আমার পছন্দের মেয়েরা…

আমাদের চারপাশে পুতুপুতু মেয়েদের দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। শুধু মেয়েদেরই বা আলাদা দোষ দেই কিভাবে, আমরাও কি কম যাই? হুজুরদের কথা বাদ দিলাম, তারা তো মেয়েদের মানুষ বলেই স্বীকার করেনা (কিভাবে করবে, তার জন্য আগে নিজেকে মানুষ হতে হবে তো! যারা জেগে ঘুমায় তাদের জাগানো শক্ত।) আমার আপত্তি আমরা যারা নিজেদের এর বাইরে বলে ভাবি/দাবি করি তাদের নিয়ে। তাদেরো যখন হুজুরদের মত একই রকম আচরণ করতে দেখি তখন অনেক বিরক্তি আসে, কষ্টও পাই।

আমাদের সমাজটা অনেক কপট একটা সমাজ। এখানে আমরা যা বলি তা মানিনা, যা মানি তা বলিনা। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা কিংবা জীবতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট, দু দিক থেকেই আমি দেখেছি মেয়েরা দুনিয়াতে টিকে থাকার জন্য অনেক বেশী যোগ্য, সবদিক থেকেই, ( আমি জানি এ পর্যন্ত পড়েই বেশীরভাগ পাঠক ভুরু কুঁচকে ফেলেছেন!) যদিও আমার চারপাশে সবসময় এর বিপরীত চিত্রই চোখে পড়ে। কিন্তু তার তো কারনও আছে। সবমসময় মধ্যবিত্ত যেসব মেয়েদের দেখি সচারচর, তারা প্রায় সবাই কে কার থেকে আরো বেশী অথর্ব হতে পারে তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। একটু ধুলোতে তাদের ” rash” উঠে যায়, দুই পা হাটলে পায়ে ফোস্কা পড়ে যায়, রোদে গেলে sunburn, আর পরিশ্রম? ওরেব্বাপ, ওসব কি মেয়েদের কাজ নাকি? কিন্তু এমনটা তো হবার কথা নয়। কথা নয় কি, বাস্তবতা তো এমন নয়। যে গার্মেন্টস নিয়ে আজ আমরা বড়াই করি সেই শিল্পটাকে ধরে রেখেছে যেসব নারী শ্রমিক তাদের তো এসব ঢং করলে চলেনা। আমরা তথাকথিত উঁচু শ্রেণিরা হয়তো অনেকেই ওদের মানুষ বলে অস্বীকার করতে পারলে বেঁচে যাই, কিন্তু সত্যটা হল জৈবিক, এমনকি পরিসংখ্যানগত দিক দিয়েও ওরাই মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করে, আপনার আমার মতো পরনির্ভরশীল থেকে তুলতুলে শরীরের অধিকারীরা নয়।

সামাজিক জীব হিসেবে জন্মের পর থেকেই আমাদের একেকটা নির্দিষ্ট “স্টিরিওটাইপ” এ ফেলে অনেক অদ্ভুতুড়ে নিয়ম কানুন শিখনো হয় যার কোন ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা নেই। এর উদাহরণ আমরা দেখি একেক সমাজে ছেলেমেয়েদের একেক রকম বিভাজন দেখে। আর আপনার যদি এসব ব্যপারে কিছুমাত্র আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আপনি জনেন এসবের আসলে কোন সার্বজনীন নিয়মই নেই! (ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, হিস্ট্রি ইত্যাদি চ্যানেলে নিয়মিত এসবের উপর ডকু দেখায়)। তাই যখন এই কথাটা সবচেয়ে বেশীবার শুনি যে “মেয়েরা এরকমই” তখন হাসি কোনভাবেই আটকাতে পারিনা। কিন্তু যখন দেখি বক্তা রীতিমত বিশ্বাস করে যে তার অভিজ্ঞতার বাইরে আর কোন জগৎ নেই তখন দীর্ঘশ্বাস গোপন করা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা। কারণ, সত্যটা হল এইসব মেয়েরা এরকম থাকতে চায় বলেই তারা এরকম! যারা এর থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছে বা পরিস্থিতির চাপে বেরিয়ে এসেছে তারা এর থেকে অনেক ভালো আর সুন্দর জীবন যাপন করছে। কষ্ট করছে, পরিশ্রম করছে, কিন্তু মাথা উঁচু করে সম্মান নিয়ে বাঁচতে শিখেছে…

