সিক পাবলিক

কদিন আগে একটি মেইল পেলাম। মেইলের সাবজেক্টে লেখা দেশের একজন মডেল এবং অভিনেত্রীর নাম। আর কিছু লেখা নেই। যে পাঠিয়েছে সে যে খারাপ মানুষ তাও নয়। বস্তুত আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মেইলটি পেয়ে অত্যন্ত উৎসুক চিত্তে চলে গেলাম মেইলে নির্দেশিত একটি সাইটে। আমার ব্রাউজারের নিরাপদ সার্ফিং টুলটি  জানান দিল, এই সাইটের রেপুটেশন ভাল নয়। আমার অতি উৎসাহী দমক থামাতে না পেরে আমি সেই সাইটে ঠিকই গেলাম। ক্লিপটি দেখলাম। দেখার পর উৎসুক্য কেটে যে বিষয়টি প্রথমে মাথায় আসলো এই মেয়েটির ভবিষ্যত জীবন শেষ! আমি আসলে ঠিক জানি না তার ভবিষ্যত শেষ না বিবমিষার জীবন শুরু।

বিষয়টি হয়তো একটু অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। কারণ বিষয়টি আর দশটি ঘটনার মতো কোন স্বাভাবিক কিছু নয়। যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি। একটি মেয়ে। সে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে কিছু অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছিল। ছেলেটি তার ফ্যান্টাসি চরিতার্থ করতে গিয়ে অথবা মেয়েটির সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাদের, আরো স্পষ্ট বললে মূলতঃ মেয়েটির কিছু ভিডিওচিত্র তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ঘটনাক্রমে ছেলেটির সাথে মেয়েটির সম্পর্কটি বিচ্ছেদ হয়। মেয়েটি একপর্যায়ে তার একজন সহকর্মীর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। মেয়েটির প্রাক্তন প্রেমিক প্রতিশোধপরায়ন হয়ে বা তার অসুস্থ মানুষিকতার কারণে মেয়েটির সাথে তার অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ক্লিপগুলো ইন্টারনেটের পাবলিক শেয়ার সাইটগুলোতে আপলোড করে দেয়। এই হলো মোটামুটি ঘটনা। এখন পর্যন্ত এরকমটাই জানি। এটি গত পাঁচ সাতদিনের ঘটনা।

তারপর থেকে দাবানলের মতো ক্লিপগুলি এক সাইট থেকে আরেক সাইটে ছড়িয়ে পড়ছে। এক হাত থেকে আরেক হাতে ছড়িয়ে পড়ছে। ল্যাপটপ, সেল ফোন, পিসি থেকে বেডরুম, স্টাডিরুম, অফিস, ছাত্রাবাস থেকে পাড়া, মহল্লা, দেশ-বিদেশ, সবখানে। এ ধরনের ঘটনায় এমনটিই সাধারণত ঘটে থাকে। আমার আশপাশে খুব কম মানুষ আছে যারা বিষয়টি জানেন না। হায় হায় এইটা কী হলো টাইপ কথাবার্তা শেষে আমরা যে কথাটিতে সবাই একমত তা হলো এটি একটি অপরাধ। সাংঘাতিক সাইবার ক্রাইম। একথা ঠিক যারা তারকা তাদের জীবন অনেকটাই হয় সুঁইয়ের মতো। আর আমরা পাবলিক হলাম চালনি। আমাদের বহু ফুটো বিশিষ্ট পশ্চাদদেশ জীবনেও নিজেদের চোখে পড়ে না। কিন্তু সেলিব্রিটিদের যে কোন কিছু সুঁইয়ের একটি ফুটোর মতো পাবলিকের বিবেকে সুড়সুড়ি কিংবা অপার সুখ এনে দেয়। আজ সকালে এক বন্ধু কথায় কথায় বললো আসল দর্শনীয় তামাশাটি হচ্ছে সেই মেয়েটির ফেইজবুক ফ্যান পেইজে। মানুষের ইনস্টিংট, কৌতুহল সবকিছু হাঁট মানছি। ফ্যান পেইজটি দেখে আমার মনে হলো, আমরা এতো চুতিয়া পাবলিক কেন?

হাতে গোনা কজন শুধু বলেছে যে ছেলেটি ভিডিও ক্লিপগুলো আপলোড করে অন্যায় করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মেয়েটিকে গালাগাল করেছে এবং উপভোগ্য একটি ক্লিপ উপহার পাওয়ায় তারা যারপরনায় খুশি। তাদেরও খায়েশ মেয়েটিকে অন্তরঙ্গভাবে ভোগ করার এবং সেটি তারা নিঃসংকোচে ব্যক্ত করেছে। অবস্থাদৃষ্টে অনুমান করছি, একটি বড় গোষ্ঠি ক্লিপগুলো দেখার স্বর্গীয় আনন্দে মৈথুনসুখ উপভোগ করবেন। গুপ্ত বাবুর মগজ ধোলাই থেকে বেরিয়ে এসে কি একটিবার চিন্তা করা উচিত না যে কাজটি আমজনতা দর্শক হিসেবে আমরা করছি সেটি অরুচিশীল এবং অনৈতিক? ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে মেয়েটিকে বারবণিতা হিসেবে গালাগাল দেওয়া হচ্ছে। একটি মেয়ে তার প্রেমিকের সাথে অন্তরঙ্গ হলে কেন তাকে বারবণিতা ট্যাগ করতে হবে? আমাদের কারো পরিবারের সদস্য হলে কি আমরা এমনটি করতাম? কিংবা আমার বা আপনার সাথে এমনটি হলে তখন কী ভাবতাম? আমি মেয়েটির কোন ফ্যান নই। মেয়েটি যখন মিডিয়াতে স্থান করে নেয়, ততোদিনে আমার মোটামুটি বাংলা টিভি দেখার সুযোগ সীমিত হয়ে এসেছে। আমি জানিনা মেয়েটির কোথাও কোন ভুল আছে কিনা। কিন্তু সাধারন বিবেচনায় এটুকু বুঝি, কোন ব্যক্তির সম্মান স্থলন হতে পারে এমন একান্ত ব্যক্তিগত ক্লিপিং আপলোড করা একটি অনৈতিক এবং অমার্জনীয় কাজ। সেটি করা হচ্ছে একটি অসৎ উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে যাতে তার ব্যক্তি জীবন এবং ক্যারিয়ার ধংস হয়ে যায়।

দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি, এই মেয়েটি এখন কোন পাবলিক প্লেসে গেলে মানুষ আঙ্গুল তুলে অশ্রাব্য ঈঙ্গিত করবে। থুথু ছুঁড়বে। অশালীন টিটকিরি এবং প্রস্তাব ছুঁড়ে দিবে। আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী, সহকর্মী তাকে এড়িয়ে চলবে। অনেকেই বয়কট করবে। তার ক্যারিয়ার ধ্বসে যাবার আশংকা একেবারে অমূলক নয়। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনও নিশ্চিতভাবে কল্পনার অতীত সংকটে পড়বে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশের নাকি একটি সাইবার অপরাধ দমন সেল রয়েছে, তারা কি করছে? এইযে কাজটি হয়েছে, তার অপরাধ গুরুত্ব বিবেচনায় ধর্ষনের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। মেয়েটি হয়তো সাহস থাকলে শক্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে। কিন্তু সামাজিকভাবে মেয়েটি যে হেয় প্রতিপন্ন হলো সেটি সারাজীবন তাকে বয়ে বেড়াতে হবে। সরকারের ইন্টারনেট তদারকি প্রতিষ্ঠানসমূহ পান থেকে চুন খসলেই ব্লগ ব্যান করে, ফেইসবুক ব্যান করে, এখন কি তাদের কোন দায়দায়িত্ব নেই? আমি জানিনা এই জাতীয় অপরাধের আইনি কোন সঙ্গা এবং ভুক্তভোগীর প্রতিকারের ব্যবস্থা আছে কিনা, না থাকলে সেটি জরুরীভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। পৃথিবীর অনেক দেশেই এধরনের কাজ “হেইট ক্রাইম” হিসেবে সাইবার ক্রাইমের আওতায় পড়ে, যা একটি ফৌজদারী অপরাধ। সাধারনভাবে সাইবার অপরাধ বলতে বুঝায় যে কোন ফৌজদারী অপরাধ যা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে সংগঠিত হয়।

সময় এসেছে অনুধাবণ করার যে সাইবার স্পেস অপরাধ  কী বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে আমাদের ব্যক্তি এবং সামাজিক জীবনে। আমি জানি, এই লেখাটি কোন মহাভারত উদ্ধার করবে না। কিন্তু যারা এটি পড়লাম তারা অন্তত জনমত তৈরি করতে পারি বন্ধুদের মধ্যে যে কাজটি অন্যায় হয়েছে এবং অন্যকে নিরুৎসাহিত করতে পারি এই জাতীয় কাজকে মৌন সমর্থন দিতে। যে ব্যক্তি এই জাতীয় ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে আপলোড করে নিদ্রিষ্ট কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সংকটে ফেলার জন্য, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কিংবা বিকৃত আনন্দ পাবার জন্য সে অবশ্যই একজন অপরাধী এবং তার একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। আশা করবো, ইন্টারনেটে এই ক্লিপ নিয়ে পাবলিকের চুতিয়ামি বন্ধ হোক।

৫৫ টি মন্তব্য : “সিক পাবলিক”

  1. রায়েদ (২০০২-২০০৮)

    কি বলব? কাউকে কাউকে বলতে শুনছি ঈদের পর দেখবে। কিন্তু আমি তো তাদেরকে এই ব্যাপারে নিষেধ করিনি।
    আগেত নিজেকে শোধরাতে হবে।
    তবে একটা ব্যাপার শুধু মেয়েটির নয় যে ছেলে তাকে বিয়ে করেছে তার পারিবারিক জীবনেও নিশ্চয় ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

    জবাব দিন
  2. আজাদ (৯৪-০০)

    সারা পৃথিবীতে কি দ্রুততার সাথেই না এই লিঙ্ক/ভিডিও টি ছড়িয়ে গেল।
    ওই বেটার নামও তো গোপন নেই।
    অবশ্যই তার বিচার হওয়া উচিত।
    কিন্ত এটা স্বীকার করতেই হবে কেমন যেন মোটা চামড়ার প্রাণী হয়ে যাচ্ছি দিনে দিনে। কোনো কিছু কেউ লাথথী দিয়ে না দেখাইলে মনে আচড় কাটতে চায় না ঃ(

    জবাব দিন
  3. দেয়া (২০০২-২০০৮)

    এই একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল যুগে আমরা এখনো কেন বর্বর যুগের মতো আচোরণ করি?যত দিন যাচ্ছে মানুষ যেন পৈশাচীক কাজ করে আনন্দ পাচ্ছে।কেন একটি মেয়ের ভিডিওচিত্র আপলোড করে বা ফেইসবুকে তার নামে ফেক এ্যাকাউন্ট খুলে তাতে মেয়েটির নামে বাজে মন্তব্য করে মানুষ আনন্দ পাবে?কেন যে দিনে দিনে মানুষের বোধ বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে বুঝি না।এগুলোই কি আমাদের উন্নতির প্রমান?মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট লাগে এই সব মানুষের সাথে একই সমাজে থাকতে হচ্ছে চিন্তা করে।ধন্যবাদ ভাইয়া লেখাটা দেয়ার জন্য।

    জবাব দিন
  4. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    ভালো একটা টপিকে লিখেছিস দোস্ত .... প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদের জীবন যাত্রা বদলে গেসে কিন্তু সেই অনুযায়ী আইনগুলো এখনো আপডেট করা হয়নি ......

    জবাব দিন
  5. আহমেদ

    সবচেয়ে খারাপ লাগে, যখন দেখি যে আশেপাশের চেনা জানা মানুষগুলাও সবসময় মেয়েটারই দোষ দেয়। এমনকি আমার এক বন্ধুও বললো, "৮ বছর প্রেম করে অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করলে তো এমনই হবে"...
    কিন্তু এইখানেই আমার একটা বিশাল "আপত্তি" আছে। প্রথমত, এটা সম্পূর্ণই মেয়েটার ব্যক্তিগত ব্যাপার। মানুষের ১৫-২০ বছরের সংসারও ভেঙ্গে যায়, দোষ দুইজনের সমান সমান। একক ভাবে কেন মেয়েটাকেই দোষারোপ করতে হবে? তারপরেও ধরে নিলাম, মেয়েটার দোষ ছিল। তারপরেও এইরকম একটা জঘন্য প্রতিহিংশা মূলক কাজ কখনই কাম্য নয়।
    এছাড়াও, ছেলেটা যদি এতো ভালই হবে, তাহলে এমন একটা কাজ কিভাবে করে? ৮টা বছর তো ছেলেটাও প্রেম করেছে, ঠিক না? ওইটা যদি ছলনা না হয়ে সত্যিকারের ভালোবাসাই হতো, তবে এমন একটা কাজতো পশুও করতে পারবে না।
    ধিক্কার...

    জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      ভাই তানভীর, তোমার কমেন্টটি আমি স্পষ্ট বুঝতে পারিনি। দয়া করে যদি নিচের প্রশ্ন তিনটির উত্তর পেলে হয়তো আমার একটু বুঝতে সুবিধা হতো।

      ১. কি সাফাই গাওয়া হয়েছে লেখাতে? "এতো সাফাই গাওয়া" বলতে কি অর্থ করে?

