ছারপোকা সমাচার-১

[… সেদিন আমার এক বন্ধু বলল, ”প্রতিটা ক্যাডেট ইচ্ছা করলে একেকটা আত্মজীবনী লিখে ফেলতে পারে,কাহিনী তো কম করা হয় না।” আমি বললাম, ”ক্যাডেট লিখবে আত্মজীবনী!তাইলেই হইছে,পরীক্ষার খাতাতে লিখতে গিয়েই মনে হয়, ধুর এত্ত লিখে কী হবে,মরতে তো একদিন হবেই…(কপিরাইটঃ জুনা ভাই,যদিও সবারই মনের কথা)।এমনিতেই ডজিং এর উপর বিনা সার্টিফিকেটে ডিগ্রী নেই সবাই,তার উপর ক্যাডেটদের আত্মজীবনী ক্যাডেটরাই পড়বে,আর কেউ পড়লে বউ-প্রেমিকারা পড়তে পারে!” তারপর সে বলে, ”তাইলে সিসিবি-তে লিখলেই হয়,পাঠক যোগাড় করা লাগবে না!” ভালো কথা।ভেবে দেখলাম,সে খারাপ বলেনি,কিন্তু সে সিসিবি পড়ে না,যদিও ক্যাডেট!তাই এসব যে কথার কথা এটা বুঝতে আমার সময় লাগেনি।

তবে যত ডজারই হই,সিসিবি এখন আমার ৩য় পরিবার।১ম পরিবার তো সবারই আছে,২য় পরিবার হচ্ছে বন্ধু-বান্ধব(ছুট্টুবুন্ধুরাও আছে এর মধ্যে)।তাই কিছু ঘটলেই ইচ্ছা করে সিসিবি-তে শেয়ার করি।সব কিছু লিখে শেয়ার করা যায় না,তাই পরিশীলিত ভাবে শেয়ার করতে চেষ্টা করি।সবার অভিজ্ঞতা পড়ি,নিজেরটা শেয়ার করি আর মনে হয় মাথা হালকা হল।ফিলিংসটাই সেরকম!!
তো বর্তমান লাইফের কিছুটা আগের ঘটনা একটু রস দিয়ে পরিবেশন করলাম।কোবতে-গোবতে আমারে দিয়া হবে না।তাই স্মৃতিগুলা সাজিয়ে লিখে ফেললাম……………]

………….অনেক অনেক কাল আগের কথা।তখন পিন্টুর কোন ছুট্টুবুন্ধু ছিল না।বাপের হোটেলে ২৪ ঘন্টা নাইয়া-খাইয়া পড়িয়া থাকাই তাহার প্রধান প্রাত্যহিক কর্ম ছিল।অবশ্যি এই আয়েশের পিছনে একখানা অজুহাত লুক্কায়িত ছিল,তাহা হইল,পিন্টু দেশের টপ ভার্সিটিতে চান্স পাইয়াছিল।চান্স পাইলে কি হবে, ক্লাস তো আর শুরু হয় না!অগত্যা ঘরে বসিয়া রাতদিন “লোডশেডিং-বিজ্ঞাপন-খবর বিরতি’’ ইত্যাদি ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ টেলিভিশন দেখিয়া, ছোটভাইয়ের সহিৎ খুনসুটি করিয়া, আর আল্লাহর ৩০ দিন পিতা-মাতার ঝাড়ি খাইয়া পিন্টুর দিন কাটিতেছিল।এই অসহ্য আরামের দিন শেষ করিয়া অবশেষে পিন্টুর বুয়েট ভর্তি কার্যক্রম শুরু হইল। হল ডিস্ট্রিবিউশনে তাহার ভাগ্যে শের-এ-বাংলা হল পড়িল।হলের সিট-টার্ম রেজিস্ট্রেশন প্রভৃতি কারণে হল কর্তৃপক্ষ একখানা মিনি ভাইভা আয়োজন করিলেন নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের নিমিত্তে।ব্যাপক আবেগ লইয়া পিন্টু প্রভোস্টত্রয়কে বুঝাইবার চেষ্টা করিল,হলে একখানা সিট তাহার ভীষণ প্রয়োজন,কিন্তু তাহারা ‘ঢাকায় বাসা’ হওয়ার অপরাধে দন্ডিত করিয়া হতভাগা পিন্টুরে অনাবাসিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিলেন।কি আর করা……বাসা থেকে আসিয়াই ক্লাস করা শুরু করিল- ‘বরাবরের মত স্যারদের ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হওয়া’ পিন্টু!……

