অটোয়ার জার্নাল – এক

এবং ফেসবুক –
২০০৭ সালে ফেসবুকে একাউন্ট খোলার পর থেকে গত চারবছর প্রায় টানা ব্যবহার করে গেছি। ঢাকায় থাকতে একদিন অফিসে বসে তানিয়া আপুর ইমেইলে ফেসবুক খোলার জন্য একটা ইনভাইটেশন পেলাম। “এইটা অনেক মজার, তোমার একটা একাউন্ট করে ফেলো”। সেখানে আমার বন্ধু জুয়েলও আছে। তানিয়া আপু ইউসিএল-এ বায়ো-কালচারাল এ্যানথ্রোপলজিতে পিএইচডি করছেন তখন। আর জুয়েল মাষ্টারস করছে। ওদের সুন্দর সব ছবিটবি দেখে বোঝার চেষ্টা করলাম যে ব্যাপারটা আসলে কি। দুইজনই আামার খুব প্রিয় মানুষ। তারপর আমার কাজিনরা সব আমাকে একে একে এ্যাড করে নিল। সবাইকে পেয়ে ভালই লাগলো। সেই থেকে শুরু। এরপর বাকিটা সময় অপচয়ের ইতিহাস। কেমন একটা নেশার মতো। তবে সবটাই অপচয় তা হয়তো না। অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে এই ফেসবুকে অনেকটা সামনাসামনি পরিচয় হবার মতোই। পুরোনো অনেককে খুজেঁ পেয়েছি অনেক অনেক বছর পর। তেমন একজন সঞ্জীব কুন্ডু। আমার ছেলেবেলার বন্ধু। ওরা কোলকাতা চলে গিয়েছিল। হারিয়ে গিয়েছিল জীবন থেকে। ফেসবুক না থাকলে হয়তো আরো অনেকদিন ছোট্ট সঞ্জীবের ছবিটাই আমার চোখে সেঁটে থাকতো। দেখা হতো না বিশাল লম্বাচওড়া এক সঞ্জীবকে যে এখন ছয় মাস কোলকাতা আর ছয়মাস স্যানফ্রানসিসকো করে বেড়ায়। জানা হতো না, ওর বাবা, মা, পিসি এখনো আমাদের কথা বলেন।

ফেসবুকে দিনরাত কি করি এইটা একটা প্রশ্ন বটে। সবথেকে বেশি করেছি একটু পরপর পেজ রিফ্রেইশ। ফেসবুকটা একটা সাংঘাতিক পারফর্ম করার জায়গা। সবাই এইখানে মোটামুটি পারফর্ম করে নানাভাবে। স্ট্যাটাস, ছবি, কমেন্টস, নোটস, প্রোফাইল ছবি, লিংক পোষ্ট, সব মিলে বিশাল পারফর্মিভিটি। চেনাপরিচিত মানুষজন কম্পিউটার ব্যবহার করে কিন্তু ফেসবুক একাউন্ট নেই, এমন মানুষের সংখ্যা একেবারে হাতেগোনা। মাঝে মাঝে মনে হয়, এক একটা ইস্যু নিয়ে যেন ঝড় বয়ে যায় ফেসবুকে। চলে ব্যাপক অনলাইন স্যোশাল মুভমেন্ট। একে ধরে আনো, তাকে পেটাও, ওকে মাথায় তোলো – নানারকম কাজকর্ম থাকে দিনরাতব্যাপি। একবার একজনের ফেসবুকে লেখা দেখেছিলাম যে “তুই এখানে বসে আছিস, আর ওদিকে ‘অমুকের’ প্রোফাইলের ওয়ালে গিয়ে দেখ কি হচ্ছে, তাত্তাড়ি আয়” – বোঝাই মুশকিল কোনটা রিয়েল আর কোনটা সাইবার লাইফ। আগে মানুষ স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ছবি তুলতো, এখন মনে হয় ফেসবুক ইউজাররা শুধুই ফেসবুকের জন্য ছবি তোলে। অনেকের ছবি তোলার স্টাইলও পাল্টে গ্যাছে। একটা মজার স্টাইল পাওয়া যায় কিছু কিছু ছবিতে, একজন আরেকজনের উপরে ঢলে ঢলে পড়ে। আমার এক বন্ধু এসব ছবির নাম দিয়েছে, বেগুন গাছের ঢলে পড়া রোগ।

