বই ও খাদ্যবিলাস

আমাদের নরসিংদীর খুব পরিচিত একটা লাইব্রেরীর নাম হোল “বঙ্গআজাদ লাইব্রেরী”। এই লাইব্রেরীর কর্ণধার হুমায়ুন মামা, আমার বাবার নামে নাম বলেই কিনা এই মানুষটার মধ্যে পিতৃভাব প্রবল। কর্মব্যস্ত, প্রচণ্ড রকমের ছটফটে আর হাসিখুশি মানুষটি আমাকে খুব স্নেহ করেন। সবাইকে নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ভুরিভোজ উনার বিশেষ পছন্দের কাজ।পেল্লায় সাইজের একটা গলদা চিংড়ী আমার প্লেটে তুলে দিতে দিতে মামা একদিন বলেছিলেন, “শোনো মামা, যা ইচ্ছা করে সেটাই খাবা। যেখা ঘুরতে ইচ্ছা করে যাবা। মনে রাখবা যাহা যাবে অঙ্গে, তাহাই যাবে সঙ্গে!” উনার অন্য অনেক কিছুর মতো এই কথাটি আমার ভীষণ পছন্দ হলো। মানুষ হিসেবে আমি অত্যন্ত ভোজন রসিক তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। শুধু আমি নই, আমাদের পরিবারের চারজন আশরাফুল মাখলুকাতের প্রত্যেকেই “পেট পূজা” ব্যপারটাতে খুবি অনুরক্ত। আমার মা নিজে খুব ভালো রাঁধেন, নতুন রান্না শিখতে, করে খাওয়াতে আর শিখাতে (মামনি কুকিং শো তে রান্নাও করেছেন) পছন্দ করেন।
আসল কথায় ফেরা যাক, হুমায়ুন মামার এই “যাহা যাবে অঙ্গে, তাহাই যাবে সঙ্গে” নীতিতে বিশ্বাসী আমরা সবাই। আমার এই ভোজনপ্রীতিকে নিজের অজান্তেই আরো উসকে দিয়েছেন আরো দুইজন হুমায়ুন! প্রথমজন আমার বাবা হুমায়ুন কবির, যিনি ইলিশ কিনতে চাঁদপুর, বড় বড় কই কিনতে ভাটপাড়া চলে যান অনায়াসে, টাটকা সবজি কিনেন গ্রামের বাজার ‘বারৈচা’ থেকে, অনেক দেখেশুনে খাঁটি দুধ কিনে আনেন গৃহস্থের কাছ থেকে। আর দ্বিতীয় হুমায়ুন হলেন কালজয়ী ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদ! উনার প্রতিটি লেখার ফাঁকে ফাঁকে এতো সুন্দর করে খাবারের বর্ণনা আছে যে তা পাঠ করা মাত্রই ভোজন রসিকের জিভে জল আসতে বাধ্য!
হুমায়ুন আহমেদের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হিমুর মাধ্যমে। সম্ভবত “এবং হিমু” বইটা প্রথম পড়েছিলাম আমি। “হেমন্তে নতুন ধান খেয়ে হাঁসের গায়ে চর্বি হয়, সেই হাঁস নতুন আলু দিয়ে ভুনা করে শীতের সকালে চালের রুটি দিয়ে খাওয়ায় যে কি স্বাদ” অথবা “চাকচাক করে কাটা আলু ঘিয়ে ভেজে তার সাথে ভাজা শুকনা মরিচ মাখিয়ে ভাতের সাথে খাওয়া”- হুমায়ুন আহমেদের এরকম অসাধারণ বর্ণনায় মুগ্ধ হতে দেরী হলনা। মামনিকে বলতেই খুব আগ্রহ নিয়ে রান্না করে খাওয়াল, খেতে তুলনাহীন! হুমায়ুন আহমেদের প্রতিটি লেখাতেই আছে এরকম অসামান্য বর্ণনা। কালিজিরা চালের প্রতি সম্ভবত তার বিশেষ দুর্বলতা ছিলো, বেশ কয়েকটি লেখায় এসেছে এর উল্লেখ। ‘মাতাল হাওয়া’ উপন্যাসে কালিজিরা চালের ভাতের সাথে ছিলো মুরগীর মাংস আর ‘ মধ্যাহ্ন ২’ উপন্যাসে কালিজিরা চালের ভাতের সাথে বেড়ে দেয়া হয়েছে বাটিভরা খাসীর মাংস আর পেঁয়াজ। দুটি বর্ণনাই জিভে জল এনেছে, অবশ্য আমি কালিজিরা চালের পোলাও খেয়েছি ঝাল ঝাল গরুর গোশত ভুনার সাথে। বলাই বাহুল্য, খেতে ছিলো অসাধারণ। একিভাবে ‘ইলিশ মাছের ডিমের তরকারি’র কথা এসেছে বেশ কয়েকটি উপন্যাসে।
হুমায়ুন আহমেদ কিন্তু শুধুমাত্র এরকম বিলাসী খাবারের কথাই বলেন নি, অনেক সাধারণ খাবারের অসাধারণ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। এই যেমন “জোছনা ও জননীর গল্প” এ শেষদিকে আছে,
