~ মিউজিয়াম কন্যা ~

[ অনুবাদ ঃ ছোটগল্প ]

ট্যুর গাইডের চাকরীটা তার হয়েই যাবে এমন আশার স্বপ্ন দেখতে দেখতে চলছিলো পথে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজস-এর উপর একটা ডিগ্রী সে নিয়েছে কেবলি। বিদেশী নানান ভাষার উপর তার সদ্য অর্জিত জ্ঞান নিয়ে তার অপার আনন্দ ও গর্ব। সেই সাথে বর্ণিল জীবন শুরুর স্বপ্ন। কতো কি সম্ভাবনার স¦প্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো নিত্য নিত্য। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে বাস্তব জীবনে পা রাখতে না রাখতেই সব যেনো সহসাই বুদবুদের মতোন হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছিল। পথ চলতে চলতে এ রাস্তা ও রাস্তা পার হচ্ছিলো আর সাত সতেরো ভাবছিল সালওয়া। গন্তব্য গ্র্যান্ড মিউজিয়াম।

মিউজিয়ামের অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে হাঁটতে হাঁটতে। হঠাৎ করেই ছেদ পড়লো ভাবনায়। কোথা থেকে অকস্মাৎ তার দৃষ্টি সীমায় দৃশ্যমান হলো দীর্ঘদেহী সুদর্শন এক ভিনদেশী পর্যটক। খেইহীন এক ঝড়ো স¦প্নের মতোন আচমকা ব্যাপারটা ঘটলো। সূর্যের মতোন দ্যুতি ছড়াচ্ছিলো যেনো মানুষটা। অবশ্য সালওয়াইবা কম যায় কিসে! সেও তো রূপকথার গল্পের রাজকন্যার মতোন এক অপরূপ সুন্দরী। পথের মাঝে দেখা হওয়া ওই জায়গাটায় ওরা দুজন যেনো সহসাই তৈরী করলো অনন্য এক দৃশ্যপট। ঠিক যেনো জগদ্বিখ্যাত বরেণ্য কোনো শিল্পীর যাদুকরী তুলিতে আঁকা দুনিয়া কাঁপানো অনবদ্য এক চিত্রকর্ম।

ভাঙা ভাঙা আরবীতে লোকটা যখন কথা বলে উঠলো মনে হলো আনন্দ উদ্বেল কোনো শিশুর স্বর্গীয় উচ্চারণ যেনো। লোকটার অনুরোধ, মিউজিয়ামের যাওয়ার পথটা যেনো তাকে দেখিয়ে দেয় কেউ। মানুষটার উজ্জ্বল উপস্থিতি যাদুমন্ত্রের মতোন বিমোহিত করছিল মেয়েটাকে। মোহাবিষ্টতার আবেশে কদম ফেলতে ফেলতে বলে ওঠে মিউজিয়ামেই যাচ্ছে সে। মনে মনে সদ্য অর্জন করা ডিগ্রীটাকে সে অনেক ধন্যবাদ দিলো। ওটা যে এতো অল্প সময়ের ভেতরেই এমন মোক্ষম একটা কাজে লেগে যাবে তা ছিল তার ভাবনারও অতীত। ভাষা সংকটে ইতস্তত করা বিদেশেী পর্যটককে আশ্বস্ত করতে উদগ্রীব হলো সে শুরুতেই। “তোমার দেশের, এমনকি তোমার এলাকার স্থানীয় ভাষাটুকুনও আমার মোটামুটি ভালোই জানা। তাই অতশত ভাবনা বাদ দিয়ে তোমার ভাষায়ই নির্দ্বিধায় আমার সাথে কথা বলতে পারো তুমি।”

