চিবুকের সাথে দু:খের দূরত্ব মাপতে আসিনি।
তোমার নীলের পরিধি কিংবা
অভিমান ফর্দ লিখতেও না।
ভেবেছো অমন হাসলেই মূর্ছা
যাবে বুঝি বেবাক পুরুষ !
মোহিনী মায়ায় ডুবে মরতেই শুধু
সমর্পিত গোটা নরকূল !
অথচ জানোনি অযুত সুবাস
আর রঙের নিযুত নৈবেদ্য
নিয়ে যতো অপেক্ষা, শুধু
আমার হাত ধরে তোমার খোঁপায়
যাবে বলেই। জানে তা তাবত ফুল।
অমন হাসিতে এই বুকে ব্যাথা হয়
মানেই এই নয় যে তাতে
মৃত্যু খুব অনিবার্য।
ওই ওষ্ঠে চুম্বন না পেলে
রক্তেরা বিদ্রোহী হয় খুব ঠিক। তবে
ওটাই রক্তপাতের সবটুকু কারণ
তা কিন্তু নয় ।
বোঝনি যে এতোসবের
এইটুকুনও –
ওটাই হলো সকল সর্বনাশের মূল।
১০ জুন ২০১৫ ~ প্রথম প্রহর
কোয়ার্ক নিজেই যখন রোগ নিরূপণ করে ...
তখন অসুখেরা অমন ভুল নামেই তো আত্মপ্রকাশ করে ...
অথচ জানোনি অযুত সুবাস
আর রঙের নিযুত নৈবেদ্য
নিয়ে যতো অপেক্ষা, শুধু
আমার হাত ধরে তোমার খোঁপায়
যাবে বলেই। জানে তা তাবত ফুল।
যানে তা তাবত ফুল,
বিলকুল
এই কনফিডেন্স না থাকলে প্রেম! সাহসী কবিতা, চমৎকার কবিতা
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ফুলেরাও জানে
অপেক্ষায় সময় মানে
মানুষইতো জানেনা কেবল
তাইতো এমন কিছু কথার ছল
সাহস না থাকলে কি আর হয় !
মন্ত্র খোজা তাই হতে নির্ভয় ...
কি বলব ভাই, একেবারে বিমোহিত...............
জেনে আপ্লুত হলাম।
গত রাতের অলস মস্তিষ্কে কথার পেন্ডুলাম...
সময় থাকতে মানুষ যা বোঝার তা বোঝে না।
এটা কি নির্বুদ্ধিতা? নাকি গোয়ার্তুমি?
পরে পস্তায়। কিন্তু কি আর করার থাকে তখন?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বোঝেনা যে সে চিরকালই বোঝেনা।
অবশ্য এই কবিতাটা স্রেফ কিছু লিখবো বলে লিখতে যেয়ে লেখা। কি নিয়ে লেখা যায় ভাবছিলাম আর ফেবু হোমে স্ক্রল করছিলাম।
প্রথম লাইনটা লেখা হতে, হঠাত একটা আই ডি থেকে ঘণ ঘণ কিছু ছবি পোস্ট দেখে এটা লেখা হয়ে গেলো।
যার আইডি সে আমার অচেনা এবং স্রেফ অভ্যাগত এবং এই কবিতার বিন্দু বিসর্গও তার অজানা।
হুম! ব্যাকগ্রাউন্ডটা জানা গেল।
ওটা যাই হোক, কবিতাটা কিন্তু জম্পেস হয়েছে।
ক্লাস! ক্লাস!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
জটিল মনোজগতের ব্যাপার, তাই মন্তব্য করলাম না 😛
বন্ধু চারপাশে যা দেখি বা কারো সাথে কোনো কথার সূত্র, এমনি কিছু একটা নিয়ে দু' পাচ লাইন প্রতি দিনই লেখার তাগিদ থাকে ইদানিং ভেতরে।
ঢাকার বাইরে আছি দু'দিন। ফোনে স্ক্রল করতে করতে প্রথম লাইনটা কারণ ছাড়াই মাথায় এসেছিলো।