      ২. প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে কোন ব্যক্তির অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ক্লিপে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে যদি পাবলিক সেটি নিয়ে অসুস্থ আনন্দ মেতে ওঠে সেটি কি মৌনসমর্থন করা উচিত?

      ৩. কি কি করলে "দেইন" আমাদের দেশের সামাজিক সম্পর্ক রক্ষা করা হয়?


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
  6. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    মেয়েটি যত অন্যায় করেই থাকুক না কেন(যদিও তার ব্যক্তিগত ব্যাপারকে বিচার করার আমি কেউ নই,যুক্তির খাতিরে ধরে নিচ্ছি ) ছেলেটি যা করেছে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।নিজের প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে অন্তরংগ ছবি যে লোক ইন্টারনেটে ছাড়ার মত নীচ কাজ করতে পারে-ধরে নিতে হবে সেই লোকের কোন মেয়েকে ভালোবাসার যোগ্যতাই নেই।

    জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        কি হাস্যকর রকমের হিপোক্রেট আমরা! নারী-পুরুষের শারীরিক ভালোবাসাবাসি করাকে সিক বলি, প্রেমিক-প্রেমিকার চুমু খাওয়া আমাদের কাছে ঘুষ খাওয়ার চাইতেও বড় অপরাধ, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী স্বেচ্ছায় মিলিত হলে আমাদের জাত চলে যায়, যুবক যুবতী নিজেরা মিলিত হয়ে সেটা নিজেদের একান্ত শেয়ারিংএর জন্যে ভিডিও করাটা আমাদের কাছে বিকৃত লাগে - অথচ আমাদের জনসংখ্যা পৃথিবীর সর্বোচ্চগুলোর মধ্যে একটি! শুধু তাই না,পর্ন সাইটগুলো আমাদের দেশে দুর্দান্ত জনপ্রিয়!

        ভালোবাসাবাসির একান্ত গোপন মুহূর্তগুলো প্রাক্তন প্রেমিকার বিনা অনুমতিতে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে তাকে গোটা ইন্টারনেটের সামনে নগ্ন করে দেয়ার চাইতে "এইগুলা"(অর্থাৎ ভালোবাসাবাসি) করা যে আমাদের কাছে অতি জঘন্য কাজ হবে,তাতে আর আশ্চর্য কি!

        জবাব দিন
        • ''কি হাস্যকর রকমের হিপোক্রেট আমরা!......প্রেমিক-প্রেমিকার চুমু খাওয়া আমাদের কাছে ঘুষ খাওয়ার চাইতেও বড় অপরাধ (এইটা কি তাহলে?) .........দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী স্বেচ্ছায় মিলিত হলে আমাদের জাত চলে যায় (কোথায় পাইসেন জে এইটা জাত যাবার মত কিসু না?) ..........যুবক যুবতী নিজেরা মিলিত হয়ে সেটা নিজেদের একান্ত শেয়ারিংএর জন্যে ভিডিও করাটা আমাদের কাছে বিকৃত লাগে –''(এখন আমি confused , আসলে ক বিকৃত..)

          ভাই আপনি কোন দেশের বাসিন্দা? আপনি কোন ধর্মের অনুসারী ? আধুনিক হয়েসেন বলে কি নিজের ধর্ম, দেশ, বিবেক সব বিসর্জন দিয়েসেন? কেন আপনার মনে হলো প্রেমিক প্রেমিকার চুমু অপরাধ না? স্বেচ্ছায় মিলিত হলে জাত যাবে না? আর একান্ত মুহুর্তের ভিডিও করা বিকৃত রুচির পরিচয় না?
          আমি অবশ্যই যাকে নিয়ে এত আলোচনা, তার বিরুদ্ধে অবস্তান nissi না, কিন্তু আধুনিকতার দোহাই দিয়ে এইগুলাকে স্বীকৃতি দেবার চেষ্টা করা ঠিক হবে না.
          আমার বক্তব্য ভুল হলে ঠিক করে দিবেন প্লিজ.

          অথচ আমাদের জনসংখ্যা পৃথিবীর সর্বোচ্চগুলোর মধ্যে একটি! শুধু তাই না,পর্ন সাইটগুলো আমাদের দেশে দুর্দান্ত জনপ্রিয়!

          জবাব দিন
  7. আমার মনে হয় যারা মন্তব্য করেছেন তারা অনেকেই ভিডিও ক্লিপ টা দেখেছেন আর যদি না দেখে থাকেন তা হলে আরেকবার দেখে তার পর মন্তব্য করেলে হয়ত আপনাদের ধারনা পরিবরতিতও হতে পারত...ক্লিপ টি ছেলেটি ভিডিও করে অন্যায় করেছে এটা ঠিক কিন্ত মেয়েটির সেখানে ফুল সাপোরট ছিল। মেয়েটি নিজেথেকেই অনেক অশ্লিল ভঙ্গিমা শো করেছে আর ছেলেটি ভিডিও টি জোর করে কিংবা মেয়েটির অজান্তে ধারন করে নাই...মেয়েটি খুব ভাল করেই জানত যে ভিডিও ধারন হচ্ছে মেয়েটি বাধা ত দেয় ই নাই বরংচ সাহায্য করেছে ছেলেটিকে জেন ভাল ভাবে ভিডিও ধারন করা যায়। এখন আপনারা বলছেন তার প্রেমিকের সাথে সে অন্তরঙ্গ হতেই পারে কিন্ত যে এরকম একটা ভিডিও ধারনে সম্মতি দেয় তার কি জানা থাকা ওচিত না যে এটা পাব্লিশ হতে পারে???? এখন যদি বলেন যে আমাদের প্রেমিক প্রিমেকার সাথেও আমাদের অনেক ভিডিও ধারন করা আছে এতে দোষের কি আছে??? তাহলে ভাই আমি শুধু এইটুকই বলব আপনারা তো তাহলে "মহা সিক"!!

