ছারপোকা সমাচার-২

ছারপোকা সমাচার-১এর পর থেকে

…ঘটিতে থাকিল নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।ছারপোকা পিন্টুর জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিল।শুধু তারই না,সকলেরই।একদা এক হলমেট খাট পিছনের বারান্দায় লইয়া দাউ দাউ করিয়া আগুন ধরায় দিল আর তার পাশে দাঁড়াইয়া হা হা করিয়া হাসিতে লাগিল।নিন্দুকেরা রটাইল, ‘মাথা গিয়াছে!’ কিন্তু খাট আধপোড়া করিয়া সেদিন সে যে শান্তির ঘুম দিল তাহা দেখিয়া অনেকেই পরবর্তী এক সপ্তাহ ‘অগ্নিছ্যাঁকা’ দিয়া ছারপোকা তাড়াইল!কিন্তু এর কুফল পাওয়া গেল যেদিন একজন তার আধপোড়া খাট ভাঙ্গিয়া ভূপাতিত হইল!….খাট হইতে ছারপোকা হয়ত আগুন দিয়া তাড়ানো গেল,কিন্তু তাই বলিয়া কি আর টেবিল,চেয়ার,আলমারি পোড়ানো সম্ভব!…।তাই কেরোসিন অথবা মোমবাতি ক্রয় করিয়া কষ্ট করিয়া খাট পোড়ানোর তরিকা ধীরে ধীরে সবাই পরিহার করিল।।…..

…আরেক হলমেট দিনরাত নাওয়া-খাওয়া ছাড়িয়া,ক্লাস মিস দিয়া, ব্যাপক পড়াশুনা আর গুগলিং শুরু করিল,সবই শুধু ছারপোকার উপর!!তিনদিন পর সে তাহার থিসিস পেশ করিল পিন্টুদের নিকট।তাহার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হইলঃ

১। ছারপোকা একখানা অতি দ্রুত বংশবিস্তারক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণী।প্রাণীকূলে ‘পয়দা-গতিশক্তি’-র দিক দিয়া ইহারা প্রথম শ্রেণীতে অবস্থিত!তাই কোন জায়গা হইতে ইহাদের মূলোৎপাটিত না করা গেলে অচিরেই বিপজ্জনক সংখ্যায় ফিরিয়া আসিবে।

২। ছারপোকা আলো ভালোবাসে না।ইহারা আন্ধার ঘরে আকাম করিতেই অধিক উৎসাহী! রক্ত পান করিতে আসিয়া আলো পাইলে ইহারা যারপরনাই বিরক্ত হয়।তাই যত প্রকার অন্ধকার চিপা-চাপা,কাপড়-চোপড়ের ভাঁজ,খাট-টেবিল-চেয়ার-আলমারির তলা,তোশক-বালিশ এমনকি চাঁদরের নিচের ভাঁজে ইহারা চরম দম্ভে চলাফেরা করে।

৩। স্যাঁতসেঁতে,ময়লা কিংবা কম বাতাস ঢুকে এমন সব জায়গা ইহাদের বসবাস কিংবা সংসার পাতার জন্য আদর্শ।

৪।ছারপোকার প্রধান খাদ্য প্রাণীর রক্ত। পরিসংখ্যান কহে,২০০টি ছারপোকা টানা দুই মাসে একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের রক্ত খাইয়া শেষ করিতে সক্ষম!

৫।ছারপোকা একবার পান করিয়া অনেক দিন (প্রায় ৬ মাস) না খাইয়া বাঁচিতে পারে।তাই এদেরকে দুর্ভিক্ষে রাখিয়া কোনই লাভ হইবে না,দুর্ভিক্ষ এদের কাছে অনেকটা রোযারই নামান্তর!

৬।সবকিছু বাছবিচার করিয়া এই সিদ্ধান্তেই উপনীত হওয়া গেল যে,সরাসরি সাক্ষাতে ছারপোকা নিধনে ‘ধরুন-টিপুন-মারুন’-ই একমাত্র কার্যকর উপায়।আর পুরোপুরি নির্মূল করিতে হইলে,আশেপাশের বিস্তর এলাকা একসাথে পরিষ্কার বা কীটনাশক দিয়া ধৌত করিতে হইবে!

টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হইল।কোন এক বিষয়ের পরীক্ষার দিন পিন্টু দেখিল,তার এক নাদুসনুদুস বন্ধু ১০ মিনিট আগে পরীক্ষার খাতা জমা দিয়া বাহির হইয়া গেল,যদিও প্রশ্ন অত্যন্ত দীর্ঘ ছিল!পরীক্ষা শেষে পিন্টু উহাকে শুধাইল, ‘কিরে?সেইরাম কোপাইলি মনে হয়,আমরা লিখে কুল পাইলাম না,আর তুই ১০ মিনিট আগে খাতা জমা দিয়ে ঝড়ের বেগে বের হয়ে গেলি!টয়লেট লাগছিল না ডেটিং আছে সত্যি করে বল ’।জবাবে সেই হাট্টাকাট্টা যুবক অগ্নিশর্মা চোখে কহিল, ‘শালা,৩ ঘন্টা ধইরে ছারপোকা কামড়ায় পাছা লাল করে দিছে,পরীক্ষার সময় হাতও দিতে পারি না,পিছনে ইইই-এর সেইরকম মেয়ে বসছে!কেমনে চুল্কাই ক?খাতা জমা দিয়ে সোজা টয়লেটে গেলাম দোস্ত,এক্কেরে ফুলায় ফেলছে!!’পিন্টু অতিকষ্টে হাসি সংবরণ করিয়া সহমর্মী ভংগী প্রদর্শন করিল।পরীক্ষার হলেও যদি এইভাবে ছারপোকা কামড়ায় তাইলে অদৃষ্টকে না দুষে কী উপায়ই বা আছে!

একদা পিন্টুর এক বান্ধবী বুয়েট দর্শনে আসিল।নানা কথায় পিন্টু জানাইল ছারপোকা তাহার জীবন কপারকপার করিয়া ফেলিতেছে।বান্ধবী কহিল ছারপোকা জীবনে দেখেনাই।কিন্তু কিছুক্ষণ পর কহিল, ‘দোস্ত,তোর হাতার নিচে কালো ওটা কি দেখা যাচ্ছে রে?পোকা মনে হচ্ছে!’পিন্টু দেখিল, তাহার কায়ঃস্থ অঞ্চলের অন্ধকারে একখানা প্রমাণ সাইজের ছারপোকা ঘুপটি মারিয়া আছে।এমন রোমান্টিক সময়ে এই বেরসিক আকাম্মাটার উপস্থিতি দেখিয়া পিন্টুর মেজাজ অষ্টমে উঠিল।সে ছারপোকা ধরিয়া-টিপিয়া-পিষিয়া মারিল।এই নৃশংস হত্যায় ব্যথিত হইয়া তাহার বান্ধবী আঁতকাইয়া উঠিল, ‘ইস ছি!তুই হাত দিয়ে মারলি,উহ হুঁউউউউ……যাহ,হাত ধুয়ে আয় নোংরা কোথাকার ’পিন্টু আর কী করিবে!বুঝিল,আজকের মত এখানেই রোমান্স শেষ!ছারপোকার ১৪ পুরুষের শ্রাদ্ধ করিতে করিতে পিন্টু টয়লেট অভিমুখে যাত্রা করিল।আড্ডা শেষে বিদায় নেবার প্রাক্কালে সৌজন্যতাবশত পিন্টু হাত মিলাইবে,দেখিল বান্ধবী চিক্কনে তাহা ইগনোর করিয়া গেল।ইহা দেখিয়া পিন্টু পণ করিল,পরবর্তীতে এই বান্ধবীর সাথে সাক্ষাতের পূর্বে গুণিয়া গুণিয়া ৫টা ছারপোকা ধরিয়া-টিপিয়া মারিয়া হাত না ধুইয়া আসিয়া করমর্দন করিবে!!

