চটপটি

( আবারো ফাঁকিবাজি ।
আমার একটা জোকসের সিরিজ আছে। ঝালমুড়ি এবং চানাচুর নামে অনেক আগে দুই দফা দিয়েছিলাম। আজকে আবার দিতে মন চাইলো। নিতান্তই টাইম পাস করার জন্যে, বেশির ভাগই আহসান হাবীবের ‘জোকস সমগ্র’ থেকে নেয়া। কিছু অন্তর্জাল থেকে ধার করা।
কিছু একেবারে সাদামাটা। কিছু আবার হালকা সেইরকম। )

১।
এক সৈন্য ভুল করে তার মগ উলটে রেখে গেলো টেবিলে। জেনারেলের তেষ্টা পেয়েছে, পেয়াদাকে হুকুম করলেন পানি আনার জন্য।
পেয়াদা অনেক ক্ষন দেখে ফিরে এসে রিপোর্ট করলো
স্যার পানি আনতে পারবো না, মগের কোনো মুখ নেই।
জেনারেল গেলেন টেবিলের কাছে অনেক ক্ষন গবেষনা করে বললেন
কি আশ্চর্য এটার তো তলাও নেই।

২।
নৌবাহিনীতে ভর্তি পরীক্ষার ভাইভাতে এক ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন অফিসারঃ
তুমি কেন নৌবাহিনীতে যোগ দিতে চাও ?
কারণ আমার বাবা বলেছে সবচেয়ে বুদ্ধিমানরাই নৌবাহিনীতে চাকরি করে।
ওহ! দারুণ! তোমার বাবা কি করেন?
জি, উনি সেনাবাহিনীর অফিসার।

৩।
লেফটেনান্ট ব্যারাকে গিয়ে বললেনঃ
আচ্ছা তোমাদের মধ্যে সংগীতপ্রেমী কেউ আছে?
২ জন সৈন্য সামনে আসলো।
যাও আমি একটা পিয়ানো কিনেছি ওটাকে ৪তলার ডান দিকের ফ্লাটে রেখে এসো।

৪।
সুন্দরী এক মেয়ে পায়ে উল্কি আঁকাতে গেলো এক তরুণ উল্কি আঁকিয়ের কাছে।
তরুণটি আঁকতে শুরু করলো, আর একটু পর পর বলতে লাগলো ‘আপনার স্কার্টটা আরেকটু উপরে উঠান।’
বারবার স্কার্ট ওঠাতে ওঠাতে বিরক্ত তরুণী জিজ্ঞেস করলো, আপনি কিসের উল্কি আঁকছেন পায়ে?
‘জিরাফ। ‘

৫।
হঠাৎ করে এক বিবাহিতা তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লো। অথচ তার স্বামী তখন জেলখানায় বন্দী। তখন তাকে নিয়ে বিচার বসলো এটা কীভাবে হলো।
তরুণীটি আত্মপক্ষ সমর্থন করলো এইভাবেঃ

সেদিন খুব গরমের রাত ছিলো, আমি দরজা খুলেই ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি ঘরে এক লোক ঢুকছে। আমি ভাবলাম, দেখি ওর মনে কি আছে। তারপর দেখি লোকটা আমার বিছানার পাশে এসে দাঁড়ালো।
আমি তখন ভাবলাম, দেখিনা ওর মনে কি আছে। এরপর দেখি সে আমার মশারি তুলছে। তখনো আমি ভাবলাম, দেখি ওর মনে কি আছে। এরপর ও তো………… তখনই তো আমি বুঝলাম, আরে শালার তো ঘরে বউ নাই রে।

৬।
সুন্দরী নার্সঃ স্যার, আমি যতবার রোগীর পালস নিতে যাই দেখি খুব দ্রুত চলছে। অথচ আপনি নিলে স্বাভাবিক। কেন স্যার?
ডাক্তারঃ যাও আগে ওড়না পরে আসো।

৭।
অবিবাহিতদের সবচেয়ে বড় সুবিধা কি?
তারা খাটের দু’পাশ দিয়েই বিছানায় উঠতে পারে।

৮।
‘এনাটমি’ হচ্ছে এমন একটা ব্যপার যা আমাদের সবার মধ্যে আছে কিন্তু তরুণী মেয়েদের মধ্যে তার প্রকাশটা সবচেয়ে ভালো।

৯।
বিয়ের প্রথম রাতে স্বামী-স্ত্রী কথা বলছেঃ
স্ত্রীঃ তুমি এতো লম্বা সময় ধরে চুমু খাওয়া শিখলে কোথায়?
স্বামীঃ বিডিআর-এ থাকার সময় বিউগল বাজাতাম যে !!

