আন্সারুল্লা বাংলা টিমের জন্য সহানুভূতি

( আমার জীবনের সবচেয়ে অশ্লীল লেখা। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। গালাগালি যত খুশি দিবেন দেন, আর কোপাইতে মঞ্চাইলে ডাইরেক্ট হালাহ পন্থায় জবাই দিয়া দিয়েন, কোপাকুপি এখন ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। শুঞ্ছি হালাহ পন্থায় জবাই করা প্রানী সুজা বেস্তে যায়! আমার আবার হুর নিয়া মাস্তি করনের অনেক শখ! আর কিছু বানান ভুল ইচ্ছাকৃত)

অভিজিৎদাকে যখন কোপানো হচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে আমি খুব বেশী দুরে না, যদিও তার কিছুই আমি তখনো জানিনা। আর সবদিনের মত সেদিনও পরের দোকানে কামলা দিয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরছি। শাহবাগের পাশ দিয়ে যাবার সময় কষ্টও লাগছিল এবার টাকার অভাবে বইমেলায় যেতে না পারার জন্য। সেটা কাছাকাছি সময়েই, ৯টার দিকে। তারপর দীর্ঘ যানজট পার হয়ে অবশেষে বাসায় যখন পৌছাই তখন সব শেষ। ঘরে ঢুকতেই মা খবরটা দেয়, সব জায়গায় ব্রেকিং নিউজ হিসেবে দিচ্ছে। খবরটা শোনার পর বেশ অনেক্ষন লেগেছে আমার সেটাকে হজম করতে। তখনো মনে হচ্ছিল এতো মানুষের সামনে কোপানো হল নিশ্চই বেশীক্ষণ কোপাতে পারেনি, নিশ্চই অশ্লীলতার গুরু হুমায়ুন আজাদের মতন ইনি বেঁচে যাবেন ঠিক। তারপর আস্তে আস্তে যখন পুরো খবর আসতে থাকলো, অভিজিৎএর মৃত্যু নিশ্চত হল তখন ফাঁকা মাথা আরো ফাঁকা হয়ে গেল। আমার মনে আছে একটা অক্ষম রাগ, একটা শীতল স্রোত আমার শিড়দাঁড়া বেয়ে চলাচল করছিল জীবন্ত প্রানীর মত। এবং আমার রক্তচাপ বাড়তেই থাকলো, একটা জিঘাংসা আমার চামড়ার নিচে কিলবিলাতে শুরু করল, এক্ষুনি ছুটে গিয়ে কাউকে কোপানোর ইচ্ছাটা অনেক কষ্টে দমন করে রাখতে হল। এখনো হচ্ছে। অথচ আমি জানিওনা আমি কাকে কোপাতে চাই। আমার মনে আছে আমার অসুস্থ মা যে ক্রনিক কিডনি ডিজিসের রোগী,  যার আয়ু হয়তো আর মাত্র বছরখানেক, রাতের খাবার খেতে বলার জন্য কি দুর্ব্যাবহারটা তার সাথে সেদিন করেছিলাম। আমার মোডারেট হাজী বাবা, যে আমার ছটফটানি দেখে আমাকে বুঝাতে এসেছিল “সহিংসতা কোন সমাধান না” তার সাথে কিরকম ঝগড়া লাগিয়ে দিয়েছিলাম। সারারাত ধরে যাদেরকেই একটু সমমনা মনে করতাম তাদের ফোনে, মেসেঞ্জারে, হোয়াটস অ্যাপে, ব্লগে জিজ্ঞেস করেছি, এক করে কিছু একটা করতে চেয়েছি যদিও তখনো আমারই পরিষ্কার ছিলনা কি করতে চাই। এরপরের দুই তিনদিন অনলাইনে এবং প্রতিবাদ সভাগুলাতে শুধু মাথা গরম করে মানুষজনকে বকেই গেছি, যখন দেখেছি অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচির গোয়িং 15k আর উপস্থিতি ১৫জনও না