জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল

গলির সামনের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে সিরাজ হঠাৎ চিন্তিত মুখে বললো, আচ্ছা আমরা কি বেহেশতে যামু , না দোযখে ?
মনে হয় দোযখে। বেহেশতে যাওয়ার মত কিছু তো এ জীবনে আমরা কেউ করি নাই, তাই না? -বললাম আমি।
এবার সিরাজের চোখ-মুখ খুব সিরিয়াস হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা দোযখে কি চিরকাল আজাবের মধ্যে থাকতে হবে আমাদের সবাইকে? মাঝে মাঝে যদি একটু রেস্ট চাই, দিবে না?
দিতে পারে। তুই তো ছেলে ভালো, দয়া করে দিতেও পারে।
এবার ওর মুখে হাসি। বলে, তাইলেই হবে।
হবে মানে? রেস্ট দিয়ে কী করবি?
সবাই মিলে আড্ডা দিমু। একটু সময়ের জন্য হলেও তো দোযখটা তখন বেহেশত মনে হবে!

…………….
আমাদের বন্ধুত্বের গল্প এটুকুই। আমরা মানে ক্যাডেট কলেজের ১৯৯৪ থেকে ২০০০ ব্যাচের।
আমি জানি, রেজাদের (২০০১- ২০০০৭) ব্যাচের গল্পটাও এরকম।
বন্ধুতের এই গল্পটা ক্যাডেট কলেজের সব ব্যাচের গল্প ।

—-
‘৯৪ আর ‘০১ ব্যাচকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

আজ ১২ই মে। তাই সকাল থেকে জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল ………

২,০৩২ বার দেখা হয়েছে

১১ টি মন্তব্য : “জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল”

    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      হ্যাপি বাড্ডে কামরুল ভাই, জন্মদিন উপলক্ষে পার্টি না দেন, আপনাদের সবাইকে একটু ব্লগে ঘুরায় নিয়া যান। অনেকদিন কাউরে দেখি না 🙁


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  1. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    শুভ জন্মদিন :awesome: :awesome: :awesome:


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান আকাশ (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।