দু’জন একসঙ্গে পা ফেলতে লাগলো মিউজিয়ামের দিকে।

পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলেই স্বভাবগত মার্জিত ললিত্যে আর শ্রেয়তর কৃষ্টি ও শিক্ষার বদৌলতে সবসময়ই সে যা করে থাকে তা’ই করলো। সম্ভ্রম প্রকাশে মাথা ঝুঁকিয়ে আনত ভঙ্গি করলো জোনাথান সোনালী লেসের মতোন ঝুলে থাকা দীর্ঘ চুল দুলিয়ে। ভ্রমনের দেশে স্বাগতিকদের সন্মান জানানোর এটা তার স্বভাবগত রীতি। ওই ঋজু সম্ভ্রম প্রকাশের ভঙ্গি ও ব্যক্তিত্বের চমৎকারিত্বে মানুষটার প্রতি মুগ্ধতা তাকে বাকহারা করে রাখে। বাড়ী ফিরে ডাইরীর পাতায় দিন যাপনের স্মৃতি কড়চায় এসবই লিখলো সে তাই ঘুরে ফিরে।

“আমার মনে হয় ঈশ্বর এখনো আমার সঙ্গে আছেন।”

আরো দুই কাজিনের মতো হুবহু একই ছিলো তার নামের প্রথমাংশ। শেষাংশের পারিবারিক পদবীটাতো গোটা পরিবারের সবারই এক। তো হলো মোট তিন কাজিনের নাম পুরোটাই হুবহু এক। এমন নজির ছিলো আরো। নির্দিষ্ট করে চেনাবার জন্য তাই সবার নামের সাথে নানান অভিনব শব্দ জুড়ে দেয়াটা ছিল বলতে গেলে গোটা পরিবারের একটা আবশ্যিক চর্চা। সেই সুবাদে এক সময় তার নাম হয়েছিলো “মিউজিয়ামের সালওয়া”। একগাদা তুতো ভাই-বোনদের মধ্যে অন্যদের থেকে আলাদা করে চেনাবার এর চেয়ে সহজ উপায় আর কি?। তাও ভালো এ নামটা। তার আগেরটার চেয়ে ঢের শ্রুতিমধুর ও জুতসই। আগে সবাই ডাকতো তাকে “খোঁড়া সালওয়া” নামে।

ওই নামে ডাকতো যারা, তার চারপাশের ওসব মানুষগুলো থেকে সে দূরেই থাকতে চেষ্টা করতো। স্বাভাবিক ও সুস্থ্য জীবন যাপন করার সৌভাগ্য নিয়ে যারা এ পৃথিবীতে এসেছে অথচ তার সীমাবদ্ধতাকে চিহ্নিত করে নির্বিকারভাবে অমন একটা নামে ডাকতো তাকে। তাদের প্রতি কি মনোভান আর পোষণ করা যায় ! আশ্চর্য এ পৃথিবী ! তার অবাক করা সুন্দর চোখ আর বর্ণনাতীত আকর্ষণীয় দেহবল্লরী, যা কিনা অনেকের কাছেই ছিল আরোধ্য ও ঈর্ষনীয়। সে সব বাদ দিয়ে সামান্য খুঁড়িয়ে চলাটাকেই যারা এমন বড় করে দেখতো, তাদের কাছ থেকে দূরে দূরে না থেকে আর কী ইবা করার থাকতে পারে !

জোনাথান হলো কেবল সেই একমাত্র ব্যক্তি যে তার চোখের দিকেই তাকিয়েছে সোজা সাপ্টা। একটুও মনে হয়নি যে তার কিঞ্চিত ছোট পা’টাকে সে আদৌ খেয়াল করেছে বা ওটা নিয়ে মাথা ঘামিয়েছে। পুরোনো কোনো দুর্ঘটনা নাকি পোলিও ! কিসের কারণে এমনটা হয়েছে এসব নিয়ে কোনো প্রকার মাথা ব্যাথা বা সংশয় তার ছিল না। এমনকি বিরক্তি বা করুনার কোনো অভিব্যক্তি তার চোখে-মুখে কিছু সময়ের জন্যেও ভেসে উঠেছিল তাও নয়। পুরানো এক বিশ্বস্ত বন্ধুর মতোন তার সাথে যুথবদ্ধ সে হাঁটছিলো। যেনোবা মগ্ন তারা ফেলে আসা জীবনের স্মৃতি বিজড়িত কোনো ঘটনার উচ্ছ্বাস আনন্দ কিংবা বন্ধুত্বের অংকুরোদগমের সেই প্রথম দিনগুলোর স্মরণকে ঘিরে কথপোকথনের সূতোয় লেস বুনতে বুনতে পথ চলায়।

দিনটা সত্যিই এমন অভাবনীয় ছিল যে, এসব নিয়ে ডাইরীর একটা নতুন পাতা ভরাট বহু কিছু লেখাটা খুব স্বভাবতই ছিল তার অনিবার্য যৌক্তিক আচরণ।

সে লিখেছিল, “স্বপ্ন কি আমার শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়ে ধরা দিচ্ছে ?”