তখন সব গোয়িংদের ইনবক্সে তাদের লিঙ্গ আর শিড়দাঁড়ার কর্মক্ষমতা নিয়ে পরিহাস করেছি, আমার তাবলিগী বন্ধুদের খুঁচিয়ে জংগী করে দিয়েছি (যদিও তারা নরম মনের মানুষ, শেষ পর্যন্ত একই ত্যানা প্যাচায় গেছে ইহা ছহী ইছলাম্না, তাদের ধারনার ইছলামি ভার্শনটাই ছহী। আবার এদের নিজেদের ভেতরে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপেরে বলে মুরতাদ! কিন্তু সেইটা ভিন্ন প্রসংগ), এরকম আরো বহু প্রতিক্রিয়াশীল কাজ ছিল আমার সেই কদিনের দৈনন্দিন রূটিন। কিছুদিন পর মাথা ঠান্ডা হলে যখন চিন্তা করতে পেরেছি, হিসাব করতে গিয়েছি এই কয়দিনে এতো কিছু  করার আসল যে উদ্দেশ্য অভিজিৎদার হত্যার বিচার, সেই ব্যাপারে আমাদের অগ্রগতি কতটুকু, তখন নিজেদের শুন্য থালার দিকে তাকিয়ে নিজেদের অসহায় অবস্থাটা আরো ভালো করে উপলব্ধি হয়েছে। আর তখন সত্যি কথা বলতে কি, মেরিদন্ডহীন জনবিচ্ছিন্ন প্রগতিশীল বা মোডারেট মুছল্মান্দের থেকে ওই আন্সারুল্লা বাংলা টিমের সাথেই নিজেকে বেশী একাত্মবোধ করেছি। মনে হচ্ছিল আমিও এরকম কিছু একটা করি, তাও কিছু একটা হোক! কারন আপনি যখন সামনে আর কোন পথ পাননা কিন্তু আপনাকে কিছু একটা করতেই হবে, তখন হিংস্র হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকেনা। এটা কোনঠাসা প্রানীর বাঁচার শেষ উপায়। এটার নাম আত্মরক্ষা।

আর তাই কোন অবস্থায় যাবার পর, কতটা অসহায় বোধ করার পর, কি পরিমান ভয় থেকে আনসারুল্লা টিম এই কাজ করেছে সেটা আমাদের থেকে ভালো আর কেউ মনে হয়না বুঝে। এইসব মোডারেটরা কোনদিন সেটা বুঝবে সেইটাও মনে হয়না। হতে পারে আন্সারুল্লার মতাদর্শ ভিন্ন, কিন্তু এই ভিন্নমত অসহিষ্ণু বদ্ধচিন্তার মোডারেটদের দেশে প্রগতি বা মৌলবাদ দুটাই শুধু আরেকটা ভিন্নমত ছাডা আর কিছু নয়। এরা সবাই আসলে সমাজের জনবিচ্ছিন্ন প্রান্তিক অংশ। এরা নিজেদের নিজেরা যতই কোপাকুপি করুক, তাতে মোডারেটদের কিচ্ছু যায় আসেনা। মোডারেটদের কোন ভবিষ্যৎ নাই, অতীত কি জিনিষ সেটাও এরা জানেনা। এদের আছে শুধু বর্তমান; আছে শুধু মুহুর্তে টিকে থাকার লিপ্সা। এদের আছে শুধু নিজের অস্তিত্বটুকু। এর বাইরে আর সবকিছু এদের কাছে অচ্ছুৎ। যতক্ষন পর্যন্ত না নিজের পুটু আক্রান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ যে যা করছে সব ঠিকই করছে। সেও যে বাকি সবার সাথে যুক্ত, বাকিদের কাজেকর্মে যে সেও আক্রান্ত হয়, যেমন বাকিরা হয় তার কাজে সেই বোধ এই মোডারেটদের আসতে এখনো বহু দেরী। কখনো হবে কিনা তাই বা কে বলতে পারে? এই অঞ্চলের মোডারেটরা সর্বশেষ কিছু একটা করেছিল সেই একাত্তরে, তাও তার জন্য পাকিদের বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সেটাও সম্ভব হতনা যদিনা পাকিরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে একজন একজন করে মারা শুরু না করত। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সাত কোটি মানুষের মধ্যে ত্রিশ লক্ষ মেরে ফেলা কিন্তু মুখের কথা না। পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যা গুলোর একটা সেটা। আক্ষরিক অর্থেই দেশের প্রত্যেকটা পরিবার থেকে কাউকে না কাউকে হত্যা করতে হয়েছে বাঙ্গালিকে যুদ্ধে টেনে আনতে, নইলে আমরা তো স্বায়ত্তশাসনের নামে পাকিদের পুটু চাটতেই রাজি ছিলাম। অন্তত ইতিহাস তাই বলে। অথচ এর চেয়ে শতগুণ কম বল প্রয়োগ করে, আরো কম মানুষ মেরেই ব্রাজিল,  আর্জেন্টিনা, কিউবা, ভিয়েতনাম, এমনকি নেপালের মত ছোট্ট দেশের বা হালের ইরাক ইরানের শাষকেরা তাদের দেশের মানুষদেরকে স্বাধীনতার দিকে ঠেলে দিতে পেরেছে।
তাই সমাজের কোনাকাঞ্চিতে লুকিয়ে থাকা যেসব পরগতিশীল, মুর্খমনা, মুত্তিকামী, কুক্তিবাদী, গাঁড়শনিক, বামপন্থি, গুশীল, গাস্তিক, নারীকামি, এবং আরো বহু বিচিত্র নামধারী তেলাপোকারা যখন বলে “এক অভিজিৎ মরেছে তো কি হয়েছে, আরো লক্ষ অভিজিতের জন্ম হবে” বা “অভিজিৎকে মেরে প্রগতিশীল আন্দোলন আরো গতিশীল করা হল” ইত্যাদি ইত্যাদি, তারা আসলে হয় মিথ্যুক, নয়তো ভন্ড অথবা বিচিকাটা বলদ। এবং সমাজের জন্য এরা সবাই সমান ক্ষতিকর। এই ধরনের কথাবার্তা ওয়াজে বসে বললে মানায় কিন্তু একজন “বেশী বুঝি” দাবী করা মানুষ যদি এরকম কথা বলে তখন তার বুদ্ধি কিংবা সততা নিয়ে মাথায় প্রশ্নবোধক চিহ্ন জন্ম হয়; কারন বাস্তবটা আসলে ঠিক তার উল্টো। কিংবা কে জানে, হয়ত সব জেনেশুনেই এরা মিথ্যা কথগুলা বলে। আসলে আমরা যতই গলাবাজি করি, অভিজিতের মত মানুষেরা গন্ডায় গন্ডায় জন্মায়না, এমনকি এরকম মোডারেটদের দেশে একটা অভিজিৎ বা একটা হুমায়ুন আজাদ, বা একটা তসলিমা নাসরিনের জন্মটাই একটা মিরাকলের মত। অ্যাল্লার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছাড়া এরকম ঘটনা ঘটা আশ্চর্যই বটে। মুরগির পেটে ঈগল কি আপনি প্রতিদিন জন্মাতে দেখেন? গত দশ বছরে আমরা কি পেরেছি একটা হুমায়ুন আজাদের মত ভাষাবিদ জন্ম দিতে? কিংবা শামসুর রাহমানের মত কবি? অথবা আনু মুহাম্মদের মত দেশপ্রেমী? পারেনাই। এই দেশে এখন চটি লেখকেরা সচেয়ে বড় কবির প্রচার পায়, সবচেয়ে বেশী কাপড় খুললে সুপার মডেল হওয়া যায়। এদেশের মেধাবী ছেলেমেয়েরা টাকা টাকা করে দেশে থাকলে অশিক্ষিতের পা চাটা কুত্তা হয় নইলে বিদেশে গিয়ে আয়েসী জীবন কাটাতে কাটাতে দেশ দেশ করে মায়াকান্না কাঁদে। এদেশের মেয়েরা বাহারি