মেয়েদের সবচেয়ে বড় সুবিধাই হল তারা অনেক বেশী নমনীয়। (যেটাকে আমরা ছেলেরা একটা দোষ হিসেবেই জানি, কিন্তু টিকে থাকার দৌড়ে এটাই মেয়েদের অনেক অতিরিক্ত সুবিধা দেয়, অনেকটা জীববিজ্ঞানের অভিযোজন ক্ষমতার মত)প্রয়োজন নেই তারপরও একটা সহজ উদাহরণ দেয়া যাক, যেমন ধরুন আমাদের দেশের বিবাহ ব্যবস্থা। ছেলেরা কখনো চিন্তা  করে দেখেছেন, কোন ছেলেকে যদি পরিচিত পরিবেশ থেকে তুলে হঠাৎ করে নতুন বউয়ের মতো করে অন্য আরেকটা পরিবারে সাত দিনও রাখা হয় তাহলে আমার ধারনা আমাদের বেশীরভাগই হয় পালাবো নয়তো পাগল হয়ে যাব! আমার নিজের অভিজ্ঞাতায় দেখেছি সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির মেয়েকে, যে গাড়ী, নিদেনপক্ষে রিকশা ছাড়া এক পাও নড়তোনা, যার দেখশোনার জন্য দুই দুইটা বুয়া, তাকেই খুব কম সময়ের নোটিশে বুয়া হয়ে যেতে, টাকা বাঁচাতে দৌড়ে বাস ধরতে। একমাত্র যে বিষয়ে ছেলেরা মেয়েদের থেকে এগিয়ে থাকতে দেখেছি সেটা হল গায়ের জোর (এমনকি মেধাও নয়, মেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বা বিভিন্ন পেশাজীবী কম কেন তাহলে এধরণের যুক্তি যারা দেয়, তারা বাস্তবতাকে নিজের প্রয়োজনমত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দেয়। এসব জায়গায় মেয়েদের উপস্থিতি কম কেননা বেশিরভাগ সমাজে এসব কাজে তাদের অংশগ্রহনের সুযোগই কম( যেমন বাংলাদেশ) আবার অনেক দেশে সুযোগ থাকলেও সামাজিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয় (মালয়েশিয়া)। যেসব দেশে এই দুটো বাধা নেই সেসব দেশে মেয়েরা ছেলেদের চেয়েও এসব ক্ষেত্রে বেশী অবদান রাখছে (সুইডেন, কিউবা)। কিন্তু গায়ের জোর যদি যোগ্যতার মাপকাঠি হয় তাহলে তো হাতি বাইসন এদেরকে আমাদের থেকে যোগ্যতর প্রানী বলতে হয়! ছেলে মেয়েতে যদি সত্যিকারের তুলনা করতে বসি তাহলে যতগুলো দিকে আমরা ছেলেরা এগিয়ে থাকবো তার চেয়ে ঢের বেশী দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়বো। গণসংযোগ, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা (খেয়াল করে দেখবেন, আরেকজনের কানের দুল, বা ম্যাচিং জুতার সুক্ষাতিসুক্ষ পরিবর্তন ওরা যেভাবে পার্থক্য করতে পারে, শার্লক হোমসের মত চর্চা ছাড়া আমরা সেসব লক্ষ্যই করতে পারিনা।) স্মৃতিশক্তি (অতীতের তথ্য ঝগড়ার সময় যেভাবে মনে করে!), গুছিয়ে কাজ করার ক্ষমতা, এমনকি প্রশাসনিক কাজেও ( গবেষণায় দেখা গেছে ছেলেরা যেখানে বল প্রয়োগ করে মেয়েরা সেখানে কৌশলে কাজ সমাধান করে, যেটায় অনেক কম শক্তি ব্যায় হয়) সব কাজেই মেয়েরা আমাদের চেয়ে পটু। কিন্তু আমার  প্রশ্নটা হল, এভাবে ভাবি কেন আমরা? কোন একটা মুভিতে একটা লাইন শুনেছিলাম “she is everything I’m not” আসলেই তাই। ছেলে আর মেয়ে মিলে একটা পূর্নাঙ্গ ইউনিট যারা একে অপরের পরিপূরক, প্রতিযোগী নয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা এর থেকে অনেক অনেক দুর। কেননা পরিপূরক হতে হলে সম্পর্কের মধ্যে সমতা থাকতে হয়, ছেলে বা মেয়ে ভাবার আগে নিজেকে মানুষ ভাবতে শিখতে হয়। দুঃখজনকভাবে আমাদের সমাজ এখনো তার থেকে অনেক দুর। এমনকি মেয়েরাও এদেশে এখনো নিজেদের পণ্য ছাড়া আর কিছু ভাবতে শিখেনি। আর আমরাও তাদের সে ধারনায় ঘি ঢেলে যাচ্ছি।

