ইবাদত

ইবাদতে ভাই জান্নাত মেলে, খেদমতে খোদা রাজি

দুঃস্থের সেবা ব্যথিতের সেবা ব্রত হোক তাই আজি।

.

স্বামীহারা নারী অথবা অভাবী সেবা করে যেই জন

সেই জন যেন করিতেছে কোন জিহাদের আয়োজন।

অথবা সেজন হয়ত এমন দিনভর রোজা রাখে

সারাটি রাত্র নামাযে নামাযে দাঁড়ায়ে সেজন থাকে।[1]

.

যেই মুসলিম পেট পুরে খায় প্রতিবেশি ভুখা রয়

আল্লার নবী গিয়েছেন বলে সে জন মুমিন নয়।[2]

ভুখা মানুষেরে খাবার খাওয়ানো সবচেয়ে বড় দান[3]

আল্লাতালার ক্ষমা লাভ হল এ দানের প্রতিদান।[4]

৩০ নভেম্বর,২০০৯


[1] হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, ‘যে ব্যক্তি স্বামীহারা স্ত্রীলোক এবং মিসকীনের অভাব দূর করিবার চেষ্টা করে সে এমন, যেমন জিহাদের জন্য চেষ্টা করিল।যথাসম্ভব হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহাও বলিয়াছেন যে সে এমন ব্যক্তির ন্যায় যে রাতভর নামাজ পড়ে একটুও অলসতা করে না এবং দিনভর রোজা রাখে অর্থাৎ  সর্বদা রোজা রাখে।‘  মিশকাতঃ বুখারী, মুসলিম (ফাযায়েলে সাদাকাত, দারুল কিতাব, ১৪৩ পৃষ্ঠা।)

(মিসকীন ওই ব্যক্তিকে বলা হয় যে অভাবী হওয়া স্বত্তেও মানুষের কাছে চায় না)

[2] হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, ওই ব্যক্তি মুমিন নয় , যে নিজে তো পেট পুরিয়া খায়, অথচ নিকটেই তাহার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।-মিশকাতঃ বায়হাকী শু’আবুল ঈমান (ফাযায়েলে সাদাকাত, দারুল কিতাব,২৬৭ পৃষ্ঠা।)

[3] এক হাদীসে আসিয়াছে ক্ষুধার্তকে খানা খাওয়ানো হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ আর কোন সদকা নাই।-কানয (ফাযায়েলে সাদাকাত, দারুল কিতাব ১৩৩ পৃষ্ঠা।)

[4] এক হাদীসে আসিয়াছে, আল্লাহর ক্ষমা ওয়াজেবকারী আমল সমূহের মধ্যে একটি আমল হইল, ক্ষুধার্ত লোকদেরকে খানা খাওয়ানো। -কানয (ফাযায়েলে সাদাকাত,দারুল কিতাব, ১৩৩ পৃষ্ঠা।)

১,৬৯৩ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “ইবাদত”

  1. মাহবুব (১৯৯৪-২০০০)

    অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

    আলেমদের উপর নির্ভরশীলতার প্রয়োজন আছে।

    আমাদের যখন অসুখ হয় তখন আমরা এনাটমি, সার্জারি, মেডিসিন ইত্যাদি বই কিনে পড়া শুরু করি না। বরং ডাক্তারের কাছে যাই।কারণ তিনি বিষয়টি নিয়ে গভীর জ্ঞান রাখেন।আর গভীর জ্ঞান ছাড়া চিকিৎসা করা/ করানো নিরাপদ নয়।

    দ্বীনের বেলাতেও একই কথা প্রযোজ্য।

    তবে দ্বীনের প্রাথমিক জ্ঞানটুকু সবার থাকা প্রয়োজন।(আমার এখনো নাই।)
    তার মানে এই নয় যে আমরা আলেম সমাজের সাথে সম্পর্ক রাখব না।

    অনেকে আলেমদের প্রতি বিদ্বেষ রাখে যা ঠিক নয়।বরং খোদাভীরু আলেমের সাথে সম্পর্ক রাখা জরুরী।

    জবাব দিন
  2. মাহবুব (১৯৯৪-২০০০)