………ততদিনে পিন্টুর ঘনিষ্ঠ বুয়েটিয়ান+ক্যাডেট বন্ধুবর্গ হলের মেইন সিট না হয় গণরুম যে কোন একটা জায়গায় তোশক বিছানোর ব্যবস্থা করিয়া লইয়াছে।প্রতিদিন বাসা হইতে বুয়েটের বাসে আসিয়া ক্লাস করিত সে,আর দেখত তাহার আবাসিক বন্ধুসকল ৮টার দশ মিনিট পূর্বে ঘুম হইতে উঠিয়া কোনমতে গায়ে ভদ্রস্থ কাপড় জড়াইয়া,মুখে কিছু পানি দিয়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে ক্লাসে প্রবেশ করিতেছে!এসব দেখিয়া পিন্টু ভাবিত,আহারে কি আরামেই না আছে ইহারা,সকালে দেড় ঘন্টা,দুপুরে দেড় ঘন্টা মোট তিন ঘন্টা ইহারা অনাবাসিক পোলাপানের চাইতে বেশি ঘুমাইতে পারে!তাই পিন্টু সুযোগের অপেক্ষায় থাকিল,একখান মোক্ষম ছুতা লইয়া কিভাবে প্রভোস্টমহোদয়কে পটাইতে পারে!……

……পিন্টুর বন্ধুরা গল্প করিত,হলের জীবন কেমন চলিতেছে।তাতে সবচেয়ে বেশি যেটা আলোকপাত হইত,তাহা হইল ছারপোকার সহিৎ একেকজনের নিরন্তর সংগ্রাম! একেকজনের রাতের ছারপোকা-সহবাসের বর্ণনা শুনিয়া পিন্টু বিচলিত হইত, কিন্তু তাতেও তাহার হল-প্রীতিতে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়িত না,বরং কৌতুহল তৈরি হইত,কেননা বাসায় লোডশেডিং-যাতায়াতের ঝামেলা ইত্যাদি তাহার মনে ব্যাপক বিতৃষ্ণার সৃষ্টি করিয়াছিল,তাহার চেয়ে ছারপোকার সহিত রাত কাটানোই মাথামোটা পিন্টুর নিকট অধিক লাভজনক মনে হইত!ঘটিতে থাকিল ছারপোকা সংক্রান্ত নানা ঘটনা…..

…..একদা পিন্টুর অসম্ভব রূপবান(!) এক ক্যাডেট বন্ধু ক্লাসে রক্তচক্ষু,ফর্সা গাল-গলায় অনেক লালছোপ লইয়া প্রবেশ করিল।পিন্টু অহেতুক বাচালতার বশবর্তী হইয়া জিজ্ঞেস করিয়া বসিল, “কিরে সারারাত কার সাথে আকাম করলি রে,গলায় আর গালে তো চুমা খাইয়া লিপ্সটিকের দাগ বসায় দিয়ে গেছে!’’ জবাবে ছেলেটা কিচ্ছু কহিল না,যে দৃষ্টি দিল তাহাতেই পিন্টুর মুখ বন্ধ হইয়া গেল।মিনিট দশেক পর সে কাতরভাবে কহিল, ‘আর কইস না দোস্ত, ছারপোকা লাইফটা তামাতামা কইরা ফালাইল।গলায়,ঠোঁটে সব জায়গায় কামড়ায়,কিচ্ছু বাকি রাখে নাই!’ বন্ধুর কাতরতায় পিন্টু বুঝিল, আসলেই ছারপোকা শয্যাসংগী হিসেবে ভালো নহে!ফর্সা গালে দাগের চিহ্ন এবং প্রকৃতি দেখিয়া তাহার মায়াই হইল!ফাজলামী করিয়া এই কামড়ের নাম দেয়া হইল ‘’KISS OF THE BUG’’…..