কিন্তু কেন এমনটা হয়?মেয়েরা জাগবে কবে? আমরা ছেলেরা অনেক ইতর প্রাণি। স্বীকার করি আর নাই করি, আমরা সবাই চাই আমার সাথের মেয়েটা, আমার গার্লফ্রেন্ড, আমার বৌ, দেখতে লাল্টু হোক, দুধে আলতা গায়ের রং হোক, ফিগার সুন্দর হোক, লম্বা চুল থাকুক,(আমাদের ছেলেদের ডিমান্ডের ফিরিস্তি দিতে গেলে আরেকটা মহাকাব্য লিখতে হবে!) যেন বৌকে দেখিয়ে অন্যদের থেকে বাহবা আর ঈর্ষা পাওয়া যায়, যেমনটা আমরা দামী গাড়ী বা মোবাইল সেট দেখিয়ে পেতে চাই। এগুলোর মত মেয়েরাও তো আমাদের সম্পদ, যেনতেন না, সবচেয়ে দামি সম্পদ। স্ময়ং কবিগুরু বলে গেছেন কিনা(হৈমন্তি)। আমাদের কি ইচ্ছে করেনা, তুলতুলে নধর একটা শরীর পেতে যেন বিছানায়… এটা তো সবাই জানে আমাদের অনুভূতি কত ঢিলা যার জন্য রাস্তাঘাটে মেয়ে দেখলেই আমাদের ভিজে যায়, তাই আমাদের ডায়পার না পরিয়ে দেখাটাই বন্ধ করে দিতে হয়, মেয়েদেরই ঢেকে রাখতে হয়। কেন? আরে, আচ্ছা বুদ্ধু তো, লজিকও বোঝেনা। কেউ ছিনতাই করলে কখনো কি শুনেছেন সেটা ছিনতাইকারীর দোষ? নাকি দোষটা ভিক্টিমের? ওর কাছে নিশ্চই এমন কিছু ছিল যা বেচারা ছিনতাইকারীকে প্রলুব্ধ করেছিল? প্রতিদিন তো কত মানুষ রাস্তাঘাটে বেরোয়, কই তাদের তো ধরেনা?

আমাদের সবার মঞ্চায় ঘরে বসেও সেবা পেতে, আবার চামে পেলে বাইরে কাউরে সেবা করেও দিতে! আমাদের কি দোষ, আম্রা তো “এরকমই”। কিন্তু মেয়েদের তো এইসব সমস্যা নেই। তারা তো অনেক স্বাধীন আর যোগ্য আর কর্মক্ষম। কবে তারা বুঝতে পারবে আমাদের সেবা করা ছাড়াও, বাচ্চা মানুষ করা ছাড়াও অনেক অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ আর মজার কাজ করার আছে দুনিয়ায়? কবে বুঝবে দুনিয়াতে এখন পর্যন্ত কেউ কাউকে এমনি এমনি “ভালুবেসে” আদর করে কোলে তুলে কোনোকিছু দেয়নি, যতটুকু অধিকার মানুষ পেয়েছে তা লড়াই করেই আদায় করেছে । মেয়েদেরকেও নিজেদের অধিকার নিজের বলেই আদায় করে নিতে হবে।

আমরা আর এমন মেয়ে দেখতে চাইনা যে রাস্তাঘাটে উত্যক্ত হলে ঘরে এসে গলায় দড়ি দিতে যাবে বরং এমন মেয়ে চাই যে উত্যক্তকারীর দিকে রেরে করে তেড়ে যাবে, কেউ গায়ে হাত দিলে বাসায় ফিরে ফেবুতে “দুনিয়া কেন এতো কঠিন ” টাইপ স্ট্যাটাস দিয়ে ছিঁচকাঁদুনী গাইবেনা বরং বদমাশটার হাত মুচড়ে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়ে স্ট্যাটাস দিবে “আজ আমার লুচ্চা পেটানোর সেঞ্চুরী পূর্ণ হল!” এর চেয়েও খারাপ কিছু হলে আছাড় খেলে যেভাবে ধুলো ঝাড়ে সেভাবে জারজটাকে ফেলে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে, কেননা জীবন এতোই বিশাল যে এতো ফালতু বিষয় নিয়ে বসে থাকার আসলেই সময় নেই।