তো ফেসবুক কিছুদিন ধরে বন্ধ রাখার পর যেন খানিকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। তিনশো মানুষ প্রতিদিন কি করছে সেই খবর রাখতে হতো – চাট্টিখানি কথা! মানুষজন হাঁচি দিলেও ফেসবুকের ওয়ালে লিখে – হ্যাঁএ্যাএ্যা…চ্চু। এতো খবর রাখার আসলে আমার কোন প্রয়োজন নেই। কদিন খুব মিস করলাম সবাইকে। এখনো করি। তবে এখন মনে হচ্ছে যেন একটা ছুটি কাটাচ্ছি। ঠিক করে ফেলেছি যতোদিন এভাবে ভাল লাগে ততোদিন আর ফেসবুকে ঢুকবো না। চেনাপরিচিত নিকটজন ইতিমধ্যে ইমেইল পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে – কোন সমস্যা নাতো, ফেসবুকে নাই কেন। টেলিফোনও করেছে কেউ কেউ। এইটা ভাল লাগে। মানুষজন যখন খোঁজ নেয় আন্তরিকভাবে। সবচেয়ে মজার মেইলটা পেয়েছি ঢাকা ইউনিভার্সিটির এক সহপাঠির কাছ থেকে। তারসাথে আসলে তেমন যোগাযোগ হতো না, ইউনিভার্সিতেও যোগাযোগ বই-নোট-চোথা কেন্দ্রিক কাজে। নামকাওয়াস্তে শুধু ফেসবুকে আছে। তো সে জানতে চেয়েছে, কেন আমি তাকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে ডিলিট করে দিয়েছি? এবং সে এহেন অপমানে খুবই মাইন্ড করেছে। … কি সাংঘাতিক! একাউন্ট ডিএ্যাকটিভেট করেও শান্তি নাই! যাউজ্ঞা, একটা গান শুনি –

নিপসিয়া কনফারেন্স
নিপসিয়া মানে নরম্যান পিটারসন স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স। এটা হলো কার্লটন ইউনিভার্সিটিটে অনেকটা আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মতো। গতমাসে ওদের একটা কনফারেন্স ছিল। গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা ওয়ার্কসপ করবে হাই স্কুলের গ্রেড টুয়েলভ ছেলেমেয়েদের জন্য। প্রোপোজাল পাঠালাম। এক চিপা দিয়ে একসেপটেডও হয়ে গেল। ন্যাচারাল ডিজাসটার্স ইন থার্ড ওয়ার্ল্ডঃ হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস এন্ড রেসপন্সেস আন্ডার দ্য ওয়েস্টার্ন আই ছিল আমার টাইটেল। টাস্কি খাবার কিছু নাই, গালভরা টাইটেলটাই যা সম্বল। যতো গর্জে ততো বর্ষে না। তিনটা সেশন, এক ঘন্টা করে মোট তিন ঘন্টার বকবক। মূল ব্যাপার হলো তিনঘন্টা প্রেজেন্ট করলে একটা সম্মানজনক পয়সা পাওয়া যাবে। গরীব বিদেশী ছাত্র তীর্থের কাঁকের মতোই চেয়ে থাকে কিসে চারটে পয়সা আসে।

