~ দেখি দাপুটের বায়োস্কোপ ~

মেঘের মিছিল জমা হয়ে আছে সব
জনপদ সীমান্ত জুড়ে।
ইমিগ্রেশনের ছাড়পত্র পেলেই
যেনো এসে যাবে হুড়মুড়িয়ে।

রোদের সন্ত্রাস শুষে নিচ্ছে তখন এই
শহরের শেষ কণা স্বেদ, সাথে
শ্রমিকের কর্মস্পৃহা তেজ।
তুমি শীতাতপ যন্ত্রের সাথে
পারদের তীব্র মাখামাখি
গায়ে দিয়ে বলো, হয়ে যাচ্ছো নিস্তেজ !

চৌচির মাটির বুক চিরে
যোদ্ধা কৃষকের চকচকে লাংগলের
ফালফুলো ফুসছে যখন ঘামের জ্বালানীতে,
দড়িবোনা শরীরের ঢাল বেয়ে তার, রোজ।
তুমি বলো সাত পদে সাজানো টেবিল
তোমার খুব ছোটো, তাই জমেনিকো ভোজ;
এই গরমে ভালো মন্দ খাওয়াটাও কসরত।

হোক তবে মেঘেদের বিদ্রোহ।
রোদের সারস সাহস জীবনের
শ্বাসরোধ করবার বিক্ষোভ।
পাথর জমিন আর ফলার সন্ধি আজ
লাংগলের মাথা থেকে খুলে নিক
চাষের পোষাক। কৃষকেরা ভাবুক হোক, আর
গামছায় মুছে নিক ঘামের দ্রবণে
মেশা সব কর্মস্পৃহা শ্লোক।

তুমি কালোবাজারীর চৌকষ মেধায়
দেখাও তবে দখলী থাবার জোর।
রোদকে গুম করে, ম্যাজিকে ধানের গায়ে
দেখি নামাও বৃষ্টি জলের ভোর।
জগতের সকল নিয়ম রক্ষীরা
যখন তোমার এতোই বংশবদ।
আংগিনায় বৃষ্টিরা নামুক নির্ভুল
দেখি তোমাদের নির্বিবাদ পোর্ট এন্ট্রির জোর।

১১ জুন ২০১৫ ~ ভোর

১,১৫৮ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “~ দেখি দাপুটের বায়োস্কোপ ~”

  1. সাইদুল (৭৬-৮২)

    কৃষকেরা ভাবুক হোক, আর
    গামছায় মুছে নিক ঘামের দ্রবণে
    মেশা সব কর্মস্পৃহা শ্লোক।

    একেবারে অন্যরকম। অনেক সুন্দর


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : লুৎফুল (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।