“ মরিয়ম বসে আছে তাদের বাসার সিঁড়ির সামনে। আজ সারাদিন সে কিছু খায়নি। যদিও ঘরে অনেক কিছু রান্না হয়েছে। এর মধ্যে অনেক তুচ্ছ রান্নাও আছে। একটা হোল খুবই চিকন করে কাটা আলুর ভাজি। আরেকটা হল কাঁচা টমেটো পুড়িয়ে ভর্তা। এই দুটা আইটেম নাইমুলের পছন্দ। মরিয়ম নিজে রেঁধেছে নতুন আলু দিয়ে মুরগীর মাংসের ঝোল।”
আবার ‘মধ্যাহ্ন ২’ উপন্যাসে লিখেছেনঃ
“ শরিফা অতি দ্রুত খাওয়ার ব্যবস্থা করল। গরম ভাত। খলিসা মাছের ঝোল, পাট শাক, ডাল।”
“মাওলানা খেতে বসেছেন। শরিফা সামনে বসে গরম ভাতে পাখা দিয়ে হাওয়া করছে। আজকের আয়োজন ভালো। করিমের পছন্দের পাবদা মাছ। হাওরের লালমুখো বড় পাবদা। ঝোল ঝোল করে রান্না। শরিফা পাতের কোণায় আদা সরিষা বাটা দিয়ে রেখেছে। তরকারির সাথে এই জিনিস মিশিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগছে।”
“পিতা ও কন্যা দুজনকেই খাবার দেয়া হয়েছে। অ্যালুমিনিয়ামের গামলা ভর্তি ভাত। ভাতের উপর গাওয়া ঘি। একপাশে ডিমের সালুন। আলাদা বাটিতে ডাল। ঘিয়ের গন্ধে জায়গাটা ম ম করছে।”
“সবুজ কলাপাতায় ধবধবে সাদা ধোঁয়া উঠা গরম ভাত।ঝিঙ্গা দিয়ে রাঁধা লাবড়া, সঙ্গে মাছের ঝোল। খেতে খেতে লাবুসের মনে হলো, জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ ভরপেট খাওয়ায়। এইজন্যেই হয়তো বেহেশতে খাওয়া- খাদ্যের বর্ণনায় এতো জোর দেয়া হয়েছে।”
উপন্যাসের প্রতিটি বর্ণনা এতো সুন্দর, এতো নিখুঁত করে দেয়া যে তন্ময় হয়ে পড়তে পড়তে আসলেও যেন সুঘ্রাণ পাওয়া যায়! প্রত্যেকটা খাবার মা রান্না করে খাওয়িছে। খেতে গিয়ে হুমায়ুন আহমেদের আশ্চর্যরকম সুন্দর বর্ণনার কথা ভেবে মুগ্ধ হয়েছি বারবার। উনার আরো অনেক লেখায় এরকম অনেক বর্ণনা আছে, আগ্রহীরা পড়ে এবং খেয়ে দেখতে পারেন। বিভিন্ন লেখায় আবার হুমায়ুন আহমেদ কিছু খাবারের রেসিপিও দিয়েছেন। ঘরে বানানো এক্সপ্রেসো কফি, পুঁই পাতায় কইমাছের ডিমের রান্না অথবা শিং মাছের ডিমের পাতুরি- প্রত্যেকটি রান্নাই আমার উনার লেখা পড়েই শেখা। উনার দেয়া শিং মাছের ডিমের পাতুরির রেসিপি ছিলো এরকম, “শিং মাছের ডিমের সঙ্গে সামান্য মশলা দেবেন। কাঁচামরিচ লাগবে। পিঁয়াজ দেবেননা। কলাপাতা দিয়ে ডিম মুড়িয়ে ভাতের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। মনে থাকবে তো?”রেসিপি অনুসারে রান্না করলাম, সেই স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে!
একই উপন্যাসে লেখক আরেক খ্যাতনামা ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রসঙ্গে বলছেনে, “বিভূতিভূষণ আলাভোলা ধরণের মানুষ। খাওয়াদাওয়ার গল্প করতে খুব পছন্দ করেন।…………লাবুসের বাড়ীতে যে আদর এবং যত্ন লেখকের জন্যে অপেক্ষা করছিলো তার জন্যে তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি অভিভূত হয়ে গেলেন। রাতের খাবারের বিপুল আয়োজন। যেখানে তিনি খেতে বসেছেন তার কাছেই তোলা উনুন আনা হয়েছে। সেখানে তেল ফুটছে। বেসনে ডুবিয়ে বকফুল ভেজে লেখকের পাতে দেয়া হচ্ছে।”- উপন্যাসের এই পর্যায়ে এসে আমার পেট রীতিমতো মোচড় দিলো। গরম গরম মুচমুচে বকফুল ভাজা খেতে আমার মন আঁকুপাঁকু করতে লাগলো। ভাগ্যিস খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হলোনা। দুইদিনের মাথায় মা সবার পাতে তুলে দিলেন বকফুল ভাজা! বন্ধু ক্লিনটনের বাসায় ছিলো বিশাল এক বকফুলের গাছ। ডাল এনে লাগাবার চেষ্টা করেছিলাম, গাছ হয়নি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু নিজেও তার লেখায় অনেকবার দিয়েছেন জিভে জল আনা খাবারের বর্ণনা! ঘিয়ে মাখামাখি মোহনভোগ, লুচি আর গরম গরম বেগুন ভাজা, গন্ধভেদালি পাতার ঝোল, পলতার বড়া এরকম অনেক খাবার রান্না করে খাওয়াও উনার বই পড়ে উৎসাহিত হয়েই। তার ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসে যেমন লিখেছেন,“মধু সংক্রান্তির ব্রতের দুপুরের খাবার- ভাত, পেঁপের ডালনা, ডুমুরের সুক্তনি, থোড়ের ঘন্ট, চিংড়ী মাছে ঝোল, কলার বড়া আর পায়েস।”