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      আমার প্রেমিকার সাথে কি করলে কোনটা সিক আর কোনটা নন-সিক সেইটায় নাক গলানোর দায়িত্ব বা অধিকার কোনটাই আপনেরে বা আর কাউরে দেওয়া হয়নাই।যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য কারো ক্ষতি হচ্ছে এবং উভয়েরই সম্মতি আছে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসাবাসির ভেতরে নাক গলাইতে আসলে নাক কাইটা নাকের বদলে নরুণ ধরায় দেয়াটাই মোটামুটি স্বাভাবিক আচরণ। মেয়েটা জানতো যে এইটা পাবলিশ হইতে পারে কিন্তু জাইনাও ছেলেটারে বিশ্বাস করছিলো-এইটা চরম গাধামী হইতে পারে কিন্তু অপরাধ না,কিন্তু বিনা অনুমতিতে যেই ক্লিপ থাকার কথা একান্তভাবে প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য সেই ক্লিপ সারা দুনিয়ায় ছড়ায়ে দেওয়াটা অতীব জঘন্য এবং অনেক দেশেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

      আপনার সিকনেসের যেই সংজ্ঞা দেখাইলেন ভাই,আর যাই করেন, প্লিজ ডাক্তার হইয়েন না কখনো, নির্ঘাৎ রোগী মাইরা ফেলবেন।

      জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      ভাই রেজা, ক্লিপটি আবারো দেখার উদার্ত আহবানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কাজটি দয়া করে আপনিই করুন। তাতে করে হয়তো উপাদেয় আরেকটি ক্লিপ রিভিউ লিখে ফেলতে পারবেন। এবং বলা যায় না, হয়তো "মহাসিক" হাইপোথিসিসটি একটি পূর্নাঙ্গ থিসিসে রুপ দিয়ে ফেলতে পারবেন।

      আপনার জন্য বাদবাকি জবাব মাসরুফ দিয়ে দিয়েছে। ওকে ধন্যবাদ দিতে কিন্তু কার্পন্য করবেন না।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
  8. তাইফুর (৯২-৯৮)

    রাব্বী দোস্ত,
    আমি অসুস্থ্য নই ... কনফার্ম। তবে তোর একপেশে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার কিছু বক্তব্য আছে। আমি আসলে দু'জনকেই সমান দোষী বলতে চাচ্ছি ... পোলাটা এবং মাইয়াটা ... দুইটাই অসুস্থ্য ...

    একটি মেয়ে। সে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে কিছু অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছিল। ছেলেটি তার ফ্যান্টাসি চরিতার্থ করতে গিয়ে অথবা মেয়েটির সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাদের, আরো স্পষ্ট বললে মূলতঃ মেয়েটির কিছু ভিডিওচিত্র তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ঘটনাক্রমে ছেলেটির সাথে মেয়েটির সম্পর্কটি বিচ্ছেদ হয়। মেয়েটি একপর্যায়ে তার একজন সহকর্মীর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। মেয়েটির প্রাক্তন প্রেমিক প্রতিশোধপরায়ন হয়ে বা তার অসুস্থ মানুষিকতার কারণে মেয়েটির সাথে তার অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ক্লিপগুলো ইন্টারনেটের পাবলিক শেয়ার সাইটগুলোতে আপলোড করে দেয়।

    মেয়েটির প্রতি খুব বেশি সমবেদনা নিয়ে লিখছিস ... বোঝা গেল।

    ১। ক্লিপটা দেখে কি মনে হয়েছে "ইচ্ছার বিরুদ্ধে" "জোর পূর্বক" ধারণকৃত ?? ভিডিও করার সময় সরলা মেয়েটি আপত্তি করে নি কেন ?? তবে কি মেয়েটিও মানষিক ভাবে অসুস্থ্য ??
    ২। প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে এত বেশী অন্তরঙ্গ সময় কাটানো কি অন্যায় নয় ?? আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কি বলে ??
    ৩। সরল বিশ্বাসের সুযোগ বলতে তুই কি বুঝাইলি ?? হাস্যকর ... বিশ্বাস এতটা সরল হওয়া ভাল না।
    ৪। একটি মেয়ে তার প্রেমিকের সাথে ঠিক কতটুকু অন্তরঙ্গ হওয়া উচিৎ ?? প্রেমিক আর স্বামীর সাথে অন্তরঙ্গতা'র কতটুকু তারতম্য রাখা উচিৎ ??

    (আমারে আবার সিক বলিসনা ... পোলা'র অন্যায় গুলাতো তুই বইলাই দিছিস ... আমি একমত, তাই আর রিপিট করলাম না ... মাইয়ার অন্যায় গুলা যেহেতু তুই এড়িয়ে গেছিস ... তাই ADD করলাম 😉 )

    বাই দি বাই ... ক্লিপটা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। তোর ব্লগ পইরা দেখার কৌতুহল হইল ... সেক্ষেত্রে ক্লিপটার পাবলিসিটি'তে তোরও পরোক্ষ মদদ আছে ... 😀


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      (মন্তব্যটি কিছুটা স্পর্শকাতর-মডু যদি মনে করেন এটি এডিট করবেন/মুছে দেবেন সেক্ষেত্রে আমার পূর্ণ সম্মতি থাকবে)

      মামা, আপনার প্রশ্নগুলার উত্তর দিতে চেষ্টা করি( মাইর দিয়েন না :frontroll: :frontroll: )

      ১) না,মেয়েটি স্বেচ্ছায় ক্লিপ ধারন করেছে। কিন্তু খেয়াল করুন, ভিডিও ক্লিপ ধারণ করাকে সিক বলা হয়নি, সিক বলা হয়েছে নিজেদের একান্ত মুহুর্তগুলোর ক্লিপ(যা শুধু নিজেদের জন্যেই ধারণকৃত) নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারা বিশ্বের কাছে উন্মচন করাকে। উক্তি দেখুনঃ

      সাধারন বিবেচনায় এটুকু বুঝি, কোন ব্যক্তির সম্মান স্থলন হতে পারে এমন একান্ত ব্যক্তিগত ক্লিপিং আপলোড করা একটি অনৈতিক এবং অমার্জনীয় কাজ। সেটি করা হচ্ছে একটি অসৎ উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে যাতে তার ব্যক্তি জীবন এবং ক্যারিয়ার ধংস হয়ে যায়।

      আর নিজেদের যৌনক্রিয়ার ভিডিও ধারণ করা সিক নাকি সুস্থ্য এ ব্যাপারে আমি বলব, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী তাদের যৌনজীবনে কিভাবে কি করবে,নিজেদের আনন্দের জন্য সেটা ভিডিও করবে না অডিও করবে(যতক্ষণ পর্যন্ত না তা চাইল্ড পর্ণ বা এ জাতীয় ক্ষতিকর কিছু না হয়) সেটা দেখার দায়িত্ব সমাজের উপরে না ছেড়ে তাদের উপরে ছেড়ে দেয়াই ভালো।

      ২) ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে অন্যায় হয়, অন্যায় হয় কনজারভেটিভ সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখলেও।কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না তা তৃতীয় কারো সরাসরি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তার প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে কিভাবে কিরকম সময় কাটাবে সেটা বিচার করার দায়িত্বটাও তাদের উপরেই ছেড়ে দেয়াই উচিত।আরেকটা কথা, ওই মেয়ে এগুলো করেছে তার তৎকালিন প্রেমিকের সাথে-নতুন প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে নয়।

