অনেক কিছু গড়ে উঠলেও (যেমন, মালয়েশিয়ার পাম-শিল্প, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিশালাকার অট্টালিকা) আমাদের দেশ তাদেরকে (এবং যারা দেশের ভিতরে আছে, তাদেরও) কাজ করার সুযোগ তো দেয়ই না, উল্টো পদে পদে বাঁধার সৃষ্টি করে। (যাকারিয়া স্বপন ব্যক্তিগত উদ্যোগে টেলিফোন ব্যবসায় বিদেশীদের তুলনায় বাংলাদেশীদের সাথে সরকারের বিমাতাসূলভ আচরণের একটা বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিল প্রথম আলোতে)। তাই, ইচ্ছে+সামর্থ থাকলেও উন্নয়নে আমাদের সম্ভাব্য ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলো বিদ্যমান সিস্টেমের কারণে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সিস্টেমের কর্ণধাররা বলে যে, চরিত্রগত কারণেই ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশীরা অলস অথবা অসমর্থ। দৃশ্যমান কোন ব্যক্তি-উদ্যোগ চোখের সামনে না থাকার কারণে এই দাবী প্রতিষ্ঠাও পেয়ে যায়।

উপরের এইসব এলেবেলে ভাবনাগুলোর আলোকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে আমার শেষ কিস্তিটা লিখে ফেলবো। ঠিক কবে তা’ এই মুহুর্তে না বলতে পারলেও খুব বেশি ঝুলিয়ে রাখবো না।-

পুনশ্চঃ ঝুলিয়ে রাখবোনা বললেও বেশ অনেক দিনই ঝুলানো হয়ে গেছে। তাই এখন আমার মনে হচ্ছে সিরিজটা শেষ করাই উচিত। কিন্তু হায়, আমি নিজেই যে এখন ঝুলতে যাচ্ছি!- আমি যেমন জানিনা এই ‘ঝুলে যাওয়া’র পর আমার ভবিষ্যত, তেমনি বলতে পারছিনা এই সিরিজের ভবিষ্যত। তবে কথা দিলাম বেঁচে থাকলে একদিন শেষ হবে এই সিরিজ। ;;;

৩,২৩৪ বার দেখা হয়েছে

৩৭ টি মন্তব্য : “স্বদেশের উন্নয়ন নিয়ে আমার ভাবনাঃ শেষকথার শুরু”

    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
      আস্থা আর সহযোগিতার একটা জায়গা মনে হয় তৈরী করা প্রয়োজন

      ভালো বলেছো। কিন্তু শ্রমিকদের জন্য কিছু ভেবেছো কি? আর তাদের যারা কর্মে নিয়োগ করে তাদের জন্যও?


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
      • ফরিদ (৯৫-০১)

        শ্রমিক- মালিকদের ক্ষেত্রেও তো একই কথা প্রযোজ্য ভাইয়া। এই দুই পক্ষতো পেশাজীবি।সামরিক- বেসামরিক, সরকারী- বেসরকারী কমীদের মধ্যে যেমন অবিশ্বাস বিরাজমান তেমনি অবিশ্বাস রয়েছে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের মধ্যে, যার প্রামণ আজ কাল আমরা প্রায়ই পাচ%

        জবাব দিন
      • ফরিদ (৯৫-০১)

        শ্রমিক- মালিকদের ক্ষেত্রেও তো একই কথা প্রযোজ্য ভাইয়া। এই দুই পক্ষতো পেশাজীবি।সামরিক- বেসামরিক, সরকারী- বেসরকারী কমীদের মধ্যে যেমন অবিশ্বাস বিরাজমান তেমনি অবিশ্বাস রয়েছে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের মধ্যে, যার প্রামণ আজ কাল আমরা প্রায়ই পাচ্ছি । শ্রমিকদের জ্বালাও পোড়াও নিত্য নৈমিত্তক ব্যাপার হয়ে গেছে। এই অনন্তোষ শেষ পর্যন্ত জাতীয় উন্নয়নকেই ব্যহত করে। কাজেই মালিক- শ্রমিক সম্পর্কে যতদিন না আস্থার জায়গা তৈরী হবে ততোদিন পর্যন্ত আসলে স্বদেশের উন্নয়ন আমাদের ভাবনাই থেকে যাবে, বাস্তবতা হয়ে উঠবে না।

        জবাব দিন
        • ফরিদ (৯৫-০১)