অবশেষে ব্যাপক বর্ষণে ঢাকার কিছু জায়গা প্লাবিত হইলে পিন্টু গভীর আবেগে একখানা দরখাস্ত লিখিয়া (জীবনে সেই প্রথম সে আবেগ দিয়া চিঠি না লিখিয়া দরখাস্ত লিখিয়াছিল) প্রভোস্ট স্যারের দরবারে হাজির হইল।দরখাস্ত পড়িবামাত্র প্রভোস্ট মহোদয় সদয় হইলেন।বলিলেন, ‘দেখি কয়েকটা সিট মনে হয় ফাঁকা আছে।আমি খোঁজ নিচ্ছি,দাঁড়াও।’ নিজের চাপাবাজি লইয়া পিন্টুর গর্ব আরো বাড়িয়া গেল,একবার ভাবিল, ‘আহারে,ক্যাডেট কলেজের ছয় বছরে যে শ খানেক স্টেটমেণ্ট লিখছিলাম,সে গুলাতে আবেগ থাকলে তো ফল্ট মাফ হয়ে উলটা প্লাস হয়ে যাইতাম!’….পিন্টুর জয় হইল।শের-এ-বাংলা হলের ৩০০৪ এ তাহার জন্য আসন বরাদ্দ হইল।….

….মিডটার্মের ছুটির পর পিন্টু হলে বসবাস শুরু করিল।ছারপোকা কী জিনিস সে টের পায়নায় তখনও।প্রথম যেদিন রুমটা কেমন দেখিতে গিয়াছিল, ০২ব্যাচের রুমমেট ভাইদ্বয়ের একজন কহিলেন, ‘এই রুমে তুমিসহ আমরা ৫ জন হইলাম!আমরা কথা বলতে পারি,৫ নাম্বার বাসিন্দা কথা বলে না,কাজেই সব বুঝায় দেয়!তার পক্ষ থেকে আমি তোমারে ওয়েলকাম জানাচ্ছি!’ পিন্টু মাথামুন্ডু না বুঝিয়াই বিজ্ঞের মত মাথা ঝাঁকাইল।ভাই আবার কহিলেন, ‘হলে থাকবা ছারপোকার কামড় খাবা না তাই কী হয়!ওয়েলকাম টু দি ওয়ার্ল্ড অব ছারপোকা!’ মনে মনে পিন্টু কহিল, ‘ আল্লাহ,ইনার মগজেও কি ছারপোকা কামড়াইছে, নাকি ছারপোকার বন্দনা করার জন্য হল কর্তৃপক্ষ ইনারে নিয়োগ দিছে!’……যাহাই হোক,পিন্টু যে বেডে উঠিল,তাহাতে ছারপোকা ছিল না,আর থাকিলেও বাসায় ঘুমাইতে ঘুমাইতে ঘুম এতই প্রগাঢ় হইয়াছিল যে রুমে র‌্যামস্টেইনের গান ছাড়লেও পিন্টু দিব্যি ঘুমাইতে পারিত,কিচ্ছু টের পাইত না!

…অবশ্য ছারপোকার কামড় বুঝার জন্য সাত নাম্বার ইন্দ্রিয় লাগে,ইহা হলবাসী ছাড়া কারোর থাকে না!পিন্টুর যে তাহা গজায়নাই ইহা সে সহ রুমের বাকি ৩ জনও বুঝিয়াছিল। প্রায় প্রতিদিনই সেই ‘ছারপোকার বে-গুণ-বর্ণনাকারী’ বড় ভাই কহিতেন, ‘কি জীবন,আজকে কয়টা কামড়াইল?কি!একটাও না!বল কি!ছারপোকা এখনও টের পাইনায় রুমে নতুন কেউ আসছে!আসলে ওই বেডে অনেকদিন কেউ থাকেনাই তো,তাই দেরী হচ্ছে,চিন্তা কইরো না কিছুদিনের মধ্যেই টের পাবা,ছারপোকা কী জিনিস!’ তাহার কথা শুনিয়া পিন্টুর মনে আর সন্দেহ থাকিল না– যে তাহার এই রুমমেট বড় ভাইএর মস্তিষ্ক আসলেই ছারপোকার প্রদাহে বিকৃত হইয়াছে!আর তা না হইলে ‘সম্ভবত পিন্টুকে ছারপোকা কামড়াইলে হল কর্তৃপক্ষ তাহার বেতন বাড়াইতে পারে’ ,সে এই ধান্দায় আছে!! …..