      ৩) এই ক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে কিছুটা একমত।সরল বিশ্বাস বললে ভুল হবে-বলা যেতে পারে চরমতম গাধামী।কাউকেই এতটা বিশ্বাস করা উচিত না, ৮ বছরের প্রেমিক হইলেও না।প্রেমিকের সাথে সেক্স করা পৃথিবীর সব দেশেই অতি স্বাভাবিক ব্যাপার-যেইসব দেশে তা নিষিদ্ধ সেইসব দেশেও গোপনে গোপনে খুব ভালভাবেই এইটা চলে।কিন্তু প্রেমিকার বিনা অনুমতিতে সেইসবের ক্লিপ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া অনেক দেশেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।আমাদের দেশে হয়তো এই আইন সরাসরি নাই( আইসিটি সম্পর্কে এক আইনের ছাত্রীর সাথে এইটা নিয়ে কথা বলে জানতে পারলাম) কিন্তু সাধারণ বিচার-বিবেচনাতেই বোঝা যায় এইটা অতি জঘন্য রকমের অন্যায়।আরো দুঃখজনক হচ্ছে এইরকম জঘন্য অন্যায়টাকে "ও কেন ৮ বছরের প্রেম আর এনগেজমেন্ট ভেঙ্গে চলে গেল" এই কথা বলে জায়েজ করার চেষ্টা করাটা(আপনি করছেন সেইটা বলিনাই,বলছি আমার আশে পাশের যারা করছে তাদের কথা)।

      ৪) এইটাও ওই মেয়েটার উপরেই ছেড়ে দেয়া উচিত।ওই মেয়ে যদি মনে করে যে প্রেমিক এবং স্বামীর মধ্যে অন্তরঙ্গতায় পার্থক্য না থাকলেও চলে এবং বিয়ে করার সময় যদি স্বামীর কোন সমস্যা না থাকে তাহলে তৃতীয় ব্যক্তির নাক গলানোর কোন যুক্তিযুক্ত কারণ আমি খুঁজে পাইনা।

      সবশেষে একটা কট্টর সত্যিকথা স্বীকার করি।আমরা যারা এই ক্লিপ দেখে আনন্দ উপভোগ করেছি তারাও এই সিকনেসের কিছুটা হলেও অংশীদার। যৌনক্রীড়া দেখতে চাইলে প্রফেশনাল পর্ন দেখাই ভালো যেখানে পাত্র-পাত্রী কারোরই কোন আপত্তি নাই।আমি এবং আমরা যারা যারা এই ক্লিপ আগ্রহ ভরে দেখেছি,তাদের মধ্যেও( এর মধ্যে আমিও পড়ি) কিছুটা হলেও সিকনেস আছে।অন্যদের কথা জানিনা, আমি এটুকু বলতে পারি- আমি যদি শুদ্ধতম চরিত্রের দাবীদার হতাম তাহলে ক্লিপটা দেখতে অস্বীকৃতি জানাতাম।আমি এবং ইন্টারনেট কমিউনিটির অধিকাংশ মানুষ যেহেতু এইটা পারি নাই
      সুতরাং এইরকম ঘটনা ভবিষ্যতে আরো ঘটবে এইটা মোটামুটি নিশ্চিত।

      জবাব দিন
      • পূরব চাকমা (১৯৯৫-১৯৯৮)

        "আমি এবং আমরা যারা যারা এই ক্লিপ আগ্রহ ভরে দেখেছি,তাদের মধ্যেও( এর মধ্যে আমিও পড়ি) কিছুটা হলেও সিকনেস আছে।অন্যদের কথা জানিনা, আমি এটুকু বলতে পারি- আমি যদি শুদ্ধতম চরিত্রের দাবীদার হতাম তাহলে ক্লিপটা দেখতে অস্বীকৃতি জানাতাম।"
        মাসরুফ....মনের কথা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ | তবে এর মধ্যে কিছুটা হলেও সিকনেস আছে আমি তেমনটা ভাবি না | বরং আমার মনে হয় এটাই স্বাভাবিক | সিকনেস যদি থাকে তাহলে সেটা ওই ক্লিপ টা যে প্রকাশ করলো তার সমসসা | ক্লিপটাতে তারও উপস্থিতি আছে | আর ঘটনার পাত্রী যিনি আমার তো মনে
        হলো উনি স্বেচ্ছায় ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন!!! 😀

        জবাব দিন
        • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

          পূরব ভাই, ক্লিপটা আগ্রহ নিয়ে দেখার নৈতিক অপরাধবোধ মনে হয় আমরা অনেকেই এড়াতে পারবোনা-আগেই ব্যাখ্যা করেছি যে আমার সমস্যা ক্লিপটা জনসমক্ষে প্রকাশ করা নিয়ে-দুজন প্রেমিক প্রেমিকা তাদের বেডরুমে কি করলো না করলো সেটা নিয়ে "পিপিং টম" ছাড়া আর কারো আগ্রহ থাকাটা খুব একটা শোভন কিছু না।

          জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      তাইফুর দোস্ত, কোন ব্যক্তিবিশেষকে অসুস্থ বলা হয়নি (ছেলেটির কাজটি ছাড়া)। অসুস্থ বলা হয়েছে আমাদের সেই প্রবনতাকে যেটি একটি সাইবার অপরাধকে জায়েজ করছে মেয়েটির উপর দোষ চাপিয়ে এবং ক্লিপটি নিয়ে ইন্টারনেট এবং সামাজিক জীবনে অশ্লীল মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে একটি অগ্রহনযোগ্য মতবাদ প্রচার এবং প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।

      আমি তোর মতো দুজনকেই সমান দোষী বলতে পারছি না। কারণ ভিডিও ক্লিপটি প্রচার করে ছেলেটি মেয়েটিকে ভিকটিমাইজ করেছে, মেয়েটি এখানে ভিকটিম। আমি আসলে মেয়েটির পক্ষ নিইনি, আমি নিয়েছি ভিকটিমের পক্ষ। ভিকটিক যেহেতু মেয়েটি তাই দৃশ্যত মনে হচ্ছে আমি মেয়েটির পক্ষ নিয়ে বলছি। এরপর পাবলিক যে ভুলটি জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে করছে বা করেছে সেটিতে ফোকাস করতে চেষ্টা করেছি। যাতে আমরা দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন করতে পারি। আমি ক্লিপটি দেখেছি কি দেখেনি সেটি বড় বিষয় নয় এখন, মূল বিষয় হলো দেখার পর আমি কি প্রতিক্রিয়া করছি।