১০।
যেসব মহিলাদের বক্ষযুগল খুব উন্নত তাদের কোমর খুব সরু হয়।
কারণটা কী?
কারণ সব সময় ছায়া ঢাকা থাকলে সে জায়গায় কোন কিছুই বাড়তে পারে না।

১১।
দুই বন্ধু কথা বলছে,

প্রথম বন্ধুঃ বুঝলি, ওকে যখন চুমু খেলাম তখন ও শিউরে উঠলো।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তখন ও কী বললো?
প্রথম বন্ধুঃ শুনতে পাইনি, ঊরু দিয়ে আমার কান চেপে ধরেছিলো যে !!

৬,৬০১ বার দেখা হয়েছে

৭৭ টি মন্তব্য : “চটপটি”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    =)) =))
    দিলিতো এই সুবহে সাদিকের টাইমে অযুটা নষ্ট কইরা =)) =))
    ১, ২ এ হাসতে হাসতে ৩ নাম্বারটাতে আইসা :just: পিরা গিলাম
    এর পর বাকিগুলা পিড়া :just: মিরা যাইতাছি :goragori: :goragori:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. তাইফুর (৯২-৯৮)

    কামরুল ... চটপটি টা তো ম্যাক্সিমামই "বাহিণী"র উপর দিয়া চালায়া দিলি ... x-(

    চ্রম ছিল রে হারামী, চ্রম ছিল।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    সাত নম্বরটা খুব হট,
    নাকি কামরুল,
    আঙুর ফল টক??

    চার নম্বরটা ফাটাফাটি
    কামরুল খায় শুধু চটপটি!!

    ছয় নম্বরের নাই ওড়না
    পুরুষ ডাক্তার যায় তেড়ে,
    কামরুলের তাই বেইল নাই
    ব্লগে বসে জোকস লেখে!!


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. সামীউর (৯৭-০৩)

    খুবই ঝাল চটপটি, একেবারেফাইট নাইট উড়াধুরা ! খাইলে চাটবেন.........না খাইলে পস্তাইবেন
    (দ্রষ্টব্য-ফাইট নাইট উড়াধুরা সংসদ ভবনের সামনের একটি চটপটির দোকানের নাম)

    জবাব দিন
  5. রেজওয়ান (৯৯-০৫)

    ভাই সিএমেইচ এর বেডে আছিলাম দুই দিন, পুরা স্যালাইন লাগাইন্যা, আজকে একটু ফাকি মাইরা রুমে আইলাম কি হইতেছে এইখানে দেখার জন্য......এখন মনে হয় আবার গিয়া স্যালাইন দেয়া লাগবে, হাসতে হাসতে পুরা মিরা যাইতেছি :khekz: :pira:

    জবাব দিন
  6. আজহার (১৯৮২-১৯৮৮)

    কামরুল,
    ওকাসের ওয়েব পেইজে তো আর উর্দির আদি-রসের আড্ডা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তাই এখানে চান্স নিচ্ছি। দেখো তো নীচের দুটো তোমার চটপটির প্ল্যাটে জায়গা হয় কি না!

    বারো:
    অফিসার: aআচ্ছা, সঙ্গম পরিশ্রমের কাজ না আনন্দের?
    জওয়ান: স্যার ওটা পরিশ্রমের হইলে আপনি আমারে দিয়া করাইতেন।

    তেরো:
    এক হাবিলদারের বহুদিনের খায়েশ, কচি মেয়েকে নিয়ে স্ফুর্তি করব। যথারীতি ভীষণ রকম কচি এক মেয়েকে সে পছন্দ করলো।
    কাজ শুরু হতে না হতেই মেয়েটি কঁকিয়ে বলল, ”স্যার হাডু ডা সরান”।
    হাবিলদারের বাঁজখাই গলায় সংক্ষিপ্ত উত্তর, ”ওই! হাডু না, এইডাই যাইবো”।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।