গভীর শ্রদ্ধা: চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ

কিছু মানুষ থাকেন যাদের মুক্ত চিন্তা, নিঁখুত রাজনীতি সচেতনতা এবং নির্মল টলটলে দৃষ্টিভঙ্গী ও জীবনবোধ আমার বা আমাদের মতো ছাপোষা মানুষদের জীবনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে এবং মননকে বিশেষভাবে আলোড়িত করে। আমার কাছে তারেক মাসুদ তেমন একজন ব্যক্তিত্ব। মানুষটিকে চিনেছি ‘মাটির ময়না’ দিয়ে। এবং এরপর ‘মুক্তির গান’ দেখার মাধ্যমে। আর কিছু টেলিভিশন ইন্টারভিউ, পত্রিকার প্রবন্ধ এবং সাক্ষাৎকার ধরণের লেখার মাধ্যমে। কি নম্র ভব্য তাঁর বাচন এবং প্রকাশভঙ্গী। বাংলাদেশে এমন মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতা বর্তমান সময়ে হাতে গোনা এবং খুবই বিরল।

মাত্র কটা দিন আগে রকিবকে অনুরোধ করে ‘মুক্তির গান’ ডাউনলোড করে নিলাম শুধুমাত্র সংগ্রহে রাখার জন্য। আগেই দেখেছি যদিও। আগ্রহ নিয়ে দেখেছিলাম ‘অর্ন্তযাত্রা’। ‘রানওয়ে’ এখনো দেখে উঠতে পারিনি। অনেকদিন ধরে নেটে খুঁজছি। খুব আশা করে ছিলাম ‘মাটির ময়না’ ট্রিলজির সাতচল্লিশের দেশভাগের উপর প্রিক্যুয়েল ‘কাগজের ফুল’ এবং তৃতীয় প্রিক্যুয়েলটি বঙ্গভঙ্গ নিয়ে তারেক এবং ক্যাথেরিন মাসুদের এই সিনেমা দুটি একদিন আলোর মুখ দেখবে। তা হয়তো আর সম্ভব হলো না। আজ এখন শনিবার অটোয়ার সকালে ঘুম ঘুম চোখে পত্রিকার অনলাইন পাতায় চোখ রাখতেই নিজের চোখ দুটোকে যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। তারেক মাসুদ আর নেই! সেই সাথে মিশুক মুনীর। কি আর বলার থাকতে পারে!

তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরের স্মৃতির প্রতি বিনম্র গভীর শ্রদ্ধা।

১৪ টি মন্তব্য : “গভীর শ্রদ্ধা: চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ”

  1. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    শ্রদ্ধা-ভালোবাসা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের জন্য। দুপুরে খবরটা পাওয়ার পর থেকেই মনটা ভীষণ বিষন্ন হয়ে আছে। কিছুই ভালো লাগছে না। ভালো নেই আমরা, রাব্বী সত্যিই ভালো নেই। (সম্পাদিত)


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আমি খবর পেলাম ট্রেনে, এহসান বললো, বিশ্বাস হচ্ছিল না। অনেক ক্রিয়েটিভ মানুষ ছিলেন।

    ক্যাথরিন মাসুদ দ্রুত সূস্থ হয়ে ফিরে আসুন, এই কামনা করি।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  3. নাফিজ (০৩-০৯)

    ভাই পিসিসি এর রফিক স্যারের কথা মনে আছে- ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের ?(আপনারা পাইসিলেন)
    উনি কাগজের ফুল ছবিতে তারেক মাসুদের অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর ছিলেন...একই মাইক্রোবাসে ছিলেন। ইনজুরি হয়েছে, কিন্তু বেঁচে গেছেন।


    আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।

    জবাব দিন
  4. শাওন (৯৫-০১)

    বঙ্গভঙ্গ নিয়ে ঐ ছবিটা বোধহয় আর আলোর মুখ পেলোনা। খুউউব ইচ্ছে ছিলো সেটা দেখার আর উনার এ ব্যাপারে কিছু কথা শুনার। 🙁


    ধন্যবাদান্তে,
    মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
    প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

    ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।