          ভাইয়া, আস্থাটা তৈরী হবে কিভাবে বা এক্ষেত্রে কাদের, কিভাবে আগে এগিয়ে আসা উচিত, এনজিও বা রাজনৈতিক দলগুলোর কতটা ভূমিকা রাখা উচিত বা আদৌ রাখা উচিত কিনা সেটা নিয়া আপনি একটা আলাদা পোষ্ট দিলে ভালো হয়। আমার মনে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে।

          জবাব দিন
  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    যায়যায়দিনে জাকারিয়া স্বপনের কলামগুলোর কথা মনে পড়ে-তখন ইন্টারনেটের পরথম যুগ- তিনি কিভাবে প্লেবয়ের লেটেস্ট ম্যাগাজিন দেখতেন,এডাল্ট ফোরামে ঢুকে কিভাবে গপ্সপ করতেন ইত্যাদি বেশ রসালো বর্ণনা দিতেন।সেই কিশোরকালে চুরি করে যায়যায়দিন পড়ার গল্প মনে পড়ে গেল 😕

    অফ টপিক- খারাপভাবে নিয়েন না কেউ-আমি ১৩-১৪ বছরের এক কিশোরের কথা বলতেছি-এডোলেসেন্স বাঁদরামি তো মনে হয় আমরা অনেকেই করছি,আর ব্যক্তি যাকারিয়া স্বপন বা তাঁর কর্মকাণ্ডের কথা আমি জানিনা।খালি মনে আছে উনার কলামগুলো বেশ মজার হত-অশ্লীল বিষয়ের বর্ণনা মাঝে মাঝে থাকলেও ঠিক অশ্লীল লেখা লিখছেন বললে উনার প্রতি অবিচার করা হবে।

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    মাহমুদ ভাই,আগেও বেশ কয়বার কমেন্টে বলেছি ভিন্ন জায়গায়-বিরক্ত না হইলে আবার বলি।আমার ক্ষুদ্র জ্ঞাণে মনে হয় এই সিস্টেম বদলাইতে হলে সিস্টেমের মাথা আগে বদলাতে হবে।মন্ত্রী যদি ঠিক থাকে পুলিশের বাপেরও সাধ্য নাই ঘুষ খাবার-আবার প্রধানমন্ত্রী ঠিক থাকলে মন্ত্রীদেরও করাপশন করার ক্ষমতা কমে যায়।সিস্টেম বদলাইতে হইলে নিজে এই সিস্টেমের ভিতরে ঢুকতে হবে-বাধা আসলে নিজেই সেইগুলার মুখোমুখি হইতে হবে।

    রাজনীতিতে ভালো মানুষের খুব বেশি প্রয়োজন- সিস্টেম বদলাতে হলে পাওয়ার স্ট্রাকচারের মাথা এই রাজনীতিবিদদের সবার আগে ঠিক হতে হবে।ইস,একটা জেনারেল লি কোয়ান ইউ বা মাহাথির মাহমুদ যদি আমাদের মধ্যে থেকে কখনও বেরিয়ে আসত!!

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    মাহমুদ, প্রিন্সিপালের অনুমতি না নিয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে ঝুলতাছো! অভিনন্দন জানামু নাকি বিরোধীতা করমু বুঝতাছি না!! ~x( ~x( ~x(


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. কামরুল হাসান (৯৪-০০)
    কিন্তু আমার ধারণায় সমস্যা ব্যক্তিতে নয়, সমগ্র সিস্টেমে। অর্থ্যাৎ, আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই ব্যক্তিকে উপরোক্ত ব্যবহার করতে উদবুদ্ধ/বাধ্য করে। কাজেই, ব্যক্তির চরিত্র সংশোধন বা দেশপ্রেমের বুলি কপচিয়ে কোন লাভ হবে না, দেশ ক্রমাগতভাবে বসবাসের জন্য আরো অযোগ্য হতেই থাকবে। এই রাহুগ্রস্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তাই বিদ্যমান সিস্টেম বদলাতেই হবে। এবং সেটা করতে হবে কথায় নয়, কাজে।

    এই জায়গাটায় একটু কনফিউশন আছে। সিস্টেম তো ব্যক্তি/ব্যক্তিরাই তৈরি করেন। তাহলে আগে ব্যক্তি না বদলালে সিস্টেম কিভাবে বদলাবো?
    লেখাটা শেষ কইরেন। পড়ছি।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  5. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    বস, ঝুলার জন্য আগাম অভিনন্দন...
    ফ্রি হইলে লেখাটা শেষ কইরেন...অপেক্ষায় থাকবো।


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।