      আমি কারো প্রাক-বিবাহ বা বিবাহ-পরবর্তী বেডরুম জীবনের চুলচেরা বিশ্লেষন করতে এই ব্লগটি লিখিনি। আমার লেখার উদ্দেশ্য হলো আমরা যে একটি অপরাধকে আড়াল করে অন্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে ইঙ্গিত করে একটি অশালীন কাজ করছি এবং একটি অপরাধ প্রশয় দিচ্ছি সেখানে আলো ফেলা। ভিডিওটি যখন ধারণ করা হয়েছে, মেয়েটি বা ছেলেটি কে সেখানে সহযোগীতা বা অসহয়োগীতা করেছে সে প্রশ্ন একেবারে অবান্তর আমার কাছে। কিন্তু ছেলেটি যখন ক্লিপটি অসৎ উদ্দেশে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলো, তখন বিষয়টি প্রাইভেট স্ফিয়ার থেকে পাবলিক স্ফিয়ারে চলে এলো। আমার মূল ফোকাস হলো, পাবলিক স্ফিয়ারে এই বিষয়টি এভাবে অবতারণা করা একটি অপরাধ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক হিসেবে আমরা কি প্রতিক্রিয়া করছি তার ধরনপ্রকরণ চিন্হিত করা। এখানে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে কে কোন রঙের চশমা পরে ঘটনাটিকে কিভাবে বিবেচনা করছে।

      মেয়েটির বিষয়ে যে প্রশ্নগুলো তুলে তুই অন্যায় হিসেবে ইঙ্গিত করলি, আমার দৃষ্টিতে সেগুলিকে অন্যায় মনে হচ্ছে না। কাকতালীয়ভাবে মাসরুফের বক্তব্য আমার দৃষ্টিভঙ্গীকে প্রতিফলিত করেছে বলে আমি আর বিস্তারিত উত্তরে গেলাম না।

      (তোরে সিক বলিনাই, সিক মনে হইতেছেও না ... কিন্তু মেয়েটির প্রতি যে প্রশ্নগুলোর তীর ছুঁড়ে দিলি তার টোনে কেমন জানি শালিশের মোড়ল-মাতব্বরদের সুরের মিল পাওয়া গেলো মনে হলো। তবে কাউরে কিছু কমু না, বিষয়টা আমি চাইপা গেলাম 😉 )

      আমি আমার লেখার উদ্দেশ্য মুল লেখাতে এবং এই কমেন্টে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। ক্লিপটি পাবলিসিটি করার কোন উদ্দেশ্য সচেতন বা অচেতনভাবে ছিল না। আর যদি সেটি হয়েই থাকে, তাহলে বলবো, আমি অন্ধ বলে তো প্রলয় থেমে থাকে না।

      আমি ভিন্ন মতকে স্বাগত জানাই।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
  9. কে কতটা বিকৃত মানসিকতার ছিল, কার সামাজিক মূল্যবোধ বেশী ক্ষয়ে গিয়েছে (ছেলে না মেয়ে না উভয়ি) সেই বিতর্কে না গিয়ে একটি তথ্য উপস্থাপন করতে চাই।
    রাজীব নামক এই যুবকটি যে কাজটা করেছেন সেটা খুব সহজেই একটি আইনের আওতায় আনা যেত এবং আমার মতে বেশ শক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করা যেত যদি আইনটি সংসদের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখত। 'Law of Information Technology (Electronic Transaction) Act, 20......' বা তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০... নামক একটি আইনের খসড়া ল' কমিশনে জমা পড়েছিল বছর খানেক আগেই। দেড় বছর আগেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সাইবার ল' সাবজেক্টটি পড়ার সময় আইনটির চূড়ান্ত খসড়া ল' কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে পড়েছিলাম। আজ দেড় বছর পর এই পোস্টটি দেখে আবার ল' কমিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখলাম এখন 'চূড়ান্ত খসড়া' হিসাবেই পড়ে আছে, আলোর মুখ দেখে নি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঘুরতে আসা প্যাটেন্ট ল'ইয়ার মাহমুদ স্যার/ভাই (৯৪, ঝকক) আমাদের এই সাইবার ল' ক্লাসে এই খসড়া আইনটিকে আশাতীত রকমের স্বয়ংসম্পূর্ন বলেছিলেন।
    আইনটির ধারা ৬৯ মতে ইংরেজীতে "69. Punishment for publishing obscene information in electronic form.-
    Whoever publishes or transmits or causes to be published or transmitted in electronic form any material which is obscene or if its effect is such as to tend to deprave and corrupt persons who are likely, having regard to all relevant circumstances, to read, see or hear the matter contained or embodied in it, shall be punished on first conviction with imprisonment of either description for a term which may extend to five years and with fine which may extend to Taka one lakh and in the event of a second or subsequent conviction with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years and with fine which may extend to Taka two lakhs for each such subsequent offence."
    বাংলাদেশেও আইন আছে। দুঃখ একটাই হয় আলোর মুখ দেখে না বা দেখলেও বাস্তবায়ন হয় না।

    জবাব দিন
  10. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    ফেইসবুক সি সি বি এপ্লিকেশান থেকে এত্ত বড় একটা কমেন্ট দিলাম তথ্যমূলক...বেমালুম গায়েব হয়ে গেল কেন?! :-/


