~ এই শীতে, অবশেষে – দুই ~

এই শীতে অবশেষে
কয়েক ছত্র বৃষ্টি এসে,
নগরীতে দিয়ে গেলো
প্রতীক্ষিত সেই হিম স্বাদ।

শীতের শরীর ছুঁয়ে
আহলাদী নাগরিক
উল্লাসে জানায় তার
বরফ ভাঙা উদযাপন সাধ।

মেহেগনি ইউক্যালিপটাস বা
বোগেনভেলিয়ার লাজুক
পাতাদের গায়ে ধূলার
চাদর মুছে জমা বিন্দু জলে –

শখের ডিএসএলআর তার
দীর্ঘ অক্ষিকাঁচ দিয়ে
অপূর্ব ফ্রেমের গায়ে
বুঝি শীতছবি আঁকা খেলে।

মুগ্ধ নাগরিক উচ্ছ্বল,
উদ্ভাস মাখা স্বপ্নাতুর
গলায় বলে ওঠে বেশ
ভাবাবেগে রাগ চুর চুর …

ইংলিশ ওয়েদার পারফেক্ট
নেপোলিয়ন কিংবা সিংগল মল্ট।
নাগরিক উৎসবে জমবে খুব
অন দ্য রকস ! সোনালী শিশির জল্ট !

সীমানা পাঁচিল ঘেঁষা
ফুটপাথে ঘর, পলিথিন ছাতে,
তখন শীত নেমে আসে, সাপের
মতোন ছোবলে ছুঁয়ে দিতে।

হিশহিশে আলিঙ্গনে স্কাইরুমে
যখন বুঝিবা আগুন ধরে
চেনা অচেনা সাহেব বিবির
শরীর প্যাঁচানো ওমে।

সেই ক্ষণে হাঁড় কাঁপা শীতে
ঝিম মারা পারদের উৎপাতে,
লকলকে জিভ লেখে সন্তাপ
চুপচাপ, য্যান কার প্রদীপ নেভাতে।

শীৎকারে উবে যাওয়া শীতে
চাপা পড়ে, প্রাণঘাতী হিম
ছুরি ছোবলে দেহত্যাগী
চিৎকার তার, যার নিভিছে পিদিম !

রাতের শরীর জুড়ে তখনো
বিন্দু বিন্দু জমে মুক্তোরা
কারো অংগারী তাপ থামাতে
কারো বাজাতে প্রস্থান কড়া।

০৯ জানুয়ারী ২০১৬

৪,০৭৯ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “~ এই শীতে, অবশেষে – দুই ~”

  1. মাহবুব (৭৮-৮৪)

    শীতকাল আমার ভাল লাগে না, উইন্টার ডিপ্রেশন বলে একটা ব্যাপার আছে সেটা তখন ভর করে।
    অনেক অনেক আগে একটা গল্প পড়েছিলাম, নামটা অনেকটা কাঁথা মামা এইরকম
    সেখানে এক গরীব মা তার অনেক পুরোনো কাঁথায় আগুন দেয় সন্তানকে শীতের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য
    সেই কাঁথায় মিশে ছিল তার সারা জীবনের স্মৃতি।
    আর হ্যান্স এন্ডারসনের সেই দেশলাই বেচা ছোট মেয়ের গল্পটাও তো আছে।
    কেন যে এই হতচ্ছাড়া লেখক গুলো এসব লেখে... 🙁

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহবুব (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।