এরকম সাদামাটা খাবারের জমকালো বর্ণনা দিয়েছেন আরেক দিকপাল সত্যজিৎ রায়। “ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা” তে তপসের বর্ণনা ছিলো এরকম, “রুপোর থালাবাটী…বাটী চাপা ভাত ভেঙ্গে মোচার ঘন্ট দিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম। থালার চারপাশে গোল করে সাজানো বাটিতে রয়েছে আরও তিন রকমের তরকারি, সোনা মুগের ডাল, আর রুই মাছের ঝোল।”- এই সোনামুগের ডাল সম্ভবত সত্যজিৎ রায়ের বেশ পছন্দের খাবার, আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় এর উল্লেখ আছে। খুব উৎসাহের সাথে বেশ কয়েকবার এই সোনামুগের ডাল খেয়েছি, প্রত্যেকবারই অসাধারণ লেগেছে! ‘ফেলুদা’ কিন্তু আবার খুব মিষ্টি পছন্দ করেন। তার মিষ্টিপ্রীতি আমরা দেখেছি “বাদশাহি আংটি” কিংবা “কৈলাস চৌধুরীর পাথর” পড়তে গিয়ে। লখনৌ এর ‘সান্ডিলা লাড্ডু, গুলাবি রেউরী আর ভুনা পেঁড়া’ কিংবা কলকাতার ‘রসগোল্লা আর অমৃতি’ টপাটপ মুখে পুরে ফেলুদা। দুঃখের ব্যপার যে এর কোনটি এখনো আমার খাওয়া হয়ে উঠেনি। তাই বলে কখনো হবেনা এমনতো নয়?
মিষ্টির সাথে মগজের কার্যকারিতার সম্বন্ধ আছে বলেই হয়তো মিষ্টান্নের উল্লেখ আছে সুনীলের ‘কাকাবাবু’ তেও, “…………………পহলগ্রামে যারা বেড়াতে যায়নি, তারা বুঝতেই পারবেনা এখানকার জিলিপির কী অপূর্ব স্বাদ! খাঁটি ঘিয়ে ভাজা মস্ত বড় মৌচাকের সাইজের জিলিপি। টুসটুসে রসে ভর্তি, ঠিক মধুর মতন।” লেখকের বর্ণনায় ভোজন রসিকের জিভে জল আসতে বাধ্য কিনা বলুন?
আমাদের একান্তই দেশি খাবারের বর্ণনা এসেছে আমাদের লেখকদের বর্ণনায়। ‘আলোর পানে’ গল্পে মকবুলা মঞ্জুর যেমন লিখেছেন, “আজ ওরা চালের ভাত খাবে। তারই আয়োজনে জয়গুন বিবি বিলের কিনার থেকে শাপলা তুলে এনেছে। টুকটুকে কয়েকটা পাকা মরিচ তুলেছে। হলুদ,নুন, আর বেশি করে কাঁচামরিচ দিয়েই চচ্চড়ি রাধবে……ভাত নামিয়েই শাপলা চচ্চড়ি বসিয়ে দিলো জয়গুন। একটুক্ষণের মধ্যেই কাঁচামরিচের ঝাল ঝাল গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল বাতাসে। ছমিরুদ্দির জিভে পানি এলো।” আমাদের গ্রামবাংলার রান্নার কি অসাধারণ বর্ণনা! আলী ইমাম যেমন লিখেছেন ‘হাবা’ গল্পে, “অনেক বাড়ীতে মায়েরা ছেলেদের ভাত বেড়ে দেয়। গরম ফেনসা ভাত, কুমড়ো ফুলের ভাজি। মাছের ঝোল, বাতাবি লেবুর রস। মাষকলাই এর ঘন ডাল। কী সুগন্ধ সেসব খাবারে! যেন স্বপ্নের মতো!” লেখাটা পড়তে পড়তে জিভে লেগে থাকা স্বাদটা যেন আরো বেশি করে মনে পড়ে যায়! কাঁচা আম খুব মজা করে খাওয়াটাও কিন্তু আমার আলী ইমামের কাছেই শেখা! একি গল্পে উনি বলেছেন, “ঝিনুক দিয়ে চেঁছে চেঁছে কাঁচা আম খাওয়ায় কি স্বাদ! সাথে নারিকেলের খোলে নুন আর পোড়া মরিচ।”
ভোজনরসিক বাঙ্গালির গল্পে, উপন্যাসের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে জিভে জল আনা এরকম অনেক খাবারের বর্ণনা। পাতা উল্টাতে উল্টাতে যদি খাবারের সুঘ্রাণ নাকে এসে লাগে আর জিভে জল এসে যায় তো ক্ষতি কি? সময়-সুযোগ করে চেখে নিন না খাবারগুলো! এতেই তো লেখকের সার্থকতা!