একজনার মিষ্টি ছবি আর কারো দৃষ্টি আকর্ষণের তীব্র চেষ্টা দেখে শব্দগুলো এভাবে দাঁড়িয়ে গেলো সারি দিয়ে।
স্রেফ এইটুকুন।
আজ যেমন কদিন গরম্ব্র পর বৃষ্টির সম্ভাব্য আগমনকে নিয়ে কটা লাইন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সময় পেলে হোটেলে ফিরে লেখা হয়ে যাবে হয়তো তা নিয়ে কয়েক ছত্র।
আসলে প্রতিদিন লেখার ভাবনাটা বিষয় যা হোক কিছু একটাকে নিয়ে নানা রকম লাইন মনের মধ্যে সাজাতে থাকে কাজের ব্যস্ততার মাঝেও।
কখনো সেটা এমনই হারিয়ে যায় যে, ভাবি ইশশ সুন্দর দুটা লাইন... বেমালুম মনের ভেতর ঘুরে ঘুরে কোথায় হারিয়ে গেলো... আর কোনো দিন হয়তো লেখা হয়ে যায় ঠিক ঠাক অমনই বা কিছুটা আদল বদলে...
এই যা.......
আমি দেখেছি, এক বসায় লিখে ফেলা লেখাগুলো ভুলভ্রান্তি সত্তেও সাধারণতঃ ভালো হয়ে থাকে।
মাথার ভেতরে ঘুরঘুর করা লেখাগুলো হারিয়ে গেলে খুব আফসোস হয়, তবে কখনো কখনো তার আবার ফিরেও আসে। তখন লিখতে গেলে একটা নতুন অবয়ব দাঁড়িয়ে যায়। কখনো সেটা মূল চিন্তাটার থেকে বেটার হয়, আবার কখনো হাল্কা, ফিকে হয়ে যায়।
জ্বি ভাই। বলতে গেলে সব সময়ই এক টানে।
আর আলসেমির চরম রোগ হলো পরে তা পড়ে ঠিক করাতে।
কবিতার ওপেনিং লাইনটা দুর্দান্ত হয়েছে।
"ভেবেছো অমন হাসলেই মূর্ছা
যাবে বুঝি বেবাক পুরুষ" - বেবাক না হলেও, অনেকেই যায় তো!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপ্লুত ও সাহসী হচ্ছি আপনাদের ভালো লাগায়।
যে অবস্থাতেই লিখুন না কেন লুৎফুল ভাই, আমি দেখছি দুর্দান্ত এবং দুর্দমনীয় সংলাপ হিসেবে।
কবিদের যে সত্যিই সত্যিই অমন ঝঞ্ঝাময় মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে যেতেই হয় না ঠিকঠিক ছবিটি আঁকার জন্যে --- এ লেখা তার প্রমাণ।
আর সবচে' ভাল লাগছে মন্তব্যগুলো। তাতে ভাবনার কাঁটাছেঁড়া চলছে, কবিতাদৃশ্যের পুনঃনির্মাণ চলছে। আর কী চাই!
অনেক ধন্যবাদ নূপুর । বেশ পরে এসে তোমার এই মন্তব্যটা তো প্রায় চোখের আড়ালেই থেকে যাচ্ছিলো ।
বলেছো ঠিক কথা । মানুষের মনটা বড়ই বিচিত্র । কি কি অবস্থাতে যে কি সব ভাবনা ছুঁইয়ে যেতে পারে তাকে, উড়ে যেতে পারে মনের আকাশে তা আসলে সম্পূর্ণভাবে অচিন্ত্যনীয় । আর তাকে যদি লেখবার মতোন আশকারা দেয়া যেয় তো হয়ে গেলো ।
মন্তব্যে প্রীত হলাম । আসলে এমনতরো আলাপ ভাবনার বিনিময় একটা বিস্তৃত ক্ষেত্র তৈরী করে দ্যায় ভাবনা আর লেখার জগতটাকে ।