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  11. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, চারিত্রিক স্বচ্ছতার বিতর্কে না গিয়ে এই পোস্টের আলোকে একটি তথ্য দিতে চাই।
    গোটা ইন্টারনেট জগত এই ক্লীপগুলো দিয়ে সয়লাব হবার পেছলে রাজীব নামের এই ছেলেটি বা আর যে কেউ জড়িত থাকুক না কেন এদের সবাইকে একটি আইনের আওতায় আনা যেত এবং মোটামুটি চোখে পড়ার মত শাস্তি দেয়া যেত যদি আইনটি সংসদের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখত।
    'Law of Information Technology (Electronic Transaction) Act, 20....' বা তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০... নামক এই আইনের খসড়াটি দেড়েক আগেই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের 'সাইবার ল' ক্লাস করার সময় ল' কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখেছিলাম। সেই সময় উক্ত বিষয়টি পড়াতেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে আসা সেখানকার প্যাটেন্ট আইনজীবি মাহমুদ স্যার/ভাই (ঝকক, ৯৪)।এই পোস্টটি পড়ার পর বেশ স্বয়ং-সম্পুর্ন এই আইনটি দিয়ে আশা দেবার জন্য ল' কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়েছিলাম। দেখি সেই দেড় বছর আগের চূড়ান্ত খসড়া এখনও চূড়ান্ত খসড়াই রয়ে গিয়েছে, জীবন দেয়া আর হয়নি। আন্তর্জাতিক অংগনে সাইবার স্পেস অপরাধ হিসাবে গন্য এরকম অনেক অপরাধের মাঝে একটি অপরাধকে সনাক্ত করা হয়েছে ধারা ৬৯ এ। সেখানে বলা হয়েছে [ইংরেজী উদ্ধৃতি]:-
    "69. Punishment for publishing obscene information in electronic form.-
    Whoever publishes or transmits or causes to be published or transmitted in electronic form any material which is obscene or if its effect is such as to tend to deprave and corrupt persons who are likely, having regard to all relevant circumstances, to read, see or hear the matter contained or embodied in it, shall be punished on first conviction with imprisonment of either description for a term which may extend to five years and with fine which may extend to Taka one lakh and in the event of a second or subsequent conviction with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years and with fine which may extend to Taka two lakhs for each such subsequent offence."
    ঘুরে ফিরে দুঃখ এক জায়গায় - বাংলাদেশে আইন আছে, হয় আইনের প্রয়োগ নেই না হয় এরকম খসড়া হয়েই থেকে যায় বছরের পর বছর।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      পূরব, ক্লিপ বের হওয়া কখনো থামানো যাবে না। কিন্তু তারপর কি প্রতিকার নেওয়া হচ্ছে এবং পাবলিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, আমি মনে করি সেটি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। সামাজিক সচেতনতা বাড়লে হয়তো মানুষ ঠিক ঠিক কার্যকারণ বিশ্লেষন করবে এবং অপরাধটিকে সনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে মানবিক অবস্থান নিবে।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        রাব্বী ভাই, বাংলাদেশ - সামাজিক সচেতনতা - শব্দ দুইতা ঠিক পাশাপাশি যায় না। কোন দিন যায় নি, ভবিষ্যতেও যাবে না। আমি নৈরাশ্যবাদী না কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা ধ্রুব সত্য। যে আইনটির কথা বললাম ওটা থাকলেও খুব একটা কি হত নিশ্চিত বলা যায় না।


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
  12. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আবারো প্রমাণ হলো মানুষ কতবড় অমানুষ হতে পারে!

    বোকা মেয়েটা আটটা বছরের সম্পর্কেও অমানুষটাকে চিনতে পারলোনা। প্রচলিত কোন শাস্তিই এই অপরাধের জন্য পারফেক্ট হবেনা।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  13. নাজমুস (০৩-০৯)

    এটা আমিও মেনে নেব যে আমি নিজে উৎসাহ নিয়ে অই টা দেখেছি...কিন্তু দেখার পর আমার মাথায় চিন্তা টা আসছে যে মেয়েটার জীবনটা শেষ...।।এ জন্য আমি অবস্যই বলব যে কাজ টা ঠিক হয় নাই... কাজ টা করার আগে আরেকটু চিন্তা করা উচিত ছিল রাজিব এর...

    জবাব দিন
  14. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    মিডিয়া লাইনের এই জাতীয় ব্যাপার অনেক কিছুই আমার মাথায় ঢুকেনা। বেশ আগে রিয়া সেন-এর এই ধরণের একটা ভিডিও বের হয়েছিল, কিন্তু তাতে তার মডেলিং/এ্যাকটিং ক্যারিয়ারে খুব একটা যে প্রভাব পড়েছে তা কিন্তু মনে হয়নাই।
    ভিডিওর একটি খন্ডাংশে ছেলেটির এরকম মন্তব্য আছে যে - "এটা ছেড়ে দিলে লাখ টাকার ব্যাবসা করা যাবে" যেটার উত্তরে মেয়েটি "রাজীব.....!" বলে একটা হাক দেয়, নির্লিপ্ততার সহিত। অর্থাৎ সে এটার consequence কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে অবহিত। তবুও সে এটার কোনো প্রতিকার ভেবে রাখেনি সম্ভবত ছেলেটার প্রতি বিশ্বাসের কারণে।
    প্রথমত আমি মেয়েটিকে এই কারণে দোষ দিব যে - প্রাইভেট মোমেন্ট ওভাবে ভিডিও করা খুব একটা দরকারী কিছু ছিল না। এমন না যে ওটা দেখে স্মৃতি রোমন্থন করবে; মানুষের মস্তিষ্কের কল্পনা করার জন্য অন্য কিছুর দরকার পড়েনা, আর যদি সেটা হয় সেরকম মনে রাখার মত কোনো স্মৃতি/ঘটনা। সে এই কাজটাকে স্বাগত জানিয়েছে, এটা তার অনুচিত ছিল।
    আর ছেলেটি যেটা করেছে সেটা নিঃসন্দেহে খুবই ঘৃণ্য। ওর সেই উক্তি থেকেই বোঝা যায় যে তার motive ঠিক ছিল না। ওখানেই তার ভিতরে নোংরামীর আভাস পাওয়া যায়, ভিডিওর বর্ণনায় না-ই গেলাম!
    আমার মতে, সত্যিকারের ভালবাসার ফলস্বরূপ শারীরিক সম্পর্ক হলে সেটাকে কোনো physical memory তে সংরক্ষণ করার প্রয়াস থাকার কথা না; ওটা মানুষ তার স্মৃতিতে রেখেই cherish করতে বেশি পছন্দ করবে নিশ্চয়ই। এসব রেকর্ডিং ডিভাইসের আবিষ্কার কোনো ঘটনা অন্যের সাথে শেয়ার যাতে করা যায় সেই উদ্দেশ্যে করা। উপরের ঘটনা সবার সাথে শেয়ার করার মত যেহেতু না, যেহেতু ওটা প্রাইভেট, তাই ওভাবে ভিডিও করা, বা ভিডিও করার ইচ্ছাকে allow করার খুব মনে হয় প্রয়োজন ছিল না।

    জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      আদনান, আমি যদি তোমার রিপ্লাই লিখতাম। মাসরুফের চেয়ে যুক্তিযুক্ত লিখতে পারতাম না। মাসরুফের উপরের কমেন্টগুলো আমার মূল লেখার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, সংস্কারহীন, স্পষ্ট, প্রতিবাদী এবং মুক্ত চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। তোমার বক্তব্যের প্রতিটির উত্তর মাসরুফ উপরে দিয়ে দিয়েছে এবং নিচে তোমার জন্য আলাদাভাবে দিয়েছে।

      মাসরুফের কমেন্টগুলোতে পাঁচতারা!