হিজাব লাগিয়ে টাইট বোরখায় পাছার খাঁজ বের করে ছেল্ফি তুলতে তুলতে নিজেদের স্বাধীন ভাবে আর যারা নারীমুক্তির কথা বলে তাদের পিটিয়ে দেশ ছাড়া করে নয়ত খানকি বলে গাল দেয়। এইটা তো সেই দেশ যেখানে একটা গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলে আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা আগে তাদের পকেট উদ্ধার করে নেই! এখানে আমরা ক্রিকেট খেলোয়াড়দের লক্ষ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেই আর আমারই অব্যাবস্থাপনায় গার্মেন্টসে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া শ্রমিক বা লঞ্চডুবিতে ফুলে ঢোল হওয়া বা ভবনধ্বসে ছাতু হওয়া মানুষগুলার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেও ছেলিব্রিটির মর্যাদা পাই। আমাদের দেশপ্রেম শুধু ক্রিকেটে জিতলেই চেগায়ে উঠে আর যখন দেশের সম্পদ বাইরে বিক্রি করে দেয়া হয় তখন দেশপ্রেম লাত্থি খাওয়া নেড়ি কুত্তার মত দুই পায়ের ফাঁকে ঢুকে যায়। ক্ষমতার সাথে আমাদের সম্পর্ক সন্তানের সাথে মায়ের সম্পর্কের চাইতেও নিবিড়। এইদেশের সবচেয়ে নিগৃহীত, সবচেয়ে পদদলিত মানুষটাও মনে মনে ক্ষমতার পূজা করে এবং নিরপেক্ষতার ভান করে সুযোগের সদ্ব্যবহারের আশায় থাকে, মানে ধান্ধাবাজ। আর সেই জন্যেই এই দেশে অভিজিৎদার মত নিরীহ মানুষের, যে কখনো একটাও অশ্লীল কথা কখনো লিখেনাই তাকে কোপ খেয়ে মরতে হয় আর লতিফ সিদ্দিকী বা সাকাচৌয়ের মত লোকেরা চৌদিতে বসে প্রকাশ্যে” ইউ নো হু”র যৌনকেশ নিয়ে টানাটানি করেও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের ঈমানদন্ড তখন টু শব্দটা করেনা। এমনকি যাদেরকে মোডারেটেরা উগ্রপন্থী বলা বলে সাইড করার চেষ্টা করে আর তলে তলে সমর্থন দেয়, সেই সাচ্চা মুছলিমদের নিয়তেও ভেজাল। মুছল্মানেরা নাকি ভাই ভাই কিন্তু দেশের কুটি কুটি মুছল্মান্দের মধ্যে কয়জন সিরিয়া, ইরাক, ইরান, গাজা, ফিলিস্তিন, ফাকিস্তান, মিশর, সুদানে বাকি মুছলিম ভাইদের পাশে দাড়িয়ে জিহাদের স্বাদ নিতে প্রস্তুত? ১% ও না। অথচ দেশে ইছলামী শাষনতন্ত্রের নামে ক্ষমতার স্বাদ নিতে এদের জ্বিব্বা লকলক করে। এই অঞ্চল থেকে আইসিস বা আল কায়েদার রিক্রুটমেন্ট এতোই কম যে কিছুদিন পরপরই এসব সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের লোকজনদের মিডিয়াতে এগুলা অঞ্চল থেকে স্বেচ্ছাসেবক চেয়ে কান্নাকাটি করতে হয়। এমনকি ব্রিটেন, ফ্রান্সের মত বিধর্মী পরিবেশে বেড়ে ওঠা মুমিনরাও আমাদের থেকে বেশী মুমিন! নিরীহ লোকজনকে পেছন থেকে কোপানো, বা সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়া এদের আর কোন সাহসী কর্মকান্ড চোখে পড়ে কারো? এদের সবচেয়ে বড় অর্জন কিছু পুলিশ পিটানো তাও প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই গেরিলা কায়দায়, সংখ্যাধিক্য যেখানে জেতার মূলমন্ত্র! আবার এরাই দাবী করে মুহাম্মদ, খালিদের উত্তরসূরি নাকি এরা! থুঃ