    একজন ডাক্তার অনেক পরিশ্রম করে ডাক্তার হন। তাই তিনি পরামর্শ দিয়ে ভিজিট নেন।
    একজন ইঞ্জিনিয়ার অনেক পরিশ্রম করে ইঞ্জিনিয়ার হন। তাই তিনি বেতন নেন।
    একজন লেখক অনেক পরিশ্রম করে লেখক হন। তিনি বই বিক্রির টাকা পান।
    একজন উকিল অনেক পরিশ্রম করে উকিল হন। তিনি পরামর্শ দিয়ে টাকা নেন।
    একজন আলেম অনেক পরিশ্রম করে আলেম হন। কিন্তু তিনি মাসালা বলে টাকা নেন না।

    এরপরও আমরা অভিযোগ করি।

    আলেমদের মধ্যে ভালো খারাপ দু'টোই আছে।আমরা কথা বলার সময় ঢালাও ভাবে অভিযোগ করি।আমরা কি সব আলেম কে জানি?

    আমরা আমাদের ছেলেমেয়েকে আলেম বানাই না।অথচ ভালো আলেম খুঁজি।

    স্কুলে একটা ছেলে বা মেয়েকে ভর্তি করে আমরা কত টাকা খরচ করি।টিউটর, কোচিং ইত্যাদি ইত্যাদি।কেউ যদি ভুল করে সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেষ্টাও করি তার কতটুকু খোঁজ খবর রাখি।

    ভাল আলেম যদি আমরা না পাই তবে এ জন্য আমরাই দায়ী।

    জবাব দিন
  3. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    মাহবুব, আমি আমার পরিচিত মানুষদের থেকে তাদের পছন্দের কোটেশন সংগ্রহ করতে পছন্দ করি। সেই মানুষগুলো বিভিন্ন জাতের, দেশের, ধর্মের।
    তুমি কি আমাকে তোমার পছন্দের একটা কোটেশন দিবে যা তোমার জীবনের জন্য প্রেরণাস্বরুপ, বিশ্বাসের মূল ভিত্তি?


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  4. মাহবুব (১৯৯৪-২০০০)

    আপু, আমি ২০০৯ সালে তবলীগে গিয়েছিলাম।সেখানে ৬ নম্বরের (দাওয়াত ও তবলীগের ছয় ছিফতের) আলোচনায় একটা কথা শুনেছিলাম।৬ নম্বরের শুরুতেই কথাটা বলা হয়।

    এমন নয় কথাটার দাবী অনুযায়ী আমি সবসময় চলি। তবে অন্যান্য কোটেশনের চেয়ে আমার জীবনে এর প্রভাব বেশি। কথাটা হলঃ

    আল্লাহ তায়ালা সারা দুনিয়ার সমস্ত মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি, সন্মান, সফলতা রেখেছেন একমাত্র পুরাপুরি দ্বীন মানবার মধ্যে।

    এটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় কথা।

    তবে এছাড়াও কিছু হাদীস আমার প্রিয়। যেমনঃ

    হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবা (রাযিঃ) একদিন তাঁহার সামনে দুনিয়ার আলোচনা করিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিলেন, মনোযোগ দিয়া শোন, মনোযোগ দিয়া শোন, নিঃসন্দেহে সাদাসিদা জীবন ঈমানের অংশ।নিঃসন্দেহে সাদাসিদা জীবন ঈমানের অংশ।

    ( আবু দাউদ) (মুন্তাখাব হাদীস/পৃষ্ঠা ৩৯/ দারুল কিতাব প্রকাশনী)

    এছাড়া খেদমত/সেবা, সদকা/দান সম্পর্কে সব হাদীস আমার ভাল লাগে।

    সাহাবীদের আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ইত্যাদির ঘটনা আমার ভাল লাগে। যেমন খলিফা
    হওয়া সত্বেও হযরত ঊমর (রা্যিঃ) এর অপরিচিত বেদুঈন মহিলার সেবায় স্বীয় স্ত্রী হযরত উম্মে কুলসুম (রাযিঃ) কে ধাত্রী হিসেবে নিয়ে যাওয়া এবং নিজে প্রসূতির জন্য রান্না করার ঘটনা। (ফাযায়েলে আমল/ পৃষ্ঠা ৭০৫/ দারুল কিতাব প্রকাশনী)

    এগুলো অবশ্য কোটেশন নয়।তবে এই ঘটনা গুলো আমাকে কিছুটা প্রভাবিত করে। এই প্রভাব যদিও তত বেশি নয়। তবে অন্য কোটেশন/ ঘটনা হতে বেশি। (সম্পাদিত)

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।