….দিন কাটিতে লাগিল মহামাস্তিতে।রাত-বিরাতে শহীদমিনারে আড্ডা দিয়া,রাস্তায় ফুটবল খেলিয়া,পলাশীর চা খাইয়া,কানে হেডফোন ঢুকাইয়া শিষ দিয়া সমাজ-নীতির তোয়াক্কা না করিয়া,পড়াশুনার গুষ্টি কিলাইয়া পিন্টু হললাইফ পার করিতে লাগিল।ইতোমধ্যে ছারপোকার কামড় খাওয়া হইয়া গেল!ইহা এক জটিল অনুভুতি।কামড় না খাইলে বুঝানো সম্ভব না!আপনি হয়ত ঘুমাইতেছেন,নিদ্রাদেবীর সহিত নিজের কামলিপ্সা সার্থক করিতেছেন,এমন সময় হয়ত শরীরের কোন অঙ্গে তীব্র জ্বালা-চুলকানি-প্রদাহজনিত কারণে আপনার স্লীপিং-ডেটিং বন্ধ হইয়া যাইবে।তড়িৎ গতিতে লাফাইয়া উঠিয়া বেরসিক আকাম্মাটারে খুঁজিবেন,কিন্তু টিকিটাও পাইবেন না।ইহারা তুখোড় গেরিলা কামড়বাজ।কোনদিক থাকিয়া আসিয়া কোন স্থানে কামড়াইয়া যে কোনদিকে পালাইবে তাহা আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করিতে পারেননাই!…..পালাইবে ঠিকই,কিন্তু নষ্ট করিয়া যাইবে আপনার ঘুম,দিয়া যাইবে জ্বালা আর আবার কখন কামড়ায় তার ভীতি!……ছারপোকা ধরিতে পারিলে তাহা মারিয়া পাশবিক আনন্দ হইত।নিজের রক্তচোষাকে ঘায়েল করিতে পারিয়া ভ্যানহেলসিং-এর ভাব ধারণ করিত পিন্টু!ছারপোকার চেহারা এইরকম

4129496989_6ac62d7505

শীতকাল আসিল।সবাই লেপ-কম্বল বের করিল।পিন্টু দেখিত বড় ভাই ঘুমাইতেছেন,আর তাহার লেপের উপর দিয়া ছারপোকারা পরম সুখে তাইরে-নাইরে না করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে।অবাক হইয়া লক্ষ্য করিত, তার মুখে-হাতে কামড়াইতেছে অথচ তিনি নির্বিকারচিত্তে নিদ্রা যাইতেছেন।হায়!ছারপোকার কামড় বোধ হয় তাহার স্পর্শানুভুতিও হরণ করিয়াছিল!তাই মনে হয় জিন্দা লাশ হইয়া ঘুমাইতে পারিতেন!…..আস্তে …..আস্তে আস্তে জ্বালা বাড়িল।ছারপোকা মারার জন্য হল হইতে বিছানায় ওষুধ দেয়া হইত,কিন্তু তাহাতে ডিডিটির পরিমাণ পানির তুলনায় এতই কম ছিল যে, ওই মিশ্রণে হাইড্রোজেন-অক্সিজেন ছাড়া অন্য কোন কেমিক্যালের ঘনমাত্রা নির্ণয় করিতে যাইয়া রসায়নবিদ যে কেউ ধন্দে পড়িয়া যাইতেন!আর এই ওষুধ পান করিয়া ছারপোকারা মরিবে কী,উল্টা এনার্জি-ড্রিঙ্কস ইফেক্ট হইত এদের উপর!দুইদিন পরই আবার দ্বিগুণ জ্বালা শুরু করিত!…

…..১-১ পার করিয়া পিন্টু ১-২ তে উঠিল।১-১ এ ছারপোকার জ্বালায় রাতে কম ঘুমাইত,দিনে বেশি ঘুমাইত,রাতটা আড্ডাবাজিতে,কিংবা টেবিলটেনিস খেলিয়াই কাটায় দিত,যার প্রভাব পড়িল তাহার রেজাল্টে!বুয়েটে আসিবার পর কেউ একজন কহিয়াছিল, ‘সবাই বুয়েটলাইফ সিজিপিএ ৪.০০ নিয়ে শুরু করে,দিন যত যায় তা কমতেই থাকে,অতিমানবরাই শেষ পর্যন্ত টিকিয়া থাকে!’ যাহাই হোক,পড়াশুনাজনিত বাঁশের বর্ণনা পরে,আগে ছারপোকা…..