কিংবা হেদাজতের ঘটনাটা । যেখানে পাঁচ হাজার লোক দিয়ে একটা সরকার ফেলে দেয়া যায় সেখানে পাঁচ লক্ষ লোকের জমায়েত নিয়ে হেদাজত কি করল? প্রথমেই বাইতুল মুকাররমের সামনে কুরানের দোকানপাট সব পুড়ায় দিল আর অ্যাল্লা বসে বসে তামাশা দেখল। আরে তোরা যদি আগুন নাও দিস, সব যদি আম্লীগের নাস্তেকেরাও দিয়া থাকে, তোরা সেই আগুন নিভাইতে তো পারতি? নাকি তোদেরও বিশ্বাসেই গলদ? আগুন দিয়া একটু পরীক্ষা করলি অ্যাল্লা সত্যি সত্যি স্বয়ং তার কিতাব বাঁচাইতে আসে কিনা! এরপরে যেই কাজটা এরা করল সেইটা জাস্টিন বিবার করলে ঠিক আছে, কিন্তু মুহাম্মদের জিহাদী সৈনিকেরা? ছিঃ। রাতের অন্ধকারে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড আর ফ্ল্যাশ বোমের ধাক্কায় তথাকথিত “হাজার হাজার” লাশ রেখে পালাইলো! সব মাদ্রাসাগুলা নাকি জংগী ট্রেনিংয়ের আড্ডাখানা, এই হল তার নমুনা? তার পর থেকে যে নাঁকি কান্না শুরু করছে মানবতা _দাইতে সেইটা মনে হয় অনন্তকাল চলবে। আরে পাঁচ লাখ লোক একসাথে হাঁটা দিলেই তো পুলিশ লাইন, ক্যান্টনমেন্ট সব গুড়ায়ে যাওয়ার কথা। বাংলাদেশ আর্মির সব মিলায়েও তো মনে হয় পাঁচ লাখ সৈন্য হবেনা।(আর যদি থাকেও, বাংলাদেশ আর্মি নামের ইউরোপের ভাড়াটে সৈনিকেরা অর্ধেকই বাইরে “পিস কিপিং” মানে ওদের দখল করা সম্পদ পাহারা দিতে ব্যাস্ত থাকায় কখনোই দেশে থাকেনা!) আর এই বলদগুলারে নিয়া খাঁটি মুমিনেরা দেশে ইছলামী ছাছণ কায়েমের স্বপ্ন দেখে! দেখ, স্বপ্ন দেখা ভালো, স্বপ্ন ছাড়া তোমাগো আছেটা কি? সব শালা পরের মুখে ঝাল খাওয়া লোক। এদের সাথে ধর্মের থেকে বেশী সম্পর্ক ক্ষমতার। এটা তো মানেন ইছলামে বিধর্মীর গনিমতের মালের আপনার হক পাক্কা। কি? নাই? সেইটা আপনার অজ্ঞতা, মুমিনেরা আপনার জন্য বসে না থেকে যখনই পেরেছে দুর্বল হিঁদুগুলার বাড়ি আক্রমন করে সব লুটপাট করে নিয়েছে। এবং বেশীরভাগের নেতৃত্ব দিয়েছে বিম্পি নায় আম্লিগ। এইখানে সবার জাত এক। কিন্তু কখনো শুনেছেন সুরঞ্জিত সেন বা পুলিশের কোন হিন্দু অফিসার এরকম ঘটনার স্বীকার হয়েছে? হয়নাই কারন এদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক আছে ক্ষমতার, বাকিদের নাই। এদেশের মুমিনেরা আসলে অ্যাল্লা না, ক্ষমতার পূজারী। টুপি দাড়ির লেবাস ছাড়া প্রগতিগুশীলদের সাথে এদের পার্থক্য কোথায়?