সেই মেয়ে কই যে মুখ বুজে শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা আর সহ্য করবেনা বরং ধুত্তুরি ছাই বলে বেরিয়ে এসে আবার নতুন করে শুরু করবে, যে অত্যাচারী স্বামীর পায়ের নিচের “বেহেস্ত” লাথি দিয়ে সুখের নরকবাস বেছে নিবে, যারা “যত যাই কর, শেষ পর্যন্ত মেয়েদের জায়গা ওই রান্নাঘরই” এইসব সুবিধাবাদী স্টিরিওটাইপ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে, কাজ করতে চাইবে। যে ছেলেদের ডিভাইড এন্ড রুল পলিসিতে ভুলে স্বামীর স্বার্থই আমার স্বার্থ বলবেনা বরং নিগৃহীত কাজের মেয়ের পাশে দাড়িয়ে লম্পট স্বামীকে বিচারের সম্মুক্ষীণ করাবে।

 

যখন দেখি বেশীরভাগ সুন্দরী, একটু সুন্দরী সহপাঠী প্রাণপাত করে পড়া মুখস্ত করে পরীক্ষাগুলোতে আশাতীত ভালো ফল করে শুধু দামী একটা স্বামী জোগাড় করার জন্য আর বিয়ে হওয়া মাত্রই সব ছেড়েছুড়ে বাচ্চাকাচ্চা মানুষ করতে লেগে যেতে তখন অনেক কষ্ট হয়। ওদের জন্য না, এ ধরনের কাউকেই আমি কখনো খারাপ থাকতে দেখিনাই। এদের বেলায় বেচারা ছেলেটাকেই মায়া হতে থাকে। এদের চেয়ে বরং আমরা দেখতে চাই ওইসব মেয়েদের যারা সমাজে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন, যাদের ছিচকাদুনে সিরিয়াল,রগরগে রিয়েলিটি শো বা আড়ং এ “সেল” দিয়ে ভুলিয়ে রাখা যায়না, বরং যারা চোখ থেকে ঠুলিটা খুলে ফেলে নিজেদের আসল অবস্থান যাচাই করে নেবে, যারা করূনা, আনুগত্য এসব সত্যিকে স্নেহ, ভালোবাসা এসব মিথ্যা দিয়ে লুকিয়ে রাখতে চাইবেনা। (পরীক্ষা করতে আগ্রহীরা ইচ্ছে করলে বাবা-ভাই, স্বামী-বয়ফ্রেন্ডের সাথে তার অপছন্দের বিষয় নিয়ে দ্বিমত করে দেখতে পারেন!) যারা শিক্ষা নেবে শিক্ষিত হবার জন্যেই, কাজ শিখবে নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্যেই। যাদের পেশা তাদের অলংকার হবেনা, হবে তাদের টিকে থাকার হাতিয়ার। কেননা তারা বোঝে সত্যিকারের স্বাধীনতা অনেক দামী জিনিষ, সেটা কারো অনুমতির ব্যাপার না যে গর্ব করে বলা যায় “আমার ইয়ে আমাকে অনেক স্বাধীনতা দেয়!” কেননা স্বাধীন হতে হলে নিজের পায়ের তলায় মাটি থাকতে হয়, আর স্বাবলম্বিতাই তাকে সেই স্বাধীনতা এনে দিতে পারে, কোন ব্যক্তি নয়।

মেয়েরাও ইচ্ছে হলে হই হই করে মাঠে নেমে পড়বে, তারাও সাইকেল চালাবে, সাঁতার কাটবে, ইচ্ছে হলে গাছে চড়বে! যাঁদের অনুভূতি এতোই স্পর্শকাতর যে সেটা রক্ষা করতে আন্দোলনের প্রয়োজন হয়, তাদের দেখলে শীষ দিয়ে তাদের কাপড় ভিজিয়ে দেবে! সমাজের নামে ফালতু নিয়মগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়ে সত্যিকারের মানুষদের জন্য সত্যিকারের নিয়ম তৈরী করবে।

