নূপুর ভাইকে খুঁজছিলাম মনে মনে।
সুকান্ত অনেক অনেক আগে গলা ফুলিয়ে বলে গেছিলেন, কবিতা তোমায় দিলেম আজকে ছুটি।
আমার উল্টোটাই হয়, সারাদিন গদ্য নিয়ে থাকি, মাঝে সাঝে তাই গদ্যকে বিশ্রামে পাঠিয়ে কবিতা নিয়ে পড়ি। এই যেমন এখন আবুলহাসানের ভুতে ধরেছে, এবং তারপরে সেই ভুত, সেই পুরনো দিনের তিনগোয়েন্দার ভুত থেকে ভুতে স্টাইলে আরও অনেকগুলো ভুতকে ডেকে আনলো। সেই ভুতেদের নাম যথাক্রমে হেলাল হাফিজ, জীবনানন্দ, সুনীল এবং সম্প্রতি আমাদের নূপুর ভাই! 🙂
অনেক অনেক কবিতা শুনতে মনচাইছে আজকে। তবে তার আগে আমি একটা কবিতা শোনাই।
নিচে কোথাও দেখলাম মহিব লিখেছে সুনীল গাঙ্গুলীকে নিয়ে, তাই তাঁরই লেখা আমার খুব পছন্দের একটা কবিতা-
আঙুলের রক্ত
————–
ঘর শব্দটি কবিতার মধ্যে এলে আমি তার দরজা দেখতে পাই না
অথচ দরজা শব্দটির একদিকে ঘর, আর একদিকে বারান্দা
বারান্দার পাশেই নিম গাছ
আমার শৈশবের নিম গাছের স্মৃতির ওপর বসে আছে একটা ইস্টিকুটুম পাখি
যদি ঐ পাখিটিকে আমি কখনো কবিতার খাঁচায় বসাই নি
শব্দের নিজস্ব ছবি তা শব্দেরই নিজস্ব ছবি
শরীরর শিহরন যেন মাটির প্রতিমার সর্বক্ষণ চেয়ে থাকা
যেমন পাথর ধুলো হয়ে যায় কিন্তু জল বার বার ফিরে আসে
কবিতায় কে যে কখন আসে জানি না
শুধু আমার আঙুল কেটে রক্ত পড়লে তা নিয়ে কবিতা লেখা হয় না।
১ম 😀 :guitar: :tuski: :awesome:
খাইসে, আহসান ভাই, আমি পোস্ট পাবলিশ করে প্রথম পাতায় গিয়ে দেখি একটা কমেন্ট! রীতিমত ভয় পাইয়া গেছিলাম! 🙂
www.tareqnurulhasan.com
হা হা হা হা...কেন...ভয় কেন? 🙂
২য়
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
যদিও কবিতার কিছুই বুঝি না তাও ভালো লাগল :clap: :clap: :clap:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
না বুইঝাই ভাল লাগছে 😮
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
=)) =)) =)) =))
সুনীলের কবিতা!
আহা! ভাই, আমার তো আবেগ কেমন যেনো বাঁধন-হারা হয়ে যাচ্ছে...
মহিবের সুনীলকে নিয়ে আমার মনের অনেক কথা লিখতে দেখলাম--- নূপুর ভাইয়ের কবিতা পড়লাম-- কাল থেকে আল মাহমুদ-এর কালের কলস, সোনালী কাবিনে ডুবে আছি---
এসময় আবার কৈশোরের সুনীলকে নিয়ে হাজির আপনি---
সেই
"যদি নির্বাসন দাও"...
"কেউ কথা রাখেনি...
এর কবি... ভাই, এই কবিতা দুইটা যদি থাকে/ কোন রেফারেন্স জানেন--- একটু দিবেন প্লীজ? আজই??
সুন্দর একটা জিনিস শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
:hatsoff: :hatsoff:
ভাইয়া,
নিচের এই লিংক দুইটা দেখতে পারেন ইচ্ছে হলে। আমার পড়ে খুব ভালো লাগলো...
http://mahmudfaisal.wordpress.com/2009/07/08/collect3/
http://mahmudfaisal.wordpress.com/2009/07/08/collect4/
আমারও খুব প্রিয় কবিতা।
আগে কখনো কবিতা পড়া হয়নি, বোঝার চেষ্টা ও করিনি। 🙁
এখন সিসিবি'র কল্যাণে কবিতা'র উপর ভাল লাগা তৈরী হচ্ছে। 🙂
ভাবি... আপনার ঘটনা দেখি পুরা আমার মতো 😀
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আপনাদের দুইজনের ঘটনা দেখি তাইলে আমার মতো। চিমটি 😉
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
চিমটি কাট ফুলস্টপ ... 😉
মজার ব্যাপার হইলো- এই কবিতাটা ফার্স্ট পড়ছিলাম তিথি আপুর 'এইটা তোমার গান'এ।
সুনীল বলছিল- কবিতা লিখতে বসলে প্রথম লাইনটা ম্যাজিকের মতন হাজির হয়। এক মুহুর্ত আগেও পৃথিবীতে যার অস্তিত্ব ছিল না- ঘর শব্দটি কবিতার মধ্যে এলে আমি তার দরজা দেখতে পাই না- সে দরজার কাছে চলে আসে।
এই কবিতার প্রথম লাইনটা এত বেশি অদ্ভুত যে- কিছুই বলার থাকে না।
থ্যাংকু তারেক ভাই। কবিতাখানা শেয়ার করার জন্য, একটা প্রিয় কবিতা- প্রিয়তমার মত- বারবার সংগম করলেও আশ মেটে না। 😀
সহমত।
আগে পড়িনি কবিতাটা। খুব ভালো লাগল।
তুই তো মনে হয় কখন কবিতার চেয়ে গল্পে বেশী সময় দেস্, পারলে কবিতাকে আরেকটু বেশী সময় দিস।
অনেকদিন তোর কবিতা পড়িনা......
দোস্ত তানভীরের কথা শুনিসনা । গদ্যে বেশি সময় থাক । গদ্যের সাথে আমার আবার ডেশি সখ্যতা । নিজের লেখা কবে দিবি? আর সুনীলবাবু কবিতা ভাল ছিল । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ হে মু. নূরুল হাসান (ভেংচি কাটার ইমো নাই)
😮 😮 😮 😮
কাদের পাশে বসাইলা তারেক!
হায় হায়!
সুনীলের কবিতাটা অদ্ভুত অদ্ভুত সুন্দর।