আর প্রগতিগুশীলদের কাজকাম দেখলে তো বরং ছাগুদের পূজা করতে মঞ্চায়। এদেরকে গালি দেয়ার মানেও সময় নষ্ট করা। এই অভিজিতদার ঘটনা নিয়েই এরা যা করল বা করছে, সেটা দেখলে নিজেরই চাপাতি নিয়া বাইর হয়ে যেতে ইচ্ছা করে। অনলাইনে সব তো যথারীতি সহানুভূতি দিয়া ফাটায় দিতেসে, কিন্তু বাস্তবটা ঠিক তার উল্টা। এরা সব দৈব না মানা লোক কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আল্লা ছাড়া অভিজিতদার বিচার আসলে আর কেউ চায়না। এরকম একটা ঘটনার পর সমমনা লোকগুলার যেখানে এক হয়ে প্রতিবাদ করার কথা সেখানে সবাই স্ট্যাটাস দিয়াই খালাস। সামনাসামনি মাঠে নেমে কাজ করতে ডাকলে পারলে অভিজিৎরে চিনেইনা এমন অবস্থা। আমার নিজেরই অভিজ্ঞতা, পরেরদিন কিছু লোকের শুধু পা ধরতে বাকি রাখসি নিরীহ একটা মানববন্ধনে আসার জন্য, যারা কিনা জীবিত অভিজিতদার কাছের লোক, ভয়ে আসেনাই। কিন্তু তার পরেরদিন ঠিকই মরদেহে ফুল দিয়া “শ্রদ্ধা” জানাইতে গেছে, ফুটেজ পাবে যে! এখন আবার শুনি যেই অভিজিৎ সারাজীবন মাজারের বিরুদ্ধে বলে গেছে এই গুশিলেরা তারই মাজার বানানোর ধান্ধা করছে। এমন গুশীলের খ্যাতা পুড়ি। সাহসী সৈনিকেরা যতই স্ট্যাটাস মারুক আসলে কোপ খাওয়ার ভয়ে সবগুলার গলা শুকায় আছে। শেষ খবর পাইলাম অভিজিতদার কিছু সহলেখক যারা তার সাথে লেখালেখি কইরা ছেলিব্রিটি মর্যাদা কামাইছে, এখন তল্পিতল্পা গুটায়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়ার তাল করতেছে।

এই দেশের মানুষদের নিয়েই তো আমরা গর্ব করি? এগুলাকে “বিচ্ছিন্ন ঘটনা” বলে নিজেদেরকে সলিম বুঝ দেই। দেন। আপনাদের আর কি, আপনারা উপ্রের তলার লোক, আপনারা “কস্মোপলিটান” এক দেশের গন্ডীতে আটকায় থাকবেন কেন আপনারা? আপনাদের আছে টাকা, আপনাদের আছে কানেকশন, ঠ্যাং তো একটা সবসময় বিদেশে দেয়াই থাকে, দরকার হলেই আরেক ঠ্যাং নিয়া চম্পট দিবেন, এই তো। টাকা নিয়ে বিদেশে জমা করা ছাড়া এই দেশের সাথে আর কি সম্পর্ক আছে আপনাদের? নিজেদের বাঙ্গাল নামকরণের সার্থকতা রাখতে হবেনা? সামনে দাঁড়িয়ে বিপদ মোকাবেলা করতে পারলে আর বাঙালি হন কেম্নে?

তবে আশার কথা এইটুকুই যে মানুষ স্বভাবতই মুক্তিকামী। সেই তথাকথিত বানর থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের ইতিহাসে এরকম কখনো ঘটেনাই যে মানুষ স্বেচ্ছায় নিজেকে বন্দী করেছে। মানুষ সবসময় মুক্তির দিকেই এগিয়েছে।  হয়ত সাময়িক হোঁচট খেয়েছে, খুব ধীরে এগিয়েছে কিন্তু জুজুর ভয়ে উল্টাদিকে এগিয়েছে এরকম অবস্থা বেশীদিন টিকে থাকেনি। এবং ভবিষ্যতে এর ব্যাতিক্রম হবে সেরকম কারনও এখানে দেখিনা।  