দিনকে দিন জ্বালা বাড়িতে থাকিল।পিন্টুর রুমে খাট নাই তারপরও মেঝেতে থাকিয়াও শান্তি নাই।এককোনায় মারিলে আরেক কোণা থাকিয়া তাহারা অ্যাটাক করে।প্রতিরাত শেষে রুমমেটরা ক্রেডিট নেয়,আজকে আমি ১৫টা মারছি,তুই কয়টা??কেউ কেউ ছারপোকা দেয়ালে মারিয়া কহিত,দেখ আমার রক্তের দাগ রাখিয়া গেলাম!নাটক-সিনেমায় যেভাবে জেলের কয়েদীরা দেয়ালে রক্ত দিয়া আঁকিবুকি করিত,পিন্টুর এক রুমমেট সেভাবে দেয়ালচিত্র অঙ্কন করিতেছিল নিজের রক্তচোষা ছারপোকা মারিয়া!রাতের বেলায় দেখা যাইত হঠাৎ হঠাৎ যে কেউ তড়াৎ করিয়া লাফাইয়া উঠিতেছে ঘুম হইতে,দুঃস্বপ্ন দেখিয়া নহে,ছারপোকার কামড়ে!রুমে লাইট জ্বালাইয়া ঘুমাইলে কিছুটা উপদ্রব কমে,তাই চোখের উপর কাপড় দিয়া পিন্টু ঘুমাইবার চেষ্টা করিল,কিন্তু কখনও কখনও সে চেষ্টাও ব্যর্থ হইত,যখন সে কাপড় দিয়া ছারপোকা উঠিয়া কপালের রক্ত খাইত!

ছারপোকার জ্বালায় বিরক্ত হইয়া একরাত্তিরে পিন্টু টেবিলে বসিয়া ঘুমাইল।সকালে উঠিয়া রুমমেটরা হতবাক হইয়া গেল।যে পিন্টু বই নিয়া টানা ৩০ মিনিট বসিয়া থাকিতে পারে না,সে আবার পড়ার টেবিলে ঘুমায়!এ হেন আঁতলামির রহস্য কী?!!বুঝিতে অবশ্য দেরী হয়নাই,কেননা পিন্টু ঘুমাইয়াছিল টেবিলে জায়নামাজকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করিয়া।ঘুম হয়ত খারাপ হয়নাই,কিন্তু এই ঘুম দিয়া ঘাড়ে যে ব্যথা তৈরি হইল,উহা পরবর্তী দুই রাত বজায় থাকিল!

এইসব নানা দুর্যোগে অতিষ্ট হইয়া অবশেষে পিন্টুরা ‘যত টাকা লাগে লাগুক,তাও ছারপোকা তাড়াবই;’ ‘পড়াশুনা পরে,আগে শান্তি চাই’ মন্ত্রে বলীয়ান হইল। ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর পরামর্শে এক লোককে দিয়া গুলিস্তান হইতে পুরা ৪ বোতল কীটনাশক আনানো হইল,দিনক্ষণ ঠিক করিয়া আগেভাগেই সকল কাপড়চোপড় ধুইয়া ফালানো হইল।অতঃপর পরের শুক্রবার সেই ঘন কীটনাশক গুলাইয়া প্রতিটি কাঠের জিনিস,বালিশ,তোশক,চিপা-চাপা সবখানে দেয়া হইল।এমন বিদ্ঘুটে গন্ধ বাহির হইল যে,ছারপোকা তো গেলই,পারলে পিন্টুরাও ভাগিয়া যাইত নিজেদের রুম হইতে!যাহাই হোক,ধৈর্য ধরিয়া সকল প্রকার দ্রব্যাদি পরিষ্কার করা হইল।পিসি-র কীবোর্ডের ভিতর পর্যন্ত আকাম্মাগুলা বাস করিত,সেগুলাও তাড়ানো হইল।সারাটাদিন ব্যপক ধোয়ামোছার পর রুমে খাট ঢুকানো হইল।ছারপোকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামিয়া সেইদিন বহুত কামলা খাটিতে হইয়াছিল সেই ৪ জনের!