আমি মনে করেছিলাম পঁচিশ বা ত্রিশ জনের একটা গ্রুপ হবে হয়তোবা, কোন ব্যাপারস হবে না। গিয়ে দেখি প্রথম সেশনে ১৪০টা পোলাপান। বিশাল এক গ্যালারি রুম দেয়া হয়েছে টোরি বিল্ডিংয়ে। বুঝলাম যে ঘটনা আসলে ব্যাপারস! কনফারেন্স এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ক্যাথলিনের সাথে পরিচিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম বাকি প্রেজেন্টরদেরও এতো বড় রুমে এতো পোলাপান দিয়ে পাঠাইছো? মিষ্টি করে একগাল হেসে বলে যে, না, সবার বড় রুম লাগেনি। তোমারটায় বেশি পারটিসিপেন্টস সাইন ইন করেছে। তোমার টপিক খুবই হট! মুখে একটা কোষ্ঠকাঠিন্য হাসি ফুটিয়ে বললাম, তাই? জেনে এই এএএত্যো খুশি হলাম! তারপর টোরি থ্রি-ফর্টিতে গিয়ে এ/ভি, মাইক্রোফোন সবকিছু চেক করে স্লাইডগুলোয় চোখ বুলাতে থাকলাম আর সাথে চলতে থাকলো দোয়াদুরুদ। টেনশনে মাঝেমধ্যে লেবুপানিতে চুমুক দিয়ে যাচ্ছি। একসময় হলরুমে তিনভাগের দুইভাগ পূর্ন হয়ে গেল। শুধু পোলাপান না, সাথে তাদের শিক্ষকরাও আছে। মানে বেশি চাঁপাবাজি করলে ধরা খাবার একটা ভয় আছে। সাবধান হয়ে গেলাম! মিনিট পনেরো পর যখন বুঝলাম পোলাপানডি প্রেজেনটেশনের ভিতরে ঢুকে গ্যাছে, তখন এশিয়ান সুনামি ২০০৪ এর উপর একটা ভিডিও ক্লিপ ছেড়ে আমি সিরিয়াস ভঙ্গিতে ফাঁকিবাজি মারতে চুপ করে দাড়িয়ে থাকলাম আর এই পাতা উল্টাই, এটা করি, সেটা করি আরকি। সামনের সারিতেই একটা মেয়ে বসে শুনছিল, দেখছিল আর হার্সিশের চকোলেট বার চিবোচ্ছিল। একটু পর, ভিডিওটা তখনো চলছে, দেখি যে মেয়েটার কামড়ানো থেমে গিয়েছে। দেখতে দেখতে মেয়েটার মুখটা একটু হা হয়ে গেলো। হার্সিশের বারটা শুধু ধরে আছে, কামড় দিচ্ছে না আর বড় স্ক্রীনে সুনামির ধ্বংসলীলা দেখছে। মিনিটখানিক পর দেখি তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরছে। এই বয়সটায় মানুষ কি সহজসরল আর আবেগপ্রবণ থাকে! অনুভূতিগুলো কত প্রখর থাকে। মানুষের কষ্ট কি সাংঘাতিকভাবে স্পর্শ করে। বুড়া হইতে থাকলে মনে হয় এইসব ব্যাপার ভোঁতা হয়ে যায়।

প্লিজ কাম ব্যাক ওয়ানস এগেইন
জানুয়ারি মাসে একদিন কনকনে ঠান্ডায় রিডো সেন্টারের ভিতরে অপেক্ষা করছি বাসের জন্য। রাত প্রায় তখন দশটা হবে। সেদিন টেমপারেচার মাইনাস থার্টির উপরে ছিল। লোকজন তেমন বাইরে নাই। আমি আর মাত্র ক’জন বাসের অপেক্ষায়। দুইটা বেঞ্চ আছে বসার। একটাতে এক ইয়াং কাপল জড়োসড়ো হয়ে। আরেকটাতে একটা মেয়ে বসে আছে। আর দু’তিনজন এদিক ওদিক দাড়িয়ে আছে। দাড়ানোদের মধ্যে আমিও। এরমধ্যে শুনতে পেলাম, বিড়াল যেমন শীতকালে লেপের ভিতর থেকে তাড়িয়ে বের করে দিলে কেমন ক্যুঁই ক্যুঁই আওয়াজ করে এইরকম একটা শব্দ সেখানে নীরবতা ভেঙ্গে আমার কানে পৌছালো। আমি ভাবলাম, কিরে! এমন শব্দ কই থেকে আসে? দেখি যে মেয়েটা একা বসে ছিল সে হাঁটু ভেঙ্গে বসে মাথাটা দুই হাত দিয়ে ধরে আছে। সোনালি চুলগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। তার মুখটা দেখা যাচ্ছে না। দুই হাতে মাথাটা ধরে আছে। আর সেলফোন কানে। অন্যরা কেউ তেমন খেয়াল করছে না এমন একটা ভাব করে আছে। ধীরে ধীরে ক্যুঁই ক্যুঁই আওয়াজটা বাড়তে থাকলো। চিনচিনে কান্না একসময় স্বশব্দে বেরিয়ে আসলো।ওপারের মানুষটাকে বললো, আমি কিচ্ছু জানতে চাই না। আমি শুধু চাই তুমি ফিরে আসো। প্লিজ কাম ব্যাক ওয়ানস এগেইন। … আমি একটু দূরে পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। হটাৎ খেয়াল করলাম কখন যেন পকেট থেকে হাতদুটো বের হয়ে আনমনে নিজের আঙ্গুলগুলো অকারণে ফোটাতে শুরু করেছি। আমার বাস চলে আসলো। আমি সহ বাকি সবাই বাসে উঠে পড়লাম। মেয়েটা বাসে উঠলো না। বসে থাকলো একইভাবে।