কলেজে সালওয়ার পরিচিতি ছিল মার্জিত ও সাংস্কৃতিক গুনাবলী সম্পন্ন সুনিষ্পন্ন একজন ছাত্রী হিসেবে। ভাষার দক্ষ প্রকাশ ছিল তার সহজাত কথার শৈলী। ভাষার প্রতি সীমাহীন আবেগ ও ভালবাসার কল্যাণে জটিল সব প্রশ্ন আর সমালোচনার জবাব সে দিতো সহজাত এক অভাবনীয় দক্ষতায়। সে বলতো নতুন একটা ভাষা জানা হলো একটা নতুন জীবন বর পাওয়ার মতো। কথার খই ফোটাতে ছিলোনা তার এক বিন্দু ক্লান্তি। আর যতোক্ষণ সে কথা বলতো চোখজোড়া তার স্থির নিশ্চল নিবন্ধিত থাকতো কোথাও কোনো এক অসীম বিন্দুতে। কোথায় যে ঠিক সে তাকিয়ে আছে তা অন্য কারো পক্ষে এক বিন্দু বোঝার কোনো কায়দা ছিল না। দৃশ্যমান সব কিছুর অপার কোথাও থাকতো তার দৃষ্টি নিপতিত। যেনো সে গভীর ধ্যানমগ্ন, স্বপ্নমগ্ন।

কলেজ জীবনের কয়েক বছরে নানা রকম মানুষের সাথে দেখা ও পরিচয় হবার পর লিবিয়ার কাজিনকে বিয়ে করাটা তার পক্ষে এক প্রকার অসম্ভবই প্রতীয়মান হচ্ছিল। খুব স্পষ্টই বুঝতে পারছিল সে অমন হলে জুরিটা হবে যেনো দীর্ঘকালব্যাপী অক্ষম এক সাদা ঘোড়ার সঙ্গে তার ওপর আসীন এক নাইটের জোড় মেলানোর মতন। তার পক্ষে সেই মিলিটারী কাজিনকে বিয়ে করবার সিদ্ধান্ত নেয়াটাও সম্ভবপর ছিল না মোটেই। যদিও তাকে তার ভালোই লাগতো। হয়তো তার সামরিক পোষাকের ব্যতিক্রমী গন্ধের রেশ যা মনে করিয়ে দিতো মানুষটার অনুষঙ্গী উপস্থিতির কথা তা সালওয়া’র এক রকম ভালো লাগতো। আর অবশ্যই তার পক্ষে সম্ভব ছিল না স্কুলের কোনো ছেলে সখ্যতার পুনরজ্জীবন ঘটানোও। যাদের দিকে তাকানোর সময় দৃষ্টি তার নিজ নাকের নীচের দিকেই নিবদ্ধ থেকেছে সারাটা জীবন।

এতোকাল পরে, এবার বুঝি তার স্মৃতিকাতরতা ঘেরা শব্দগুলোর সযত্ন বুননে হৃদয়ের সেই নশ্বর নাজুক অলৌকিক চাদর তার বোনার সময় এসেছে।

“জোনাথান, ভালোবাসা আমার, কোথায় আছো তুমি?”