অবশেষে সুখের দিন আসিল।রুমে একখানা ছারপোকাও নাই,কোন উতপাৎ নাই।সেই রাত্তিরে যে আরামের ঘুমখানা হইল,তাহা হইতে শান্তির ঘুম মনে হয় আর কখনও হয়নাই!একে তো মনের শান্তি,তারপর আবার রক্ত হারানোর ভয় নাই!পিন্টুদের ভাব বাড়িয়া গেল।বাইরের কেউ রুমে আসিলেই তাহারা এই যুদ্ধজয়ের উপাখ্যান বয়ান করিত!কয়দিন পর হলের প্রভোস্ট পরিবর্তন হইল।নতুন প্রভোস্ট হল পরিদর্শন করিতে আসিলেন।রুমে রুমে গিয়া প্রায় সবার মুখেই এক সমস্যা শুনলেন,তাহা হইল,’রুমে বহুত ছারপোকা’।পিন্টুদের রুমে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘তোমাদের রুমে ছারপোকা আছে?’ পিন্টু একগাল হাসিয়া জবাব দিল।‘জী না স্যার ,নেই,আমরা ছারপোকা তাড়ায়ছি’ স্যার চোখ বড় করে বললেন, ‘কিভাবে তাড়াইলা,আগুন দিয়ে?’ পরে পিন্টু বর্ণনা করিল কীটনাশক দিয়া কিভাবে তাড়ানো হইয়াছিল।সব শুনিয়া স্যার জিগাইলেন, ‘কীটনাশকটার নাম কি বললা,আবার বল তো! পিন্টু জবাব দিল, ‘স্যার, “কাপ” ,এটা মুলত জমির কীটনাশক,ছারপোকা-গোত্রীয় সব প্রজাতির ক্ষেত্রেই চলে’
স্যার হল সুপারভাইজারকে বলিলেন,’গুড,তাহলে এটাই ইউজ করা হোক,নাকি বলেন হামিদ সাহেব!’ স্যার পিন্টুদের ধন্যবাদ জানাইয়া চলিয়া গেলেন।এর এক সপ্তাহ পর নোটিশ আসিল, ‘আগামী এত এত তারিখ বৃহস্পতিবার,এত এত তারিখ শুক্রবার হলের সকল রুমে ছারপোকার কার্যকরী ওষুধ ছিটানো হবে।প্রত্যেককে নিজ নিজ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নিজ নিজ রুমে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে।অনিবার্য কারণ ছাড়া কেউ অনুপস্থিত থাকলে ২০০ টাকা করে জরিমানা হবে’ নোটিশের সাথে একখানা টাইম টেবিলও ঝুলাইয়া দেয়া হইল-কবে কোন দিন কোন রুমে ওষুধ দেয়া হইবে এইসব।পিন্টুরা আবিষ্কার করিল,হল অফিসের সামনে পুরা চার কার্টন “কাপ’’ নামক কীটনাশক রাখা!

যাহাই হোক,এত তোড়জোড় করিয়া অবশেষে সকল রুমে ছারপোকার ওষুধ দেয়া হইল।পিন্টুরা ৪ জন খালি তাকাইয়া তাকাইয়া দেখিল আর ভাবিল,শুরু করিয়াছিলাম আমরা,শেষ করিল কর্তৃপক্ষ!নিজের পকেট হইতে খরচ করিলাম ৬০০/= আর ইহারা বিনা মুদ্রা ব্যয়েই শান্তিতে ঘুমাইবে!ইহা আফসোস নহে,গর্ব!কিসের গর্ব,পিন্টু এখনও বুঝে নাই।কিন্তু এখনো শোনা যায়,কোন কোন রুমে ছারপোকা জ্বালাইতেছে,কিন্তু বিগত এক বছরে পিন্টুর রুমে ছারপোকা প্রবেশের সাহস পায়নায়,এটাই শান্তি……………..

[কষ্ট করিয়া এই ভ্যাজর-ভ্যাজর টাইপ পোস্ট যারা পড়িয়াছেন,তাহাদিগের ধৈর্যকে আমি সাধারণ সালাম জানাইয়া গেলাম :salute: ]

৫,৮৫৯ বার দেখা হয়েছে

৫৪ টি মন্তব্য : “ছারপোকা সমাচার-২”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    হাসতে হাসতে শ্যাষ :khekz: :khekz: বিশেষ করে পরীক্ষা হলের কাহিনি পড়ার সময়...