বছর দশেক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম জীবনে। টিএসসির জনতা ব্যাংকে পরীক্ষার ফিস জমা দিয়ে নীলক্ষেত যাবো তাই রিকশায় চড়েছি। একটু এগিয়ে রোকেয়া হলের সামনে আসতে দেখি। গেটের পাশে জারুল গাছটার কোলে একটি মেয়ে আর ছেলে। মেয়েটি হাকিম চত্বরমূখী আর ছেলেটি রোকেয়া হলের দিকে ফিরে দাড়িয়ে। মেয়েটি কাঁদছে। একসময় ছেলেটার শার্ট খামচে দুই হাত দিয়ে একটা টান দিলো আর শার্টটা ফড়ফড় করে ছিড়ে গেল। কি ঘটনা, কি কথা – আর বেশি কিছুই জানিনা। শুধু মুহূর্তের ভিতরে ঘটে যাওয়া এই দৃশ্যটি দেখেছিলাম। সাথে সাথেই আমার রিকসা সেই দৃশ্য থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিল। এতো দিনেও সেটা ভুলিনি। ভালবাসা যেমন সবখানে, বিচ্ছেদও সবখানে।

এই কার্ডটা
ভ্যালেনটাইনস ডে নিয়ে সবদেশেই মাতামাতি আছে। এইটা এখন একটা সোশ্যাল রিচ্যুয়াল পালন করার দিন। মানুষজন যেন গদগদ হয়ে বাগবাকুম করতে থাকে। এবারের ভ্যালেনটাইনস ডে’র বেস্ট কার্ড ছিল মনে হয় এইটা –

এই লেখাটা কি চলবে?
অটোয়ায় আসার পর থেকেই জার্নাল লেখার কথা ভেবে যাচ্ছি। প্রতিবছর নতুন করে লেখা শুরু করি তারপর যেই কি সেই। প্রথমে ডায়েরি, তারপর কম্পিউটার। কতভাবে লিখতে চেষ্টা করলাম। দেখি যে লেখা ঠিকই শুরু করি, তারপর সেটা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায় কদিন পর। জার্নাল লেখার পিছনে কোন মহৎ উদ্দেশ্য নাই। অনেকদিন পর পিছনের দিনগুলো ফিরে দেখতে ভাল লাগে। কেমন ছিলাম। কি করতাম। কি ভাবতাম। এইসব হাবিজাবি আরকি। ভারি ভারি কথা লিখতে আমার ভাল লাগে না। দৈবক্রমে দুএকটা লিখে ফেললেও পরে পেট ব্যথা করে। এইখানে সব যে আমার কথাই থাকবে এমন নাও হতে পারে। ফিকশনাল জিনিসপত্রও ঢুকে পড়তে পারে। মানে একটা স্পেইস খুঁজছি যেখানে আসলে ছন্নছাড়া কথা লেখা যায়। দেখি চালাইতে পারি কিনা এইটা।

৩,২৬৬ বার দেখা হয়েছে

৫৯ টি মন্তব্য : “অটোয়ার জার্নাল – এক”

  1. রায়েদ (২০০২-২০০৮)

    ভাইয়া পড়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। একটু একটু বিষন্নতাও ছুয়ে গিয়েছে বোধ হয়। কিন্তু ভালো লেখা পড়ার যে আনন্দ পড়া শেষ করার পর সেই আনন্দটা টের পাচ্ছি।

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    জার্নাল চলবে মানে? দৌড়াবে ভাইয়া দৌড়াবে... :hatsoff: :hatsoff:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. রাশেদ (৯৯-০৫)

    সিরাম লেখা রাব্বী ভাই 🙂
    আমিও আজকাল ফেসবুক ব্যবহার কমায়ে দিছি। ব্যবহার কমানোর পর দেখি প্রতিদিন হাতে প্রায় দুই ঘন্টা এক্সট্রা সময় থাকে। আর কনফারেন্স টাইপ ভারী শব্দ শুনলে ভয় লাগে তাও ভিডু দেখতে চাইছিলাম তবে এত শক্তিশালী নেট লাইন দিয়া দেখতে সফল হইলাম না 🙁
    আর লেখা বন্ধ করে লাভ কী বলেন তার থেকে নিয়মিত দিয়া দেন আমরা মজা করে পড়ি 🙂
    একটা অফটপিক প্রশ্ন করি, রাব্বী ভাই কোন সাবজেক্টের ছিলেন?