জোনাথানের সাথেই জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টুকুন কেটেছে সালওয়ার। এক সঙ্গে হঁাঁটতে হাঁটতে কথার পিঠে পিঠে ওরা উদঘাটন করবার চেষ্টা করেছে তাদের পূর্বপুরুষদের মাঝে কোনো দুঃসম্পর্কীয় আত্মীয়তার বন্ধন ছিল কিনা। জোনাথানও ছিল কথায় খুব পটু। এমনটা হবার সহজ কারণ ছিলো এই যে, সে ছিল স্বপ্নের মতোন উন্মুক্ত, খোলা মেলা। কোনো সমস্যাই তাকে জোর নিয়ন্ত্রণের আবর্তে বন্দী করতে পারতো না। উন্মুক্ত কোন প্রান্তরে অবারিত খেলা করে বেড়ানো বাতাসের মাধুর্যের মতোন ছিলো তার অর্গলহীন কথা বলার ঢঙ। অমন কথা বলার সারাটা সময় সালওয়ার একাগ্র চোখের দৃষ্টিকে সে অনুভব করতে পারতো তার সমস্ত সত্তায়। ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিতে নিতে একসময় জোনাথান বলেছিলো, সালওয়াকে তার ভালো লাগে, পছন্দ করে। ভালো লাগা আর ভালোবাসার সূক্ষ্ম তফাৎটাকে সালওয়া খুব ভালোই বোঝে। তবুও এই ভালো লাগার অভিব্যক্তিটুকুনকে সে তার স্বাপ্নিক অভিধানের আলোকে ভালোবাসা বলেই ধরে নিতে উন্মুখ ছিল। তার জন্যে ফিরে আসার আকুতিটা তাই খুব অকপটেই জোনাথনেকে জানিয়েছিল সে। খোলা রাস্তাায় বিদায় নেবার মূহুর্তে চুম্বন এঁকে দিতে দিতে প্রত্যুত্তরে বলেছিলো জোনাথান, “আমি আসবো”। এতো সবের পরও সালওয়া খুব নিশ্চিত ভাবেই অনুধাবন করছিলো যে, এটা আসলে শুধুই বিদায়। ফিরে আসার সত্যটা বাস্তবে অনাঘ্রাতই থাকবে।

সালওয়া মিউজিয়ামে নিয়োগ পেয়েছিলো এ্যসিসট্যান্ট মিউজিয়াম কিউরেটর পদে। যে কাজটাকে আসলে সে শুরু থেকে ভীষণ ঘৃণাই করেছিল। নিজের মধ্যেই নিজেকে গুটিয়ে সংহত করে রেখেছিলো। সব সময় মানুষের মধ্যে থেকেও ভীড় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে, সারাক্ষণ মগ্ন ছিলো সে তার প্রথম চুমুর আস্বাদটুকুনের জাবর কাটতেই। দিবাস্বপ্নের মতোন প্রতিটা ক্ষণ স্মৃতি রোমন্থনেই কাটতো দিন তার। প্রতিশ্রুতির সূত্র ধরে জোনাথান ফিরে এলে, অমন অনন্য লগ্নটাতে কিভাবে কি ঘটতে পারে মনে মনে সেই সবের মহড়াই দিতো সে কেবলি। গোটা শরীর জুড়ে সারাক্ষণই চলতো যেনো তার জোনাথানের জন্য তীব্র আকাঙ্খার এক আর্তচিৎকার। অমন ঘটনাবহুল কল্পজগতের বিপরীতে তার প্রতিদিনের সব চলা ফেরা যেনো ছিল মিউজিয়াম জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মূর্তির মতো একঘেঁয়ে, বিরক্তির ও নিষ্প্রভ। মূর্তিগুলোর পাথরের চোখের মতোনই প্রাণহীন এক শীতল শুন্যতায় ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকতো সে মিউজিয়াম দেখতে আসা পর্যটকদের দিকে।