৫,৬৭৩ বার দেখা হয়েছে

৪৩ টি মন্তব্য : “বই ও খাদ্যবিলাস”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    এই মেয়ে খুবই ভিলেন প্রকৃতির। খাবারের লোভ লাগায়া দিল।
    সে আমাদের সবাইকে এত এত খাবারের নাম, গন্ধ, বর্ণনা দিলো। এখন এগুলা খাইতে ইচ্ছে করলে কই পামু আমরা???

    কেয়ামত পরযন্ত লাগাতার ফ্রন্ট্রোল এর পানিশমেন্ট চলবে, যদি না সে বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়ায়। 😛


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    নাহ পড়েই ফেললাম। মোটামুটি সয়ে গিয়েছে দেড় বছরের প্রবাস জীবন। ভাল খাবারের জন্য মন কাঁদলেও সেটা সাময়িক। এই দেড় বছরের সবচাইতে বড় পাওনা, নিজের বেশ দক্ষ রাধুনী হয়ে উঠা। 🙂

    খাবারের কথা যখন এসেই পড়লো অবাক হচ্ছি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা কেন উঠে আসেনি তোমার লেখায়। উপন্যাস গুলোর ২০-৩০% অংশ জুড়ে ছিল খাবার ও তা নিয়ে গল্পের চার নায়কের মারামারি। কিছু কিছু ছোট গল্পের মূল কাহিনীই ছিল খাবার সংক্রান্ত! 🙂


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    বানান ঠিক কর।
    ১ম লাইনেই ভুল পেলে বিরক্তি লাগে।
    তাও দুইটা
    একটা বানান। আরেকটা স্পেসিং।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    তোমার খাদ্য বিষকয় লেখাটা ভাল লাগল। দেশে থাকতে মনে আছে হুমায়ূন আহমেদের খাবারগুলো বানাতাম। এই যেমন বাটার দিয়ে আলু ভাজি। বাটারের কারণ হিমুর কাছে ঘি ছিল না।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আজ করবো
    ০১ ঢেরশ ভাজি চিংড়ি দিয়ে
    ০২ করল্লা ভাজি
    ০৩ স্পিনাচ চিংড়ি দিয়ে
    ০৪ চিকন বিন আলু দিয়ে
    ০৫ আলু ভর্তা
    ০৬ ডাল
    ০৭ ডিম ভাজি করে রান্না
    😀


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বিষয় নির্বাচন দারুন হয়েছে, লিখেছো ও ভাল, যাকে বলে জিভে জল নিয়ে আসা লেখা 🙂 কয়েকটা আইটেম অচিরেই ট্রাই করতে হবে, ফলাফল কি হয় দেখা যাক।

    সব মিলিয়ে একটা কম্পাইলেশন করতে পারো, 'হুমায়নীয় রসনা বিলাস' নামে বইমেলায় ছাড়লে পাবলিক দারুন খাবে 😛


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।