সেই মেয়েদের খুব মিস করি যারা সিরিয়াল-বাচ্চা-স্বামীর ক্ষুদ্র জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে, নিজের কৌতুহলের বাধ ভেঙে দিয়ে দুনিয়াটাকে বুঝতে চাইবে, সবকিছু মুখ বুজে মেনে না নিয়ে বরং সবাইকে প্রশ্ন করে ব্যাতিব্যস্ত করে তুলবে, এই প্রকৃতি এই বিশাল বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডকে নিজের প্রতিযোগী ভাববেনা বরং তার সাথে নিজেদের একাত্ম করে নিবে।(এই কাজটা তারাই সবচেয়ে ভালো পারে, আমরা ছেলেরা সবকিছু বুঝি, আমাদের জগতটা হিসাবের, আর মেয়েরা অনুভব করে।)

 

আজকের সমাজের এইসব স্টেরিওটাইপড প্লাস্টিক ম্যানিকিনদের ভীড়ে মেয়েদের শরীরে লুকিয়ে থাকা ওইসব সত্যিকারের মানুষদের দেখতে খুব মঞ্চায়!

২০ টি মন্তব্য : “আমার পছন্দের মেয়েরা…”

  1. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম শাহাদাত মান্না'র 'আমার প্রেমিকারা'-টাইপের লেখা। কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখি, বাপ্রে! 🙁

    প্রথম ব্লগে স্বাগতম। বিষয়বস্তু বেশ ভালো। তবে শিরোনামটা মিসলিডিং মনে হইছে। প্রই মেয়েদের কথা বলতে চেয়ে বলে গেলে মূলতঃ অপ্রিয় ছেলেদের (আরো নির্দিষ্ট করে বললে, ছেলেদের কিছু অভ্যাস/কাজকর্ম/আপ্রোচ) এবং মেয়েদের কথা!


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  2. অরপিয়া (২০০২-২০০৮)

    লেখা খুবই ভালো হইসে। আমার সৌভাগ্য, এই জীবনে পুতুপুতু মেয়ে বেশি দেখতে হয়নি। আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীনচেতা মেয়েই বেশি দেখসি।

    কিছু ছেলে যে এই সমস্যাগুলো রিয়েলাইজ করতে পারে, এরকমভাবে ভাবতে পারে আপাতত এটা ভেবেই খুশি লাগতেসে। ছেলেদের মেন্টালিটির যদি এরকম ইতিবাচক পরিবর্তন আসে, তাহলে তো খুবই ভাল।

    জবাব দিন
  3. মেয়েরা কেমন হবে সেটাও ডিসাইড করে পুরুষেরা ! হাহাহা। অনেক মেয়ে দেখসি যারা অনেক আধুনিক । কিন্তু মেন্টালিটি পুরাই লুতুপুতু। আবার অনেক মেয়ে সমাজের অনেক নিচু পর্যায়ে বাস করে কিন্তু মনটা আধুনিক।
    আপনার সংগ্রামী মেয়ে পছন্দ । আবার কারো ভাই সংসারী মেয়ে পছন্দ। ভাই, সংসারী মেয়েরা আরো অনেক বেশি সংগ্রামী হয়। এবং এই সংসারী মেয়েদের সন্তানরাই লাইফে অনেক কম প্রবলেম ফেস করে।
    পুরুষেরা কেমন মেয়ে পছন্দ করে আমরা তেমন হব কেন? আমরা হব আমাদের মত। আমাদের যেমন লাইফ পছন্দ তেমন।ছেলেদের চোখে এডোরেবল হওয়ার আমার অন্তত কোন ইচ্ছা নাই।

    জবাব দিন
    • মাহবুব (৯৯-০৫)

      মেয়েরা কেমন হবে সেটাও ডিসাইড করে পুরুষেরা !

      আমিও সেটাই বলতে চেয়েছি। দুই একটা ব্যাতিক্রম ছাড়া সবখানেই তাই। সেই ব্যাতিক্রমগুলোও এতো শর্তসাপেক্ষ আর সংখ্যায় এতো নগন্য যে সমাজে তাদের কোন প্রভাব নেই। আমি বা আমরা চাই বলে নয়, মেয়েরা নিজেদের প্রয়োজনেই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে শিখুক। তার সাথে নিজের দায়িত্বও।


      না জানাটা দোষের কিছু না, কিন্তু জানতে না চাওয়াটা দোষের। এইগুলানের শাস্তি হওয়া উচিৎ!!

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।