১-২তে আসিয়া পিন্টু বিবাহ করিল।নড়িয়া-চড়িয়া বসিবেন না,ইহা সাধারণ বিবাহ নহে।ইহা হইল,পিন্টু কম্পিউটার হলে নিয়া আসিল!বন্ধুরা অনেকেই ১-১ এ বাঁশ খাইয়া পড়াশুনায় সিরিয়াস হইয়া গেল,আর পিন্টু ফেসবুকিং আর গেমিং লইয়া মাতিয়া উঠিল!ইহার উপকারিতা হইল,ছারপোকা আসিয়া পিঠ-পাছা কামড়াইয়া ফুলাইয়া লাল করিয়া বিরক্ত করিতে ব্যর্থ হইয়া নিজেই বিরক্ত হইয়া চলিয়া যাইত,কিন্তু নেশাগ্রস্থ পিন্টু সাইকোর মত প্রিন্স অফ পার্সিয়া,এনএফঅএস মোস্ট ওয়ান্টেড কোপাইতে থাকিত!

….এমন অত্যাচার শুরু হইল,রুম থেকে সব বেড বাহির করিয়া দেয়া হইল,অনাবাসিক বন্ধুরা হলে ঘুরতে আসিলেই দেখিত পিন্টু তোশক লইয়া করিডোরে কসরত করিতেছে আর রৌদ্রের আলোয় কি যেন রত্ন সন্ধান করিতেছে!তোশকের চিপায় চাপায়,কাপড়চোপড়ে,ব্যাগের ভাঁজে হেন ‘’চিপা’ নাই যেইখানে ছারপোকা থাকিত না!ছেলেপেলে কহিত,কাছে আসিস না,তর গায়ে ছারপোকা থাকতে পারে!এমনকি নাড়ীর টানে সপ্তাহান্তে যখন পিন্টু বাড়ীর পানে ছুটিত,তখন তাহাকে দেখিয়া পিতৃদেব খুশি হইবেন তা না, বাজখাঁই গলায় কহিতেন আগে শরীর ভালো করে ঝাড়া দে,তারপর বাসায় ঢুক!তখন পিন্টুর বুক ফাটিয়া দীর্ঘশ্বাস বাহির হইত…..

……[কাহিনী সংক্ষিপ্ত না করতে পারা আমার অন্যতম ত্রুটিগুলোর একটা।কিন্তু ঘটনা বিস্তারিত না লিখতে পারলে ভালো লাগে না।তাই আরো কিছু ঘটনাবাকি থাকায়,আপাতত কিছু ”সাস্পেন্স-হরর-ট্র্যাজেডি” বাকি রাখলাম।বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।তবে আশা দিয়ে রাখছি সফল পরিণতির ]…..

৩,০২৫ বার দেখা হয়েছে

৭৮ টি মন্তব্য : “ছারপোকা সমাচার-১”

  1. ইফতেখার (৯৫-০১)

    পুলাটার বিবাহ দেয়া দরকার ... বুক, পাছা, বিছানা, কোপানো, চিপা, বাশ আর সহবাস শব্দগুলি ছাড়া সে কোনো বাক্যই আরম্ভ বা সমাপ্ত করিতে পারে না। 😉 😉 😉 (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  2. শাহরিন (২০০২-২০০৮)
    ছেলেপেলে কহিত,কাছে আসিস না,তর গায়ে ছারপোকা থাকতে পারে!
    :pira: :pira:
    বহুত মজা পাইছি ভাই =))
    ছারপোকা যে এত ভয়ংকর জানতাম না 😮
    আর ভাই পোকার ছবি টা না দিলেও পারতেন, :(( ভয়ে তো পড়তেই পারতেছিলাম না :((
    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আছিব (২০০০-২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।