তাছাড়া মোডারেটরা আসলে কখনো ইছলামের ধার ধারেনাই। আসলে কোন ধর্মেরই ধার ধারেনাই। এদের যে কোন উপলক্ষে একটু আধটু পান করলেও কোন পাপ হয়না, আবার পাশের বাসার সুন্দরীকে মনে করে রাতে খেলাধুলা করতেও এদের খারাপ লাগেনা। সমাজে ট্যাবু হলেও রাতে একা মেয়ের পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওই ছেমরি, কত? বলে দরদাম করাটাও এদের কাছে দোষ মনে হয়না। এদের ধর্মে “ওই ছেড়ি বুকে ওড়না দে” পেইজে লাইক দিলেই সব পাপ ধুয়েমুছে যায়। আর তাই এসব পেজে লক্ষ লক্ষ লাইক পড়লেও তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় স্পনসর আর টি আর পি। যত বেশী সুন্দরী তত বেশী দর্শক। এরা আছে বলেই “সুদ কেন হারাম” তার উপর হাজার হাজার কোরান হাদীস ফতোয়া আর মাস্লা মাসায়েল থাকা স্বত্তেও এই দেশে সবচেয়ে লোভনীয় চাকরি ব্যাংকের চাকরি। কেউ কেউ আবার এককাঠি সরেস, তারা সুদ খায় না, খায় পারসেন্টেজ। আর শুক্কুরালহামদুলেল্লা বলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। এদের “সঠিক পদ্ধতিতে জবাই করা হালাল” মাংস না পেলে জাত যায় কিন্তু ফুডকোর্টে বসে কুত্তার মাংস চিবায়ে এরা জাতে উঠে। আসলে এদের স্বভাব হল নেড়ি কুত্তার মত, যেখানে নগদ লাভ, সেখানেই এরা ঘোঁট পাকিয়ে কামড়াকামড়ি করবে। এইসব ধান্ধাবাজেরা সেই কবে মরার পর পুলসিরাত পার হতে পারলে তারপর হুরী-গেল্মান নিয়া মাস্তি করতে পারবে, দুধের নহরে গোছল করতে পারবে, এতোগুলা যদি কিন্তুর দোলাচলে থেকে বেরিয়ে এখনই নগদ সব ছেড়েছুড়ে কোপাতে নেমে যাবে সেই আশা করলে মনে হয় আখেরে ঠকতেই হবে। বরং সানি লিওনরে দিয়াই এদের মধ্যে কার্যোদ্ধার হবার সুযোগ বেশী! আর তাই যারা ইতিহাস অঅর্থনীতি জেনে না জেনে শুধু মতাদর্শের জোরে মধ্যপ্রাচ্যে, বা আফ্রিকায় বোকো হারাম, আইসিস সহ আরো বহু নামের ইছলামের পতাকার নিচে বাঁচার লড়াইয়ে সমবেত হওয়া মানুষদের দেখে ইছলামের পুনর্জাগরণের স্বপ্নে এই দেশেও একই কায়দায় কোপাকুপি জারি রেখেছে এবং আশা করছে আর কিছুদিন টানতে পারলেই ” আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান” টাইপের কিছু একটা ঘটায়ে ফেলতে পারবে, তাদের ছাগলের চল্লিশ নাম্বার বাচ্চা ছাড়া আর কিছু মনে হয়না। যেই কারনে এই দেশে দিনকে দিন বিজ্ঞানের ছাত্র কমছে, যে কারনে এই দেশে অভিজিৎদের কোপ খেতে হয় সেই একই কারনে এই দেশে ইছলাম কখনোই ছহী ইছলাম হয়ে উঠতে পারবেনা। (আদতে ছহি ইছলাম বলে কিছু আছে? ভাই আপনার ইছলাম কি ছহী? আপনি কি শিয়া না সুন্নী? হানাফী, না শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী? নাকি আহালে হাদীস? নাকি কাদিয়ানী? আপনি শিওর আপনারটাই ঠিক? মুছল্মান্দেরই বাকিরা কিন্তু সেটা স্বীকার করেনা, তারা বলে আপনি মুরতাদ! ঠিক যেমন করে আপনি তাদের বলেন মুরতাদ!) আর বাকিটা যথারীতি সময়ই বলে দেবে।

৪ টি মন্তব্য : “আন্সারুল্লা বাংলা টিমের জন্য সহানুভূতি”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    অর্ধেক পড়লাম।
    বাকিটা ঘুন থেকে উঠে।
    অশ্লীল লেখক হুমায়ুন আজাদ???????? (সম্পাদিত)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    অনেক হতাশা অনেক ক্ষোভ ভেন্টিলেট করা একটি বিক্ষিপ্ত ভাবনার সমাহার বলে মনে হলো।
    এটারও দরকার আছে।
    একটু কি হালকা লাগছে?


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহবুব (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।