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        🙁 দুরো ভাই এইগুলা কি কন 🙁 আপনে লুকটা খ্রাপ-চান্স পাইলেই আমারে বাঁশ দ্যান।এই লেখাটা হইলো মূল উপপাদ্য আর আমার কমেন্টগুলা হইলো মূল উপপাদ্যকে বেইজ কইরা বের করা অনুসিদ্ধান্তমাত্র।মূল উপপাদ্য না থাকলে অনুসিদ্ধান্তও আসতোনা।এই লেখাটা পড়ার পর এবং এই কমেন্টগুলা লিখার পরে আমার ব্যক্তিগত একটা লাভ হইছে-পরবর্তী ক্লিপগুলা দেখা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছি।ভবিষ্যতেও এই ধরণের ক্লিপ দেখা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে চাইলে এই লেখাটার কথা অবশ্যই অবশ্যই মনে পড়বে।আপনেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

        জবাব দিন
  15. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    তোর কিছু কমেন্ট উল্লেখ করি প্রথমেঃ

    প্রথমত আমি মেয়েটিকে এই কারণে দোষ দিব যে – প্রাইভেট মোমেন্ট ওভাবে ভিডিও করা খুব একটা দরকারী কিছু ছিল না।
    এমন না যে ওটা দেখে স্মৃতি রোমন্থন করবে; মানুষের মস্তিষ্কের কল্পনা করার জন্য অন্য কিছুর দরকার পড়েনা, আর যদি সেটা হয় সেরকম মনে রাখার মত কোনো স্মৃতি/ঘটনা। সে এই কাজটাকে স্বাগত জানিয়েছে, এটা তার অনুচিত ছিল।
    আমার মতে, সত্যিকারের ভালবাসার ফলস্বরূপ শারীরিক সম্পর্ক হলে সেটাকে কোনো physical memory তে সংরক্ষণ করার প্রয়াস থাকার কথা না; ওটা মানুষ তার স্মৃতিতে রেখেই cherish করতে বেশি পছন্দ করবে নিশ্চয়ই।

    এইবার এই ব্যাপারে আমার আগের করা কমেন্ট থেকে কিচু অংশ তুলে দেইঃ

    দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী তাদের যৌনজীবনে কিভাবে কি করবে,নিজেদের আনন্দের জন্য সেটা ভিডিও করবে না অডিও করবে(যতক্ষণ পর্যন্ত না তা চাইল্ড পর্ণ বা এ জাতীয় ক্ষতিকর কিছু না হয়) সেটা দেখার দায়িত্ব সমাজের উপরে না ছেড়ে তাদের উপরে ছেড়ে দেয়াই ভালো।

    আমার মনে হয় এর বেশি কিছু বলার নাই।প্রাপ্তবয়ষ্ক দুজন মানুষ কিভাবে তাদের যৌনজীবন কাটাবে,কিভাবে স্মৃতিতে ধরে রাখবে সেইটা আমার পছন্দ না হইলে আমি নিজে ওইরকম করা থেকে বিরত থাকতে পারি,কিন্তু তাদের জাজ করার অধিকার আমার নাই।

    জবাব দিন
    • শহীদ (১৯৯৪-২০০০)

      প্রথমেই বলে নিই, আমি ছেলেটার পক্ষে সাফাই গাইছি না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তাইফুর ভাই বা পূরব যা বলতে চাচ্ছে তাতে ইম্পরট্যান্ট একটা টোন সবাই ধরতে পারছি না...
      ঘটনাটা একদমই অপ্রত্যাশিত, কাম্য নয় এবং অপরাধও বটে। এটা না ঘটলেই ভালো হত। না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত গুলো ছিল-
      ...... ছেলেটা ভিডিওটা আপলোড না করা
      অথবা, মেয়েটা এঙ্গেজমেন্ট ভেঙ্গে অন্য কাউকে বিয়ে না করা
      অথবা, ভিডিওটা রেকর্ড না করা
      অথবা, ভিডিওর ঘটনাটা না ঘটা
      আমি উপরে যেগুলো উল্লেখ করলাম তার যেকোনো একটা না ঘটলেই কিন্তু আজ আমাদের এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটার মুখোমুখি হতে হত না। আমি আসলে আমাদের অনেকেরই জানা একটা প্রবাদ উল্লেখ করতে যাচ্ছি, সেটা হল "Prevention is better than cure".
      এবার মাসরুফ এর

      দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী তাদের যৌনজীবনে কিভাবে কি করবে,নিজেদের আনন্দের জন্য সেটা ভিডিও করবে না অডিও করবে(যতক্ষণ পর্যন্ত না তা চাইল্ড পর্ণ বা এ জাতীয় ক্ষতিকর কিছু না হয়) সেটা দেখার দায়িত্ব সমাজের উপরে না ছেড়ে তাদের উপরে ছেড়ে দেয়াই ভালো।

      কথার সূত্র ধরে বলি, দুজন মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে কি করছে তা নিয়ে আসলেই কারো কিছু বলার নেই। ঘটনাটিতে প্রত্যক্ষভাবে তাদেরই একজন ছাড়া আমরা কেউ ক্ষতিগ্রস্তও নই। তবু আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েটিকে নিয়ে ভাবছি বলেই আমার মনে হয়- সবথেকে বেশী ভাল হত যদি মেয়েটি এই ঘটনার অংশ হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারতো। পাশ্চাত্য/উন্নত দেশগুলোর ধারণা থেকেই আমরা সংস্কৃতি(ধর্মীয়/ রক্ষণশীল সামাজিক)-র চেয়ে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বা ইচ্ছা (শুধুমাত্র মূল্যবোধের বিপরীত অংশটূকুর কথা বলছি) কে প্রাধান্য দিতে গিয়েই এ ধরণের ঘটনা দেখছি।
      একারণেই বোধহয় মানুষের সুন্দর জীবন কাটানোর জন্য ধর্ম আর সামাজিক রীতিনীতির প্রয়োজন।
      পরিশেষে আবারো বলতে চাই, এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের সবথেকে ভালো উপায় হল এরকম কাজ থেকে বিরত থাকা।

      জবাব দিন
  16. রাব্বি ভাই,
    কেমন আছেন? টপিক আর খুঁজে পাইলেন না.
    যাই হোক, লেখাটা ভালো হয়েছে। নিজেকে ছোটো মনে হচ্ছে কখনো আপনার মতো না ভাবার জন্য। An eye-opening for me.

    জবাব দিন
    • রাব্বী (৯২-৯৮)

      সাইফ, টপিকে কোন সমস্যা আছে বলে মনে হয়নি লেখার সময়। লেখাটায় যা বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি তা হলো এটা কোন ব্যক্তিবিশেষের কোন কাজের জন্য বা সমালোচনা বা পক্ষ নিয়ে লেখা না। এটা মূলতঃ আমাদের স্টেরিওটাইপ মাইন্ডসেটসের সমালোচনা করে লেখা। যা আমাদের মূল যেখানে আলো ফেলা প্রয়োজন সেখান থেকে সরিয়ে রাখে।


      আমার বন্ধুয়া বিহনে

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাব্বী (১৯৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।