    লেখা চালায়া যাও :thumbup:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. ইফতেখার (৯৫-০১)

    ছারপোকা তো এই দেশে বেডবাগ বলে পরিচিত ... ২ দিনে এক ব্যাপক কার্যকরী উপায়ে (কোনোরূপ কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই) তা দূর করেছিলাম। তা অবশ্য বলব না ঠিক কি উপায় ... উড়াধুড়া টিজ খাইতে হবে তাই সে চান্স আর নিলাম না।

    পিন্টুর বুক পাছা অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ায় তার :just: ফেরেন্ড (বা ফেরেন্ডরা) নিশ্চই যারপরনাই খুশি। (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  3. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    জটিল লিখেছো, পুরা হাহাপিগে।
    রশীদ হলে থাকতে প্রথম অনেক দিন বেশ আরামে ছিলাম। তারপরে হঠাৎ ৩-২ এর শেষের দিকে নতুন রুমমেট আমদানি হলো, রুমে কেম্নে কেম্নে জানি ছারপোকাও চলে এলো। অনেক ভাবে চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ওদের কাবু করতে পারিনি। রুমে এই অতিষ্ঠ করা উৎপাতের জন্যে আমি আমার নতুন রুমমেটকে দায়ী করলেও, বাকিরা কেনো জানি আমার প্রেম জীবনকে দায়ী করে। কারন, কাকতালীয় বা কোকিলতালীয় ভাবে আমাদের ফ্লোরে যে সমস্ত রুমে দিওয়ানা প্রকৃতির ছেলে ছিলো, শুধু সে সব রুমেই ছারপোকার উৎপাত ছিলো। পরবর্তিতে আমরা যখন ৪-২ তে তখন এই সাদৃশ্যটি আমরা ধরতে পারি। আমরা আমাদের ছোট ভাইদের এই ব্যাপারে গবেষনাপত্র তৈরী করার অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু কে জানে, তাদের সেই প্রচেষ্টাও ছারপোকা বা অন্য পোকার পেটে চলে গিয়েছে কিনা ...

    জবাব দিন
  4. ‘শালা,৩ ঘন্টা ধইরে ছারপোকা কামড়ায় পাছা লাল করে দিছে,পরীক্ষার সময় হাতও দিতে পারি না,পিছনে ইইই-এর সেইরকম মেয়ে বসছে!কেমনে চুল্কাই ক?

    :)) :khekz:
    এইডা পইড়া এক্কেরে আমিও গেলুম ;;)

    জবাব দিন
  5. তোমরা তো তাও ছারপোকার উপরে দিয়া যাচ্ছ। আমার কপাল তার চেয়েও খারাপ,আমার চোখে দুনিয়ার যত বীভৎস পোকাগুলি ধরা দেয়।গত বছর আমারো পরীক্ষার সময় বার বার কোমরের কাছে হাল্কা হাল্কা চুলকাচ্ছিল।আমি আমলে নেইনি।পরীক্ষা শেষ করে প্যান্ট পাল্টাবার সময় দেখি,কোমরের ওখান থেকে ৫ ইঞ্চি লম্বা ইয়া একটা বিষাক্ত চ্যালা বেরুল।কপাল ভাল যে কামড় খাইনি।

    জবাব দিন
  6. রিজওয়ান (২০০০-২০০৬)

    কি রে আছিব, আছিস ক্যামন?
    প্রোফাইল পিকে বাচ্চা পোলাপাইনদের গেম দেখি।
    BAD COMPANY 2, FEAR 2, BIOSHOCK 2, CREED 2, Rainbow Six - VEGAS II, Half Life 2, Call Of Duty - Modern Warfare 2, Mass Effect 2, Metro 2033, Mirrors Edge
    বরং এসব কোনটার পিক লাগায়ে দিতি!!!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।