দিনে দিনে তার রঙবর্ণ ফুলেল বাহারী পোষাকগুলো সব যাদুঘরের শীতলতার মতোনই কুচকানো আর ক্ষয়প্রাপ্ত মলিন হয়ে উঠছিলো। সময়কে কোনো এক ভাবে কাটিয়ে দেবার জন্যে এক রকম খেলা সে আবিস্কার করলো নিজে নিজেই। যদিও সেটাও ছিলো যথেষ্ট একঘেঁয়ে। কখনো সে কোনো একটা মূর্তির পাশে গিয়ে ঘনিষ্ঠ দূরত্বে দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে কথাপোকথনে সময় কাটাবার চেষ্টা করতো। কখনও বা কোনো মূর্তির অঙ্গভঙ্গি অনুকরণ করে সেই রকম স্থবির নিশ্চল হয়ে থাকার অভিনয় করে যেতো গণনাহীন সময়। আর তা করতো সে এতোই গভীর একাগ্রতায়, যেনোবা মূর্তির মনের অনুভূতিগুলোও সে অনুধাবন করতে চাইছে। প্রথম প্রথম তার এই রকম চেষ্টার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কয়েক মিনিটের। কিন্তু বেশ দ্রুতই সে ব্যাপারটায় এতো বেশী পারঙ্গম হয়ে উঠলো যে, অমন স্থির নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে সে ভুলে যেতো সময়। এমনকি নিজেকেও। যখন অভ্যাসটা যুতসই করায়ত্ব হয়ে গেলো তখন ওরকম স্থির মূর্তির মতোন নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো সে অবিরাম ঘন্টার পর ঘন্টা। কখনো কখনো পাশ দিয়ে পর্যটক দর্শনার্থীরা ঘুরে ফিরে গেলেও ব্যপারটা টেরই পায়নি হয়তো।

এমন চলতে চলতে কোনো একদিন হঠাৎ সে ভীষণ চমকে উঠলো। যখন এক পর্যটক এসে ঘুরতে ঘুরতে আকস্মাৎ ঘুরে তার দিকে ফিরলো এবং ক্যামেরার ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে তার মুখের দিকে তাক করে ছবি তুললো। সেদিন সালওয়া সত্যিই ভীষণ ভীত ও বিষন্ন হয়ে পড়েছিলো। রাতে একাকী বিছানায় শুয়ে শুয়ে হৃদয় নিংড়ানো এক কান্নায় সে ভেসে যচ্ছিলো। তার ডাইরীতে কষ্টানুভূতিগুলোকে উগড়ে দিয়ে সেই রাতে সে লিখলো,

“জোনাথান, স্বপ্ন আমার, দয়া করে তুমি ফিরে আসো। আমি যে ক্রমশ প্রস্তরীভূত হয়ে যাচ্ছি। অপেক্ষামগ্নতায় ধীরে ধীরে প্রাণহীন এক শিলার অবয়বে প্রোথিত হয়ে যাচ্ছি।”

মূল ছোটগল্প ঃ ফয়সাল আবু সাদ (সিরীয় লেখক)

১৬ অক্টোবর ২০১৫

১,৬৫৩ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “~ মিউজিয়াম কন্যা ~”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আহারে!
    সালওয়ার হাহাকার মন ছুঁয়ে গেল... 🙁

    লুৎফুল ভাই,
    আপনি কি আরবি থেকে বঙ্গানুবাদ করছেন, নাকি ইংরেজি থেকে?
    জানতে ইচ্ছে করছে। ;;)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    ভাই আরবী থেকে করতে পারলে তো আর কথা ছিলো না ।
    সেই সক্ষমতা নেই যে ভাই।
    একজন আরব যে আমেরিকায় পড়াশোনা করেছে, সে অনুবাদ করেছে বেশ কিছু আরব ভাষার ছোটো গল্প।
    সেটা প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকা থেকে।
    সেখান থেকে অনুবাদ করছি।
    এতে দুটো সুবিধা পাচ্ছি।
    এক, ভাষার। দুই, নির্বাচনের (ভালো লেখার)।
    একে একে পুরো বইটার সবগুলো ছোট গল্প অনুবাদে ইচ্ছা আছে।
    দেখা যাক।
    পড়বার আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  3. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    সে রকম ইচ্ছে আছে। আর এ ফোরামে পোস্ট করে মতামত, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, ভুল ত্রুটি সেগুলো বুঝে নিতে চাইছি।
    তাই যতো বেশী খড়গহস্ত মন্তব্য পাবো ততো বেশী উপকৃত হবো ।
    সে প্রত্যাশা তোমার মতোন আর সবার কাছেও ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।