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      এবং ফেসবুক
      নাহ, আপনে ভালোই জনপ্রিয় আছেন বুঝা যাইতেছে!! ভাবছি জনপ্রিয়তা -নির্ণয়ে কচুপাতা স্কেলীয় এই পদ্ধতিটা নিজেও একবার ট্রাই মারবো কী না। 😛

      নিপসিয়া কনফারেন্স
      আসলে কৈশোরই মনে হয় আবেগ এবং এর পরিস্ফু্রণের সবচেয়ে তীব্র সময়!!

      প্লিজ কাম ব্যাক ওয়ানস এগেইন
      =(( =(( প্রেমের নাম বেদনা 😕

      এই কার্ডটা
      এইটা কি টু হান্টসভিল নাকী ফ্রম হান্টসভিল? :shy:

      এই লেখাটা কি চলবে?
      লেখার গাড়ি চলুক তবে, খালি একটাই অনুরোধ- নো যাত্রা-বিরতি! 😀


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
      • রাব্বী (৯২-৯৮)

        এক. কপিক্যাট হওয়া ভালু না।
        দুই. কৈশোর বিষয়ে আমার থেকে তোর গরিমা অনেক বেশি হবার কথা।
        তিন. "প্রেমের নাম বদনা" - বুচ্ছোস তাইলে? থাক, দুঃখু করিসনা।
        চার. ফ্রম হান্টসভিল। 😡
        পাঁচ. গাড়ি চলিবেক। বিরতিতে চা, কুক-পান্টা খাওয়া হইবেক। কিন্তু দুষ্টু ফানটা খাওয়া হইবেক না। আর গাড়ি থাইমা গেলে বেশি ঠেলাঠেলি কাম্য নহেক।


        আমার বন্ধুয়া বিহনে

        জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      ফেসবুকটা খুব ডিসট্রাকটিং। কনফারেন্স শব্দটা একটু ভারীই তবে পয়সা দিলে খানিকটা হালকা লাগে। আইচ্চা, লিখা চালানুর চিষ্টা করবাইম। আমার বিষয় নৃবিজ্ঞান।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
  4. রাব্বী, আপনার লেখাটা পড়ে সুখের মত ব্যথা পেলাম। আশা করি, এমন বেদনামধুর লেখা আরো লিখে যাবেন।

    একটা একাডেমিক ব্যাপারে প্রশ্ন করি। এঙ্গেলস-এর মাতৃতান্ত্রিক সমাজের ব্যাপারে শুনেছি আধুনিক একাডেমিশিয়ানেরা একমত নন এবং এটা তাঁরা মিথ হিসেবেই ধরেন। ব্যাপারটা নিয়ে কোন লেখা বা কোন রেফারেন্স দিতে পারেন? না হয় আপনি নিজেই দিন না একটা লেখা?

    শুভেচ্ছা।

    জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      ধন্যবাদ হিল্লোল।

      এ্রঙ্গেলসের দ্য অরিজিন অব দ্য ফ্যামিলি, প্রাইভেট প্রপার্টি এন্ড দ্য স্টেট পড়েছি ধরেন বছর/এগারো দশেক আগে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য। তারপর গুলে খেয়ে ফেলেছি। যাইহোক, বইটা খুব গুরুত্বপূর্ন কারণ এঙ্গেলসের প্রভাব মার্কস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান নানাভাবে। তবে, ফেমিনিস্ট স্কুল এঙ্গেলসের সমাজের রুপান্তরের ধাপগুলোকে অতিসরলীকৃত হিসাবে ক্রিটিসাইজ করে। যার ভিত্তি হলো পঞ্চাশের দশকের পরের এথনোগ্রাফিক কাজ। আপনি আগ্রহী হলে সিনথিয়া এ্যালারের দ্য মিথ অব ম্যট্রিয়ারক্যাল প্রিহিসট্রি পড়তে পারেন।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
  5. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    কচুঁপাতা তু্মি লেখো ভাল। সবকিছুই দেখছো আবার কিছুই দেখছো না মানে একটু পরিভ্রমক আর বোহেমিয়ান টান আছে তোমার লেখায়। এটা বেশ টানে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাব্বী (১৯৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।